OrdinaryITPostAd

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় ধাপের বিস্তারিত

আপনি ইউটিউব চ্যানেলটি খোলার পর সেটিং ঠিক করেছেন কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানেন না তাই তো? তাহলে চিন্তা করার কিছু নেই ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় সম্পর্কে আমি আপনাকে একটি ধারনা দিব। তাহলে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি এ বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। 

ইউটিউব চ্যানেল সুরক্ষার জন্য ভেরিফিকেশন করতে হয়। যার কারনে আমাদের চ্যানেলটি সুরক্ষিত থাকে কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় বা ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে অনেকে জানেন আবার অনেকে জানেন না। তাই ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি এ বিষয় সম্পর্কে বেসিক থেকে আলোচনা শুরু করি চলুন। 

পেজ সূচিপত্রঃ 

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন কি

এখন আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন কি এবং ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি? ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন বলতে মোবাইল নাম্বার এবং জিমেইল এর মাধ্যমে কোড সাবমিট করে নিরাপত্তা বাড়ানোর একটি পদ্ধতি। ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করার মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেলটিকে আরো নিরাপত্তার বিষয়ে মজবুত করতে পারবেন। আর আমরা অনেক সময় ভেরিফিকেশন কথা শুনলেই মাথায় আসে যে কোড প্রদানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যে আপনি সেই অ্যাকাউন্ট এর মালিক। আর ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে আপনার জিমেইল এবং ফোন নাম্বার দিয়ে যে ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সম্পূর্ণ করা হয় সেটি হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন। 

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন না করলে কি হবে

ইউটিউব চ্যানেল এর সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি আর আপনি যদি আপনার চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন না করেন তাহলে কি কি সমস্যা হতে পারে এ বিষয়ে হয়তো আপনি জানেন না। কিন্তু চিন্তা করার কোনো কারণ নেই এ বিষয়ে আপনাকে জানানোর জন্য আমরা তো আছি। ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন না করলে যে সব হতে পারে তার বর্ণনা নিচে দেওয়া হল। 
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন না করলে যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে সেটি হচ্ছে আপনার চ্যানেলটি হারাতে পারেন। কারণ আপনার চ্যানেলটি যদি ভেরিফিকেশন না করেন তাহলে যে কোন ফিশিং লিংক প্রদানের মাধ্যমে আপনার চ্যানেলটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। এবং আপনার চ্যানেলটি হাতিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আপনার সকল কন্টেনগুলো ডিলিট করতে পারে। তাই নিজের চ্যানেলে সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত জরুরী।  

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি

এতক্ষণে আপনি ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন এবং ভেরিফিকেশন না করলে কি হবে এ বিষয় সম্পর্কে জানলেন। কিন্তু আপনি হয়তো এখন চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করবেন বা ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি? ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব ক্রিয়েটর স্টুডিও সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন সহজ হবে। 
এছাড়া আপনি ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ থেকে অথবা মোবাইল ফোনের ব্রাউজারে গিয়ে আপনার চ্যানেলটি লগইন করে সেখান থেকে ডেক্সটপ সাইট ওপেন করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ফোন নাম্বার সেখানে চাইবে এবং সেই কোডটি সাবমিট করে দিলে আপনার চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়ে যাবে। 

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন এর গুরুত্ব কতটুকু

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন এর গুরুত্ব কতটুকু এ বিষয় সম্পর্কে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কেননা আপনি উপরে পড়ে আসছেন যে কেন আমরা ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করব তার মধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্ব লুকিয়ে রয়েছে। কারণ আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন করেন সে ক্ষেত্রে চ্যানেল নিয়ে আপনার আর কোন চিন্তা থাকবে না। আর আপনার চ্যানেলের ক্রাইটেরিয়া গুলো ফুলফিল হওয়ার পর আপনি যদি মনিটাইজেশন এর এপ্লাই করেন বা আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন থাকতে হয়। তাই ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি এ বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরী।
আপনার চ্যানেল যদি টু স্টেপ ভেরিফিকেশন না করেন তাহলে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন এর অযোগ্য হবে। যেহেতু আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই শর্ত থাকবে বা আপনার ভিতরে আশা থাকবে যে আপনি ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করবেন। কিন্তু আপনার চ্যানেলটি যদি ভেরিফিকেশন না করেন সেক্ষেত্রে আপনি মনিটাইজেশন এর আবেদন করলে আপনার চ্যানেলটি অযোগ্য চ্যানেল হিসেবে গণ্য হতে পারে সে ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন এর গুরুত্ব কতটুকু আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। 

কিভাবে বুঝবেন আপনার চ্যানেলটি সুরক্ষিত

এতক্ষণ আপনি জানলেন ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি এবং ভেরিফিকেশন করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি ধরে নিচ্ছি আপনি আপনার চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন করেছেন কিন্তু কিভাবে বুঝবেন যে আপনার চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন হয়েছে এবং আপনার চ্যানেলটি সুরক্ষিত। আর আপনার চ্যানেলটি আরো অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
তার মধ্যে অথেন্টিকেটর অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। আর আপনার জিমেইলের পাসওয়ার্ড সব সময় ইউনিক এবং স্ট্রং পাসওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার চ্যানেলটি সুরক্ষিত থাকবে। আপনি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমেই ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং ইউটিউব ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত আরো বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন তাই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে শেয়ার করুন আপনার ফেসবুকে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার কোন প্লাটফর্মে। ধন্যবাদ job id=26205

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url