OrdinaryITPostAd

পাকা কলা খাওয়ার ২১ উপকারিতা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও ৪ অপকারিতা

খেজুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতাপাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা জেনে তারপরে কলা খাবেন। কলা আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি ফল কিন্তু আমরা এর সাথে পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কও জানিনা। তাই এই আর্টিকেলে আমরা বিষয় গুলো বিস্তারিত জানবো।

পাকা-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা

আপনি যদি নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে এর সাথে পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা ও জানতে হবে।

সূচিপত্রঃ পাকা কলা নিয়মিত খাওয়ার উপকারিতা - পাকা কলা খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা কয়জন জানি? সাধারণত এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যার কারণে আমরা নিয়মিত পাকা কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু এই পাকা কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জেনে নিতে হবে এর মধ্যে কি কি উপাদান আছে? পাকা কলা কি আদৌ আমাদের শরীরের জন্য পুষ্টিকর কিনা?

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে
  • শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে
  • শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগান দেয়
  • মলদ্বারের সমস্যার সমাধানে
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে -- আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে এবং আপনি ওজন নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনার জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান হল কলা। যদি নিয়মিত কলা খেতে পারেন তাহলে এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে -- আমাদের শরীরে লবণের প্রয়োজন আছে। সাধারণত লবণ এর উৎস হলো আয়োডিন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন। যা আমাদের শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই আপনার উচিত নিয়মিত কলা খাওয়া।

আরো পড়ুনঃ কিসমিসের ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগান দেয় -- শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তির প্রয়োজন। যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান অথবা শরীরের শক্তি বাড়াতে চান তাহলে শরীরচর্চা করার পরে নিয়মিত দুইটি অথবা তিনটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শক্তি বাড়বে।

মলদ্বারের সমস্যার সমাধানে -- আমরা সাধারণত মলদ্বারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে ভোগে থাকি। মলদ্বারে ইনফেকশন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। যদি আপনি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চান তাহলে নিয়মিত কলা খাদ্য তালিকায় রাখুন। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা মলদ্বারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় -- বর্তমান সময়ে যে সকল জটিল রোগ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে হৃদরোগ হলো সবথেকে জটিল। বিভিন্ন খাবার আছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদরোগ হয়ে থাকে। যদি আপনি নিয়মিত কলা খেতে পারেন তাহলে কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম সোডিয়াম এর মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি উপকারিতা উল্লেখ করেছি। যেহেতু পাকা কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এবং এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের উচিত নিয়মিত কলা খাওয়া। সকালে কলা খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • পেশিতে টান পড়া কমায়
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • রক্তচাপ কমায়
  • হতাশা দূর করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

পেশিতে টান পড়া কমায় -- অনেক সময় আমাদের শরীরে যদি ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি দেখা দেই তাহলে পেশিতে টান পড়ে যায়। এখন আপনি যদি পেশিতে টান পড়া কমাতে চান তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে। এই খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলা এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের পেশিতে টান পড়া কমায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে -- মরণব্যাধি রোগ হল ক্যান্সার। যদি আপনি এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খেতে হবে। যে সকল খাবার এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি উপাদান সেগুলো নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে তাহলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সহজ হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে -- আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকুক। এখন আপনি যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এই পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলা। যদি নিয়মিত কলা খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে -- রক্তস্বল্পতা হলো এক ধরনের রোগ। সাধারণত আমাদের শরীরে পুষ্টি গুণের অভাবে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। পাকা কলা নিয়মিত খাওয়ার ফলে এর মধ্যে থাকা আয়রন আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমায় -- যাদের উচ্চ রক্তচাপ অথবা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত বিশেষ করে সকালে। যদি আমরা প্রতিদিন সকালে পাকা কলা খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের রক্তনালীতে থাকা ব্লক দূর করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে এবং রক্তচাপ কমায়।

হতাশা দূর করে -- বিভিন্ন কারণে আমরা অতিরিক্ত হতাশার মধ্যে থাকি। যদি আপনি হতাশার দূর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফাঁকা কলা খেতে হবে। নিয়মিত পাকা কলা খেলে হতাশা দূর করে মন সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে -- কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হল কলা। তাদের হজমের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয়ে থাকে। যদি আপনি এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত কলা খাবেন তাহলে আপনার হজম শক্তি ভালো হবে। হজম শক্তি ভালো হলে অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। যদি আপনি প্রতিদিন রাতে একটি করে পাকা কলা খেয়ে ঘুমাতে পারেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে সেটা অনেকেই মনে করে থাকে। কিন্তু আদৌ কি এ কথাটি সম্পূর্ণ সত্য? যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলটি কলা নিয়ে তাই বিস্তারিতভাবে বিষয়টি জানবো।

