OrdinaryITPostAd

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরির সকল নিয়ম

 ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে আজকে আমরা ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানবো। যারা নতুন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট বা এসইও এর কাজ শিখতে চান তারা এই পদ্ধতি অনুযায়ী ওয়েবসাইট বানিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন।

ফ্রি-ডোমেন-ও-হোস্টিং-দিয়ে-ওয়ার্ডপ্রেস-ওয়েবসাইট-তৈরি

ব্লগিং অথবা ই-কোমার্স যেকোনো কাজের জন্য একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক। নতুন অবস্থায় বা কাজ শেখা অবস্থায় ডোমেন ও হোস্টিং ক্রয় না করেই যদি ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায় তাও আবার ওয়ার্ডপ্রেসে তাহলে অনেকে টাকা খরচ ছাড়াই কাজ গুলো শিখতে পারবে।

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আমাদের একটি ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং প্রোভাইডারের প্রয়োজন হবে। আজকে আমরা জানবো কিভাবে InfinityFree ব্যবহার করে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং রেজিস্টার করতে হয় এবং কিভাবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এই ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এর জন্য প্রথমেই আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে। আপনি চাইলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও করতে পারবেন। তবে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ মোড অন করে নিলে কাজ করতে সুবিধা হবে।
Infinityfree-দিয়ে-ওয়েবসাইত-তৈরি
গুগলে InfinityFree লিখে সার্চ করার পর একটি ফ্রি হোস্টিং একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্ট খোলার পর আপনার সামনে নিচে দেখানো ছবির মত করে একটি ড্যাশবোর্ড আসবে। এবার এখান থেকে আপনাকে Create account লিখার উপর ক্লিক করতে হবে।
infinityfree-ফ্রি-হোস্টিং-প্লান-নেওয়ার-উপায়
Create account লিখার উপর ক্লিক করার পর আপনি চারটি অপশন দেখতে পাবেন। এগুলো মূলত হচ্ছে তাদের হোস্টিং প্লান। এখানে প্রতিটি হোস্টিং প্লানের রয়েছে তাদের আলাদা আলাদা সুবিধা। আমরা যেহেতু ফ্রি হোস্টিং নিবো তার জন্য প্রথম অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এখানে অনেক কম সুবিধা পেলেও একটি ওয়েবসাইট সুন্দর ভাবে চালানো সম্ভব। এখানে ৫ জিবি ডিস্ক স্টোরেজ, আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ সেই সাথে আনলিমিটেড হোস্টেড ডোমেন ব্যবহার করতে পারবেন।
ডোমাইন-নাম-বাছাই-করার-উপায়
হোস্টিং প্লান থেকে ফ্রি অপশন সিলেক্ট করে Create now অপশনটিতে ক্লিক করলেই উপরে দেখানো ছবির মত আপনার সামনে নতুন আরেকটি অপশন চলে আসবে। এখান থেকে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের নাম বা ডোমেন নাম সিলেক্ট করতে হবে এবং এটি অন্য কেউ ইতিমধ্যে ব্যবহার করছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার ডোমেন এক্সটেনশন পরিবর্তন করতে পারবেন।
ফ্রি-হোস্টিং-একাউন্ট-সেটআপ
আপনি যে ডোমেন নাম বাছাই করেছেন সেটি যদি পূর্বে কেউ ব্যবহার না করে থাকে তাহলে আপনি যখন Check availablibity এর উপর ক্লিক করবেন তখন উপরে দেখানো নতুন একটি সেকশনে আপনাকে নিয়ে চলে আসবে। এখন আপনাকে এখানে শুধু নিজের মত করে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তবে সংখ্যা কিংবা কোন সিম্বল ব্যবহার করা যাবে না। এরপর Email Consent থেকে I Approve সিলেক্ট করে Create account এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ইনফিনিটি-ফ্রি-দিয়ে-ওয়েবসাইত-তৈরির-বেসিক-ধাপ
Create account এই অপশনে উপর ক্লিক করার পর আপনাকে আরেকটি ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে এবং এখন আপনাকে এখানে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হতে পারে। মূলত সকল সেটআপ এখান থেকেই শুরু হয় তাই কিছুক্ষন সময় নিয়ে থাকে। লোডিং নেওয়ার পর আপনার সামনে ইনফিনিটি ফ্রি এর নতুন আরেকটি ড্যাশবোর্ড চলে আসবে এখান থেকেই মূলত ওয়েবসাইট বানানোর কাজ শুরু হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস-ইন্সটল-করার-উপায়
এরপর উপরের ড্যাশবোর্ড থেকে Script Installer এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করলেই আপনার সামনে নতুন আরো একটি ড্যাশবোর্ড খুলে যাবে যেখান থেকে আপনি অসংখ্য স্ক্রিপ্ট এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বানাতে পারবেন। এরপর এখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস সিলেক্ট করে ইন্সটল অপশনের উপর ক্লিক করলেই আপনার সম্পূর্ন নতুন একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে।

