২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার
১২ মাসের প্রতিদিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। যেহেতু এই
মাসকে ঘিরে অনেকেরই অনেক রকম পরিকল্পনা থাকে তাই অনেকেই এই ক্যালেন্ডারটি পেতে
চাই। ভাবার বিষয় হলো কে এই ক্যালেন্ডারটি বিস্তারিতভাবে দিতে পারেন।
তাই সকলের প্রয়োজনের কথা মাথায় নিচে সাল ২০২৬ এর নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার সহ
এর বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। তাই বিস্তারিত জানার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
আমার এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখে আসুন ।
পেজ সূচিপত্র:- ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার আমাদের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এই ক্যালেন্ডারটি আমাদের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই খুব প্রয়োজনীয়। এই
নভেম্বর মাসটি বছরের এমন এক সময় যে সময় প্রকৃতি তারা নজের রূপ বদলায়। প্রকৃতির
রূপ বদলানোর সাথে সাথে মানুষের জীবনেরও রুপ বদলায় থাকে এই মাসটিতে। কেননা
এই মাসটিতে গরমের প্রখরতা কমে গিয়ে আবহাওয়া হয়ে ওঠা অত্যন্ত মনোরম।
প্রকৃতিতে শীতের চাদর নেমে আসতে শুরু করে। আর এই আবহাওয়ার কারণে সরকারি বেসরকারি
এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। আর
এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সবার আগে একটি ক্যালেন্ডারের
প্রয়োজন হয়। যা প্রত্যেকের জন্য দিন বা তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে আবশ্যক । ভাই
সবার সুবিধার্থে সাল ২০২৬ এর নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডারটি দেওয়া হলো।
উপরে দেওয়া চার্টটি ২০২৬ সালের ১১ তম মাস নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার। এই চারটে
দেওয়ার তারিখ অনুযায়ী আমরা নভেম্বর মাসের সকল গুরুত্বপূর্ণ অপয়োজনীয় তথ্য
আমরা পেতে পারবো। এই চার্ট এর মধ্যে আমরা নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ
পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া আরো দেখতে পাচ্ছি নভেম্বর মাসের কোন বারটি কত
তারিখ। এছাড়া ক্যালেন্ডারটির মাধ্যমে আমরা আরো দেখতে পাচ্ছি নভেম্বর মাসে কয়টি
শুক্রবার আছে এবং কোন শুক্রবারটি কত তারিখ। পরিশেষে বলা যায় তারিখ দেখা ও সময়
নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই ক্যালেন্ডারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্ষপঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডারের ধারণা
সময় গণনার ক্ষেত্রে সব থেকে সেরা পদ্ধতি হলো ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জিকা।
ক্যালেন্ডার বা বর্ষ পঞ্জিকার মাধ্যমে বছর মাস সপ্তাহ ও দিনের হিসাব রাখা যায়।
একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কৃষি ধর্মীয় উৎসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি
কার্যাবলীসহ বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মের পরিকল্পনা বা সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে অতি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যালেন্ডার মূলত চাঁদ এর গতি অথবা সূর্যের গতি অথবা উভয়ের গতির উপর নির্ভর করে
তৈরি করা হয়। তবে আমরা দেখে থাকি বিশ্বের এক এক দেশ এক এক ধরনের ক্যালেন্ডার
ব্যবহার করে থাকে। যেমন আরব দেশীয়রা হিজরী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। কোনো দেশ
আবার হিন্দু ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। আবার বাংলাদেশ এবং এর সাথে অন্যান্য আরো
কিছু দেশ বাংলা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে।
তবে সবচেয়ে প্রচলিত যে ক্যালেন্ডারটি সারা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করে
সেটি হল ইংরেজি ক্যালেন্ডার বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। এই বর্ষপঞ্জিকা বা