সাধারণত আমাদের দাদী নানীরা আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকতো যে রাতের বেলা ফল খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত আমরা মনে করতাম রাতে ফল খেলে হয়তোবা আমাদের শরীরের কোন সমস্যা হবে। কিন্তু এই বিষয়টি সম্পূর্ণ একটা ভুল ধারণা। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং খনিজ সমূহ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু বিষয় হচ্ছে রাতে কলা খেলে কি সমস্যা? সাধারণত কলা ঠান্ডা একটি ফল। যেন আমাদের ঠান্ডা না লেগে যায় সাধারণত তাই দাদী নানীরা আমাদের রাতে কলা খেতে নিষেধ করতেন। তাছাড়া কলা হজম হতে একটু বেশি সময় লাগে তাই এটি খাওয়ার পরে একটু অলসতা ভাব আসতে পারে। কলা এমন একটি ফল যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এবং এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কলা খাওয়ার ফলে এটি আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে শক্তি যোগায়। এছাড়া বেশ কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো সমাধানে কলা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে সাধারণত তাদের রাতে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ করে শরীর চর্চা করার পরে সকালে এবং বিকেলে বেশি করে কলা খাওয়া উচিত।

নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। খোলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এছাড়া আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে এবং আমাদের পেটের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করে সাধারণত তাদের জন্য কলা উপকারী ফল।

নিয়মিত-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন এবং সারাদিন ক্লান্তিকর কাজ করেন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কলা খাওয়া উচিত। গভীর রাতে না খেয়ে সন্ধ্যাবেলা অথবা বিকেল বেলা খেলে খুব উপকারী পাওয়া যায়। কারণ এটি বেশি শক্তি বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত বিশেষ করে সকালে এবং বিকেলে।

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। কলার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কাঁঠালি কলা। কাটা যেমন পুষ্টিকর ফল ঠিক তেমন সুস্বাদু। সাধারণত আমরা নাস্তা হিসেবে কলা বেশি খেয়ে থাকি। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার।

  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। নিয়মিত কলা খেলে এটি ডায়াবেটিস সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত কলা খায় তাহলে এনার্জি সমস্যা তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।
  • কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড় শক্ত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • কলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং অন্যান্য আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার দূর করতে কার্যকরী হবে তা রাখে।
  • যাদের হজম সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত কলা খেতে পারে তাহলে এটি তাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা

দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেকে জানতে চাই বিশেষ করে যারা এই ধরনের খাবার বেশি খেয়ে থাকে। সাধারণত আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের পিতা মাতা আমাদেরকে দুধ এবং কলা একসাথে মাখিয়ে খাইয়েছিল। আপনি যদি সুস্বাস্থ্য পেতে চান তাহলে দুধ এবং কলা খেতে হবে কারণ এটি অনেক বেশি উপকারী। এ দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার আছে।

আমরা জানি যে দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এ ছাড়া আরো পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ফাইবার এবং পুষ্টি উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কলার মধ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর সকল উপাদান। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

এ ছাড়া কলার মধ্যে আরো পাওয়া যায় ভিটামিন বি, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম সহ আরো অন্যান্য উপাদান। যদি আমরা নিয়মিত এই দুধ এবং কলা একসাথে মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে। যাদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাচ্ছে সাধারণত তারা দুধ এবং কলা একসাথে মিশিয়ে খেতে পারে এতে করে ওজন কমতে শুরু করবে।

পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। যে ফলের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা পাওয়া যায়। যেহেতু কলা খুবই সহজলভ্য একটি ফল এবং সবাই খেয়ে থাকে তাই অবশ্যই আমাদেরকে কলা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

  • অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কলা না খাওয়া উচিত।
  • কলা সাধারণত ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে এটি আমাদের শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • যদি আপনার ঠান্ডা লেগে থাকে অথবা আপনার আগে থেকে ঠান্ডার জন্যই তো কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অতিরিক্ত কলা এবং রাতে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • কলার মধ্যে সুগারের মাত্রা অনেক বেশি থাকে তাই অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। না হলে আপনার দাঁতের সমস্যা হতে পারে।

পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম

পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম জেনে তারপরে আমাদেরকে কলা খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। কলা খাওয়ার সঠিক কিছু নিয়ম রয়েছে এবং সময় রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে এই সময়ে খেতে হবে। না হলে ঠান্ডা জনিত অথবা অন্য কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার ২৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি যদি কোন নাস্তা পছন্দ করে থাকেন যেমন রুটি তাহলে এই খাবারের সাথে আপনি কলা খেতে পারেন। সকালে খাবারের সঙ্গে কলা খাওয়া উচিত। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে। এছাড়া আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খান তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত? বিষয়টি জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ অতিরিক্ত কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে কেউ যদি অতিরিক্ত কলা খেয়ে ফেলে তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়া হজম শক্তি কমে যেতে পারে এবং পেট খারাপ হতে পারে।

দিনে-কয়টি-কলা-খাওয়া-উচিত

যেহেতু কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম তাই অতিরিক্ত কলা খেলে আমাদের রক্তের পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে মাঝারি সাইজের ২ টি কলা খাওয়া উচিত এর বেশি খাওয়া একেবারে উচিত নয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক অথবা অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তারা একটি কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সহ সকালে কলা খেলে কি হবে এবং রাতে কলা খেলে কি হবে? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন এবং কলা খেতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া উচিত। এ বিষয়গুলো জেনে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।

সাধারণত যারা কলা খেতে বেশি পছন্দ করে থাকে তাদের উদ্দেশ্যেই আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা। আশা করি আপনারা এখান থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url