OrdinaryITPostAd

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় যা সরাসরি সরকারি ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে এটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি ছুটি  স্বীকৃত হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। 
বড়দিন-উপলক্ষে-বাংলাদেশে-সরকারি ছুটি-২০২৫


আমার এই লেখায় আপনারা জানতে পারবেন ২০২৫ সালের বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি কবে হবে, অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কেমন থাকবে এবং সরকারি ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী এ দিনটিতে ছুটির নিয়ম কীভাবে প্রযোজ্য হবে। তাহলে চলেন শুরু করি।

পেজ সূচিপত্রঃবড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ছুটিগুলোর একটি। বাংলাদেশে প্রচলিত সরকারি ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশে এ দিনটি শান্তি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পালিত হয়।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০২৫ সালেও ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তারিখে বড়দিন উপলক্ষে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি দপ্তর বন্ধ থাকবে। এ ছুটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সমগ্র জাতির মাঝে সহনশীলতা ও বন্ধুত্বের বার্তা বয়ে আনে।

বাংলাদেশে বড়দিনের ইতিহাস

খ্রিস্টান ধর্মের বিস্তার ঘটে ১৬শ শতকে পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও মিশনারিদের মাধ্যমে যারা বাণিজ্য ও ধর্ম প্রচারকে একসঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। এরপর ক্রমান্বয়ে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠে গির্জা ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বসতি। সেই সময় থেকেই বড়দিন বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হতে থাকে। বড়দিন বাংলাদেশে শুধুমাত্র খ্রিস্টানদের মধ্যেই না জাতীয় ছুটি হিসেবেও পালন করা হয়।
বিশেষ করে ঢাকার সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল, নারায়ণগঞ্জের পুরোনো চার্চ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর মিশনারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী উদযাপন চলে আসছে শত শত বছর ধরে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারও বড়দিনকে একটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করে যা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক।

বাংলাদেশে বড়দিনের গুরুত্ব

বড়দিন যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে এটি ত্যাগ, ভালোবাসা ও মানবতার মহোৎসব। গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, ক্যারল, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে এই দিন উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মানুষও বড়দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আনন্দ ভাগ করে। বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় খ্রিস্টমাস মেলা, কেক কাটার অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বড়দিন-উপলক্ষে-বাংলাদেশে-সরকারি ছুটি-২০২৫


বড়দিন এখন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব না বরং এটি সার্বজনীন আনন্দের অংশ। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে শপিং মল, হোটেল ও জনবহুল স্থানে আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তা ক্লজ সাজানো হয়। এটি বহুত্ববাদী সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সরকার বড়দিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। এটি ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতীক।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য বড়দিনের তাৎপর্য

Christmas বা বড় দিন খ্রিষ্টানদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের উৎসব। এদিন তাঁরা বিশ্বাস করেন যে যিশু খ্রিষ্ট পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দিতে এবং ভালোবাসা, ক্ষমা ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে। তাই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কাছে বড়দিন শুধু একটি উৎসব না এটি বিশ্বাস, ধর্মীয় ভক্তি ও আত্মার মুক্তির প্রতীক।
খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন যিশুর জন্মের মাধ্যমেই মানবজাতি আশা ও মুক্তির আলো পেয়েছিল। বড়দিন মানুষকে শেখায় অন্যকে ক্ষমা করতে, দুঃখী-অসহায়কে সাহায্য করতে এবং একে অপরের সাথে ভালোবাসা ভাগাভাগি করতে। এদিন খ্রিষ্টানরা গির্জায় প্রার্থনা করে, সঙ্গীত গায়, আনন্দ-ভোজে অংশ নেয়। এতে পরিবার ও সমাজে সৌহার্দ্য বাড়ে।

বড়দিন তাদের মনে করিয়ে দেয় যে ঈশ্বর মানুষের প্রতি কতটা দয়ালু ও স্নেহশীল।বাইবেল লূক রচিত সুসমাচার ২:১০-১১ তে লেখা আছে "আজ তোমাদের জন্য দাউদের নগরে এক ত্রাণকর্তার জন্ম হয়েছে, যিনি হলেন খ্রিষ্ট প্রভু।" এটিই বড়দিনের মূল ভিত্তি। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ এ ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিন হিসেবে বড়দিন পালন করা হয়।

