OrdinaryITPostAd

রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নিন

 সামনের দাঁত উঁচু করার উপায়রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি ? এ বিষয়ে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। মূলত রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া হল এমন একটি শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়ার কারনে হয়ে থাকে। 

রক্তশূন্যতায়-ভোগার-গুরুতর-লক্ষণ-কি
আর এই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আমাদের শরীরে কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণের মাধ্যমে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, তাই এই প্রভাব প্রতিরোধ করতে রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার সমূহ জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি

রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি

রক্তশূন্যতা আমাদের জীবনের এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেই অবস্থাটি মূলত শরীরের প্রয়োজনীয় লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের অভাবে দেখা দিয়ে থাকে। আর এই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আমাদের শরীরে কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করে। অনেক সময় আমরা এটিকে সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা বা ক্লান্তি মনে করে বিষয়টি এড়িয়ে যাই, যা পরবর্তীতে আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। 

কিন্তু এমন কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের অবহেলা না করে রক্ত শূন্যতার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। রক্তশূন্যতার কয়েকটি গুরুতর লক্ষণ যেমন শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং ক্লান্তি অনুভব করা, শ্বাসকষ্ট এবং মাঝে মাঝে বুক ধরফর করা, ক্ষুধামন্দ,খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই সমস্ত লক্ষণ যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নিয়মিত ঘটে থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। 

কারণ সঠিক সময়ে রক্তশূন্যতার সঠিক চিকিৎসা না গ্রহণ করলে, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমাদের উচিত নিজের শরীরের রক্তশূন্যতার লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অবলম্বন করার জন্য শারীরিকভাবে সচেতন হওয়া। রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার কি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

রক্তশূন্যতা কি

রক্তশূন্যতা হল আমাদের শরীরের রক্তের এমন এক ধরনের রোগ, যা সাধারণত আমাদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। মূলত মানব শরীরে যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, তাহলে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছানোর ক্ষমতা হ্রাস পায়। এই সকল কারণেই আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা এবং ধীরে ধীরে এর লক্ষণসমূহ দেখা দিয়ে থাকে।
রক্তশূন্যতার লক্ষণগুলো সাধারণত অস্পষ্ট থাকে, যা খুব সহজেই নির্ধারণ করা যায় না, এবং এই লক্ষণগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমাদের করণীয় দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে সুস্থভাবে পরিচালনা করতে রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ার কারণ

আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ার মূল কারণ হলো ভিটামিন ও আয়রনের অভাব। এই ভিটামিন ও আয়রনের অভাবেই শরীরে রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কমে যায়, যা রক্তশূন্যতা হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন ধরনের শারীরিক রোগ যেমন কিডনি অথবা লিভার দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে থাকা, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়, ক্যান্সার বা যক্ষা ইত্যাদি এসকল রোগ থেকেও রক্তশূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে।বিশেষ করে বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে আয়রনের ঘাটতি। 
রক্তশূন্যতায়-ভোগার-গুরুতর-লক্ষণ-কি
এই আয়রনের ঘাটতি হওয়ার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা পরিচালনা না করা ইত্যাদি। তাই রক্তশূন্যতা এড়িয়ে চলতে আমাদের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। সর্বশেষ রক্তশূন্যতা যেহেতু রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী নিজস্ব রোগ যেমন পেপটিক আলসার, পাকস্থলীর ক্ষত এবং কৃমির সংক্রমণ এ সকল কারণেও রক্তশূন্যতা হতে পারে।

শরীরের রক্তশূন্যতার লক্ষণ সমূহ

আমাদের শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়ার কারণেই রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দিয়ে থাকে। সাধারণত হিমোগ্লোবিন শরীরের অক্সিজেন পরিবহনে কাজ করে। তাই এটি কমে গেলে শরীরের বিভিন্ন  অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না।এর ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, যে লক্ষণগুলো সাধারণত রক্তশূন্যতার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। তাই চলুন আমরা দেরি না করে জেনে নেই রক্তশূন্যতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করাঃ আমরা জানি রক্তশূন্যতা হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ হয় না, যার ফলে খুব সহজেই অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হয়। বিশেষ করে এই সময় দেখা যায় কোন স্বাভাবিক কাজ করলেও শরীর দ্রুত অবসর হয়ে পড়ে এবং সামান্য পরিশ্রমের মধ্যেও খুব সহজে হাপিয়ে যায়। এটি মূলত রক্তশূন্যতার একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ।
অনিয়মিতভাবে মাথা ব্যাথা করাঃ রক্তশূন্যতায় আমাদের মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না। যার ফলে এই সময়ে মাথা ব্যাথা জনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে এই সময়ে অনেকেই মনে করেন তারা স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারছেন না বা হঠাৎ করেই ঘুমে বিভ্রান্ত লাগছে, অথবা কোন কাজে মনোযোগী হতে পারছেন না, এটি একটি রক্তশূন্যতার লক্ষণ, তাই এই লক্ষণ যদি দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়াঃ সাধারণত রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ার কারনেই শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে মুখ, ঠোট ও হাতের তালু ইত্যাদি এই অংশগুলোতে ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যায়। অনেকেই এই সময় মনে করেন তাদের ত্বক হয়তো আগের থেকে উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু না এটি রক্তশূন্যতার লক্ষণ। এছাড়াও এই সময়ে দেখা যায় চোখের নিচের লাল মাংসপিশ গুলোও ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তাই রক্তশূন্যতায় এ ধরনের কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সচেতনতা অবলম্বন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কারণ এগুলো পরবর্তীতে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদী রক্তশূন্যতায় মানব শরীরে কোন কোন রোগ হয়

