বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
জাতীয় পরিচয়পত্র যেভাবে সংশোধন করবেন
এখানে একটা জিনিস ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার যদি পূর্বের কোন
পাসপোর্ট থাকে তাহলে যেই পাসপোর্টটি আছে যদি MRP পাসপোর্ট হয় তাহলে এক
নাম্বার যদি ই পাসপোর্ট থাকে তাহলে দুই নাম্বার এবং যদি একদম নতুন হয় মানে আগের
কোন পাসপোর্ট নেই তাহলে তিন নাম্বার সিলেট করতে হবে। তবে এক নাম্বার অথবা
দুই নাম্বার হলে সেখানে ইনফরমেশন দিতে হবে আগের পাসপোর্ট এর এরপর নিচে আইডি
কার্ডের নাম্বার দিয়ে Save and continue করুন ।
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জানা
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকাল পাসপোর্ট আবেদন করতে আর লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না। এখন
সবকিছু ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়। তবে কোন তথ্য কোথায় দিতে হবে।
অথবা এই তথ্যটা দেওয়া ঠিক হবে কিনা। এসব নিয়ে সম্পূর্ণ ভালো ধারণা না থাকলে
অনেকে কনফিউজ হন। পুরো প্রসেসটি অনেক কঠিন মনে হয়। আমাদের আজকের এই
আর্টিকেলে সম্পূর্ণ বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে আপনি নিজে নিজেই খুব সহজেই অনলাইন
পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
- বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
- নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন
- ১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কী?
- বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য কীভাবে যুক্ত করবে
- আবেদন সাবমিট করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
- পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পূরণ করবেন
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জানাটা
অত্যন্ত জরুরী কারণ বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন করা যায় আগে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাসপোর্ট অফিসে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হতো কিন্তু এখন ঘরে
বসেই অনলাইনে মাধ্যমে করা সম্ভব। ঘরে বসে পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের
নিয়ম নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলোঃ
ধাপ ১ঃ প্রথমে epassport.gov.bd-এ আপনার একাউন্ট লগইন করুন। লগইন করার পর
ড্যাশবোর্ডে Apply for a new e-Passport বাটন দেখাবে।এই বাটন ক্লিক করলেই
নতুন পাসপোর্ট আবেদন ফরম শুরু হবে। এই প্রসেসটি ঠিকঠাক ভাবে করতে করার জন্য
খেয়াল রাখতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের তথ্য
অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
ধাপ ২ঃ নতুন পৃষ্ঠায় প্রথমে পাসপোর্টের ধরণ নির্বাচন করতে হবে। এখানের সাধারণ
ব্যক্তিদের জন্য Ordinary Passport নির্বাচন করাতে হয় এবং সরকারি কর্মচারীদের
ক্ষেত্রে Official Passport করা হয়। এখানে যেটা প্রয়োজন নির্বাচন করার
পর Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩ঃ এরপর personal information ফর্মে প্রথমে I apply for myself অপশনে
টিক মার্ক দিন। এটি করলে আপনার নাম ও রেজিস্ট্রেশন তথ্য নিজে হিসেবে সেভ হয়ে
আসবে। এরপর বাকি তথ্য ভালোভাবে পূরণ করুন: পূর্ণ নাম, জেন্ডার, পেশা যেমন
চাকরিজীবী, ধর্ম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান ইত্যাদি। এই সমস্ত তথ্য অবশ্যই
জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী সঠিকভাবে দিতে হবে। সব তথ্য
পূরণ হয়ে গেলে Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর address ফর্মের এখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা জেলা, থানা, ডাকঘর, পোস্টাল
কোড, গ্রাম/রাস্তা ইত্যাদি এসব ঠিকানা ভালোভাবে মিলিয়ে দিতে হবে। কেউ বিদেশে
থাকলে বিদেশের ঠিকানা দিতে হবে। যদি আপনার আগের অ্যাড্রেস আর এখনকার এড্রেস
একই না হয় সে ক্ষেত্রে ভালোভাবে দিবেন কারণ আপনার বর্তমান অ্যাড্রেসে পুলিশ
ভেরিফিকেশন এর জন্য আসতে পারে। সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার পরে Save and
continue করুন। এরপর আমাদের নিয়ে আসবে পরের অংশ আইডি ডকুমেন্টে।
ধাপ ৪ঃ এরপর পরবর্তী অংশে আপনার পিতা মাতার তথ্য দিন। এখানে পিতার এবং
মাতার পূর্ণ নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং পেশার নাম দিতে হবে।
এখানে প্রথমে পিতার ইনফরমেশন দিতে হবে তারপর নিচে মায়ের। ১৮ বছরের নিচের শিশুদের
ক্ষেত্রে অবশ্যই বাবা-মায়ের NID নম্বর দিতে হবে। সব তথ্য ঠিকঠাক হয়ে গেলে
Save and continue করুন।
তারপর বৈবাহিক অবস্থা নির্বাচন করুন। এখানে অবিবাহিত হলে Single সিলেক্ট করুন,
বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর নাম, তার NID ও পেশার তথ্য দিন। সবকিছু ঠিকঠাক
ভাবে দেওয়া হলে Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর Emergency contact অর্থাৎ জরুরী যোগাযোগ ফরম পূরণ করতে হবে
