OrdinaryITPostAd

শবে বরাতের রাতের আমল - শবে বরাতের রাতে করনীয়

শবে বরাতের রোজা কয়টিশবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়? অনেকেই এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। শবে বরাত হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই শবে বরাতের আমল সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।

শবে-বরাতের-রাতে-কি-ভাগ্য-লেখা-হয়

প্রতি বছর রমজানের ১৪ থেকে ১৫ দিন আগে শবে বরাত হয়ে থাকে। শবে বরাত এলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয় কিনা? বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমরা শবে বরাতের আমল সম্পর্কে জানব।

পেজ সূচিপত্রঃ শবে বরাতের রাতে ভাগ্য লেখা হয় কিনা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন

শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়

শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়? অনেকের এ বিষয়টিকে বিশ্বাস করে থাকে। অনেকে বিশ্বাস করে থাকে যে শবে বরাতের রাতে পরবর্তী এক বছরের হায়াত মাউত রিজিক এগুলো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বিষয়টি আসলে কতটুকু সত্য আমাদের একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে জানা উচিত। সাধারণত এই বিষয়ে কি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কোন নির্দেশনা দিয়েছিলেন?

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে যে শবে বরাত মানে কি? আমাদের মধ্যে এখনো অনেক মানুষ রয়েছে যারা শবে বরাত এর মানে সম্পর্কে জানেনা। পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়। শবে বরাত কে বাংলা ভাষায় বলা হয় মুক্তির রাত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

আমাদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করে যে ফজিলতপূর্ণ এই রাতে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির করলেন সকলের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী এক বছরের জন্য। সাধারণত যারা এই বিষয়টি বিশ্বাস করে তারা আল্লাহ তায়ালার একটি আয়াতকে উপস্থাপন করে। আল্লাহতালা বলেন, "হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তার নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে নিশ্চয়ই আমি দ্রুত পাঠিয়ে থাকি।"{সূরা দুখানঃ ১-৪}

আয়াতে যেহেতু বরকত মার কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে এখানে অনেক তাফসিরবিদ বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন সাধারণত তারা দাবি করেন যে পবিত্র কোরআনের অন্য দুটি আয়াতের দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় যে এখানে বরকতময় রাত বলতে শবে বরাত নাই শবে কদরকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে থাকে এখানে আল্লাহ তায়ালা শবে বরাত কে ইঙ্গিত করেছেন।

সাধারণত আমরা একটি বিষয় সবাই জানি যে পবিত্র কোরআন রমজান মাসে নাযিল হয়েছে। এখানে আল্লাহতালা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে আমি এই মাসে কোরআন নাজিল করেছি। আরেকটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "নিশ্চয়ই আমি এটি নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে।"{সূরা আল কদরঃ ১} তাহলে এখানে স্পষ্ট ভাবে বলতে পারি যে সৃষ্টি কুলের ভাগ্য লিখা হয় শবে কদরের রাতে শবে বরাতের রাতে নয়।

শবে বরাতের আমল

শবে বরাতের আমল সম্পর্কে আমাদের অনেকের তেমন কোন ধারনা নেই। যেহেতু শবে বরাত শবে কদরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত তাই রাত সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। এ রাতে বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো অবশ্যই আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য করা উচিত। কারণ অনেক ওলামায়ে কেরাম শবে বরাতের রাতকে ক্ষমা প্রার্থনা রাত হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে শবে বরাতের রাত নিয়ে অনেক বিদআত সৃষ্টি হয়েছে। যে আমল গুলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ পালন করেননি এই আমল গুলোকে সুন্নত মনে করে আদায় করাকেই বলা হয় বিদআত। তবে এই রাতে আমাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এই বিদআত থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই জরুরী।

বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো শবে বরাতের রাতে করা উচিত যেমন যত বেশি সম্ভব নফল নামাজ আদায় করতে হবে এবং এই নামাজ আদায় করতে হবে দীর্ঘ সময় ধরে। নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার জিকির করতে হবে। মনের ভেতরে কোন জটিলতা না রেখে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বেশি বেশি চোখের পানি ফেলে কান্না করতে হবে। নিজের পরিবার সহ সারা মুসলিম জাতির জন্য দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।

শবে বরাত ২০২৪ কবে

শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়? আশা করি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন। এখন আপনাকে জানতে হবে যে এই বছর পবিত্র রাত কবে? যেহেতু হিজরি বছরের একটি হিসাব রয়েছে তাই আগে থেকেই আমরা একটি বিষয় জানতে পারি যে শবে বরাত কবে? তবুও হিজরি মাস গুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। যদি আকাশে নতুন চাঁদ দেখা যায় তাহলে মাস শুরু হবে আর দেখা না গেলে শুরু হবে না।

শবে বরাত কোন ধর্মীয় উৎসব নয় এটি হলো একটি ইবাদতের রাত। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ কিছু রাত রয়েছে যেগুলো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য ইবাদত পালন করতে হয়। ঠিক এই রাগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শবে বরাতের রাত। কারণ এ রাতে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে চলে আসেন এবং তার প্রতিটি বান্দাকে ডাকতে থাকেন। যে বান্দা আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য এবাদত পালন করবে সাধারণত আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং তাদের মঙ্গলের জন্য যা দরকার তাই দেবেন।