InfinityFree হোস্টিং একাউন্ট কিভাবে তৈরি করবেন?

InfinityFree হচ্ছে একটি ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং প্রভাইডার। আমরা উপরে ইতিমধ্যে কিভাবে ইনফিনিটি ফ্রি ব্যবহার করে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং নিয়ে ফ্রি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় এই সকল বিষয় বিস্তারিত ছবি সহ জেনেছি। এখন আমরা জানবো কিভাবে আপনি InfinityFree হোস্টিং একাউন্ট কিভাবে তৈরি করবেন এই বিষয়ে। এর জন্য প্রথমে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে এখানে InfinityFree লিখে সার্চ করতে হবে।
InfinityFree-হোস্টিং-একাউন্ট-তৈরি
সার্চ করার পর প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। তবে যেকোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার আগে সেটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কিনা তা যাচাই করে নিবেন। এরপর উপরে দেওয়া ছবির মত আপনার সামনে একটি ড্যাশবোর্ড আসবে। এবার এখান থেকে আপনাকে Register এই অপশনের উপর ক্লিক করতে হবে।
InfinityFree-হোস্টিং-একাউন্ট-তৈরি
Register এই অপশনের উপর ক্লিক করার পর আপনার সামনে উপরে দেখানো ছবির মত একটি ফর্ম চলে আসবে। এবার এখানে আপনাকে একটি ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন আপ করতে হবে। তবে আপনি যদি ঝামেলা ছাড়াই সাইন আপ করতে তাহলে আপনি সরাসরি Sign up with google এই অপশনটি সিলেক্ট করতে পারেন। সাইন আপ অপশনটিতে ক্লিক করলেই আপনার ইনফিনিটি ফ্রি তে একাউন্ট খোলার কাজ শেষ।

ওয়েবসাইটের জন্য প্রাথমিক সেটআপ ও কনফিগারেশন

উপরে আমরা ইনফিনিটি ফ্রি এর মাধ্যমে সম্পূর্ন বিনামূল্যে ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। এখন আমাদের এই ওয়েবসাইটের জন্য কিছু প্রাথমিক সেটআপ ও কনফিগারেশন ঠিক করে নিতে হবে। কারণ একটি ব্র্যান্ড নিউ ফ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আমরা দেখতে পায় যে ওয়েবসাইটটি মোটেও সাজানো গোছানো থাকে না যা পরবর্তিতে সাজিয়ে নিতে হয়। মূলত প্রাথমিক সেটআপ ও কনফিগারেশন ঠিকঠাক করার মাধ্যমে এই কাজকে সহজ করা হয়। এখন আমরা ওয়েবসাইটের জন্য প্রাথমিক সেটআপ ও কনফিগারেশন সম্পর্কে জানবো।
  • প্রথমে ডোমেন নামের পাশে /wp-admin লিখে সার্চ করতে হবে।
  • এরপর ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
  • এরপর হোম অপশন থেকে Screen option এর উপর ক্লিক করতে হবে।
  • Screen option থেকে সকল Screen elements বন্ধ করে দিতে হবে।
  • এরপর পোস্ট অপশন থেকে Hello world! পোস্ট ডিলিট করতে হবে।
  • এরপর প্লাগিন অপশন থেকে অটোমেটিক আসা প্লাগিন গুলো ডিঅ্যাক্টিভ করতে হবে।
  • User অপশন থেকে আপনি ব্যতীত অন্য কেউ থাকলে রিমুভ করতে হবে।
  • এরপর সেটিংস অপশন থেকে Tagline, Site Icon, Date Format পছন্দ মত চেঞ্জ করতে পারেন।

