OrdinaryITPostAd

জিলকদ মাসের ৫টি সেরা আমল যা অন্য মাসে পাওয়া যায় না

বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে জানার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য ।

আপনারা যদি সম্পূর্ণ আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য

ভূমিকা

দুই ঈদের মধ্যবর্তী সময়কে জিলকদ মাস বলা হয় আর এই যিলকদ মাসে আল্লাহ তায়ালা বিশ্রামের মাস ও হারামের মাস ঘোষণা করেছেন। জিলকদ মাস কে আরামের মাস বা হারামের মাস ঘোষণা করার কারণ হলো মুসলমানরা এই মাসের আগে ও পরে অনেক এবাদত বন্দেগীতে মুশকুল থাকে। তাই আল্লাহ তা'আলা মুসলমানদের জন্য এই মাসকে বিশ্রামের মাস ঘোষণা করেছেন। এই মাসটি বিশ্রামের মাস হওয়া কারণে এই মাসে এবাদত করলে নেকি এবাদত না করলে গুনাহ নেই।

তবুও অনেকেই বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে জানতে চাই এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়।

বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য

জিলকদ মাস পবিত্র কুরআন কারীমে বর্ণিত বছরে চারটি সম্মানিত মাসের একটি। তাই এই সম্পর্কে জানার আগ্রহ মানুষের ভেতরে অনেক বেশি। অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এই সম্পর্কে খোঁজ করে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা সম্পর্কে।
বিশেষ ৫টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য-
  1. প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববীর রোজা পালন করা।
  2. প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা।
  3. সালাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া।
  4. হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
  5. কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

জিলকদ মাসের আমল ও করনীয়

বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এই নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল। আর এই ধাপটির মাধ্যমে জানতে পারবেন জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে। কুরআনে ঘোষিত আছে চারটি হারাম মাসের কথা। আর এই চারটি হারাম মাসের মধ্যে হচ্ছে জিলকদ মাস একটি। আর এই মাসের আগে চার মাস যেমন ইবাদত বন্দুকের মাস তেমনি এর পরের মাসেও মুমিনগণ ইবাদতে আকুল থাকে। তবে এই মাসেও কিছু কিছু আমল করা যায়। যেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি। জিলকদ মাসে রোজাও করা যায় এবং তার সাথে বেশি বেশি নামাজ পড়া যায়। জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।

জিলকদ মাসের আমল গুলো হল:
  1. এই মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখ রোজা পালন করা।
  2. জিলকদ মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামের বীজের রোজা পালন করা।
  3. সোম ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সুন্নত রোজা পালন করা।
  4. কুরআন তেলাওয়াত করা ও সালাতুত তাসবিহ আদায় করা।
  5. সম্ভব হলে ওমরাহ পালন করা।
  6. হজের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
  7. কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

জিলকদ মাসের গুরুত্ব


আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি হল বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এর বিস্তারিত সম্পর্কে। হিজরী সনের ১১ তম মাস জিলকদ। হজের তিন মাসের দ্বিতীয় মাসও এটি। ইসলামে নিষিদ্ধ যে চার মাস রয়েছে তার মধ্যে একটি এ জিলকদ মাস। ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী (সা.) জীবনে যে কয়টি ওমরা করেছেন তার সবকটি করেছেন এ জিলকদ মাসে। এ মাসে সংঘটিত হয়েছিল হুদাইবিয়ার সন্ধি ও বাইয়াতে রিদওয়ান।
রমজান পরবর্তী ঈদের মাস সাওয়াল ও হজের মাস জিলহজের আগের মাস হওয়ায় জিলকদ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। জিলকদ মাসটির প্রকৃত নাম হল জুল-আল কাআদাহ। জিলকদ মাস হল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। তাই এই মাসে বেশি বেশি করে আমল করা উচিত।  যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ মাস আছে তার মধ্যে জিলকদ মাসেও পড়ে। কারণ এ সময় অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। আরো অনেক কারণে এই জিলকদ মাসের গুরুত্ব অনেক।