২০২৪ সালের শবে বরাত শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ ইংরেজি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ রোজ সোমবার হবে। যেহেতু এই দিনটি শাবান মাসের মধ্যে একটি দিনে পালন করা হয় সেহেতু শবে বরাত নির্ধারণ করা খুবই সহজ। যদি সাবান মাস শুরু হতে একদিন আগে পিছে হয়ে থাকে তাহলে এই তারিখটা পরিবর্তন হতে পারে। তবে হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইংরেজি ২৬ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত হবে ইনশাল্লাহ।

শবে বরাত কত তারিখ পালিত হবে ২০২৪

শবে বরাত কত তারিখ পালিত হবে ২০২৪? যদি আপনার এ বিষয়টি জানান না থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। শবে বরাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত সাধারণত তাই আগে থেকেই মুসলিম উম্মাহ কত তারিখ এই রাত পালিত হবে এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকতে চাই। কারণ যারা প্রকৃত মুসলিম সাধারণত তারা আল্লাহতালার ইবাদাতে মগ্ন থাকবে এই রাতে এবং দিনের বেলায় সিয়াম পালন করবে।

শবে-বরাত-কত-তারিখ-পালিত-হবে-২০২৪

উপরে আপনাদের ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে শবে বরাত পালিত হবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে। অর্থাৎ ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে আপনাকে ইবাদত পালন করতে হবে এবং ২৬ তারিখে রোজা পালন করতে হবে। আপনি যদি এই রাত টি কে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত পালন করে কাটাতে চান তাহলে জেনে রাখুন যে ২৬ তারিখ পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

শবে বরাতের ফজিলত সমূহ

শবে বরাতের ফজিলত সমূহ সামান্য পরিমাণে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা জানি যে শবে বরাত হলো অনেক ফজিলত পূর্ণ রাত। সাধারণত এই রাতে আল্লাহ তা'আলা তার সকল বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন শুধুমাত্র যারা আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরিক করে এবং বিদ্বেষ পোষণ করে তাদের বাদে। সাধারণত এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।

যদি সঠিক নিয়মে শবে বরাতের রাত টি পালন করা হয় তাহলে এই রাতের অনেক ফজিলত রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে শবে বরাতের রাতকে অনেকেই অবহেলার সাথে পালন করে থাকে আবার অনেকেই বিদআত করে থাকে। আপনি যদি শবে বরাতের রাতে বিদআত করা থেকে বিরত থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ রাতের সঠিক ফজিলত কি? এই বিষয় গুলো জানতে হবে।

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ইরশাদ করেছেন, "আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।" তাহলে এই হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত পূর্ণ রাত শবে বরাত।

এ রাতে এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা প্রাপ্ত করে নিতে হবে। যেহেতু এই রাতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ক্ষমার দৃষ্টিতে তাকান তাই বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে এবং চোখের পানি ফেলে আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের জীবনের গুনাহ গুলোকে স্মরণ করে অবশ্যই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে এবং আমাদের জীবন যেন সুখের হয় আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে হবে।

শবে বরাত সম্পর্কে উল্লেখিত হাদিস

শবে বরাত সম্পর্কে উল্লেখিত হাদিস পাওয়া যায়। কারণ এই রাতটি খুবই ফজিলতপূর্ণ এবং মুসলিম সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শবে বরাতের ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজে বিভিন্ন বিষয়ে বলে গিয়েছেন। শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়? যারা এ বিষয়টি জানতে চেয়েছেন তাদের বলে রাখি যে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি কথা।

হজরত ইবনে ওমর রাঃ বর্ণনা করেন, "এমন ৫ টি রাত আছে এই রাতগুলোতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দার দোয়া কখনোই ফিরিয়ে দেন না। সাধারণত এই রাত গুলো হলোঃ জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, দুই ঈদের রাত।" {সুনানে বায়হাকিঃ ৬০৮৭} তাহলে এখানে শবে বরাতের রাতের শ্রেষ্ঠত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বেশি বেশি আমাদেরকে আল্লাহতালার কাছে শবে বরাতের রাতে দোয়া করতে হবে।

মুআজ বিন জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে এই রাতকে শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত বলা হয়। সাবানের এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।" {ইবনে হিব্বানঃ ৫৬৬৫} আল্লাহতালার ক্ষমা পাওয়ার জন্য অবশ্যই এই রাতে আমাদেরকে বেশি ক্ষমা চাইতে হবে।

শবে বরাত ২০২৪ ছুটি

শবে বরাত ২০২৪ ছুটি কত তারিখ? আমাদের অনেকে জানা নেই। সাধারণত এই ধর্মীয় ইবাদত পালনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকে। ঠিক একই রকম ভাবে এই বছর ও শবে বরাতের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আপনি যদি জানেন শবে বরাত কত তারিখ পালিত হবে তাহলে ছুটি কত তারিখে এ বিষয়টি আপনার জানা রয়েছে।

