OrdinaryITPostAd

মসজিদে দান করার ফজিলত - মসজিদে দান করার ঘটনা

মসজিদে দান করার ফজিলত অপরিসীম। মসজিদে দান করার ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদীসে রয়েছে। মসজিদে দান করার ফজিলত সম্বলিত হাদিস গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি মসজিদে কুবার ইতিহাস  ও মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ সমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।

পেজ সূচিপত্র: মসজিদে দান করার ফজিলত  - মসজিদে দান করার ঘটনা

মসজিদে দান করার ফজিলত  - মসজিদে দান করার ঘটনা: উপস্থাপনা

মসজিদে দান করার ফজিলত ও মসজিদে দান করার ঘটনা সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মসজিদে দান করার ফজিলত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, মানুষ মৃত্যুবরণ করার পরে তার সব ধরনের আমলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। 

শুধু অল্প কয়েকটি আমল মৃত্যুর পরেও চালু থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মসজিদ নির্মাণ করা বা মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করা। যাই হোক, নিচে  মসজিদে কুবার ইতিহাস, মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ ও মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। 

মসজিদে দান করার ফজিলত - মসজিদে দান করার হাদিস 

মসজিদে দান করার বা মসজিদ নির্মাণ করার ফজিলত অপরিসীম। মসজিদে দান করার হাদিস সমূহের মধ্যে থেকে অন্যতম একটি হাদিস হলো: উসমান ইবনু আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে তদ্রুপ ঘর নির্মাণ করবেন।

মসজিদে দান করার হাদিস সমূহের মধ্য থেকে অন্য আরেকটি হাদীস হলো, আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মুমিনদের যেসমস্ত আমলের ধারা মৃত্যুর পরও চলমান থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো, (১) সেই ইলম যা সে প্রসার করে গেছে। (২) রেখে যাওয়া নেক সন্তান। (৩) রেখে যাওয়া কুরআনের কপি। (৪) তার নির্মাণকৃত মসজিদ। (৫)  তার নির্মাণ করে যাওয়া মুসাফিরখানা। (৬) তার স্থাপন করে যাওয়া নলকূপ। এবং (৭) ওই সাদাকা, যা বেঁচে থাকতে সে দান করে গেছে।"
উপরে বর্ণিত আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আমল হলো মসজিদ নির্মাণ করা মসজিদ নির্মাণ করার অর্থ হলো মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা করল সে মূলত মসজিদ নির্মাণ করল। উপরোল্লিখিত হাদিস থেকে একথা প্রমাণিত হলো যে, মসজিদে দান করার ফজিলত অপরিসীম। 

নিচে মসজিদে দান করার ঘটনা, মসজিদে কুবার ইতিহাস, মসজিদে দান করার হাদিস এবং মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। তাই মসজিদে দান করার ফজিলত মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ এবং মসজিদের শহর কোনটি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

মসজিদে দান করার ঘটনা - মসজিদে কুবার ইতিহাস - মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে বা মসজিদে দান করার ব্যাপারে বিভিন্ন হাদিস বর্ণনা করতেন তখন সাহাবীরা মসজিদ নির্মাণ করতে উদ্বুদ্ধ হতেন। আর সে কারণেই পরবর্তীতে সাহাবায়ে কেরামগণ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদ নির্মাণ করেছেন বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। 

মসজিদে কুবা হলো ইসলামের প্রথম মসজিদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজ হাতেই এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তাই  এই মসজিদের গুরুত্ব ও ফজিলত অত্যধিক। কুবা মসজিদের জায়গায় ছিল মূলত কুলসুম ইবনে দিরহাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর খেজুর বাগানের একটি পতিত জমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪  দিন পর্যন্ত তার আতিথ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সেখানেই তিনি মসজিদ নির্মাণ করেন।


এবার আলোচনা করা যাক মসজিদে নববী সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদীনা হিজরত করেন। সে বছরই মসজিদে নববীর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ৬২৩ হিজরের মাঝামাঝি সময়ে মসজিদে নববীর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। মদিনায় প্রবেশ করার পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উনি যে জায়গাতে প্রথম বসে পড়েছিল সে জায়গাতেই মসজিদে নববী নির্মাণ করা হয়েছে। 

মসজিদে নববীর জায়গা থেকে দুইজন এতিম বালকের মালিকানাধীন ছিল। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বিনিময় করেন। সেই জায়গার ছোট্ট একটি অংশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাসস্থান নির্মাণ করেন এবং বাকি জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়। 

মসজিদে নববীর ফজিলত সম্পর্কে আদেশে বলা হয়েছে, মসজিদে নববিতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া পৃথিবীর যেকোনো মসজিদে এক হাজার ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের চেয়েও উত্তম।’ (বুখারি: ১১৯০; মুসলিম: ১৩৯৪)