রক্তশূন্যতা সাধারণত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে দেখা দিয়ে থাকে। আর এই হিমোগ্লোবিন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা আমাদের জীবনযাত্রায় সাময়িকভাবে প্রভাব সৃষ্টি করলেও দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে এটি শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। 

যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রোগের উৎস হিসেবে কাজ করে।দীর্ঘমেয়াদী রক্তশূন্যতার সবচেয়ে ক্ষতিকারক প্রভাব হলো হৃদরোগের উপর চাপ সৃষ্টি করা। যেহেতু রক্তশূন্যতা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়ে অক্সিজেন সঠিকভাবে সরবরাহ না হওয়ার কারণে হয়ে থাকে, তাই এটি হৃদপিন্ডের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে যদি এই অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। 

এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী রক্তশূন্যতায় মস্তিষ্কের উপর ক্ষতিকর প্রভাব, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীর দুর্বলতার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। তাই রক্তশূন্যতা বিষয়ক যেকোনো বিষয়ে আমাদের সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি আমাদের জীবনযাত্রার উপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে না পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়

মূলত রক্তশূন্যতা আমাদের মানব শরীরের একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, এটি মূলত আমাদের শরীরের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে ব্যাহত করে দুর্বলতা ও নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন করে থাকে। রক্তশূন্যতা বিশেষ করে ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের অভাবে আমাদের শরীরে দেখা দিয়ে থাকে। তাই আমরা যদি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে এই সকল ভিটামিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রাখতে পারি। তাহলে অবশ্যই রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করা আমাদের জন্য সম্ভব হবে।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করার উপায়

আমরা জানি রক্তশূন্যতা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। আর এই হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা কমে যায় আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে। তাই সর্বোপরি রক্তশূন্যতা দূর করতে হলে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার মধ্যে আয়রন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। আয়রন ও পুষ্টি সমুদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিম, মসুর ডাল পালং শাক। এছাড়াও ফলমূলের মধ্যে রয়েছে কলা, খেজুর, আপেল, কিসমিস, বাদাম ইত্যাদি। এ সকল খাবার যদি আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকার মধ্যে গ্রহণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন অবলম্বন করেন, তাহলে খুব সহজে আপনি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারবেন।

রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন

রক্তশূন্যতা দেখা দিলে আমাদের শরীর খুব সহজেই দুর্বল হয়ে যায়, ঠিকমতো কোন কাজে মনোযোগ স্থায়ী হয় না। এক্ষেত্রে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আমরা খুব সহজেই রক্তশূন্যতা দূর করতে পারব। রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য শুধুমাত্র ভালো খাবার খাওয়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ না, এর সাথে শরীরের প্রয়োজনীয় বিশ্রামেরও গুরুত্ব আছে। কেননা বিশ্রাম শরীরের শক্তি জোগাতে বেশ কার্যকরী। 
রক্তশূন্যতায়-ভোগার-গুরুতর-লক্ষণ-কি
বিশেষ করে রক্তশূন্যতা বা যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করতে পানি খাওয়ার গুরুত্ব অনেক। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান আমাদের শরীরকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মোটকথা রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য আমাদের যতটুকু সম্ভব আয়রন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। তাহলেই আমাদের শরীর ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং রক্তশূন্যতা খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যাবে।

রক্তশূন্যতায় চিকিৎসকের পরামর্শ

সর্বোপরি রক্তশূন্যতা কোন রোগ নয়, এটি একটি আমাদের শারীরিক উপসর্গ। তাই রক্তশূন্যতার বিষয়ে যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে এটি শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। রক্তশূন্যতা সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
তবে বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে যদি এটি জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমেও প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তশূন্যতা দূর করার ট্যাবলেট, ক্যাপশন এবং পরিস্থিতি সাপেক্ষে ইনজেকশন নেওয়া যেতে পারে। তবে এর আগে আপনাকে অবশ্যই রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

রক্তশূন্যতা আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর জীবনের উপর না ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা যদি রক্তশূন্যতার যে কোন বিষয় নিয়ে সচেতনতা অবলম্বন করতে পারি, তাহলে এটি আমরা খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারব। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কর্তব্য নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া এবং যেকোনো শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করা। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি এবং কিভাবে এগুলো প্রতিরোধ করে রক্তশূন্যতা দূর করা যাবে, এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 37912

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url