বড়দিন উপলক্ষে অফিস-আদালত খোলা না বন্ধ থাকবে

বাংলাদেশে বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে একটি সরকারি ছুটি। তাই এদিন দেশে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এটি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত সরকারি ছুটির তালিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ বড়দিন যেহেতু সার্বজনীন সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষিত তাই এদিন মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা অফিস, আদালতসব সরকারি দপ্তরই বন্ধ থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ছুটির তালিকা তেও বড়দিনকে স্পষ্টভাবে ছুটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান সূচি

বাংলাদেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন সবচেয়ে আনন্দমুখর দিন। তাঁরা ধর্মীয় ভক্তি, সামাজিক আনন্দ আর পারিবারিক মিলনের মাধ্যমে এটি উদযাপন করেন। বড়দিনের কয়েকদিন আগে থেকেই খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তাঁদের গির্জা, ঘরবাড়ি ও আশেপাশের এলাকা সাজাতে শুরু করেন। কাগজের তৈরি তারকা, আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বাতি ইত্যাদি ব্যবহার করে।

২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়। মধ্যরাতের এই প্রার্থনাকে বলা হয় Midnight Mass। এ ছাড়া বড়দিনের সকালে গির্জায় আবার বিশেষ ধর্মীয় উপাসনা অনুষ্ঠিত হয়। গির্জা ও খ্রিষ্টান পাড়ায় বড়দিন উপলক্ষে ক্যারল গান গাওয়া হয়। অনেক স্থানে শিশু-কিশোররা সান্তা ক্লজ সেজে গান ও নাটিকা পরিবেশন করে।
বড়দিনের সকালে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সাথে দেখা করে সবাইকে "শুভ বড়দিন" বলে শুভেচ্ছা জানায় এবং উপহার বিনিময় করে। বড়দিন মানেই বিশেষ খাবারের আয়োজন। গির্জায় ও বাড়িতে প্রীতি ভোজ হয়। সাধারণত মুরগির কারি, ভাত, পিঠা, পায়েস এবং বিশেষ কেক পরিবেশন করা হয়। অনেক খ্রিষ্টান পরিবার ও চার্চ গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাবার, কাপড় ও উপহার বিতরণ করে থাকে।

বড়দিনে হাসপাতালে ও জরুরি সেবায় ছুটি প্রযোজ্য কি না

Directorate General of Health Services কর্তৃক দেওয়া নির্দেশনার মতোই বড়দিন বা অন্য সরকারি ছুটির দিনেও জরুরি বিভাগ, labour room, emergency OT এবং পরীক্ষাগার সর্বক্ষণ খোলা থাকা বাধ্যতামূলক। এগুলি অবশ্যই ডিউটি কর্মীসহ চালু রাখতে হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের ধর্মীয় ছুটি হলেও দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে যাতে জরুরী সেবা অব্যাহত থাকে।
বড়দিন-উপলক্ষে-বাংলাদেশে-সরকারি ছুটি-২০২৫


বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ম অনুসারে Outpatient বন্ধ থাকলেও emergency services সারা ছুটিতেও চলমান থাকে যাতে লোকজন সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সময়েই চিকিৎসা পেতে পারে। এমনকি ঢাকার বড় হাসপাতালগুলোতে যেমন DMCH, NITOR ইত্যাদি রোগীদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে পর্যাপ্ত কর্মী ও সরঞ্জাম সমন্বয় করে ডিউটি আয়োজন করা হয়ে থাকে।

বড়দিন ২০২৫ ছুটি নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সেরা জায়গা

২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বড়দিনের ছুটি দেশজুড়ে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সুযোগে আপনি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে পারেন। বড়দিনের সময় বাংলাদেশে আবহাওয়া শীতল ও মনোরম থাকে যা ভ্রমণের জন্য একদম উপযুক্ত। ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বড়দিনের দিন বৃহস্পতিবার পড়ছে। 

সরকারি ছুটি থাকার কারণে আপনি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার-শনিবার সঙ্গে মিলিয়ে দীর্ঘ ৪ দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারেন। বড়দিনের ছুটিতে পর্যটক সংখ্যা বেশি হয় তাই হোটেল এবং পরিবহন আগে থেকে বুক করা উচিত। পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে শীতের এই সময়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়া সত্যিই আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। 

