পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম
মোবাইল আসক্তি কমানোর ১০টি উপায়আপনি কি, পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটিতে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম, ল্যাগ হাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন যখন পুরনো হয়ে যায়। তখন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড অনেক কমে যায়। ফলে আমরা যখন ফোনে কোন কাজ করি। তখন কাজের সময় পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়। তাই ফোনের ল্যাগ কমানোর জন্য ল্যাগ কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
পেজ সূচিপত্রঃ পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম
- পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কাকে বলা হয়
- পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ হওয়ার কারণ
- পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার উপায়
- কোন অ্যাপ গুলোর কারণে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়
- অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করতে কোন ক্লিনার অ্যাপ ভালো
- অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়ার কারণ
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হ্যাং প্রতিরোধ করার সমাধান
- পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
- উপসংহারঃ (পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম)
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটিতে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের ব্যবহার করা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যখন অনেক বেশি দিন হয়ে যায়। তখন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কাজ করার গতি অনেক কমে যায়। ফলে আমরা যখন ফোনে কোন কাজ করি। তখন কাজের সময় আমাদের ব্যবহার করা পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ল্যাগ হয়ে যায়। তাই ফোনের ল্যাগ কমানোর জন্য ল্যাগ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর সম্পর্কে বিস্তারিত।
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইনস্টল করতে হবেঃ আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এমন অনেকগুলো অ্যাপ থাকে। যেগুলো আমাদের ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন পড়ে না। এই অ্যাপ গুলো আমাদের স্টোরেজ, র্যাম, ডাটা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আমাদের ফোনে অনেক ধীর এবং আস্তে হয়ে যায়। তাই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কমানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলো আনইনস্টল করতে হবে বা ডিলিট করে মুছে ফেলতে হবে।
- ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করতে হবেঃ অনেক সময় আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অনেক অ্যাপ আমরা ইনস্টল করে না খুললেও ব্যাকগ্রাউন্ডে রান হয়ে থাকে। যা আমাদের ফোনের জন্য ক্ষতিকর। ব্যাকগ্রাউন্ড যদি বন্ধ না করা হয়। তাহলে আপনার র্যাম ভর্তি হয়ে থাকবে। এর ফলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে ধীরে হয়ে যাবে। তাই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কমানোর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ অবশ্যই বন্ধ করে রাখতে হবে।
- জাঙ্ক ফাইল এবং ক্যাশ ক্লিয়ার করতে হবেঃ আমরা যখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্রাউজার ব্যবহার করি। তখন আমাদের ফোনে অনেক স্টোরেজ কমে যায় এবং ফোনে অনেক ক্যাশ জমে থাকে। এর ফলে আমাদের পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ বা ধীর হয়ে যায়। তাই কোন অ্যাপস যেন অটো ডাউনলোড না হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অটো ডাউনলোড অ্যাপস বন্ধ করে রাখতে হবে। এছাড়াও আমাদের ফোনের যে ছবি এবং ভিডিও গুলোর প্রয়োজন নেই। সেগুলো ডিলিট করে দিতে হবে।
- স্টোরেজ ফাঁকা রাখতে হবেঃ স্টোরেজ যদি ভর্তি থাকে তাহলে ফোন অনেক ল্যাগ বা ধীর হয়ে যায়। তাই আমাদের সবসময় স্টোরেজ ফাঁকা রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় সকল ডাউনলোড মুছে ফেলতে হবে। গ্যালারি থেকে লার্জ ফাইল ভালোভাবে চেক করে ডিলিট বা মুছে ফেলতে হবে।
- সফটওয়্যার আপডেট দিতে হবেঃ পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সফটওয়্যার আপডেট দিতে হবে। সফটওয়্যার আপডেট দিলে ফোনের ল্যাগ অনেক কমে যায়। এর ফলে ফোন এর গতি অনেক বাড়ে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কাকে বলা হয়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কাকে বলা হয়? আজকের আর্টিকেলটিতে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে প্রায় প্রত্যেকের হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন আমাদের জীবনের অন্যতম একটি বিশেষ যন্ত্র। অ্যান্ড্রয়েড ফোন দ্বারা আমরা বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকি। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছাড়া এখন আমাদের একটি দিন কল্পনা করতে পারি না। অ্যান্ড্রয়েড ফোন আমাদের অনেক কাজ সহজ করে দেয়।
আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ক্রয়ের সময় যে ১৫ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করতে পারি। মোটকথা অ্যান্ড্রয়েড ফোন এখন আমাদের জীবনের অন্যতম একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যখন আমাদের হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি অনেকদিন ব্যবহার করা হয়ে যায় বা পুরনো হয়ে যায়। তখন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কার্যক্ষমতা অনেক আস্তে বা ধীর হয়ে যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কার্যক্ষমতা আস্তে বা ধীর হওয়াকেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ হওয়া বলা হয়।
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ হওয়ার কারণ
আজকের এই আর্টিকেলটিতে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের ব্যবহার করা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যখন পুরনো হয়ে যায়। তখন আমাদের ফোন অনেক ল্যাগগ বা ধীর হয়ে যায়। আমাদের ফোনের ল্যাগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা থাকলে। আমরা আমাদের ফোনের ল্যাগ হওয়ার সমস্যা সমাধান করতে পারব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত।
- অ্যাপ্লিকেশন এবং ফাইল জমাঃ আমাদের ব্যবহার করা পুরনো এন্ড্রয়েড ফোনে যদি অনেক বেশি পরিমাণে অ্যাপ্লিকেশন এবং ফাইল জমা হয়ে যায়। তাহলে আমাদের পুরনো এন্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়।
- সফটওয়্যার আপডেট না করলেঃ অনেক সময় আমাদের ফোনে আমরা পুরনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। পুরনো সফটওয়্যার যদি আপডেট না করা যায়। তাহলে আমাদের ফোন ল্যাগ হয়ে যায়।
- স্টোরেজ ভর্তি থাকলেঃ আমাদের ব্যবহার করা পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যদি স্টোরেজ ভর্তি থাকে। তাহলে আমাদের ব্যবহার করা পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ল্যাগ হয়ে যায়।
- ব্যাকগ্রাউন্ড এক রানিং হতে থাকলেঃ আমাদের ফোন অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড রানিং হতে থাকে। এর ফলে আমাদের পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়।
- অনেক বেশি ডেটা ক্যাশে হিসেবে জমা হলেঃ আমরা যখন অ্যাপ ব্যবহার করি তখন আমাদের ফোনে ডেটা ক্যাশে হিসেবে জমা হয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের ব্যবহার করা পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়।
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার উপায়
আজকের এই আর্টিকেলটিতে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের ব্যবহার করা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যখন অনেক পুরনো হয়ে যায়। তখন ফোনের কার্যক্ষমতা অনেক আস্তে এবং ধীর হয়ে যায়। ফলে আমরা যখন ফোনে কোন কাজ করি তখন কাল তাড়াতাড়ি হয় না বলে বিরক্ত বোধ করি। তাই পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলো ফাস্ট করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
- অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করার সময় আমাদের ফোনে অনেক সময় সেটিংস বা ফাইল জমা হয়। যেগুলোর কারণে আমাদের ফোনের গতি কমে যায়। তাই পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার জন্য Factory Reset দিতে হবে।
- মেসেঞ্জার লাইট, ফেসবুক লাইট অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। লাইট অ্যাপস গুলো ব্যবহার করলে ফোনের রিসোর্স অনেক কম খরচ হয়ে থাকে। এর ফলে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট থাকে।
- আমরা Heavy themes and Live Wallpaper ব্যবহার করে থাকি। এই সকল হেভি থিম এবং লাইভ ওয়াল পেপার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট থাকবে।
- অবশ্যই Battery Optimization চালু করে রাখতে হবে। আপনি যদি আপনার পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের Battery Optimization চালু করে রাখেন। তাহলে আপনার পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট থাকবে।
- Phone Cleaner অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি Phone Cleaner অ্যাপ ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট থাকবে।
- Home Screen - এ কম Widget রাখতে হবে। আপনি যদি Home Screen - এ কম Widget রাখেন। তাহলে আপনার পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট থাকবে।
- Developer Options চালু করে Animal Scale কমিয়ে দিতে হবে। আপনি যদি Developer Options চালু করে Animal Scale কমিয়ে রাখেন। তাহলে আপনার পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট থাকবে।
কোন অ্যাপ গুলোর কারণে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন, কোন অ্যাপ গুলোর কারণে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়? আমরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। তবে কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে। যেগুলো আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে আস্তে আস্তে ধীর বা ল্যাগ করে দেয়। তবে আমরা অনেকেই জানি না কোন অ্যাপ গুলোর কারণে আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন অ্যাপ গুলোর কারণে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হয়ে যায়?
