OrdinaryITPostAd

ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম ও শহীদদের অবদান মূল্যায়ন

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি? ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন এর নাম কি যদি জেনে না থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন শুরু করেন তৎকালীন ছাত্র সমাজ। এসব সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। তাই আজকের পর্বে আলোকপাত করবো ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন কোনটি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি
বাংলা ভাষার জন্য ছাত্ররা সহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ আন্দোলন শুরু করেন। বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনগুলো পরিচালনা করা হয়। তাই আজকে আমরা জানবো ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি এবং এই সংগঠনের কাজ কি ছিল তা সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি

ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি

অনেকেই জানেনা ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি। ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন এর নাম হলো তমদ্দুন মজলিস। তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ সালে আবুল কাশেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) একটি ইসলামিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলে তমদ্দুন মজলিস।তমদ্দুন মজলিস এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম। ভারত বিভাগের পর পরই ১৯৪৭ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ঢাকায় তমদ্দুন মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে সংগঠনটি বেশ সক্রিয় ছিল বাংলা ভাষা আন্দোলনের সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই সংগঠনের সদস্য গণ পূর্ব-পাকিস্তান নবজাগরণ সমাজের ধ্যান ধারণা দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। দেশবিভাগের পর সংগঠনটি বুঝতে পেরেছিল যে পাকিস্তান সরকার সেই আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল না যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। এই কারণে তমদ্দুন মজলিস মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হয়ে যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি বা কোনটি।

ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান

ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান অপরিসীম। ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান কেউ বলে শেষ করতে পারবে না কারণ তাদের জন্যই আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা। ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান এর কথা কোনদিনও ভুলবে না বাংলা ভাষার মানুষ। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের মাতৃভাষা।১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের রক্তঝরা ও অগ্নিঝরা এক মহান স্মৃতিবিজড়িত দিনের নাম। যা যুগ যুগ ধরে বিশ্ব মানব সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। অকুতোভয় সালাম, রফিক, বরকত ও যুবক এর তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছে মাতৃভাষা।
মাতৃভাষা বাংলা ভাষা যে ভাষার সঙ্গে এদেশের মানুষের নাড়ির সম্পর্ক। সে ভাষায় কথা বলা তথা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় তারা নিজেদের মূল্যবান জীবন নির্দ্বিধায় বিসর্জন দিয়েছিলেন। তাদের এই অবদান বাংলা ভাষার মানুষ কখনো ভুলবে না। তাদের স্মরণে গাওয়া হয়, "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি"। এককথায় ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান কেউ লিখে শেষ করতে পারবে না। তাদের জন্য আমরা পেয়েছি আমাদের মায়ের ভাষা।

ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান রচনা

আপনি কি ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান রচনা জানতে চাচ্ছেন। আপনি যদি ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান রচনা জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাষা আন্দোলন ভাষা শহীদদের অবদান রচনা।

ভূমিকাঃ

৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত ভাষাশহীদদের অবদান কতোটুকু সেটা হয়তো আজ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম দেখলেই বোঝা যায়। ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদদের অবদান অতুলনীয়।মাতৃভাষা বলতে এমন একটি ভাষা কি বুঝায় যা একটি দেশের জনসাধারণ কর্তৃক তাদের ধারণা, চিন্তা, অনুভূতি এবং আবেগ প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। যাদের জন্য আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা তাদের কখনো মাতৃভাষা বাংলা ভাষার মানুষ কখনো ভুলবার নয়। তাদের রক্ত দিয়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মায়ের ভাষা। ভাষা শহীদদের অবদানের কথা বাঙালি ভুলিবে না কখনো।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপটঃ

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়নি তখনও সে সময়ে ভারত বর্ষ থেকে সদ্য বিভক্ত হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের মধ্য পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল আজকের গৌরবময় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রধান বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মূলত ভাষাভাষী হলেও পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ছিল বাংলা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী এই অঞ্চলের মানুষদের উপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চায়। মাতৃভাষা সাথে জড়িয়ে থাকা বহু প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আবেগ কোন ভাষার প্রসারিত সাথে সেই ভাষাগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও আবেগের ও প্রসারিত ঘটে। স্বাভাবিকভাবে জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান।একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের নির্মম গুলিবর্ষণে কয়েকটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়। এদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক,সালাম, বরকত শফিউল সহ অনেকেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেদিন তাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম মাতৃভাষা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের অবদানঃ

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান যখন আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সেই সময় সর্বপ্রথম আন্দোলন শুরু করে ছাত্ররা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান অপরিসিম। বলা যায় তাদের থেকেই শুরু হয় মাতৃ ভাষা আন্দোলনের।বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম অন্বেষণে যে ভাষা চেতনার উন্মেষ ঘটে তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ব বঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর ডিসেম্বরে ভাষা বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে অল্প পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলির আঘাতে সালাম, রফিক,বরকত ও জব্বারসহ নাম-না-জানা অনেকেই নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সমাবেত হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি সেই দিনঃ

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলির আঘাতে সালাম, রফিক,বরকত ও জব্বারসহ নাম-না-জানা অনেকেই নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সমাবেত হয়। নানা নির্যাতন করা সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে।তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষা শহীদদের স্মৃতি কে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি ভেঙে ফেলে। একুশে ফেব্রুয়ারি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরো গতিময় হয়। ১৯৫৪ সালে প্রদেশ পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট লাভ করলে ৭ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

উপসংহারঃ

"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি"। যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের মাতৃভাষা বাঙালি তাদের ভুলিবেনা চিরতরে। তাদের অবদান লিখে শেষ করার মত নয়। তাদের জন্য আমরা পেয়েছিলাম মায়ের ভাষা। তাই আমাদের উচিত নিজেদের ইতিহাসকেও ভাষার ঐতিহ্যকে আপন করে নিয়ে বর্জন করতে হবে বিকৃতিও অপসংস্কৃতিকে। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার সাথে সাথে তাদের আপন ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে প্রতিনিয়ত। আমাদের মনে রাখতে হবে নিজেদের মাতৃভাষা চর্চা আছে প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি। এই লক্ষ্যগুলো সফল হলে তবেই আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সার্থক হয়ে উঠবে।

ভাষা শহীদদের অবদান মূল্যায়ন

ভাষা শহীদদের অবদান মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে হলে পরবর্তী মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারণ এই পর্বে আমরা আলোকপাত করব ভাষা শহীদদের অবদান মূল্যায়ন সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যায় ভাষা শহীদদের অবদান মূল্যায়ন কতটুকু সেই সম্পর্কে।বাহান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত ভাষাশহীদদের অবদান কতোটুকু সেটা হয়তো আজ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম দেখলেই বোঝা যায়। একটি স্ফলিজ্ঞ যেমন দাবানল সৃষ্টি করতে পারে। আমি তেমনই পূর্ব-পাকিস্তানের গণ আন্দোলনের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ থেকে ১৯৫২ সালে সৃষ্টি হয়েছিল একটি দাবানল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হবার পর ৪৮ সালে পাকিস্থান সরকার ঘোষণা করেছিল উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে পূর্ববাংলার অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়।
দানা বেধে ওঠে বাংলা ভাষার সমমর্যাদায় দাবিতে আন্দোলন। ৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্র ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য মিছিল বের করে ছাত্র সমাজ। সেই মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ শুরু করে হঠাৎ করে এতে শহীদ হন রফিক সালাম বরকত জব্বার এবং নাম না জানো অনেকে। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ভাষাশহীদদের অবদান কতোটুকু। ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছিলেন তারা এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা আমাদের কর্তব্য কারণ তাদের জন্য আমরা পেয়েছিলাম মাতৃভাষা।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি এর শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে বুঝতে পেরেছেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি এবং এর কাজ কি ছিল।ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠনের নাম কি বরবটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। @ 22882

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url