OrdinaryITPostAd

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরমঅ্যাফিলিয়েট মাকেটিং হলো একটি কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা যেখানে আপনি অন্য কারো পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করলে সেই পরিমাণে কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন হয়তো অনেকেই জানেন না।

অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-এর-জন্য-ব্লগার-সাইট-কিভাবে-তৈরি-করবেন-webp

আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন 

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগের ঘরে বসে আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। এদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি নিজের একটি ব্লগার সাইট দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান বা মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য একটি দিকনির্দেশনা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন চলুন তাহলে জেনে নেই।

অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-এর-জন্য-ব্লগার-সাইট-কিভাবে-তৈরি-করবেন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে একটি ব্লগার সাইট ওপেন করতে হবে। Blogger.com খুব সহজ একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম। ব্লগার সাইট গুগলের একটি সেবা এবং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে। ব্লগার সাইটে ফ্রি ডোমেইন ও হোস্টিং এর সুবিধা রয়েছে। ব্লগার সাইট খুলতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। যদি আপনার আগে থেকে জিমেইল একাউন্ট থাকে তবে আপনি সরাসরি পরবর্তী ধাপগুলো অনুযায়ী কাজ করবেন। 

Https//www.blogger.com লিখে ব্লগার সাইট ওপেন করতে হবে। এটি একটি জনপ্রিয় ও বিনামূল্যে ব্লগ প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহার করা সহজ এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য এটি উপযুক্ত। ব্লগার সাইটে হোস্টিং ফ্রি থাকে ডোমেন কিনতে হয়।

অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম যেমন: ওয়ার্ডপ্রেস করতে পারেন। তবে এর জন্য হোস্টিং এবং ডোমেন দুটোই আপনাকে কিনতে হবে।

ব্লগার সাইটে ডোমেনের নাম নির্বাচন করতে হবে। একটু আকর্ষণীয় এবং সুন্দর ডোমের নাম নির্বাচন করতে হবে যা আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মিল থাকে।

ব্লগার সাইটে বিভিন্ন ধরনের টেমপ্লেট পাওয়া যায়।  আপনার ব্লগের জন্য একটি সুন্দর ও ভালো ব্যবহার করার মত টেমপ্লেট নির্বাচন করতে হবে। টেমপ্লেটটি এমন হতে হবে যা দর্শকদের জন্য সহজ এবং আপনার লিঙ্ক গুলো ভালোভাবে প্রদর্শিত যেন হয়। মানসম্মত নিস অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। ব্লগের মেনু, সাইটবার এবং ফুটার  সুন্দর ভাবে সেট করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলি করতে হবে যাতে মোবাইল ব্যবহারকারীরাও স্বাচ্ছন্দে এই আপনার ব্লগ সাইটটি ব্রাউজারে ওপেন করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র যেভাবে সংশোধন করবেন

ব্লগ সাইটে অবশ্যই নিস এর উপর ভিত্তি করে আকর্ষণীয় ও মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন: গাইড রিভিউ, টিউটোরিয়াল, তালিকা ইত্যাদি। এসব কনটেন্টের সাথে এফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করতে হবে। যে পণ্য বা পরিসেবা প্রচার করতে চান তার এফিলিয়েট লিঙ্কগুলি আপনার আটিকেলে যুক্ত করতে হবে এবং যে লিংকগুলি প্রাসঙ্গিক ও ব্যবহারকারীদের জন্য সহায় হোক সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার কন্টেন্ট সাথে মিল দেখে অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলি এমনভাবে যুক্ত করতে হবে যেন ব্যবহারকারীরা খুব সহজে ও স্বাচ্ছন্দে তা ক্লিক করতে পারে। ব্লগার সাইটকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য আপনাকে SEO অপটিমাইজেশন ব্যবহার করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO ব্যবহার করে আপনার সাইট ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে। রিসার্চ করে এবং আপনার কন্টেনের প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

আপনার ব্লগের মেটা ডিসক্রিপশন, টাইটেল ট্র্যাক এবং অন্যান্য সবকিছুই SEO উপাদান অপটিমাইজেশন করা ভালো। আপনার ব্লগ পোস্টগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে শেয়ার করতে হবে কারণ সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে বড় যোগাযোগ মাধ্যম হয়। ব্লগার সাথে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ব্লগে প্রচারের জন্য বিভিন্ন কৌশল বা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। 