ফ্রি থিম ও প্লাগইন ইনস্টল করে ওয়েবসাইট ডিজাইন

একটি ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করার জন্য মূল যে বিষয় কাজ করে সেটি হচ্ছে থিম। আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী থিম নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কেননা আপনি যদি ব্লগিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে আপনাকে ব্লগিং রিলেটেড থিম ব্যবহার করতে হবে। আবার আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে একটি পোর্টফোলিও টাইপ থিম ব্যবহার করতে হবে। একইভাবে যদি কোন প্রডাক্ট বিক্রি করতে চান তাহলে ই-কোমার্স রিলেটেড থিম ব্যবহার করতে হবে। আর ওয়েবসাইটের ভেতরের কাজগুলোকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন প্লাগিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখন আমরা ফ্রি থিম ও প্লাগইন ইনস্টল করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার বেসিক ধাপ গুলো জানবো।
ফ্রি-ডোমেন-ও-হোস্টিং-দিয়ে-ওয়ার্ডপ্রেস-ওয়েবসাইট-তৈরি
  • প্রথমে ওয়েবসাইটের ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে আসতে হবে।
  • এরপর Appearance অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • ডিফল্ট ভাবে অ্যাড করা থিম গুলো এখান থেকে রিমুভ করতে পারেন।
  • এরপর Add Theme এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এখানে আপনি হাজার হাজার থিম দেখতে পাবেন।
  • কাজের ধরণ অনুযায়ী থিম খুঁজতে চাইলে Search Themes এ সার্চ করতে পারেন।
  • পছন্দ মত থিম পেলে preview করে দেখে নিতে পারেন।
  • এরপর এই থিম ইন্সটল করার জন্য থিম থেকে Install অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • Install অপশনে ক্লিক করার পর Active লিখার উপর ক্লিক করতে হবে।
  • একই ভাবে plugins থেকে পছন্দ মত প্লাগিন ইন্সটল করে নিতে পারেন।

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহারের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে অসুবিধা। তবে এটি সত্য যে ফ্রি ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহারের সুবিধার চাইতে অসুবিধা বেশি। এখন আমরা জানবো ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহারের সুবিধা কি কি রয়েছে। সুবিধার কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে এটি ব্যবহারে টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে না। আপনি বিনামূল্যে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আবার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনি এই ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহার করে আপনার কাজ অনুশীলন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি ওয়েবসাইট সংক্রান্ত কোন কাজ শিখেন তাহলে এটি ব্যবহার করে তা অনুশীলন করতে পারবেন। মূলত এটিই ছিল এর সুবিধার দিক এখন আমরা এর অসুবিধার কিছু দিক জানবো।