এখানে একজন পরিচিত লোকের লোকের তথ্য দিতে হবে একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির।
এবং তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক কি তাও দিতে হবে যেমন বড় ভাই। এই তথ্য পুলিশ
যাচাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করা হলে Save and
continue বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫ঃ এরপর Passport Options এ নিয়ে আসবে এখানে পছন্দ অনুযায়ী পাতার সংখ্যা ও
মেয়াদ নির্ধারণ করুন। মেয়াদ হিসেবে ৫ বা ১০ বছর বেছে নেওয়া যায় ১০ বছর মেয়াদ হলে
ফি বেশি হয়। এখানে পাসপোর্ট সিলেট করার পর Save and continue বাটনে ক্লিক
করুন।
তাহলে ডেলিভারি অপশনে আসবে এবং এখানে Regular বা Express নির্বাচন করুন:
Regular হলে আনুমানিক ২১ দিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায় এবং Express হলে ১৫ দিনে
পাসপোর্ট পাওয়া যায়। তবে Express হলে ফি বেশি হয়। এখানে নির্বাচন করার পর Save
and continue করুন। তাহলে দেখবেন আপনার দেওয়া সকল তথ্য প্রতিটা ফর্মে আলাদা
আলাদা হয়ে আছে এখান থেকে আপনি কিছু চেঞ্জ করতে চাইলে এডিট অপশনে ক্লিক করে
পরিবর্তন করতে পারেন। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের
নিয়ম সম্পূর্ণ ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছি।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সম্পর্কে।
নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নতুন পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে কিছু দরকারি কাগজপত্র আগে থেকেই
গুছিয়ে রাখতে হয়। প্রথমেই যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো জাতীয় পরিচয়পত্র
বা জন্মনিবন্ধন। যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই নিজের NID লাগবে।
আর যদি বয়স কম হয়, তাহলে ইংরেজি নতুন ভার্সনের জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। এবং যদি
শিশু হয় তাহলে শিশুদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার NID নম্বরও দিতে হবে। কারণ
তাদের পরিচয়পত্র না থাকায় অভিভাবকের তথ্যই মূল তথ্য হিসেবে ধরা হয়।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে AI ফটো এডিট
অনলাইনে আবেদন করার সময় ওয়েবসাইট থেকে একটা ফর্ম পূরণ করতে হয়। সেই ফর্ম পূরণ
শেষে আপনি একটা Application Summary আর Registration Form পাবেন যেগুলো প্রিন্ট
করে জমা দিতে হয়। এই ফর্মে দেওয়া তথ্য যেন আপনার NID বা জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে
মিলে যায়, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ না হলে পরে অফিসে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারেন।
তাছাড়া আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে অফিসের আইডি কার্ড লাগতে পারে। ছাত্র
হলে ছাত্রত্বের প্রমাণ দিতে হয় যেমন স্কুল বা কলেজের আইডি কার্ড বা
সার্টিফিকেট। তবে আপনি যদি গৃহিণী হন, শিশু হন বা কোনো চাকরি না করেন, তাহলে
এসব আলাদা কাগজপত্র লাগবে না।বিবাহিত হলে স্বামী বা স্ত্রীর নাম ফর্মে দিতে হয়।
প্রয়োজনে ম্যারিড সার্টিফিকেট দিতে হতে পারে।
আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন
নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ঠিকভাবে দেওয়া
খুবই জরুরি। কারণ দেখা যায় অনেক সময় ছোট একটা ভুল যেমন নামের বানান বা
জন্মতারিখে উল্টাপাল্টা এইগুলো পরে বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। তাই ফরম পূরণের
সময় একদম মনোযোগ দিয়ে, ধীরে-সুস্থে সব তথ্য লিখতে হবে।
প্রথমে নাম লেখার ব্যাপারটা বলি নিজের নাম লিখবেন ঠিক যেমনটা জাতীয় পরিচয়পত্র
বা জন্মনিবন্ধনে আছে। কোনো অক্ষর কম বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। পিতামাতার
নামও সঠিকভাবে লিখতে হবে যেমনটা পরিচয়পত্রে আছে। জন্মতারিখ আর জন্মস্থান লিখে
মিলিয়ে দেখবেন যেন সেটা জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।এবং জাতীয়
পরিচয়পত্রের নম্বর খুব সাবধানে লিখবেন। একটা সংখ্যা ভুল হলে পুরো আবেদন বাতিল
হয়ে যেতে পারে। ঠিকানা দেওয়ার সময় বর্তমান আর স্থায়ী দুটোই লিখবেন আর অবশ্যই
খেয়াল রাখবেন সেটা যেন আপনার NID বা অন্য কাগজের সঙ্গে মিলে যায়।
ফোন নম্বর আর ইমেইল ঠিকানা দিলে ভালো হয় কারণ পাসপোর্ট অফিস থেকে অনেক সময়
এসএমএস বা ইমেইলে তথ্য পাঠায়। সব তথ্য দেওয়ার পরে ফরমে স্বাক্ষর করবেন,
কিন্তু তার আগে একবার ভালোভাবে দেখে নেবেন নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, NID নম্বর
ঠিক আছে কি না। এই ছোট ছোট দিক গুলো খেয়াল রাখলে পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটা সহজ
হয়ে যায়। পরে আর কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় না ।
১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কী?