আবার  গুগল এডসেন্স ও অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে আপনার সাইটটি অবশ্যই গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামের নীতিমালা মেনে করা ভালো। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সাইটে ট্রাফিক বারাতে হবে। আপনার সাইটের কর্মদক্ষতা বিশ্লেষণ করে কোন কৌশল গুলি ভালো কাজ করে এবং কোনগুলি করলে খুব দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব সেগুলো নির্বাচন করে সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

নিয়মিত কন্টেন আপডেট করতে হবে এবং সাইটে সব সময় ওয়েবসাইটকে সব ব্লগ সাইটকে সব সময় আপডেট রাখতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি ভালো ব্লগার সাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে ভালো প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করে এসইও অপটিমাইজেশন ও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেকেই ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আধুনিক জগতের মার্কেটিং প্রক্রিয়ার একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটিং ব্যবস্থা।  কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার প্রচারণার জন্য প্রমোট করা বা বিক্রি করে কমিশন নেওয়া কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নতুন নিয়ম

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খুচরা বিক্রেতা তার পণ্যের সেবা ও ব্যান্ডের প্রচার বিক্রির জন্য ছোট বড় সকল অনলাইন মার্কেট এর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানি বা ব্যক্তি তার ব্যবসা বৃদ্ধি করে থাকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে করার ফলে ব্লগারা বা মার্কেটাররা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগে মার্কেটিং করে খুব সহজে ইনকাম করা সম্ভব। মার্কেটিং শুরু করার জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম অবশ্যই একটা অনলাইন প্লাটফর্ম থাকতে হবে। তা হতে পারে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট, আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বা ইউটিউব চ্যানেল সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া। আপনার সাইটে বা প্লাটফর্মে প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার হওয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। কেননা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে অডিয়েন্স। যাদের কাছে আপনি আপনার প্রোডাক্টের সবকিছু প্রচার-প্রচারণা করতে পাড়েন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। তাহলে শুরু করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি আয়ের উৎস। যেখানে আপনি কোন কোম্পানি পণ্য বা পরিসেবা প্রচার করে তাদের কাছ থেকে কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় অনলাইন  এর মাধ্যম এখানে আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য বা প্রচার করতে পারবেন। যখন কেউ আপনার প্রচার লিংক ব্যবহার করে বর্ণিত পণ্য বা পরিসেবা ক্রয় করে তখন আপনি তা থেকে কমিশন পাবেন।

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি পণ্য পরিসেবা প্রচার করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নির্বাচন করতে হবে। যেমনঃ amazon flipkart বা অন্যান্য ই-কমার্স থেকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বেছে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি অফার করে থাকে। আপনার প্ল্যাটফর্মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আপনার দর্শকদের জন্য উপযুক্ত পণ্য  নির্বাচন করতে হবে।

আপনার নির্বাচিত প্ল্যাটফর্মে পণ্যগুলির লিংক বা পণ্যগুলোর বিবরণ শেয়ার করে প্রচারের ফলাফল গুলি ট্রাক করতে হবে এবং সেগুলো উকুন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেগুলো অবলম্বন করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লাভজনক উপায় হতে পারে তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার ধৈর্য ও পরিশ্রম থাকা প্রয়োজন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কোন পণ্য বা পরিসেবা বিক্রি করে কমিশন পাবেন শুরু করা সহজ এবং এতে ঝুঁকি অনেক কম থাকে এছাড়াও এটি একটি আইন উৎসব হতে পারে আপনার জন্য। মার্কেটিং শুরু করতে খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করা প্রয়োজন হয় না আপনারা একটু ওয়েবসাইট ব্লক বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকলে যথেষ্ট। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সেটআপ করে করার পরে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আয় করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট একটি প্যাসিভ আয়ের উৎস হতে পারে যেখানে আপনি নিয়মিত কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিষেবা প্রচার করতে পারবেন এবং আপনার পছন্দ মতো পণ্য বেঁচে নিতেও পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি আপনার নিজের সময় এবং স্থান অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ঝুঁকিও অনেক কম থাকে কারণ এখানে আপনার নিজের পণ্য তৈরি করতে হয় না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং, SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। তাই বলা যাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার কয়েকটি জনপ্রিয় উপায়  রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং ব্যবস্থা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে অনলাইন আয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমনঃ facebook, instagram ইত্যাদি আপনি বিভিন্ন উপায়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। তা বিভিন্ন প্লাটফর্মে তা বিক্রি করে আয় কত পারবেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে স্মাট কার্ড ডাউনলোড 