বড়দিনের এই বিশেষ ছুটিকে কেন্দ্র করে অনেকেই ঘুরতে চান, তাই আগে থেকেই সঠিক গন্তব্য নির্বাচন ও প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেই, বড়দিন ২০২৫ এর ছুটি নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনার সেরা কিছু জায়গা। আপনি চাইলে নিচের জায়গাগুলো বেছে নিতে পারেন। 

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য কক্সবাজার। ডিসেম্বরের শীতকালে এখানে ভিড় কিছুটা বেশি হলেও সাগরের ঢেউ, সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং নানা রকম সি-ফুডের স্বাদ নিতে ভ্রমণকারীরা এখানে আসতেই পছন্দ করেন। বড়দিনের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার যাওয়া একটি দারুণ পরিকল্পনা হতে পারে। সেখান থেকে চাইলে ইনানী বা হিমছড়ি ঘুরে আসতে পারেন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপঃ যারা সমুদ্র ভালোবাসেন তাদের জন্য বড়দিনের ছুটি কাটানোর অন্যতম সেরা জায়গার একটি হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ। নীল সমুদ্র আর নারকেল বাগানঘেরা এই দ্বীপে শীতকালে ভ্রমণকারীদের ভিড় বেড়ে যায়। ডিসেম্বরের হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া দ্বীপ ভ্রমণের জন্য একদম উপযুক্ত। এখানে নৌকায় ভ্রমণ, স্কুটার রাইড বা সৈকতে বসে তারাভরা আকাশ দেখার অভিজ্ঞতা আপনার বড়দিনের ছুটি স্মরণীয় করে তুলতে পারে।

বান্দরবানঃ প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণকারীদের জন্য বান্দরবান সবসময়ই বিশেষ। বড়দিনের ছুটিতে এখানে গেলে পাহাড়ি ঝরনা, সবুজ বন, নীল আকাশ আর আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। নাফাখুম ঝরনা, নীলগিরি, নীলাচল ও রুমা বাজার থেকে কেওক্রাডং ট্রেক করার অভিজ্ঞতা হতে পারে দারুণ এক স্মৃতি। শীতের সকালে কুয়াশার চাদরে মোড়া পাহাড় আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলঃ চা গাছের বিস্তীর্ণ বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত কিংবা জাফলং এর সৌন্দর্য বড়দিনের ছুটিকে আরও রঙিন করে তুলতে পারে। সিলেট ও শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে গেলে আপনি একদিকে প্রকৃতির শান্ত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন অন্যদিকে চায়ের বাগানে হেঁটে বেড়ানো কিংবা পাহাড়ি ঝরনার পাশে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। যারা শান্তিপূর্ণ ছুটি কাটাতে চান তাদের জন্য এটা হতে পারে আদর্শ এলাকা।

সুন্দরবন ভ্রমণঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন শীতকালে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। বড়দিনের ছুটি কাজে লাগিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে গেলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পদচিহ্ন, নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও নদীবেষ্টিত বনভূমি কাছ থেকে দেখা যায়। বোটে চড়ে নদীপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পরিবার নিয়ে দারুণ আনন্দদায়ক হতে পারে।

সাজেক ভ্যালিঃ বর্তমান সময়ে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। শীতকালে এখানকার আবহাওয়া, ভোরবেলার কুয়াশা আর পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের সমুদ্র ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে। বড়দিনের ছুটিতে সাজেক ভ্রমণ করলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। যারা পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালোবাসেন, তাদের জন্য সাজেক ভ্রমণ হবে চমৎকার এক অভিজ্ঞতা।

লেখকের মন্তব্যঃ বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ২০২৫ সরকারি ছুটি ঘোষিত। এদিন সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ধর্মীয় প্রার্থনা, ক্যারল গান, প্রীতি ভোজ এবং সামাজিক মিলনের মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করবে। ছোটখাটো পরিকল্পনা মাধ্যমে বড়দিনের এই ছুটিকে স্মরণীয় ও আনন্দময় করে তোলা সম্ভব।

ছুটি উপলক্ষে যারা ভ্রমণ বা পারিবারিক সময় কাটাতে চান তারা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সাথে মিলিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন। এই সময়ে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র যেমন কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সিলেট, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি সফরের জন্য খুবই উপযুক্ত। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ। 250737

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url