জিলকদ মাসের তাৎপর্য

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক জিলকদ মাসের তাৎপর্য সম্পর্কে। জিলকদ মাসের অনেক ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই সময় আরবের লোকজন বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত, যুদ্ধ থেকে ফিরে আসতো, তাই এই মাস বিশ্রামের মাস। ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টাই স্থানীয় আরবের লোকজনের হাতে তেমন কোন কাজ থাকতো না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকতো এবং অন্যায় অপরাধ থেকেও বিরত থাকতো। এসব কারণে এই মাসের নাম জিলকদ। আর তাই জিলকদ মাসে ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ। আর তাই জিলকদ মাসকেও নিষিদ্ধ চার মাসের মধ্যে ধরা হয়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে যে কয়টি ওমরা করেছেন তার সব কয়টি করেছে এ জিলকদ মাসে।

এ মাসে সংঘটিত হয়েছিল হুদাইবিহার সন্ধি ও বাইয়াতের রিদওয়ান। তবে এ মাসে নির্দিষ্ট কোন ফরজ ওয়াজিব ও সুন্নত এবাদত ও আমল নেই। মুসলিম উম্মাহো যেন ইবাদতের মাস গুলো অতিবাহিত করে সামনে হদ ও রোজার প্রস্তুতি নেওয়ার পথে কোন যুদ্ধবিগ্রহ তথা বিশ্রামের ঘাটতি না হয় সে কারণে এ মাসে সব ধরনের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ নিষিদ্ধ করে হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য আরবের লোকেরা তৎকালীন সময়ে ঝিলকদ মাসে বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত এবং যুদ্ধ থেকে ফিরে আসত এবং বিশ্রাম গ্রহণ করত তাছাড়া ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টা স্থানীয় আরবদের লোকজনের হাতে তেমন কোন কাজও থাকতো না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকতে এবং অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত থাকতো এসব কারণেও এই মাসকে জিলকদ বলা হয়।

জিলকদ ইবাদতের প্রস্তুতিমূলক বিশ্রামের মাস কেন

জিলকদ মাসের প্রকৃত আরবি নাম হলো জুলাকাআদাহ। ফারসিতে জিলকাআদা, উর্দুতে জিলকাআদ, বাংলায় জিলকৎ রূপ ধারণ করেছে। জিলকদ অর্থ হলো বর্ষা বা স্থির হওয়া অথবা বিশ্রাম নেওয়া। জিলকদ মাসের আগের চার মাস (রজব, সাবান, রমজান, শাওয়াল) ধারাবাহিক নির্ধারিত ইবাদতে ব্যস্ততম মাস। যেমন- রজব হলো আল্লাহর মাস, ইবাদতের ভূমিকর্ষণের মাস, বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাস। সাবান হলো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাস, ইবাদতের বীজ বপণের মাস, নিসফ সাবান বা শবে বরাত এবং সর্বাধিক নফল রোজা ও নফল এবাদতের মাস।
রমজান হলো উম্মতের মাস, ফসল তোলার মাস, ফরজ রোজা করার মাস, তারাবির নামাজ পড়ার মাস, কোরআন নাজিলের মাস, শবে কদরের মাস এবং ইবাদত তিলাওয়াতের মসগুল থাকার মাস। শাওয়াল মাস হল ঈদুল ফিতর, সৎকাতুল ফিতর ও নির্ধারিত শূন্য ছয় রোজার মাস জিলকদ মাসের পরের দুই মাস জিলহজ মাস ও মহরম মাস হল ইবাদতে ব্যস্ততম মাস। অর্থাৎ জিলকদ মাসের আগের চার মাস যেমন ইবাদতে ব্যস্ততায় মশগুল থাকতে হয় তেমন দীর্ঘতম মাসের পরের দুই মাস ইবাদতে ব্যস্ত থাকতে হয়। যেহেতু মুমিন সামান্য বিশ্রামের ফুরসত পেয়ে থাকেন তাই এ মাসের নাম জিলকদ বা বিশ্রামের মাস।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন বিশেষ ৫ টি আমল শুধুমাত্র জিলকদ মাসের জন্য এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url