২০ উপায়ে যেন নিন কিভাবে কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়

আইটি ব্যবসা। আপনি যদি সফলভাবে আইটি ব্যবসা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন। কেননা বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যারা রয়েছে তাদের প্রথম সারির সবাই আইটি ব্যবসার সাথে যুক্ত। তাই আপনি কোটিপতি হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আইডি ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হতে হবে।

রিয়েল এস্টেট। কোটিপতি হওয়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা হলো রিয়েলষ্টেট ব্যবসা। আপনি যদি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে পারেন তাহলে সেই ব্যবসার মাধ্যমে অতি দ্রুত কোটিপতি হতে পারবেন। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় লোকসান এর সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। কেননা প্লট এবং ফ্ল্যাটের দাম সর্বদায় বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগ। অনেক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি আপনি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি কোটিপতি হতে পারেন।

অটো মোবাইল। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করার জন্য সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল অটোমোবাইলের ব্যবসা করা কেননা বর্তমান যুগ হচ্ছে যন্ত্রচালিত তাই এই সময়ে অটোমোবাইল এর চাহিদা অনেক বেশি আপনি যদি এই ব্যবসা সফল ভাবে করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত কোটিপতি হতে পারবেন। 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট। দারাজ, ইভ্যালি ইত্যাদি সাইটের মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে খুব সহজেই আপনি কোটিপতি হতে পারেন। তবে এ ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রাথমিকভাবে আপনাকে ভালো টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। 

ফ্যাশন ও খুচরা পণ্য। ফাশন সম্পর্কিত খুচরা পণ্য গুলো যদি বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশের বাজারে সেল করেন তাহলে সেই ব্যবসা থেকে ভাল প্রফিট করতে পারবেন। এমনকি এখন আর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকে ইনভেস্ট করার মতো তাহলে নিজেই কারখানা খুলে নিতে পারেন। 

কসমেটিকস ব্যবসা। বিশ্বের সকল শিল্পপতি রয়েছে তাদের প্রথম সারির কয়েকজন শুধুমাত্র কসমেটিকস এর ব্যবসা করে সে পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে কোটিপতি হতে চান তাহলে আপনার জন্য আদর্শ ব্যবস্থা হতে পারে কসমেটিকস এর ব্যবসা। 

গার্মেন্টস। গার্মেন্টস ব্যবসা করে খুব সহজেই কোটিপতি হওয়া যায় তবে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে বহু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। কিন্তু যখন আপনি পরিপূর্ণ উৎপাদন শুরু করবেন এরপর থেকে আপনার পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

সু এন্ড লেদার। আপনি যদি চামড়ার জুতো চামড়ার ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি পণ্য তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই অল্পদিনের মধ্যেই অবনীর কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন। 

সি ফুড। সি ফুডের চাহিদা বরাবরই অনেক বেশি। তাই আপনি যদি সি ফুড নিয়ে কাজ করতে চান,  তাহলে খুব সহজেই এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কোটিপতি হতে পারবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে পর্যটন সমৃদ্ধ নগরী গুলোতে সি ফুডের ব্যবসা রমরমা। 

ঝুট ব্যবসা। গার্মেন্টসের উচ্ছিষ্ট বা ঝুট ব্যবসা করে কিন্তু আপনি খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ঝুটগুলো ক্রয় করে নেয়। এমনকি বিদেশেও ঝুট রপ্তানি করা যায়। তাই ঝুট ব্যবসা হতে পারে কোটিপতি হওয়ার অন্যতম একটি উপায়। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিতে পারেন তাহলে বিভিন্ন প্রজেক্ট আপনার কাছে আসবে যা আপনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে এর বিনিময়ে আপনি ভালো টাকা পারিশ্রমিক পাবেন সুতরাং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হতে পারে আপনার জন্য কোটি টাকা উপার্জনের মাধ্যম। 

কনস্ট্রাকশন। কনস্ট্রাকশন এর কাজের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন কেননা বড় বড় কোম্পানি কিংবা ইন্ডাস্ট্রির কনস্ট্রাকশনের কাজ যদি আপনি নিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে ভালো টাকা প্রফিট করতে সক্ষম হবেন। 

সিরামিকস। আপনি যদি সেরামিকস ইন্ডাস্ট্রি দিতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন সেরামিকস ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক একটি ব্যবসা।তাই সিরামিকসের ব্যবসা করে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কোটিপতি হওয়া সম্ভব। 

প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি। বর্তমানে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ খুবই বিস্তৃত একটি ব্যবসা দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসের সাথে প্লাস্টিকের সম্পৃক্ততা রয়েছে তাই আপনি যদি প্লাস্টিক ব্যবসা করতে পারেন তাহলে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব সহজেই কোটিপতি হওয়া সম্ভব। 

গেজেট। নিত্য নতুন সব লেটেস্ট মডেলের গেজেটে যদি আপনি বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি করতে পারেন তাহলে এই গেজেট বিক্রির মাধ্যমে খুব সহজেই কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন।

স্মার্ট ফোন। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন আমদানি করে ডিলারের মাধ্যমে লোকাল মার্কেটে সেল করে খুব সহজেই আপনি কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। তবে বিদেশ থেকে স্মার্টফোন আমদানি করতে গেলে আপনাকে অনেক প্রসেসিং এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এবং বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ও কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ আমদানি করে সেগুলো আপনি যদি বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে বড় বড় দোকানে সেল করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে কোটিপতি হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। 

মোবাইল অ্যাপ। বড় বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ তৈরি করিয়ে নেয় সেক্ষেত্রে আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ নিজে তৈরি করতে পারেন তাহলে এই সার্ভিস দিয়ে খুব সহজে কোটিপতি হতে পারবেন। অথবা ডেভলপারের মাধ্যমে আপনাকে অ্যাপ বানিয়ে নিতে হবে এবং কোম্পানির কাছে সেল দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ডেভলপারকে পারিশ্রমিক দিয়ে বাকি টাকা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইট তৈরি। প্রতিনিয়তই ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তি-উদ্যোগে ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করার।  

আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে কোটিপতি হতে চান তাহলে আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে সামনের দিকে এগোতে হবে, চঞ্চলতা পরিহার করতে হবে। শুধু টাকার পেছনে এলোমেলোভাবে যদি আপনি ছোটাছুটি করেন এবং আপনার যদি নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি কখনই কোটিপতি হতে পারবেন না। কোটিপতি হওয়ার উপায় হিসেবে উপরে যে সকল বিষয় তুলে ধরা হলো আশা করি তাও আপনার ভালো লেগেছে। ১৬৪১৩