২০টি উপায়ে বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার ব্যবসা করার উপায়

বাংলাদেশ ব্যবসা করে যদি আপনি কোটিপতি হতে চান তাহলে সেটা অসম্ভব নয়। কেননা বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তাই চাইলে আপনিও কোটিপতির তালিকায় নিজের নাম লেখাতে পারেন। তবে কোটিপতি হতে চাইলে যে আপনের কোটিপতি হয়ে যাবেন সেটা কিন্তু নয়। কোটিপতি হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য স্থির করে সেই লোকটার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে। 

বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা করার মাধ্যমে কিভাবে খুব সহজে আপনের কোটিপতি হতে পারেন সেই ব্যাপারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।  নিম্নবর্ণিত উপায়গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় খুব সহজেই কোটিপতি হয়ে যাবেন।

ই-কমার্স। আপনি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এবং ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দারাজ, ইভ্যালি ইত্যাদি। এই সাইটগুলোর বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর টাকা ইনকাম করে থাকে।

ব্লগিং। বাংলাদেশে অনেক সফল ব্লগার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ব্লগিং করে প্রতি মাসে কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। তাই আপনি চাইলে ব্লগিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ব্লগিং শিখতে চান তাহলে বাংলাদেশের সেরা আইটি কম্পানি অর্ডিনারি আইটি থেকে এডসেন্স ব্লগিং কোর্স করতে পারেন।

হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা বর্তমানে খুবই লাভজনক একটি অবশ্যই এই ব্যবসাটি যদি আপনি সফলভাবে করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন। হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। 

ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস। বর্তমানে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে বা ভ্রমণ করতে যায় তাই আপনি যদি ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর ব্যবসা করতে পারেন তাহলেই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন। কেননা এই ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা।

এক্সপোর্ট - ইমপোর্ট। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট এর ব্যাবসা সফল ভাবে করতে পারেন তাহলে এই ব্যবস্থা থেকে প্রচুর টাকা মুনাফা করা সম্ভব এবং সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনি কোটিপতি হতে পারবেন। 

ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা। ডিজিটাল বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই ব্যবসার মাধ্যমে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন। 

টাইলস কোম্পানি। বড় বড় ভবন থেকে শুরু করে ছোট ছোট ঘর পর্যন্ত টাইলসের ব্যবহার রয়েছে। তাই আপনি যদি টাইমসের কোম্পানি খুলতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন। কেননা টাইলস খুবই চলমান একটি পণ্য। 

ব্রিকস। ব্রিকস বা ইট তৈরীর কারখানা অর্থাৎ ইটের ভাটা যদি আপনি দিতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই অপনি কোটিপতি হয়ে যেতে পারবে না কেননা বর্তমানে ইটের চাহিদা অনেক বেশি সকলেই এখন পাকা ঘরে থাকতে পছন্দ করে। 

রড সিমেন্টের ব্যবসা। রড সিমেন্টের ব্যবসা তো এখন অনেক বড় আপনি যদি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে রড সিমেন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ব্যবসা থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ট্রান্সপোর্টেশন। ট্রানস্পর্টেশন অর্থাৎ আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিসের মতো সার্ভিস চালু করতে পারেন তাহলে ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনি অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। 

সিমেন্টের কারখানা। সিমেন্টের কারখানা দিয়ে খুব সহজেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কোটিপতি হওয়া সম্ভব। বর্তমানে শিল্পায়নের এই যুগে সিমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য তাই এ ধরনের ট্রেন্ডিং পণ্য নিয়ে যদি আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। 

ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মাধ্যমে খুব সহজেই কিন্তু আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি রোগীর সাধারণকে ভালো সেবা দিতে পারেন এবং উন্নতমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিস্টেম রাখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে কোটি কোটি টাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আপনার যদি ইনভেস্ট করার মতো পর্যাপ্ত টাকা থাকে তাহলে আপনি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি দিতে পারেন। কেননা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে খুব সহজেই আপনি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

গার্মেন্টস ব্যবসা। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হলো গার্মেন্টস ব্যবসা। আপনি যদি গার্মেন্টস কারখানা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই সেখান থেকে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই অল্প দিনেই কোটিপতি হওয়ার অন্যতম উপায় হতে পারে গার্মেন্টস ব্যবসা। 

পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা। কাপড়ের পাইকারী ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা তাই আপনার যদি ইনভেস্ট করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকে তাহলে আপনি কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। আশা করা যায় এই ব্যবসার মাধ্যমে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনি কোটিপতি হতে পারবেন।

কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা। কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কৃষকদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে এবং প্রতিদিন তাদের থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হবে। এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। তাই এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি কোটিপতি হতে পারেন। 

সহজে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্য স্থির করে যদি আপনি সামনের দিকে এগোতে পারেন তাহলে আশা করা যায় কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যেই আপনি কোটিপতি হতে পারবেন তবে কোটিপতি হতে চাইলে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করে যেতে হবে। ১৬৪১৩