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহারের অসুবিধার কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে বিষয় মাথায় আসে সেটি হচ্ছে নিম্ন মানের হোস্টিং সেবা। ফ্রি হোস্টিং গুলো মূলত ডেস্ক হোস্টিং হয়ে থাকে যার লোডিং স্পিড অনেক কম। এরপর যে বিষয় সেটি হচ্ছে ফ্রি ডোমেন মূলত আসল ডোমেন নয় বরং এটি সাব ডোমেন দেওয়া হয় যার দ্বারা ওয়েবসাইট র‍্যাংক করানো অনেক কষ্টের বিষয়। এরপর ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহারে আপনার নিরাপত্তা অনেক কম থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি একটি ফ্রি ওয়েবসাইট অনেক কষ্টে র‍্যাংক করাতে সফল হন তবুও এই ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা অনেক কম। আপনার এই ওয়েবসাইটটি যেকোনো সময় আপনার ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং প্রোভাইডাররা ব্যান বা হ্যাক করে নিতে পারে। সব মিলিয়ে বলা যায় যে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দ্বারা তৈরি ওয়েবসাইটের সুবিধার থেকে অসুবিধা বেশি।

কাদের জন্য ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়েবসাইট ব্যবহার উচিত নয়

যারা একটি ব্যক্তিগত বা প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য কখনোই ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়েবসাইট ব্যবহার উচিত নয়। কারণ ফ্রি ওয়েবসাইটে সাধারণত সীমিত ব্যান্ডউইথ ও স্লো লোডিং স্পিডের মত সমস্যা থাকার কারণে এটি পরিচালনা করা অনেক কষ্টের হয়ে যায়। এছাড়াও সবচেয়ে বড় যে সমস্যা সেটি হচ্ছে ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করে ওয়েবসাইট পরিচালনা করলে উক্ত ফ্রি হোস্টিং প্রোভাইডাররা তাদের অ্যাডস বা বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ভ্যালু যেমন কমে যাবে ঠিক তেমনি আপনি যদি ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
আবার যারা ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তাদের কখনোই এই ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়েবসাইট ব্যবহার উচিত নয়। কারণ আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার, ব্লগার বা ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তবে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং আপনার কাজের মান নষ্ট করতে পারে। এই ধরনের ওয়েবসাইট মূলত কাস্টমাইজেশন মোটামুটি লেভেলের করা গেলেও গুগল র‍্যাংকিং এর অনেক বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ফ্রি ওয়েবসাইটে নিম্ন মানের সাব ডোমেন প্রোভাইড করার ফলে অনেক উচ্চ মানের SEO করলেও সেই কন্টেন্ট গুলো গুগলে র‍্যাংক করে না। তাই সব মিলিয়ে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের কাজে সিরিয়াস হন তাহলে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহার না করাই উত্তম।

ওয়েবসাইটে প্রিমিয়াম হোস্টিং আপডেট করা কেন গুরুত্বপূর্ণ

একটি ওয়েবসাইট তৈরি ও পরিচালনার ক্ষেত্রে হোস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকেই শুরুতে ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করলেও প্রফেশনাল ও সফল ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজনীয়। প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায় তা শুধু ওয়েবসাইটের গতি বা নিরাপত্তা নয় বরং সার্বিক পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

  • প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহার করলে দ্রুত লোডিং স্পিড পাওয়া যায়। ফ্রি হোস্টিং এ সাধারণত একাধিক ওয়েবসাইট একই সার্ভারে হোস্ট করা হয় ফলে লোড টাইম অনেক বেড়ে যায়। তবে প্রিমিয়াম হোস্টিং এ ডেডিকেটেড রিসোর্স থাকে যার ফলে ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত লোড হয়।
  • SEO র‍্যাংকিং এ ভালো ফলাফল পেতে হলে সাইটের গতি, আপটাইম এবং সার্ভার স্ট্যাবিলিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওয়েবসাইটের গতি ও পারফরম্যান্সকে র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে। তাই যারা চায় তাদের ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে থাকুক তাদের জন্য প্রিমিয়াম হোস্টিং একটি অপরিহার্য সিদ্ধান্তঠ
  • প্রিমিয়াম হোস্টিং সেবাগুলো সাধারণত উন্নত নিরাপত্তা ফিচার দিয়ে থাকে যেমনঃ ফায়ারওয়াল, SSL সার্টিফিকেট, নিয়মিত ব্যাকআপ সিস্টেম ইত্যাদি। এসব সুবিধার মাধ্যমে হ্যাকিং ও ডেটা লসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়াও অধিকাংশ প্রিমিয়াম হোস্টিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ২৪/৭ টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করে যা যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
  • প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহারকারীরা আরও কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পান যেমনঃ ইমেইল হোস্টিং, কাস্টম CDN ইন্টিগ্রেশন, এবং অধিক কাস্টমাইজেশন সুবিধা। এসব ফিচার একটি ওয়েবসাইটকে আধুনিক করে তোলে যা ভিজিটরদের আকর্ষণ করে এবং রিটার্ন রেট বাড়াতে সাহায্য করে।

