OrdinaryITPostAd

১০ উপায়ে যেভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন

কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন? তা জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন? সে বিষয়ে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন?

পেজ সূচিপত্র: কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন

ভূমিকা 

দিনে দিনে ইউটিউব মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেননা অন্যান্য অনলাইন মার্কেটিং এর চেয়ে ইউটিউব মার্কেটিং অনেক বেশি ফলপ্রসু। তাই সঠিক পন্থায় ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারলে তা আপনার ব্যবসার জন্য অনেক ভালো হবে। 

সঠিক পন্থায় ইউটিউবে মার্কেটিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন? কেননা, না জেনে না বুঝে মার্কেটিং করতে গেলে লোকসানের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ইউটিউব মার্কেটিং করার সুবিধা সমূহ

ইউটিউব মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সঠিক নিয়মে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারলে সেই সুযোগ সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন। ইউটিউব মার্কেটিং এর যে সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। 
  • অনেক বেশি মানুষের কাছে মার্কেটিং করা যায়।
  • অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে অধিক ইংগেজিং।
  • মনিটাইজেশন এর সুবিধা রয়েছে।
  • ক্রিয়েটিভ আউটলেট তৈরি করা যায়।
  • পণ্য বা সেবা বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • পার্সোনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায় নেটওয়ার্কিং।
  • অডিয়েন্সদের ইনফ্লুয়েন্স করার সুযোগ থাকে।
  • সহজেই টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজে পাওয়া যায়। 
  • ইউটিউব মার্কেটিং এর পরিধি অনেক বড়।

ইউটিউব মার্কেটিংএর প্রকার সমূহ

ইউটিউব মার্কেটিং এর অনেকগুলো প্রকার-প্রকরণ রয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইউটিউব মার্কেটিং করা যায়। আর্টিকেলটির এই অংশে ইউটিউব মার্কেটিংএর প্রকার সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। 

আসুন দেখে নেয়া যাক, ইউটিউব মার্কেটিংএর প্রকার সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন? সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। 

ভিডিও অ্যাডস: ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্যতম একটি উপায় হল ভিডিও অ্যাড। ইউটিউব ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট, তাই এখানে ভিডিও অ্যাড অধিক কার্যকর। আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও অ্যাড পরিচালনা করতে হবে। 

আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও অ্যাড চালাতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পেইড ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। আর পেইড ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট হারে ফি প্রদান করতে হবে। 

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: ইউটিউব মার্কেটিং করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হল জনপ্রিয় ইউটিউবারদের মাধ্যমে আপনার পণ্য কিংবা সেবার প্রচারণা চালানো। 

অর্থাৎ যেই নিস নিয়ে কাজ করেন, সেই নিসের জনপ্রিয় ইউটিউবারদের কে কিছু টাকা প্রদান করার মাধ্যমে তার ভিডিওতে আপনার সেবা কিংবা প্রোডাক্টের ব্যাপারে তথ্য তুলে ধরবে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অল্প টাকায় অধিক পরিমাণে প্রফিট করা সম্ভব। 

প্রোডাক্ট রিভিউ: ইউটিউব মার্কেটিং করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো প্রোডাক্ট রিভিউ। অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রিভিউ করে থাকে। সেই ইউটিউবারদেরকে কিছু টাকা প্রদান করে, আপনি আপনার পণ্য কিংবা সেবার পজিটিভ রিভিউ করিয়ে নিতে পারেন। 
এতে করে প্রচুর মানুষের কাছে আপনার সেবা বা পণ্যের ব্যাপারে ইতিবাচক তথ্য পৌঁছে যাবে। যা আপনার সেবা কিংবা পণ্যের বিক্রি অনেক বেশি বৃদ্ধি করবে। অনেকেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কয়েকগুণ বিক্রি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। 

ব্রান্ড চ্যানেল: আপনি আপনার কোম্পানির নামে ব্রান্ড চ্যানেল খুলতে পারেন। ব্র্যান্ড চ্যানেলের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করার সব থেকে বড় সুবিধা হল এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। অর্থাৎ আপনি আপনার ব্রান্ড ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে পারবেন। 