ক্যালেন্ডার শুধুমাত্র সময় নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয় না এটি একটি দেশের
ইতিহাস ও সংস্কৃতিও ধারণ করে থাকে। কেননা প্রত্যেকটি দেশ বা জাতির নিজস্ব ইতিহাস
ও সংস্কৃতি কে কেন্দ্র করে তাদের বর্ষপঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়ে থাকে। এইভাবে ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে আমরা ধারণা পেয়ে থাকি।
ক্যালেন্ডার আবিষ্কার এর ইতিহাস
ক্যালেন্ডার আবিষ্কারের ইতিহাস আজ থেকে বহু প্রাচীন সময়ের। অতীতে মানুষ চাঁদ এবং
সূর্যের গতি এবং তাদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে সময় নির্ধারণ করতো। এখন থেকে
আনুমানিক ৫০০০ বছর পূর্বে প্রাচীন মিশরীয়রা প্রথম সূর্যভিত্তিক একটি ক্যালেন্ডার
তৈরি করে। যার নাম দেওয়া হয় প্রাচীন মিশরীয় ক্যালেন্ডার। যে ক্যালেন্ডারটিতে
মিশরীয়রা এক বছরকে ৩৬৫ দিনে ভাগ করেছে।
এরপর ব্যাবিলনীয় সভ্যতা এবং মায়া সভ্যতা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে নিজস্ব
ক্যালেন্ডার তৈরি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাচীন রোমরা তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার
কে পরিবর্তন করে জুলিয়াস ক্যালেন্ডার চালু করেন। এর কিছু সময় পর অর্থাৎ পরবর্তী
সময়ে পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এর প্রচলন শুরু করে। যা বর্তমানে
বিশ্ব বিখ্যাত একটি ক্যালেন্ডার। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষ
সময় গণনার ক্ষেত্রে এই ক্যালেন্ডারটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ক্যালেন্ডারে প্রকারভেদ
সময় গণনার ওপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বর্তমানে
সারা বিশ্বে আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার দেখে থাকি। তবে সবগুলো ক্যালেন্ডার
কে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ সময় গণনার উপর ভিত্তি করে
ক্যালেন্ডার কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার কে মূলত চন্দ্র ভিত্তিক,
সূর্য ভিত্তিক এবং চন্দ্র-সূর্য ভিত্তিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। নিচে এই তিন ধরনের
ক্যালেন্ডার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
- সূর্য ভিত্তিক ক্যালেন্ডার- সূর্যকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ সূর্যের গতি এবং অবস্থানকে কেন্দ্র করে যে ক্যালেন্ডারটি তৈরি করা হয় সেটাকে সূর্য ভিত্তিক ক্যালেন্ডার বলে। অর্থাৎ সূর্যভিত্তিক ক্যালেন্ডারে সূর্যকে কেন্দ্র করে সময় নির্ধারণের মাধ্যমে ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এ ধরনের সূর্যভিত্তিক ক্যালেন্ডার হলো গ্রেগরিয়ান ও বাংলা ক্যালেন্ডার।
- চন্দ্রভিত্তিক ক্যালেন্ডার- গতিপথ এবং চাঁদের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে চাঁদকে কেন্দ্র করে যে ক্যালেন্ডারটি তৈরি হয় সেটাকে চন্দ্রভিত্তিক ক্যালেন্ডার বলে। এই ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রে চাঁদের কার্যকলাপ কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। এই ধরনের ক্যালেন্ডার হচ্ছে হিজরী ক্যালেন্ডার। বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়সহ বেশিরভাগ মানুষই এই ক্যালেন্ডারটি ব্যবহার করেন।
- চন্দ্র-সূর্য উভয় ভিত্তিক ক্যালেন্ডার- এই ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রে চন্দ্র ও সূর্য উভয়ের গতিকে কেন্দ্র করে সময় নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ সূর্যের গতিপথ ও অবস্থান এবং চন্দ্রের গতিপথ ও অবস্থান এই দুইটাকে একসঙ্গে সমন্বয় করে ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এই ধরনের ক্যালেন্ডার হলো হিন্দু ক্যালেন্ডার ও চীনা ক্যালেন্ডার।
দৈনন্দিন জীবনে ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব
বর্তমানে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ক্যালেন্ডার একটি অতীত প্রয়োজনীয় বিষয়।
কারণ আমরা ক্যালেন্ডারের মাধ্যমেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সময় ব্যবস্থাপনা করে
থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দিন, সপ্তাহ, মাস বছর ও তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে
আমরা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি। তাই বর্তমানে ক্যালেন্ডার আমাদের প্রত্যেকের
জীবনে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা এর দ্বারাই আমাদের বেশিরভাগ কাজে
পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্কুল-কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং
বিভিন্ন রকম সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডার দেখা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে হয়।
এছাড়া দিন,তারিখ, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান করার পূর্বে আগে ক্যালেন্ডার
দেখতে হয়। চিকিৎসা সেবা, কৃষিকাজ, এমনকি নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের
ক্ষেত্রেও ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে দিন তারিখ নির্ধারণ করতে হয়। ক্যালেন্ডার তার
বিভিন্ন নির্দেশিকার দ্বারা আমাদের জীবনকে আরো সহজ করে তুলেছে। তাই বর্তমান
সময়ে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অপরিসীম।
নভেম্বর মাসের বিশেষ দিন সমূহ
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার বিষয়ে মূল তথ্য হল নভেম্বর মাসটি এমন একটি মাস যেখানে বিশেষ বিশেষ কিছু দিনের উল্লেখ পাওয়া যায়।
যেগুলো আমাদের জাতীয় জীবনে গৌরবময় কিছু দিবস। যে দিনগুলো জাতীয় ও
আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলোর মধ্যে রয়েছে
১০ই নভেম্বর ও ১৪ই নভেম্বর "বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস ও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস"। এ
মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস হলো বিশ্ব শিশু দিবস যা সাধারণত পালিত হয়ে
থাকে ২০ই নভেম্বর তারিখে।
এই নভেম্বর মাসটি আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ এর গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলো
আমাদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এরকমই বাংলাদেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন
হলো ২১শে নভেম্বর । বাংলাদেশ এ দিনটিতে পালন করা হয় "সশস্ত্র বাহিনী দিবস"।
এছাড়া ২৫ শে নভেম্বর পালন করা হয় "নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা প্রতিরোধ দিবস"।
এছাড়া চাঁদ ও সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ
দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। এসব দিবসগুলি পালনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা,সংস্কৃতি,
সামাজিক সচেতনতাবোধ গুলোকে বৃদ্ধি করা হয়। তাই এগুলোর গুরুত্ব আমাদের কাছে
অনেক।
নভেম্বর মাসের আবহাওয়া
বছরে যে ১২ টি মাস আছে তার মধ্যে ১১ তম মাসটি হল নভেম্বর মাস। এ মাসটি আমাদের
সকলের কাছে খুবই প্রিয়। কেননা বাংলাদেশের আবহাওয়া নভেম্বর মাস তার সাথে করে
শীতের আগমন বয়ে নিয়ে আসে। এই সময় কোন রকমের বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। তাই
এই সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে। দিনের তাপমাত্রা এই সময় সহনীয় ও
আরামদায়ক থাকে এবং রাতের বেলা তাপমাত্রা ১৮° থেকে ২৮° সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে
পারে। এই কারণে দিনের বেলা হালকা গরম অনুভব হলেও রাতের বেলা আমরা লেপ বা
কাঁথা নিয়ে ঘুমিয়ে থাকি। এই মাসে বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ায় পরিবেশ
অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও মনোরম থাকে। এ সময় কৃষকেরা তাদের জমি থেকে আমন ধান
কেটে থাকে কেননা ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি বেশ আরামদায়ক সময়।
ভ্রমণের জন্য সেরা নভেম্বর মাস
নভেম্বর মাসটি আমাদের সকলের কাছে খুবই প্রিয়। কেননা বাংলাদেশের আবহাওয়া
