OrdinaryITPostAd

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কোরবানীর দিনের ফজিলত

জিলহাজ মাসের যে সকল আমল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি আমল হলোঃ কুরবানীর দিন রোজা রাখা। তবে কুরবানীর দিন রোজা রাখার নিয়ম, অন্যান্য রোজার চেয়ে ভিন্ন। বিশেষ এই কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির দিনের আমল) সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজা রাখার বিধান

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ প্রারম্ভিকা

কুরবানির ঈদের দিনের আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক শরীয়ত মতে যতগুলো মর্যাদাপূর্ণ দিবস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ ঈদুল আযহার দিন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো কুরবানির ঈদের দিনের আমল সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। আর এ কারণেই কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির দিনের আমল) গুলো পালন করতে তারা সচেষ্ট থাকে না।

নিচে কুরবানির ঈদের দিনের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। ছোট্ট ছোট্ট এই আমল গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে আমরা অশেষ রহমত মাগফেরাতের অধিকারী হতে পারব। তো চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কুরবানির ঈদের দিনের আমল(কুরবানির দিনের আমল) গুলো সম্পর্কে।

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ ১

কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির দিনের আমল) সমূহের ব্যাপারে, অনেক মর্তবার কথা কোরআন এবং হাদিসের বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির ঈদের দিনের আমল) গুলো যথাযথভাবে পালন করে, তাহলে এটি তার জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর। কুরবানির ঈদের দিনের আমল গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হলো। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির দিনের আমল) সমূহ।

গোসল করা। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সুন্দর করে গোসল করা, কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির দিনের আমল) গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আমল। গোসলের পূর্বে ভালোভাবে মিসওয়াক করে নেওয়া কর্তব্য। কেননা মেসওয়াক ও গোসল করা সাধারণভাবেই সুন্নত।কিন্তু যদি কেউ এই সাধারণ কাজ দুটো কুরবানির ঈদের দিনের আমল এর নিয়তে করে।
তাহলে সাধারণ সুন্নতের পাশাপাশি, এই কাজগুলো কুরবানির ঈদের দিনের আমল হিসেবে গণ্য হবে।কেননা ঈদের দিন সাধারণত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম গোসল করতেন। যেমনটি পবিত্র হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলোঃ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন গোসল করতেন।’ (নাসবুর রায়াহ)

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ ২

উত্তম পোশাক পরিধান। ভালোভাবে গোসল করে নেয়ার পর, উত্তম পোষাক পরিধান করা অন্যতম একটি কুরবানির ঈদের দিনের আমল। তাই নিজের সর্বোত্তম জামাটি ঈদের দিন গোসল করার পর পরিধান করা উচিত। তবে এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আমরা অনেকেই মনে করি যে ঈদ মানেই নতুন পোশাক।

অর্থাৎ ঈদে আসলে নতুন পোশাক পরিধান করতে হবে। ঈদ আসলেই নতুন কাপড় পড়তে হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা কুরআন এবং হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। নতুন কাপড় নয়, বরঞ্চ নিজের কাছে সর্বোত্তম যে কাপড়টি রয়েছে সেটি পরিধান করতে হবে। এখন যদি কেউ নতুন কাপড় কিনে থাকে তাহলে সেটি পড়তে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। 

এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ঈদে ডোরাকাটা কাপড় পরিধান করতেন।' (বায়হাকি)। উপরোল্লিখিত হাদীসটি থেকে প্রতীয়মান হয় যে ঈদের দিন উত্তম পোষাক পরিধান করা কুরবানির ঈদের দিনের আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আমল।

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ ৩

কোরবানির গোশত দিয়ে দিনের প্রথম খাবার খাওয়া, কুরবানির ঈদের দিনের আমল(কুরবানির দিনের আমল) গুলোর মধ্য থেকে একটি। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি কোরবানি করার নিয়ত করে তাহলে সে ঈদের দিনে কোন কিছু খাবে না। এভাবেই সে ঈদের নামাজ আদায় করবে এবং কুরবানী করবে। অতঃপর কোরবানির সম্পন্ন হয়ে গেলে, কোরবানির গোশত রান্না করে সেই গোশত দিয়ে দিনের প্রথম খাবার খাওয়া কুরবানির ঈদের দিনের আমল (কুরবানির দিনের আমল) সময়ের একটি।