স্পন্সার্ড কন্টেন্ট: আপনি যদি ইউটিউবে মার্কেটিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট কিংবা সেবা সম্পর্কিত কন্টেন্ট স্পন্সর করে দিতে পারেন। স্পন্সর করলে, আপনার সেই কন্টেন্ট নিস রিলেটেড ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে যাবে। এর ফলে কনভার্শন এর রেট অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর আপনি প্রফিট করতে পারবেন আরও বেশি। 

কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন

ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে, অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে। নিচে উল্লেখিত পদ্ধতি কোন অনুসরণ না করলে সঠিক ভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারবেন না। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন? 
  • লক্ষ নির্ধারণ করুন: ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া যদি আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করেন, তাহলে কিন্তু টাকা ও সময় দুটোই নষ্ট হবে, আপনি কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই ইউটিউব মার্কেটিং করার পূর্বে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • টার্গেটেড অডিয়েন্স নির্বাচন করুন: ইউটিউব মার্কেটিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট অডিয়েন্স নির্বাচন করতে হবে। আপনার যে ধরনের প্রোডাক্ট বা সেবা রয়েছে সেই রিলেটেড অডিয়েন্স এর কাছে আপনার প্রোডাক্টের তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। আপনি যদি ভুল মানুষের কাছে আপনার পণ্যের প্রচারণা চালান তাহলে শুধু টাকাই খরচ হবে কোন প্রফিট আসবে না। তাই ইউটিউব মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে টার্গেটেড অডিয়েন্স নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 
  • গুগল এড একাউন্ট ক্রিয়েট করুন: আপনি যদি ইউটিউবে, পেইড মার্কেটিং করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি গুগল এড একাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। ইউটিউব যেহেতু গুগলের প্রোডাক্ট তাই ইউটিউবে এড রান করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে গুগল এড একাউন্ট ব্যবহার করে এড রান করতে হবে।  
  • হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করুন: আপনি যদি অর্গানিকভাবে আপনার পণ্য কিংবা সেবার মার্কেটিং করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। কনটেন্ট যদি হাই কোয়ালিটির না হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার কন্টেন্টের ভ্যালু কমে যাবে। আর ভ্যালুলেস কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার তেমন কোন উপকারে আসবেনা।  তাই অর্গানিকভাবে মার্কেটিং করতে চাইলে অবশ্যই হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। 
  • ভিডিও অপটিমাইজ করুন: অর্গানিকভাবে প্রোডাক্ট সেবার ইউটিউব মার্কেটিং করতে চাইলে আপনার ভিডিওগুলোকে এসইও অপটিমাইজ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলো কে এসইও অপটিমাইজ না করেন তাহলে কিন্তু সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে শো করবে না। আর সার্চ ইঞ্জিনে যদি আপনার কন্টেন্ট শো না করে সে ক্ষেত্রে কিন্তু সেই কন্টেন্ট থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তাই অর্গানিকভাবে প্রোডাক্ট কিং মার্কেটিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনার ভিডিওকে এসইও অপটিমাইজ করতে হবে। 
  • ফেস্টিভাল এবং ট্রেন্ড কভার করুন: ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সম্পর্কে কনটেন্ট তৈরি করলে তা অধিক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। ইউটিউব মার্কেটিং করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজি হল ট্রেন্ডিং এবং ফেস্টিভাল কাভার করা। ট্রেন্ড কভার করলে অল্প সময়ের মধ্যেই অধিক ভিউয়ার্স এর কাছে সেবা কিংবা পণ্যের তথ্য পৌঁছে দিতে পারবেন। 

শেষ কথা

কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন? আশা করি তা জানতে পেরেছেন। কেননা ইউটিউব মার্কেটিং এর যাবতীয় স্ট্রাটেজি সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন। 
আশা করি তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ইউটিউব মার্কেটিং সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url