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং এর জন্য সেরা ৫টি প্লাটফোর্ম

আমরা ইতিমধ্যে উপরে Infinityfree ব্যবহার করে কিভাবে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং রেজিস্টার করে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানাতে হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি। বর্তমান সময়ে Infinityfree এর মত অসংখ্য ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ন বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এখন আমরা ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং এর জন্য সেরা ৫টি প্লাটফোর্ম সম্পর্কে জানবো।
  • InfinityFree
  • AwardSpace
  • 000WebHost
  • FreeHosting
  • Byet Host

ওয়েবসাইটে ডোমেন ও হোস্টিং কি ও এদের কাজ কি জানুন

ডোমেন এবং হোস্টিং হলো একটি ওয়েবসাইট তৈরির দুটি মূল ভিত্তি। ডোমেন হচ্ছে ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা যেটা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে আপনার সাইট খুঁজে পায়। যেমনঃ ordinaryit.com। এটি এক ধরনের ইউনিক নাম যা আপনার ওয়েবসাইটকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। অপরদিকে হোস্টিং হলো সেই জায়গা যেখানে ওয়েবসাইটের সব ফাইল, ছবি ও কনটেন্ট সংরক্ষিত থাকে। সহজভাবে বলতে গেলে ডোমেন একটি বাসার ঠিকানা আর হোস্টিং হচ্ছে সেই বাসার ভেতরের ঘরবাড়ি।
ফ্রি-ডোমেন-ও-হোস্টিং-দিয়ে-ওয়ার্ডপ্রেস-ওয়েবসাইট-তৈরি
যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানায় বা ডোমেনে ক্লিক করে তখন হোস্টিং সার্ভার থেকে সেই ওয়েবসাইটের তথ্য ব্রাউজারে প্রদর্শিত বা দেখানো হয়। হোস্টিং সার্ভার ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে যেন যেকোনো সময় ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করা যায়। ভালো মানের হোস্টিং ওয়েবসাইটের গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অপরদিকে একটি প্রফেশনাল ডোমেন নাম ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করে এবং বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে ডোমেন ও হোস্টিং উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

পরিশেষেঃ ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি

ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি কিভাবে করতে হয় এই বিষয় আমরা উপরে বিস্তারিত ছবিসহ আলোচনা করেছি। আপনি যদি উপরের দেওয়া পদ্ধতি গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করা যায় যে আপনি ঝামেলা ছাড়াই একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ ফ্রিতে বানিয়ে ফেলতে পারবেন। এছাড়াও আমরা উপরে একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরির পর কি কি বেসিক সেটআপ করতে হয় এবং কোন ধরনের প্লাগিন ব্যবহার করতে হয় এই বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি কাদের ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা উচিত ও কাদের উচিত নয় এই বিষয়েও আলোচনা করেছি। সব মিলিয়ে আপনি যদি উপরের লিখা গুলো বিস্তারিত বুঝে পড়েন তাহলে ফ্রি ডোমেন ও হোস্টিং দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি এই বিষয়ে বিস্তারিত সকল কিছুই জানতে পারবেন।  250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url