১৮ বছরের নিচের শিশুর জন্য পাসপোর্ট করার নিয়ম একটু আলাদা। এই বয়সী শিশুর
ক্ষেত্রে পিতামাতা বা অভিভাবকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। আবেদন করার সময় ফরমে শিশুর
সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে যেমন নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, ঠিকানা ইত্যাদি।
সাথে অবশ্যই পিতামাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া পিতামাতার
স্বাক্ষরযুক্ত অনুমতিপত্রও দিতে হবে যাতে প্রমাণ হয় যে শিশুর পাসপোর্ট নেওয়ার
বিষয়ে তারা সম্মত। এছাড়াও শিশুর জন্মনিবন্ধন কার্ড অবশ্যই জমা দিতে হবে
কারণ এটি বয়স ও পরিচয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। সব কাগজপত্র যাচাই করার পরই
আবেদনটি গ্রহণ করা হয়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে শিশুর জন্য নতুন পাসপোর্ট পাওয়া
সহজ হয়।
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য পাসপোর্ট করার সময় কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন
হয়। প্রথমেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ও জন্মনিবন্ধন সনদের কপি অবশ্যই সঙ্গে
নিতে হবে। এছাড়া বিবাহিত হলে বিবাহ সনদ জমা দিতে হবে, যা প্রমাণ করে যে আপনি
বৈধভাবে বিবাহিত। যদি আগে কোনো পাসপোর্ট থাকে তাহলে তার কপি ও মূল কাগজপত্রও
সঙ্গে রাখতে হবে। বিশেষ করে বিদেশ যাত্রার জন্য অথবা নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে
অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার সময় সব কাগজপত্র ঠিকমতো থাকা জরুরি। এছাড়া ঠিকানা
প্রমাণের জন্য বিদ্যুৎ-বিল, গ্যাস বিল বা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি সঙ্গে রাখতে
পারেন। এই সব কাগজপত্র সঙ্গে রাখলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং নতুন পাসপোর্ট
দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়।
ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
পাসপোর্টের ফরমে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভুল তথ্য
থাকলে পরে পাসপোর্ট নেওয়া বা যাচাই করতে সমস্যা হতে পারে। ঠিকানা পূরণের সময়
প্রথমেই লক্ষ্য ভালোভাবে রাখুন। আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা আলাদা
করে দিন। স্থায়ী ঠিকানা হলো আপনার স্থায়ী বাসস্থানের ঠিকানা আর বর্তমান ঠিকানা
হলো যেখানে বর্তমানে বসবাস করছেন।
আরো পড়ুনঃ বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন
যদি বিদ্যুৎ, গ্যাস বা ব্যাংক বিলের ঠিকানা ফরমে দেওয়া ঠিকানার সঙ্গে মিলে।
তাহলে অফিসে যাচাই করা অনেক সহজ হয়। ঠিকানায় বাড়ি নাম্বার, রাস্তা, ওয়ার্ড বা
মহল্লা, শহর এবং জেলা সব ভালোভাবে লিখুন। বিদেশে থাকলে সেখানে থাকা দেশের ঠিকানা
এবং বৈধ ভিসার তথ্যও সঠিকভাবে দিতে হবে। সবশেষে ফরম জমা দেওয়ার আগে একবার
ভালোভাবে দেখে নিন যে কোন তথ্য ভুল হয়েছে কিনা দেখার জন্য। ঠিকভাবে ঠিকানা
দেওয়া থাকলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত এবং ঝামেলামুক্ত হয়।
পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য কীভাবে যুক্ত করবে
যদি আপনার আগে কোনো পাসপোর্ট থাকে, তবে নতুন পাসপোর্টের আবেদন ফরমে সেই তথ্য
সঠিকভাবে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে পুরনো পাসপোর্টের নম্বর, ইস্যু
তারিখ এবং শেষ মেয়াদ ঠিকভাবে লিখুন। এটি নিশ্চিত করে যে নতুন পাসপোর্ট আবেদনটি
স্বচ্ছ এবং পূর্ববর্তী রেকর্ডের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি হচ্ছে। পুরনো পাসপোর্টের
মূল কপি ও ফটোকপি সঙ্গে নিতে হবে। অনেক সময় অফিসে জমা দেওয়ার সময় বা যাচাই