যেমনঃ আপনি ই-বুক অনলাইন কোর্স বা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে তা বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য দক্ষ হন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা করার মাধ্যমে অনেক ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে কনটেন্ট তৈরি করে পাবলিশ করা এবং তাদের প্রোফাইল গুলো সুন্দরভাবে দেখাশোনা করা ম্যানেজমেন্ট করা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে প্রকাশ করতে হবে এবং সেখানে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন ডিজিটাল মার্কেটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ এফিলিয়েট মার্কেটিং।  অনলাইনে কর্মদক্ষতা পরিচালিত হয়ে থাকে প্রচার করে তাদের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ এটি অনলাইনের মাধ্যমে কোন সেবা প্রচার জন্য ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে থাকে। এটি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশেষ ক্ষেত্র যেখানে নির্দিষ্ট লিঙ্ক ব্যবহার করে তাদের প্রোডাক্টের প্রচার করে এবং প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন অর্জন করে থাকে।

অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এটি অনলাইনের মাধ্যমেই পরিচালিত এটি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশেষ কেন্দ্র যেখানে ব্যবহার করে তাদের প্রচারের কাজ সম্পাদন করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তাই বলা যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি ডিজিটাল মার্কেটিং। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগবে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে একটি ব্যক্তি শেখার ক্ষমতা তার শেখার মনোযোগ এবং অনুশীলনের ওপর। সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে একটি প্রাথমিক ধারণা পেতে বা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর লাগতে পারে একজন দক্ষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার জন্য। কিছু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগবে কিছু মানুষ দ্রুত শিখতে পারে আবার কিছু মানুষ বেশি সময় নিয়ে শিখে থাকে। মার্কেটিং শেখার জন্য সময় এবং মনোযোগ দেওয়া দুটোই দরকারি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর থিউরি জানার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজ করা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা অনেক অংশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি দ্রুত আয় করতে চান তা আপনার শেখার উপর নির্ভর করা সময়সীমা নির্ধারণ হতে পারে। প্রাথমিক ধারণা পেতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা পণ্য নির্বাচন করা কন্টেন তৈরি করা এবং মার্কেটিং কৌশল তৈরি করা শিখতে আরো বেশি সময় লাগতে পারে তাই নির্ধারিত সময় বলা যায় না কিন্তু ভালোভাবে দক্ষ ও মনোযোগ সহকারে শিখতে গেলে অবশ্যই ছয় মাস থেকে এক বছরের মত সময় লাগতে পারে।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। বর্তমানে স্মার্টফোন বা ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । মোবাইল ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফম। যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলো শেয়ার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।  মোবাইল ফোন দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব।

মোবাইল-দিয়ে-অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-webp

কেননা, বিশ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেশি এবং সোশ্যাল মিডিয়া অধিকাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। মোবাইল ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন। মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়াট লিঙ্ক যুক্ত করে মার্কেটিং করে থাকে। মোবাইল ফোন দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো আয় করা সম্ভব। যদি আপনি সঠিক কৌশল অবলম্বন করে এবং কঠোর পরিশ্রম করে মোবাইল ফোন দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। তবে আপনি লাভবান হবেন ইনশাল্লাহ।

উপসংহার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট কিভাবে তৈরি করবেন সে সম্পর্কে জানলাম। তবে মনে রাখবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সকলের জন্য উপযুক্ত নয় কারণ ধৈর্য,  পরিশ্রম ও অনলাইনে নিয়মিত উপস্থিতি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য মূল চাবিকাঠি। ধৈর্য ও অনলাইনে নিয়মিত কাজ না করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব না এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগার সাইট উপরে নিয়ম অনুযায়ী তৈরি করতে হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। 250535 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url