নভেম্বর মাস তার সাথে শীতের আগমন বয়ে নিয়ে আসে। এই সময় চারপাশ অতিরিক্ত
গরম থাকে না আবার অতিরিক্ত ঠান্ডাও থাকে না। যার কারণে এই সময়টি বেশ
আরামদায়ক ও মনোরম হয়ে থাকে। এই সময় বৃষ্টি একেবারে থাকে না বললেই চলে। যার
কারণে আকাশ বেশ পরিষ্কার থাকে। আর এই কারণেই এই সময় ভ্রমণের পরিকল্পনা করা
উত্তম।
এই নভেম্বর মাসে বিভিন্ন রকম পরিবেশ যেমন পাহাড় সমুদ্র সৈকত এবং গ্রামীণ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণের মাধ্যমে অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। এই
সময় বাংলার চারপাশ বিভিন্ন রকম পর্যটকে ভরে যায়। এই নভেম্বর মাসক কেন্দ্র
করে বিভিন্ন রকম উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। এইসব উৎসবকে কেন্দ্র করে হলেও মানুষ
বিভিন্ন রকম ভ্রমণ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ
ডিসেম্বর মাসের সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৩
এই নভেম্বর মাসে ভ্রমণের যাত্রাপথে একজন পর্যটক বা ভ্রমণকারীর কোনরকম কষ্ট
হয় না। বরং এই সময় ভ্রমণের মাধ্যমে তারা তাদের আনন্দ থেকে সম্পূর্ণভাবে
উপভোগ করতে পারে। তাই বলা যায় যে প্রশান্তি ও প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য
নভেম্বর মাসে ভ্রমণ করা সব থেকে সেরা। আর এই কারণে বেশিরভাগ ভ্রমণ পিপাসা
মানুষ তাদের ভ্রমণের জন্য এই নভেম্বর মাসটিকে পছন্দ করে থাকে।
নভেম্বর মাসের শহরে ও গ্রাম্য জীবন
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার শুধুমাত্র ক্যালেন্ডার না এখানে আমাদের জীবনেরও ব্যাখ্যা আছে। এই নভেম্বর মাসে আমরা শহরে ও গ্রাম্য জীবনে বিশেষ কিছু পার্থক্য দেখে থাকি।
এই নভেম্বর মাসে আমরা উভয় জায়গায় বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করে থাকি। শহরে
এই সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকে যার কারণে প্রত্যেকের মাঝে কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। স্কুল কলেজ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি অফিস গুলোতে নির্দিষ্ট রীতিতে কাজ চলতে থাকে।
চারপাশের পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম ও আরামদায়ক থাকায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে
স্বাচ্ছন্দ লক্ষ্য করা যায়।
অপরদিকে গ্রামীণ জীবনে নভেম্বর মাসে শহরে জীবনের থেকে কিছুটা পরিবর্তন
দেখা যায়। গ্রামে এই মাসটিতে বেশিরভাগ মানুষই জমি থেকে ফসল কাটাতে ব্যস্ত
হয়ে ওঠে। অনেকে আবার এই মাসটিকে ফসল কাটার মাস বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। সময়
প্রত্যেক কৃষক পরিবারে আমন ধান কাটা এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকে। কারণ এই
কাজের মাধ্যমে তাদের মধ্যে আনন্দমখরতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
এছাড়া গ্রামীণ জীবনে এই সময় হেমন্ত মুখরতার কারণে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান
পালন করা হয়। এই নভেম্বর মাসে গ্রামীণ জীবনে নবান্নের উৎসব, পারস্পরিক
মেলবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের জীবন
পরিচালিত হয়ে থাকে। তাই বলা যায় গ্রামীণ ও শহরের জীবনে নভেম্বর মাস খুব
গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।
শেষ কথা
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের পরিকল্পনা
এবং কাজের ধরন নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন। যে কারণে আমরা আমাদের
কাজের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডারের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর হয়ে
পড়ি। অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডার দেখার মাধ্যমে আমরা ওই মাসে কি কাজ করবো, কোন
দিন কি করবো, অক্টোবর মাসের গুরুত্ব ও বিশেষত্ব নির্ধারণ করে থাকি। তাই বলা যায়
আদিমকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ক্যালেন্ডার অতি
প্রয়োজনীয় ও অবিচ্ছেদ অংশ হয়ে উঠেছে। 250812





অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url