বেশিরভাগ মানুষ যেহেতু শবে বরাত কত তারিখ পালিত হবে এ বিষয়ে জানেনা তাই তাদের ছুটির তারিখ সম্পর্কেও তেমন কোন ধারনা নেই। আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে শবে বরাত পালিত হবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ রোজ সোমবার তাহলে সরকারি ছুটি থাকবে ২৬ তারিখ সোমবার। বাংলাদেশের সকল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার ছুটি থাকবে।

শবে বরাতে আমাদের করণীয়

শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয়? ইতিমধ্যে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি বিষয় এই শবে বরাতে আমাদের করণীয় কি? সে বিষয়ে ধারণা নিতে হবে। বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো শবে বরাতের রাতে আমাদের করণীয়। এই কাজগুলো করলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবে এবং আমাদের জীবনের সব গুনাহ গুলো মাফ করে দিতে পারে।

শবে-বরাতে-আমাদের-করণীয়

  • যেহেতু শবে বরাতের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত তাই এ রাতে অবশ্যই কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে। যদি অর্থ বুঝে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন তাহলে আরো বেশি ভালো
  • শবে বরাতের রাতে যে সকল ইবাদত পালন করতে হয় এগুলোর মধ্যে আল্লাহ তাআলার জিকির অন্যতম। তাই বেশি বেশি আল্লাহতালার নামে জিকির করতে হবে।
  • যেহেতু শবে বরাতের রাতে নফল নামাজ আদায় করতে হয় তাই নামাজ আদায় করার সময় একটু বেশি সময় ধরে নামাজ আদায় করতে হবে।
  •  শবে বরাত হল খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি রাত তাই এই রাতে সালাতুত তাসবীহ পড়তে হবে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের পড়ার পরামর্শ দিতে হবে।
  • শবে বরাত হল ক্ষমার তাই এই রাতে যত বেশি পারা যায় ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
  • আল্লাহতালার কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে আমাদের পরিবারের জন্য মৃত সদস্যদের জন্য এবং পৃথিবীর সকল মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া চাইতে হবে।
  • যদি পরিবারের কোনো সদস্য মারা যায় অথবা নাও যায় তাহলেও গভীর রাতে কবর স্থানে একা গিয়ে কবর জিয়ারত করতে হবে।
  • শবে বরাতের রাতে ইবাদত পালন করার পরের দিনে অবশ্যই সিয়াম পালন করতে হবে আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।

শবে বরাতের রাতে বর্জনীয় কাজ

শবে বরাতের রাতে বর্জনীয় কাজ গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। শবে বরাতের রাতে যেমন বেশ কিছু করণীয় রয়েছে ঠিক তেমন বর্জনীয় কাজ রয়েছে। এই বর্জনীয় কাজগুলো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে কারণ এগুলো করা উচিত নয়। যদি আমরা আল্লাহতালার কাছে আমাদের জীবনের গুনাহ গুলো ক্ষমা করে নিতে চাই তাহলে অবশ্যই এই কাজ গুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অন্যকে থাকতে বলতে হবে।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের রোজা কবে থেকে

  • শবে বরাতের রাত উপলক্ষে আমরা মসজিদে বিভিন্ন ধরনের খাওয়া-দাওয়া এর আয়োজন করে থাকি কিন্তু এগুলো করা একেবারেই উচিত নয়। এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • শবে বরাত উপলক্ষে মসজিদ অথবা বাড়ি কোন ধরনের লাইটিং অথবা কোন কিছু দিয়ে সাজানো যাবে না। স্বাভাবিক রাতের মতোই থাকতে দিতে হবে শুধুমাত্র ইবাদতের দিক থেকে অন্যান্য রাতের থেকে আলাদা হবে।
  • অনেকেই শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি করে থাকে এটি সম্পূর্ণ বিদআত। তাই শবেবরাত উপলক্ষে এদিকে ইবাদত মনে করে হালুয়া রুটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • একা কবরস্থান জিয়ারত করতে হবে। দলবেঁধে কখনোই শবে বরাতের রাতে কবরস্থানে জিয়ারত করতে যাওয়া যাবে না।
  • শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি হবে এই বিষয়টি মনে করে গরু অথবা খাসি জবাই করে মানুষকে খাওয়ানো থেকে দ্রুত থাকতে হবে।
  • শবে বরাতের রাতকে একটি আচার অনুষ্ঠান মনে করে এই রাতে আতশবাজি ফোটানো থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারের সদস্যকে দূরে রাখতে হবে।
  • শবে বরাতের রাতে এবাদত বন্দেগি না করে ঘোরাফেরা করা যাবে না এবং অশ্লীল কোন ধরনের কাজ করা যাবে না।

আমাদের শেষ কথা

শবে বরাতের রাতে কি ভাগ্য লেখা হয় কি না? এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। শবে বরাত হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি রাত। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই শবে বরাতের রাত সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। তাই আপনাদেরকে এই রাত সম্পর্কে জানানোর জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করে থাকি। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url