OrdinaryITPostAd

মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে - মধু পূর্ণিমা পালন করার কারণ

মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বের মানুষ এই প্রশ্নটি করে থাকে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যে সকল আচার অনুষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মধু পূর্ণিমা। সাধারণত তাই তারা মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? এই প্রশ্নটি করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলে মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঝটপট মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে

মধু পূর্ণিমা কাকে বলে

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ বসবাস করে। মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে মধু পূর্ণিমা কাকে বলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ নতুন প্রজন্মের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা অনেকেই মধু পূর্ণিমা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। তাই চলুন প্রথমে মধু পূর্ণিমা কাকে বলে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ - প্রবারণা পূর্ণিমার ইতিহাস

প্রতিটি ধর্মের মানুষদের বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। ঠিক তেমন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদেরও বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসব রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মধু পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ দিন এটি। মধু পূর্ণিমা ভাদ্র মাসের তিথিতে পালন করা হয়। ভগবান বুদ্ধ যখন বনে অবস্থান করছিলেন তখন বনের একটি বানর মৌচাক সহ মধু এনে দিয়েছিল।

সাধারণত বানরটি প্রতিদিন দেখতে একটি হাতে ভগবান বৌদ্ধের সেবা যত্নে লিপ্ত থাকে। তার কাছে অনুপ্রাণিত হয়ে বানরটি একদিন ভগবান বদ্ধ কে মৌচাক সহ মধু এনে দেয়। কিন্তু সেই মৌচাক এর মধ্যে অনেক মৌমাছি থাকার কারণে ভগবান বুদ্ধর সেটি গ্রহণ করতে চাই না। পরে বানর সবগুলো মৌমাছিকে পরিষ্কার করে দেওয়ার পরে ভগবান বুদ্ধ সেটি গ্রহণ করে।

মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে

প্রতি বছর মধু পূর্ণিমার তিথি একদিনে হয় না। সাধারণত এটির দিন এবং তারিখ পরিবর্তন হয়ে থাকে তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ বৌদ্ধ ধর্মের যে সকল বড় ধর্মীয় উৎসব রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মধু পূর্ণিমা। মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রতি বছর বাংলাদেশের যে সকল বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ রয়েছে তারা এই দিনটি অনেক গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে। সাধারণত এই দিনে বৌদ্ধ ধর্মের সৃষ্টিকর্তা ভগবান বুদ্ধ কে পূজা করা হয়। বাংলাদেশের বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বের মানুষ বসবাস করে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই ধর্মীয় উৎসবের জন্য বাংলাদেশের ছুটির তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই বছর বোধপুর পূর্ণিমা ২৮ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার পালন করা হবে। আপনি যদি একজন বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই দিনটি আপনি অনেক গুরুত্বের সাথে পালন করবেন। আশা করি মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

মধু পূর্ণিমা কত তারিখ

প্রতি বছর বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মধু পূর্ণিমা পালন করা হয়। কারণ ভাদ্র মাসেই ভগবান বুদ্ধ বনে গিয়েছিলেন এবং একটি বানর ভগবান বুদ্ধকে মৌচাক সহ মধু দিয়েছিলেন। সেই কথা মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্যই প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কবে - মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কি সরকারি ছুটি

প্রতি বছরের ন্যায় এই বছর ও মধু পূর্ণিমা পালন করা হবে। তাই আগে থেকে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে মধু পূর্ণিমা কত তারিখে হবে? ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মধু পূর্ণিমা এই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে পালন করা হবে। দিনটি বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪৩০ সালের ভাদ্র মাসের ১৩ তারিখে মধু পূর্ণিমা পালন করা হবে।

মধু পূর্ণিমা পালন করার কারণ

আমরা ইতিমধ্যেই মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। সাধারণত এই দিনে প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষ বানরের সেই ত্যাগ এবং মানব সেবার প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে এই দিনটি পালন করে থাকেন। এক সময় ভগবান বুদ্ধ দশম বর্ষাব্রত পারিলেয়্য রক্ষিত বনে অধিষ্ঠান করেছিলেন। কৌশাম্বীর ঘোষিতা রামের দুই জন পণ্ডিত দের মধ্যে ক্ষুদ্র একটি বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের তৈরি হয়।

এরপরে তারা দুজনে বিভক্ত হয়ে পড়লে ভগবান বুদ্ধ একাই বসবাসের জন্য পারিলেয়্য বনে বর্ষাবাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ওই দিন ভগবান বুদ্ধ বুঝতে পেরেছিলেন যে, অজ্ঞানীদের সঙ্গে বসবাস করা কখনোই ভালো কাজ নয় এছাড়া বংশমর্যাদা মানুষকে খুবই নিচে নিয়ে যায়। বুদ্ধ পারিলেয়্য বনে ভদ্রশাল বৃক্ষমূলে রক্ষিত বনে বসবাস করার সময় একটি দলছিন্ন হাতে ভগবান বুদ্ধের সেবা করতে থাকে।

সেই হাতিটি ছিল ভগবান বুদ্ধের অনেক বড় ভক্ত। হাতি টি প্রতিদিন শুঁড়ে বহন করে ভগবান বুদ্ধকে পানি এনে দিতেন। ভগবান বুদ্ধের বুদ্ধের যে সকল প্রয়োজনীয় জিনিস লাগতো সেগুলো এনে দিত এবং সেবা-যত্ন করত। এছাড়া খাবারের মধ্যে ফলমূল এনে দিত এবং বুদ্ধ পিণ্ডপাত সংগ্রহ করে আনতেন এবং তাতে আগুন বাড়িয়ে দিত।

এছাড়া বনের যত হিংস্র প্রাণী রয়েছে সেগুলোর আক্রমণ থেকে ভগবান বুদ্ধকে রক্ষা করতেন। সবসময় ভগবান বুদ্ধকে পাহারা দিত। তার এই সেবা যত্ন দেখে বনের একটি বানর ভগবান বুদ্ধ কে সেবা করার সিদ্ধান্ত নেন। একদিন বানরটি ভগবান বুদ্ধের জন্য একটি মৌচাক সহ মধু নিয়ে আসেন। কিন্তু মৌচাকের মধ্যে অনেক বেশি মৌমাছি থাকার কারণে সেটি ভগবান বুদ্ধ গ্রহণ করেন না।

এরপরে বানরটি যখন মৌমাছি গুলোকে পরিষ্কার করে দেই তখন ভগবান বুদ্ধ সেই মৌচাক সহ মধুটিকে গ্রহণ করেন এবং পান করেন। এ বিষয়টি দেখে বানরটি অনেক খুশি হয় এবং গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে আনন্দে ঘুরে বেড়াই। হঠাৎ করে একসময় গাছের উপর থেকে বানরটি পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। ওই দানের প্রভাবে মৃত্যুর পর বানর দেবপুত্ররূপে তুষিত স্বর্গে জন্মগ্রহণ করে।

আমাদের শেষ কথাঃ মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে মধু পূর্ণিমা কাকে বলে? মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? মধু পূর্ণিমা কত তারিখ? মধু পূর্ণিমা পালন করার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কারণ বৌদ্ধ ধর্মের সাথে এ বিষয়গুলো জড়িত।

আরো পড়ুনঃ দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের ধর্মীয় আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url