OrdinaryITPostAd

শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস - শবে বরাতের ইতিহাস

শবে বরাত সম্পর্কে কোরআনের আয়াতশবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস আমরা অনেকেই জানিনা। যেহেতু শবে বরাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তাই আমাদেরকে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়টির সাথে শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

শবে-বরাতের-আমল

ইসলামের দৃষ্টিতে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন রয়েছে এগুলোর মধ্যে শবে বরাত অন্যতম একটি। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ মুসলিম শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখি না। শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস উল্লেখ করা হলো।

সূচিপত্রঃ শবে বরাত সম্পর্কিত যে সকল হাদিস রয়েছে তা জানুন - শবে বরাতের ইতিহাস

শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস

শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস জানা থাকলে আমরা স্পষ্ট ভাবে শবে বরাত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবো এবং আমাদের পরিবারের মানুষকে জানাতে পারব। যেহেতু শবে বরাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাতের রাত তাই আমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে জেনে রাখা উচিত। মুসলিম হিসেবে আমরা সবাই শবে বরাতের সাথে পরিচিত। জীবনে একবার না হলেও এই নামটি শুনে এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে এই রাতটি অন্যান্য রাতের চাইতে আলাদা এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ কয়েকটি দিন এবং রাত রয়েছে যেগুলো আল্লাহতালার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত তাই সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহ এই দিন গুলো অনেক গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে। আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। এ সম্পর্কে অন্যতম একটি হাদিস।

আরবিঃ إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ

বাংলা অর্থঃ মধ্য শাবানের রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং পৃথিবীর মধ্যে থাকা মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণ কারী ব্যতীত সকল বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে শবে বরাতের রাতে ভাগ্য লিপি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাধারণত অনেকেই বলে থাকে যে এই রাতে পরবর্তী বছরের জন্য হায়াত মওত এবং রিজিক নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত অনেক বিজ্ঞ আলেমগণ বলে থাকেন এই হাদিসগুলো বানোয়াট। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন,

আরবিঃ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ

বাংলা অর্থঃ আমি তো তা অবতীর্ণ করেছি এক মুবারক রজনীতে এবং আমি তো সতর্ককারী। এ রজনীতে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।

সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাঃ ইরশাদ করেছেন, "আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।" {ইবনে হিব্বানঃ ৫৬৬৫}

ইবনে ওমর রাঃ বলেন, "পাঁচটি রাত এমন আছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৪ তারিখ রাত, দুই ঈদের রাত।" {মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ৭৯২৭}

হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রহঃ আদি ইবনে আরতাতের উদ্দেশ্যে লেখেন, "বছরের চারটি রাত তুমি অবশ্যই লক্ষ রাখবে। কেন না সেসব রাতে আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হয় রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৪ তারিখ রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত।" {আত-তালখিসুল হাবিরঃ ২-১৯১}

শবে বরাতের ইতিহাস

শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। যেহেতু আমরা এই শবে বরাতকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই থাকি তাই আমাদেরকে এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যে সকল দিন এবং রাত গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর মধ্যে অন্যতম হলো শবে বরাত। প্রতি বছর হিজরি বছরের সাবান মাসের মধ্যে রাতে এটি পালন করা হয়।

শবে বরাত কে বলা হয় মধ্য শাবান এর রাত আবার অনেকেই বলে থাকে লাইলাতুল বরাত। এই লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী বছরের শাবান মাসের ১৪ অথবা ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালন করা হয়। আমাদের উপমহাদেশের দেশগুলোতে এই ইবাদতের রাতকে শবে বরাতের রাত বলা হয়ে থাকে। মুসলিমরা বিশ্বাস করে শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন।

আলী ইবনে আবী তালেব রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে সালাত আদায় করবে আর দিবসে সিয়াম পালন করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আমি তাকে ক্ষমা করব।

আছে কি কোন রিজিক প্রার্থনা কারী আমি রিজিক দান করব। আছে কি কোন বিপদে নিপতিত ব্যক্তি আমি তাকে সুস্থ্যতা দান করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে। {ইবনে মাজাহ, বাইহাকী} রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা'আলা প্রতি রাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, আমাকে ডাকার কেউ আছে কি? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। আমার কাছে চাওয়ার কেউ আছে কি? আমি তাকে তা প্রদান করবো। আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কেউ আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করবো। {বুখারি ও মুসলিম}

শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাতের ফজিলত অনেক বেশি। যারা ইসলাম সম্পর্কে ধারণা রাখে সাধারণত তারা জানে যে শবে বরাত মুসলিমদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে শবে বরাতের রাতে ইবাদত করলে সেটি আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়। আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন এবং এই রাতটি বা তাদের সাথে পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই এর ফজিলত সম্পর্কে জানুন।

ইমাম ইবনে রজব রহঃ বলেন, "একজন প্রকৃত মুমিন বান্দার উচিত হবে শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তায়ালার জিকির করা এবং এর সাথে আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত থাকা। প্রথমে আল্লাহতালার কাছে খাঁটি মনে তওবা করতে হবে। এরপরে আল্লাহ তাআলার কাছে মন থেকে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি কোন আপদ বিপদ থাকে তাহলে সেটি যেন দূর হয়ে যায় তার জন্য আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে এবং নফল নামাজ আদায় করতে হবে।"

হযরত আলী রাঃ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "১৫ শাবানের রাত অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাত যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত বন্দেগিতে পার কর এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।" {ইবনে মাজাহঃ ১৩৮৮} এ হাদীস থেকে বোঝা যায় যে শবে বরাতের রাতের কতটা ফজিলত রয়েছে এবং এ রাত্রি মুসলিম উম্মার জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামের দৃষ্টিতে শবে বরাত

ইসলামের দৃষ্টিতে শবে বরাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস জানার সাথে সাথে জেনেছি। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনি জানেন যে ইসলামের দৃষ্টিতে শবে বরাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকটি রাত এবং দিন রয়েছে যেগুলো ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ এর মধ্যে শবে বরাত অন্যতম একটি।

শবে-বরাত-সম্পর্কিত-হাদিস

শবে বরাত হল হিজরী সাবান মাসের মধ্যবর্তী একটি রাত সাধারণত বিভিন্ন মতবাদ থেকে জানা যায় যে শাবান মাসের ১৪ অথবা ১৫ তারিখে শবে বরাতের রাত পালন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন হাদিস থেকে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে জানা যায় যে শবে বরাতের রাত প্রতিটি মুসলিমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর রাত সম্পর্কে আমাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছেন।

শবে বরাতের রাত্রে একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগী করা উচিত কারণ এই রাত্রে আল্লাহ তায়ালা একেবারে প্রথম আসমানে চলে আসে এবং আল্লাহ তাআলার প্রতিটি বান্দাকে ডাকতে থাকে। যদি আমরা এই রাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দগি করতে পারি এবং আল্লাহতালার কাছে কোন কিছু মন থেকে চাইতে পারি এবং সেটি যদি আমাদের জন্য মঙ্গল হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেটি আমাদের দিয়ে থাকেন।

শবে বরাত কি বিদআত

শবে বরাত কি বিদআত? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। কিছু ব্যাক্তি মনে করে থাকে যে শবে বরাত পালন করা উচিত নয় এটি মানুষের তৈরি একটি ইবাদত। কিন্তু আসলে কি তাই? আপনার যদি এ বিষয়গুলো জানা না থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে শবে বরাতের মধ্যে লুকিয়ে আছে মুসলিম দের জন্য কল্যাণ। লাইলাতুল বরাতকে বাংলাতে মুক্তির রাত বলা হয়ে থাকে।

শবেবরাত কোন বিদআত নয় তবে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো এই রাতে পালন করা বিদআত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। সাধারণত তিনি আল্লাহ তায়ালার জিকির করতেন এবং নামাজ আদায় করতেন। সম্মিলিত কোনো আমলকে এই রাতে আবশ্যকীয় মনে করা বিদআত। যত বেশি সম্ভব এই রাতে নফল ইবাদত পালন করতে হবে।

শবে বরাত ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বীকৃত এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। সাধারণত এ রাতকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ এ রাতকে অস্বীকার করে তাহলে সে কখনোই মুসলিম হতে পারেনা। এ রাতে বিভিন্ন ধরনের বিদআত রয়েছে সাধারণত এগুলো থেকে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদেরকে বেঁচে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ

শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস গুলো ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। উপরোক্ত এই হাদিস গুলো থেকে আপনারা বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছেন। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেরই এখনো দ্বিধাদ্বন্ধে রয়েছে যে শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ কিনা? আপনি যদি উপরের বিষয় গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে শবে বরাত পালন করা জায়েজ।

আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন এবং আল্লাহতালাকে বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই শবে বরাত কে অস্বীকার করতে পারেন না এবং এ রাতকে নাজায়েজ বলতে পারেন না। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে শবে বরাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত তবে অনেকেই এই রাতে বিভিন্ন ধরনের বিদআত পালন করে থাকে যেগুলো থেকে আমাদের বাঁচতে হবে।

শবে বরাতের রোজা

শবে বরাতের রোজা পালন করা নিয়ে বেশ কিছু হাদিস রয়েছে। সাধারণত আমরা আগে থেকে দেখে আসছি যে শবে বরাতের দিনের বেলায় আল্লাহতালা সন্তুষ্টির জন্য রোজা পালন করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই রোজাটি আমরা একজনের দেখে অন্যজন পালন করে থাকি কিন্তু এ রোজার গুরুত্ব কত বেশি আমরা অনেকেই জানিনা। শবে বরাতের রোজা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।

শবে বরাত হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ রাত গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। হিজরী শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে যেখান থেকে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে এটি জায়েজ। এছাড়াও শবে বরাতের গুরুত্ব নিয়ে বিশিষ্ট ইমাম গণের বক্তব্য ইতিমধ্যেই রয়েছে। বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায় যে এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ওপর অনেক বেশি রহমত নাযিল করে থাকেন।

হাদিস থেকে জানা যায় যে, "আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দিয়ে থাকেন এবং কেবল শিরক কারী ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া তিনি তার সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।" {সহিহ ইবনে হিব্বানঃ ৫৬৬৫} আলী রাঃ থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, "১৫ শাবানের রাত অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাত যখন আসে তখন তোমরা ইবাদত, বন্দেগিতে পালন কর এবং দিনের বেলা সিয়াম পালন করো।" {ইবনে মাজাহঃ ১৩৮৮}

শবে বরাতের কয়টি রোজা করতে হয়

শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে শবে বরাতের কয়টি রোজা করতে হয়? শবে বরাত হল মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত পালন করার রাত। এই রাত আল্লাহ তায়ালার কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ তা ইতিমধ্যেই মধ্যেই উপরের আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সকল মুমিন বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়। এই রাতে শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার এবাদত পালন করতে হয়।

রাতের বেলায় নফল ইবাদত পালন করার পাশাপাশি দিনের বেলায় আল্লাহতালার জন্য সিয়াম পালন করতে হয়। কিন্তু কয়টি রোজা পালন করতে হয় এই বিষয়ে আমাদের অনেকের আনন্দ রয়েছে। সাধারণত আমরা অনেকেই জানিনা যে সঠিক কয়টি রোজা শবে বরাতের জন্য পালন করতে হয়। তাহলে চলুন নিজেদের এবং পরিবারের জন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদত পালন করতে বলেছেন এবং তার পরের দিনে সিয়াম পালন করতে বলেছেন। সাধারণত একটি দিন সিয়াম পালন করতে বলা হয়েছে সেটি হল সাবান মাসের ১৫ তারিখ। তবে কেউ যদি মনে করে থাকে আইয়ামে বিজের অন্তর্ভুক্ত তাহলে সিয়াম পালন করতে পারে। আইয়ামে বিজ এর মানে হলো প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম পালন করা।

শবে বরাতের আমল

শবে বরাতের আমল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যদি শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চান এবং এটি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এ বিষয়ে ধারণা পেতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। শবে বরাত হলো আল্লাহ তাআলার জন্য আমল করার একটি উপযুক্ত রাত। সাধারণত এই রাতে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির এবং ক্ষমার জন্য আমাদেরকে ইবাদত পালন করতে হবে।

শবে-বরাতের-আমল

তবে এই রাতে কোন ধরনের আমল গুলো করতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু আমাদেরকে সহজ করে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম শবে বরাতের আমল সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে শবে বরাতের রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

নফল নামাজের সাথে অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার জিকির করতে হবে। এই রাতে আমাদেরকে পরিষ্কার মনে তওবা করতে হবে এবং গত বছরগুলোতে আমরা যে সকল খারাপ কাজ করেছি এবং আল্লাহ তায়ালার সাথে নাফরমানি করেছি সেজন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন এবং শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যা একজন মুসলিমের অবশ্যই এ বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিত ভাবে বিষয় গুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url