আরো পড়ুনঃ শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর ৬টি উপায়
- ফেসবুক
- টিকটক
- হেভি বা ভারী গেম
- ব্লটওয়্যার
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইত্যাদি
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করতে কোন ক্লিনার অ্যাপ ভালো
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করতে কোন ক্লিনার অ্যাপ ভালো? আমাদের হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যখন অনেকদিন ব্যবহার করা হয়ে যায় বা পুরনো হয়ে যায়। তখন আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনের কার্যক্ষমতা কমে গতি অনেক কম হয়ে যায়। ফলে আমরা যখন কোন কাজ করি তখন কাজ তাড়াতাড়ি হয় না। এই অবস্থায় আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার জন্য কোন ক্লিনার অ্যাপ ভালো সেই সম্পর্কে জানে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করতে কোন ক্লিনার অ্যাপ ভালো?
- SD Maid
- CCleaner
- Files by Google
অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়ার কারণ
আজকের এই আর্টিকেলটিতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রতিটি মানুষের কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছাড়া যেন আমরা আমাদের জীবন ভাবতেই পারি না। আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজে আমরা অ্যাড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকি। তবে অনেক সময় আমাদের ব্যবহার করা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, এন্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ব্লগার সাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করবেন
আপনার র্যাম যদি ভর্তি থাকে এবং আপনি যদি আবার কোন বড় অ্যাপ ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনার র্যাম ভর্তি হওয়ার কারণে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যায়। এছাড়াও আপনি যদি অনেক ভারী ভারী অ্যাপ ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ফোনের প্রসেসর এর উপর চাপ পড়ে। ফলে আপনার ফোন হ্যাং হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত পরিবারের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার কারণে এবং অতিরিক্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করার কারণে ফোন গরম হয়ে হ্যাং হয়ে যায়।
এছাড়াও আমাদের ফোনে অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ইনস্টল করা থাকে। এই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলো থাকার কারণে ফোন হ্যাং হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অনেক সময় অনিরাপদ অ্যাপ এবং ব্রাউজার থেকে আমাদের ফোনে ভাইরাস ঢুকে যায়। ফলে আমাদের ফোন হ্যাং হয়ে যায়। আমরা যখন অ্যাপ ব্যবহার করি তখন আমাদের ফোনে ডেটা ক্যাশে হিসেবে জমা হয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের ব্যবহার করা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যায়। এছাড়াও ব্যাটারি যদি অনেক পুরনো এবং দুর্বল হয়ে যায়। তাহলেও অনেক সময় অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হয়ে যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হ্যাং প্রতিরোধ করার সমাধান
আজকের এই আর্টিকেলটিতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হ্যাং প্রতিরোধ করার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে প্রত্যেকের হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন যখন অনেকদিন ব্যবহার করা হয়ে যায়। তখন এন্ড্রয়েড ফোন এর গতি অনেক কমে যায়। অনেক সময় অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলো হ্যাং হয়ে যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কারণ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে উপরে আলোচনা করেছি। অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হলে অবশ্যই হ্যাং প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হ্যাং প্রতিরোধ করার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনার পুরনো এন্ড্রয়েড ফোন যদি হ্যাং হয়ে যায়। তাহলে আপনি আপনার ফোন Restart দিন। এছাড়াও আপনার ফোন যদি অনেক গরম হয়ে যায়। তাহলে অবশ্যই কিছু সময়ের জন্য আপনার ফোন বন্ধ করে রাখতে হবে। তাছাড়া আপনাকে Safe Mode চালু করে দেখতে হবে। আসলে কোন অ্যাপের জন্য ফোন হ্যাং হয়ে যাচ্ছে কিনা। অ্যাপ ব্লটওয়্যার মুছে ফেলতে হবে। এই অ্যাপ ব্লটওয়্যার গুলো পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হওয়ার অন্যতম কারণ।
