OrdinaryITPostAd

ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - পহেলা বৈশাখ পালন করা যাবে কি?

প্রিয় পাঠকগণ ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হবে। পহেলা বৈশাখ হল বাঙ্গালীদের উৎসব। তাই শুধু বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ পালন করে থাকে। ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

ভূমিকাঃ ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

প্রিয় পাঠকগণ আমরা প্রতি বছর বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেয়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব। এছাড়া পহেলা বৈশাখ পালন করা কি? পহেলা বৈশাখ কত তারিখ পালন করা হবে? এ বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।

ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

যেহেতু ভারতবর্ষের মুঘল সাম্রাজ্য পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকা গণনা শুরু করেন সেহেতু ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস রয়েছে কিছুটা। পহেলা বৈশাখ সাধারণত বাঙালিদের উৎসব। পহেলা বৈশাখে কোন ধরনের ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ থাকে না।আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এখন ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ পহেলা বৈশাখ মেসেজ - পহেলা বৈশাখ শুভেচ্ছা বাণী

ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। 

সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর ১৫৫৬ থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত।

এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া।

গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।

সংগ্রহীতঃ 

ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস এর পাতায় কিছুটা জানা যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সমৃদ্ধ নয় যেহেতু এই উৎসবটি হল বাঙালির উৎসব তাই ইসলামের সাথে এর সম্পর্ক নেই বললেই চলে। আপনাদের জন্য এখন আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের বাংলা নববর্ষ কবে - বাংলা নতুন বছর নববর্ষ ২০২৩

মুঘল সময় থেকেই পহেলা বৈশাখের বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠান করা হতো। এছাড়া বাংলা সকল ব্যবসায়ী ও দোকানদার পহেলা বৈশাখে হালখাতা করতেন। সম্রাট আকবর তার দরবারের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ হিজরি চন্দ্র বর্ষ বর্ষপঞ্জিরাকে সৌর বর্ষপঞ্জি তাদের রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ৯৯২ হিজরি মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর এই হিজরী সৌর বর্ষপঞ্জির প্রচলন করেন।

৯৯২ হিজরী সাল থেকে বাংলা সাল গণনা শুরু হয়। ইতিপূর্বেই বঙ্গে প্রচলিত বর্ষপঞ্জীতার প্রথম মাস ছিল চৈত্র মাস। কিন্তু ৯৬৩ হিজরী সালের মহররম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস এজন্য বৈশাখ মাসকে বাংলা বছরের প্রথম মাস এবং ১ লা বৈশাখকে নববর্ষ ধরা হয়। অনেক আগে থেকেই নববর্ষ উদযাপন করা হয় কিন্তু বর্তমানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এমন কিছু কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে যা বাঙালি ইতিপূর্বে করেনি।

পহেলা বৈশাখ পালন করা কি

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে পহেলা বৈশাখ পালন করা কি? আমরা এখন পহেলা বৈশাখ পালন করা কি? এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে পহেলা বৈশাখ পালন করা কি? বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বেপর্দা বেহায়াপনা, অশ্লীলতা এবং অনেকগুলো অপরাধ যুবক যুবলীদের অবাধ মেলামেশা সুযোগ হিসেবেই পহেলা বৈশাখ পরিচিত। কারণ এই দিনটিতে সকলেই বিভিন্ন রকম ভাবে উদযাপন করে থাকে এই সময় তারা কোন ধরনের ভালো-মন্দ বিষয়টি খেয়াল করে না। কিশোর কিশোরীরা এবং যুবক যুবতীরা বিভিন্ন রকম অপরাধে লিপ্ত হয়। অনেক ছেলে আছে যারা নেশা করে থাকে এই দিনটি উপলক্ষে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, " তোমরা নিজেরা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করো এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর। যারা ইন্দন হবে মানুষ ও পাথর, যার ওপর নিয়োজিত রয়েছে কঠোর হৃদয় সম্পূর্ণ ফেরেশতাগণ, তারা আল্লাহু যার নির্দেশ করেন তা বাস্তবায়নে অবাধ্য হন না, আর তাদের যা নির্দেশ প্রদান করা হয় তাই তামিল করে"।

এই দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের খারাপ কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। নারী পুরুষের অভাব মেলামেশা বেড়ে যায়। তাই আমরা বলতে পারি যে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণরূপে হারাম। আশা করি আপনি পহেলা বৈশাখ পালন করা কি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ পালন করা হবে?

অনেকে প্রশ্ন করে থাকে পহেলা বৈশাখ কত তারিখ পালন করা হবে? উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যেই ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা পহেলা বৈশাখ কত তারিখ পালন করা হবে এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি এখান থেকে পহেলা বৈশাখ কত তারিখ পালন করা হবে? বিষয়টি জানতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা ০৯ টি - পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা

প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়। ১৩ এপ্রিল চৈত্র মাসের শেষ দিন থাকে এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ থাকে তাই এই দিনটিতে নববর্ষ পালন করা হয়। তাই এই বছরও এ বিপরীত না হয়ে ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ পালন করা হবে।

আমাদের শেষ কথাঃ ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ইসলামে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস, ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস, পহেলা বৈশাখ পালন করা কি? পহেলা বৈশাখ কত তারিখ পালন করা হবে? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url