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ ৪

পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া এবং ফেরার পথে রাস্তা পরিবর্তন করা কুরবানির ঈদের দিনের আমল(কুরবানির দিনের আমল) গুলোর মধ্য থেকে একটি। অর্থাৎ ঈদের দিনে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত। এ ব্যাপারে হাদীসে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন বায়হাকি শরীফের একটি হাদীসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যেতেন। তাঁর সামনে একটি বর্শা বহন করে নেয়া হতো এবং সেটা নামাজের সময় তাঁর সামনে ‘সুতরা’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো।' (বায়হাকি)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যেতেন। ঈদগাহ থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন।'  (বায়হাকি)। সুতরাং বুঝা গেল পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া, এবং ফেরার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নত।

রাসুলুল্লাহ সালালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহ থেকেও ফেরার সময় রাস্তা পরিবর্তন করতেন। এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে, হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ঈদগাহ থেকে ফেরার পথে) রাস্তা বদল করতেন।' (বুখারি)। 

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ ৫

ঈদগাহে নামাজ আদায় এবং ঈদগাহে যাওয়া-আসার পথে তাকবির বলা, কুরবানির ঈদের দিনের আমল(কুরবানির দিনের আমল) গুলোর মধ্য থেকে অন্যতম একটি। যদি প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। কেননা এই ঈদের নামাজ যেহেতু সমষ্টিগত ভাবে পড়তে হয় ঈদগাহে গিয়ে একত্রে নামাজ আদায় করা সুন্নত। 

এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই ঈদের দিন (ঈদগাহের উদ্দেশ্যে) বের হতেন। ফজল ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ, আব্বাস, আলি, জাফর, হাসান, হোসাইন, উসামা ইবনে যায়েদ, যায়েদ ইবনে হারেসা ও উম্মে আয়মানের ছেলে আয়মানকে সঙ্গে নিয়ে। উঁচু আওয়াজে তাকবির বলতে বলতে কামারদের রাস্তা ধরে তিনি ঈদগাহে যেতেন এবং নামাজ থেকে ফারেগ হওয়ার পর বাড়ি আসতেন মুচিদের রাস্তা দিয়ে।’ (ইবনে খুযায়মা)

উপরে বর্ণিত হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়া সুন্নত। ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় এবং আসার সময় তাকবীর পড়া সুন্নত। এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে গিয়ে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঈদগাঁ থেকে বাসায় ফিরে আসা সুন্নত। 

আর ঈদগাহে যাওয়ার সময় এবং ঈদগাহ থেকে ফেরার সময় তাকবীর পাঠ করা কুরবানির ঈদের দিনের আমল(কুরবানির দিনের আমল) গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে, ঈদগাহে যাওয়ার পথে উঁচু আওয়াজের তাকবির বলা সুন্নত। 

হাদিসে এসেছে, হজরত নাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় ঈদের নামাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হতেন। ঈদগাহে পৌছা পর্যন্ত (রাস্তায়) তাকবির বলতেন। ঈদগাহে পৌছেও ইমাম নামাজ আরম্ভ করার আগ পর্যন্ত তিনি তাকবির বলতেন।' (দারাকুতনি)

অন্য বর্ণনায়, হজরত আবু আব্দুর রহমান সুলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সাহাবায়ে কেরাম ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় অনেক বেশি তাকবির বলতেন।' (মুসতাদরেকে হাকেম)

তাকবীর হলোঃ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
শিশুদের ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া এবং ঈদের দিন কবর জিয়ারত করা সুন্নাত। কেননা শিশুদের কিছুদিন খেয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে তারা ছোট থেকেই ইসলামের বিধি-বিধান গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।আর খুশির এই দিন কবর জিয়ারত করা সুন্নত। আত্মীয়-স্বজনরা কবর বাসি হয়ে গিয়েছেন তাদের জন্য মানুষের আত্মা কামনা করা কুরবানির ঈদের দিনের আমল(কুরবানির দিনের আমল) গুলোর মধ্যে অন্যতম।

কুরবানির ঈদের দিনের আমল - কুরবানীর দিন রোজাঃ উপসংহার

কুরবানির ঈদের দিনের আমল ( কুরবানির দিনের আমল), কুরবানীর দিন রোজা সম্পর্কে উপরে যে সকল আলোচনা করা হলো আপনি যদি কোরবানির দিনের এই আমল গুলো পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভালভাবে অনুসরণ করতে হবে। কেননা, কোন আমল করার আগে সেই আমল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া কর্তব্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url