OrdinaryITPostAd

মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ১০০০ শব্দে

আপনি কি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য কিভাবে দিবেন বা মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্যের নমুনা দেখতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের দেখানো হবে কিভাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেওয়া যায়। তাহলে দেখে নিন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য সম্পর্কে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
নিচে আপনাদের জন্য স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা, স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেখে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা - আমরা যে এখন স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করছি এই বাংলাদেশ পূর্বে স্বাধীন ছিল না। ১৯৭১ সালের পূর্বে বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। তখন একটি দেশ ছিল নাম পাকিস্তান যার দুটি অংশের একটি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান এবং অপরটি হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান।তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নানা দিক থেকে বৈষম্যের শিকার হত। সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পেত পশ্চিম পাকিস্তানিরা।
এমনকি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ নির্বাচনে জয়লাভ করলেও তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি পশ্চিম পাকিস্তানীরা। এই বিষয়টি নিয়ে এবং বৈষম্যের শিকার হতে বাঁচতে পূর্ব পাকিস্তানিরা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গনহত্যার রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পূর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনরার ঘোষণা দেন। এভাবেই দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এই স্বাধীনতা যদি আজ লাভ না করতো তাহলে আমাদের এই দেশ এবং দেশের মানুষ আজীবন শোষণ হয়েই যেত। এই ছিল স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা এবার চলুন স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য দেখে নিন।

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অনেক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হলো ২৬ মার্চ। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটিকে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের জন্মদিন। ২৫শে মার্চ গণহত্যার রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পূর্বে রাতের শেষ প্রহরে বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন।
আমাদের এই বাংলাদেশটি স্বাধীন হয়েছে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে। কৃষক শ্রমিক শিক্ষক ছাত্র সকলের প্রাণঢালা অবদান রয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে। আজকে আমরা স্বাধীন, আমাদের দেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি, স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করতে পারি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

স্বাধীনতা দিবসের দিন আমাদের দেশে অনেক জায়গায় যেমন স্কুল-কলেজে অথবা কোন সম্মেলনে অথবা কোন অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দিতে হয়। এখন অনেকের রয়েছেন যারা মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দিবেন কিন্তু কিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বলবেন তা নিয়ে ভাবছেন।আর নয় ভাবনা এখন আপনারা মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য কিভাবে দিবেন এবং কি দিবেন সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেখে নিন।
এই প্রোগ্রামে উপস্থিত সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আজকে মহান স্বাধীনতা দিবস। বছর ঘুরে প্রতিটি বছর আমাদের মাঝে এই দিনটি আসে। বছর ঘুরে যখন আমাদের মাঝে এই দিনটি আসে তখন আমাদের মনে পড়ে যায় পুরনো ইতিহাস। যে ইতিহাস আমাদের কাঁদায় আবার আমাদের হাসায়। যে ইতিহাস সৃষ্টি করতে লেগেছে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্ত। 

১৯৪৭ সালের পর ভারত এবং পাকিস্তানকে যখন আলাদা করে দেওয়া হয় তখন থেকে পাকিস্তানের একটি অংশ অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর শোষণ জুলুম চালিয়ে আসছিল। এই শোষণ জুলুমের প্রতিবাদে অনেক ছোট ছোট আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। তবে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যখন আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে যায় লাভ করে। কিন্তু তারপরেও পশ্চিম পাকিস্তানি পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। এই বিষয়টি নিয়ে এবং বৈষম্যের শিকার হতে বাঁচতে পূর্ব পাকিস্তানিরা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। 

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ২৬ শে মার্চ ভোররাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তারের পূর্বে আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। সেদিন থেকে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়ে যায়। আমাদের এই বাংলাদেশটি স্বাধীন হয়েছে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে। কৃষক শ্রমিক শিক্ষক ছাত্র সকলের প্রাণঢালা অবদান রয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে। আজকে আমরা স্বাধীন, আমাদের দেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি, স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করতে পারি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। 

তাই এদেশের উন্নতির জন্য আমাদের জীবন দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া আমাদের এই দেশটি বিশ্বের কাছে উচু পর্যায়ে আমাদেরই নিয়ে যেতে হবে। তাই আসন আমরা সবাই আমাদের দেশকে ভালবাসি। আমাদের দেশের উন্নতির জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। মনে রাখবেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।

মহান স্বাধীনতা দিবস কবে

আমরা বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমাদের দেশের এমন এমন কিছু ইতিহাস রয়েছে যা আমাদের জন্য জানা অনেক জরুরী। তার মধ্যে একটি হচ্ছে আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস কবে। আমরা যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও না জানি যে মহান স্বাধীনতা দিবস কবে তাহলে সেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার হবে। মহান স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ। 

দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর এই দিনে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হলো ২৬ মার্চ। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটিকে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের জন্মদিন। ২৫শে মার্চ গণহত্যার রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পূর্বে রাতের শেষ প্রহরে বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন।

স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় লেখ

স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় লেখ প্রাইমারি লেভেলের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে।আমাদের দেশের মহান স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ। আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, শোক সভা, স্কুল কলেজে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।

প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আরটিকেলটিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ছাড়াও আরো কিছু বিষয় যেমন স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় লেখ, মহান স্বাধীনতা দিবস কবে ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনারা জানতে পেরেছেন। আশা করি এ সকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতেও পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url