OrdinaryITPostAd

জিলকদ মাসের রোজা কয়টি? রোজা রাখা যাবে কি না জেনে নিন

জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এ সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জিলকদ মাসের রোজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি সম্পর্কে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি

ভূমিকা

জিলকদ মাস মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস, তাই অনেকেই জানতে চায় জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এ সম্পর্কে। জিলকদ হলো আরবি চন্দ্র বছরের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ) দ্বিতীয় মাস। আরাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের তৃতীয় মাস হলো এই মাস। জেলকদ মাসে গুরুত্ব অনেক। তাই জিলকদ মাসে বেশি বেশি আমল করা উচিত। এই মাসগুলো হলো গুনাহ মাপের মাস।

তাই এই মাসগুলোকে বেশি বেশি আমল করে পার করা উচিত। হারাম চার মাস হলো মহররম (১ম মাস), রজব (৭ম মাস ), জিলকদ (১১তম মাস ) ও জিলহজ (১২তম মাস )। এই চার মাসের মধ্যে জিলকদ মাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই মাসগুলো আমলের মাধ্যমে কাটানো উচিত। চলুন তাহলে জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়লে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারবেন জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

জিলকদ মাসের রোজা রাখার ফজিলত

জিলকদ দুই ঈদের মধ্যবর্তী মাস। মাসটি আল্লাহর নির্ধারিত মর্যাদারো হজের মাস হিসেবে পরিগণিত। তবে অবস্থানগত কারণ ছাড়াও এ মাছটি ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গুরুত্ব ও ঐতিহাসিক স্মরণীয় ঘটনার কারণে মাস্টার রয়েছে অন্যান্য মর্যাদা। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে শুরু হবে গুরুত্বপূর্ণ মাস জিলকদ। জিলকদ মাসের রোজা রাখা সুন্নত। জিলকদ মাসে রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে জানার আগে আমাদের এ সম্পর্কে জানার খুব জরুরী যে জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি।
মুমিন মুসলমান রজব মাস থেকে শুরু করে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়াল মাসের ৬ রোজা পালন পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগীতে ব্যস্ত থাকে। আবার পরের মাসে হজ পালনকারীরা যেমন হজ ও ওমরা করবে, কোরবানি দাতারা পালন করবে জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা। তাই এ মাসটি মুমিন মুসলমানদের জন্য একটু বিশ্রাম নেওয়ার মাস। আল্লাহতালা এই মাসটিতে রোজা করার কোন নির্দেশ দেননি।

কারণ এই মাসটি হচ্ছে সবগুলো মাসের মধ্যে মুমিনদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার মাস। তবে গুরুত্বপূর্ণ চার মাসের মধ্যে জিলপদ মাস পরে। তাই জিলকদ মাসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক। আশা করি তাহলে বুঝতে পেরেছেন জিলকদ মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে।

জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি

এ ধাপটির মাধ্যমে জানতে পারবেন জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এর বিস্তারিত সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক। বছরের চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে জিলকদ মাসও পরে। আর তাই এ জিলকদ মাসে বেশি বেশি আমল করা দরকার। জিলকদ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা যায়। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিদের { আদি পিতা প্রথম নবী হযরত বাবা আদম (আ.)} সুন্নত রোজা রাখা। 

প্রতি সপ্তাহে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নবী রোজা পালন করা। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। সালাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং তার সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নামাজ পড়া। এগুলোর মাধ্যমে জিলকদ মাস পার করা উত্তম। দান খয়রাত বেশি বেশি করা।
জিলহজ মাসের নয়টি সুন্নত রোজা ও মহরম মাসের দশটি রোজার প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে কিছু নফল রোজাও করা। হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং কোরবানির প্রস্তুতি নেওয়া।

কেন জিলকদ মাসের রোজা রাখবেন

জিলকদ মাসের আমল হচ্ছে সুন্নত রোজা রাখা। প্রতি সপ্তাহে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববী রোজা পালন করা। অতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। কারণ জিলকদ মাস হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চার মাসের মধ্যে একটি। তবে জিলকদ মাসে আল্লাহ তায়ালার বিধান অনুযায়ী মুমিনদের জন্য বিশ্রামের মাস বলা হয়েছে।

রমজান মাসে ৩০ টি রোজা এবং শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখার পর এই জিলকদ মাসের মুমিনদের জন্য বিশ্রামের মাস বলা হয়েছে। জিলকদ মাস এর আগে চার মাস যেমন এবাদতের ব্যস্ততায় মশগুল থাকতে হয় ঠিক তেমনি জিলকদ মাসের দুই মাস পরেও ইবাদতে আকুল থাকতে হয়। 

তবে জিলকদ মাসে সুন্নত রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। যদি কেউ চায় তাহলে রোজা রাখতে পারে আবার যদি কেউ চায় বিশ্রাম নেবে এই মাসটি তাহলে তাও করতে পারে। কারণ মাসটি মোমিনদের জন্য হচ্ছে বিশ্রামের মাস।

জিলকদ মাসের কত তারিখে রোজা রাখা যাবে

জিলকদ মাস হচ্ছে মমিন ব্যক্তিদের জন্য বিশ্রামের মাস। কারণ দীর্ঘ রোজা এবং বিভিন্ন ইবাদত পালন করার পর এই মাসটি পড়ে দুই ঈদের মাঝখানে। 
আর তাই মুমিন ব্যক্তিদের জন্য এই মাসটি বিশ্রামের মাস হয়ে থাকে। তবে জিলকদ মাসে ইবাদত করা যায়। প্রতিমাসের মতো জিলকদ মাসেও ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নকল রোজা পালন করতে হয়। তবে চাঁদের ওপর ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বেদের আদি পিতা নবী হযরত আদম (আ.) সুন্নতে রোজা রাখা যায়।

প্রতি সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতি নববী রোজা পালন করা যায়। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা যায়। সালাতুল তাজবি এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে বেশি বেশি করে নফল নামাজও পড়া যায়। তাহলে বুঝতে পেরেছেন জিলকদ মাসের কোন কোন তারিখে রোজা রাখা যাবে।

উপসংহার

জিলকদ মাস হলো আরবি চন্দ্র বছরের একাদশ মাস। আর এটি হজের তিন মাসের মধ্যবর্তী মাস। আরাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের মধ্যে তৃতীয় মাস হল এই মাস। আর এই মাসটি হলো মুসলমানদের জন্য বিশ্রামের মাস। কেননা জিলকদ মাসের আগের চার মাস এবং পরের দুই মাস ইবাদতের মধ্যে আকুল থাকতে হয়।

যার কারণে এই মাসটি মুসলমানদের জন্য বিশ্রামের মাস বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি এই মাসটিতে অতিরিক্ত ইবাদত করতে না চায় তাহলে তা করতে পারবে। আবার কেউ যদি চায় এ মাসটিতে অতিরিক্ত ইবাদত করতে চায় তাহলে তাও করতে পারবে। এমনকি রোজাও রাখতে পারবে। আর এগুলোর মাধ্যমে এই জিলকদ মাস পালন করা যায়।

আশা করি তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি জিলকদ মাসের রোজা রাখা যাবে কি এর বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আপনাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সাথে পোস্টটি বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url