প্রক্রিয়ায় এগুলো দরকার হয়। যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় বা মেয়াদ উত্তীর্ণ
হয়ে যায়, তবুও ফরমে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। সব তথ্য
ঠিকভাবে দেওয়া থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয় এবং নতুন পাসপোর্ট পাওয়া
দ্রুত সম্ভব হয়।
আবেদন সাবমিট করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার আগে কিছু বিষয় ভালোভাবে যাচাই করা খুব জরুরি।
প্রথমেই আপনার দেওয়া সব ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, জন্মতারিখ, পিতামাতার নাম এবং
ঠিকানা সঠিকভাবে লিখেছেন কি না তা মিলিয়ে দেখুন। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর,
জন্মনিবন্ধন সনদ বা অন্যান্য প্রমাণপত্রের সঙ্গে তথ্যগুলো হুবহু মিলে কিনা
নিশ্চিত করতে হবে।
ফি জমা দেওয়ার রশিদ, আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ছবি সব
কিছু একসাথে গুছিয়ে রাখুন। যদি আগে কোনো পাসপোর্ট থাকে তবে তার কপিও ঠিকভাবে
সংযুক্ত আছে কিনা দেখুন। আবেদন ফরমে স্বাক্ষর করার আগে একবার শেষবারের মতো চোখ
বুলিয়ে নিন যেন কোনো বানান ভুল বা তথ্য বাদ না থাকে। এই ছোট ছোট খুঁটিনাটি
বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আবেদন জমা দেওয়ার সময় কোনো ঝামেলা হবে না এবং পাসপোর্ট
প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন হবে।
পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পূরণ করবেন
পাসপোর্ট আবেদন ফরমে পেশা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত অংশটি অনেকেই গুরুত্ব
দেন না, কিন্তু এটি সঠিকভাবে পূরণ করা খুব দরকার। এখানে নিজের বর্তমান পেশার
নাম পরিষ্কারভাবে লিখতে হবে। আপনি যদি ছাত্র হন তবে “ছাত্র” বা “ছাত্রী” লিখুন,
চাকরিজীবী হলে কাজের ধরণ যেমন শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, ডাক্তার বা ব্যবসায়ী
ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
কোনো নির্দিষ্ট লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা থাকলে যেমন ডাক্তার বা
আইনজীবীর ক্ষেত্রে সেই তথ্যও সঠিকভাবে যোগ করুন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অংশে
সর্বোচ্চ কোন পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তা লিখতে হবে, যেমন এসএসসি,
এইচএসসি বা তার বেশি। এখানে বাড়িয়ে বা কমিয়ে কিছু লেখা যাবে না, কারণ পরে
যাচাইয়ের সময় ভুল ধরা পড়লে সমস্যা হতে পারে। সহজভাবে নিজের আসল তথ্য দিলে আবেদন
প্রক্রিয়া দ্রুত এবং ঝামেলামুক্ত হয়
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম খুব একটা জটিল
নয়। তবে মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। প্রতিটি ধাপে সঠিক তথ্য দেওয়া সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরে কোনো ভুল
হলে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় সব
কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ, পুরনো পাসপোর্ট (যদি থাকে),
বিবাহ সনদ বা প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র গুছিয়ে নিন।
তারপর ধাপে ধাপে অনলাইন ফরম পূরণ করুন এবং শেষে সাবমিট করার আগে একবার ভালোভাবে
মিলিয়ে নিন সব তথ্য সঠিক আছে কিনা। ফি জমা দেওয়ার রশিদ ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট
স্লিপ অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। নিয়ম মেনে ফরম পূরণ করলে পাসপোর্ট আবেদন
প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আপনার হাতে নতুন পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে।
250464
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url