এগুলো প্রি ইনস্টল এর কারণে অনেক ram খরচ হয় এবং ফোন অনেক ধীর এবং আস্তে হয়ে যায়। তাই অ্যাপ ব্লটওয়্যার মুছে ফেলা অনেক জরুরী। এছাড়াও আপনি Root ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় সকল সিস্টেম অ্যাপস মুছে ফেলতে পারেন। তবে রুট ব্যবহার করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ একটি পদ্ধতি। এইজন্য অবশ্যই আপনাকে রুট ব্যবহার করতে পারে। এরকম দক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে কাজ করাতে হবে। তাহলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হ্যাং প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
আজকের এই আর্টিকেলটিতে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের প্রত্যেকের হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। তবে যখন অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলো অনেকদিন ব্যবহার করা হয়ে যায়। তখন এই পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলো অনেক ধীর বা আস্তে হয়ে যায়। আমরা যখন ফোনে কোন কাজ করতে যায়। তখন কাজ গুলো দ্রুত গতিতে হয় না। তাই পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানো সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পুরনো এন্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস সম্পর্কে।
- আমরা ফোনের নিরাপত্তার জন্য অনেক অ্যাপস ব্যবহার করি। এই অ্যাপস গুলো আমাদের ফোনকে অনেক ল্যাগ বা ধীর করে দেয়। তাই অনেক গুলো অ্যাপস ব্যবহার না করে একটি ভালো মানের অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ফোনের ল্যাগ অনেক কমবে।
- সাত দিন পর পরে একবার করে স্টোরেজ ক্লিন করতে হবে। তাহলে ফোনের ল্যাগ অনেক কমবে।
- অবশ্যই আপনাকে অটো ডাউনলোড অ্যাপস গুলো বন্ধ করে রাখতে হবে। তাহলে ফোনে ল্যাগ অনেক কমবে।
- recent অ্যাপ গুলো প্রত্যেকদিন ভালোভাবে চেক করে বন্ধ করে রাখতে হবে। তাহলে ফোনের ল্যাগ অনেক কমবে।
উপসংহারঃ (পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম)
আজকের এই আর্টিকেলটিতে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ল্যাগ কমানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও ল্যাগ কাকে বলে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হওয়ার কারণ, অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হওয়ার সমাধান, এন্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ কমানোর গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোন যখন অনেক পুরনো হয়ে যায়। তখন আমাদের ফোনের কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে ল্যাগ হয়ে যায়।
তাই পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কমানোর এবং ফোন এর গতি বাড়ানোর জন্য অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ল্যাগ হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আমাদের হাতের পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন যদি ল্যাগ হয়ে যায়। তাহলে আমরা নিজে নিজে ফোনের ল্যাগ কমাতে পারব। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, কিভাবে পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কমানো যায়? আশা করি, এইভাবে যদি আপনি আপনার পুরনো এন্ড্রয়েড ফোনে যত্ন করতে পারেন। তাহলে আপনার পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ল্যাগ কমে যাবে। Job id no: 250833




অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url