মসজিদে দান করার ঘটনা, মসজিদে কুবার ইতিহাস, মসজিদে দান করার হাদিস এবং মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত? সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। 

মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ

এমন কিছু কাজ রয়েছে যে কাজগুলো মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ। মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ গুলো যদি আপনি মসজিদে অবস্থান রত অবস্থায় করেন তাহলে কিন্তু আপনার গুনাহ হবে। তাই অবশ্যই আপনাকে মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ সমূহ থেকে বিরত থাকতে হবে। 
চলুন দেখে নেয়া যাক মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ সমূহের তালিকা। মসজিদে দান করার ফজিলত ও মসজিদে দান করার হাদিস সম্পর্কিত মধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মসজিদে দান করার ঘটনা, মসজিদে কুবার ইতিহাস ও মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত? সম্পর্কে নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলা। মসজিদের উচ্চস্বরে কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মসজিদে নম্র ভদ্র ভাবে থাকতে হয়। মসজিদে প্রয়োজনীয় কথা ব্যতীত দুনিয়াবী কথা বলা উচিত নয়।
হারানো বস্তু তালাশ করা। কোন বস্তু হারিয়ে গেলে মসজিদে সেই বস্তুর ঘোষণা দেয়া উচিত নয়। কেননা, হাদীসে মসজিদে হারানো বস্তু তালাশ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
মসজিদে ক্রয় বিক্রয় করা। মসজিদের অভ্যন্তরে কোন ধরনের ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না সব ধরনের ক্রয়-বিক্রয় মসজিদের ভিতরে নিষেধ।
দুর্গন্ধময় জিনিস খেয়ে অথবা সাথে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা। দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস আহার করার পরে মসজিদে প্রবেশ করা সমীচিন নয় বিশেষ করে কাঁচা পেঁয়াজ রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
মসজিদের ভিতরে শাস্তি প্রদান না করা। কোন অপরাধের কোন ধরনের শাস্তি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে সে শাস্তি মসজিদের অভ্যন্তরে কার্যকর করা যাবেনা মসজিদের বাইরে কোথাও সে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। মসজিদের অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের শাস্তি কার্যকর করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।

মসজিদে দান করার ঘটনা, মসজিদে দান করার হাদিস মসজিদে কুবার ইতিহাস, এবং মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত? সে সম্পর্কে  আরও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।  

মসজিদে যাওয়ার দোয়া

আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন, তখন অবশ্যই মসজিদে যাওয়ার দোয়া পাঠ করবেন। মসজিদে যাওয়ার দোয়া পার্থনা করে মসজিদে প্রবেশ করার সমীচীন নয়। নিচে মসজিদে যাওয়ার দোয়া অর্থসহ তুলে ধরা হবে। নিম্নবর্ণিত মসজিদে যাওয়ার দোয়া পাঠ করে খুব সহজেই আপনি, মসজিদে যাওয়ার দোয়া মুখস্ত করতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক মসজিদে যাওয়ার দোয়া।

মসজিদে যাওয়ার দোয়া: اَلّلهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَاب رَحْمَتِكَ

মসজিদে যাওয়ার দোয়া বাংলা উচ্চারণ : "আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।"

মসজিদে যাওয়ার দোয়ার অর্থ: "হে আল্লাহ! আপনি আমার গোনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো খুলে দিন।"

মসজিদে দান করার হাদিস মসজিদে দান করার ঘটনা, মসজিদে দান করার হাদিস, মসজিদে কুবার ইতিহাস  এবং মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত সে সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিচে মসজিদের শহর কোনটি? তা তুলে ধরা হবে। 

মসজিদের শহর কোনটি?

পৃথিবীতে অনেক দেশ অনেক শহরে রয়েছে তার মধ্য থেকে মসজিদের শহর কোনটি? তা অনেকেই জানে না অথচ মুসলিম হিসেবে সাধারণ এই তথ্যটি জানা থাকা আমাদের উচিত। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয় যে মসজিদের শহর কোনটি? আপনার যদি জানা থাকে মসজিদের শহর কোনটি? তাহলে খুব সহজে অপন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না।
কিন্তু যদি আপনার জানা থাকে যে, মসজিদের শহর কোনটি? তাহলে কিন্তু কখনই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। যাই হোক চলুন দেখে নেয়া যাক মসজিদের শহর কোনটি? মসজিদের শহর হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকা শহরকে মসজিদের শহর বলা হয়। মসজিদের শহর কোনটি? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। 

মসজিদে দান করার ফজিলত  - মসজিদে দান করার ঘটনা: উপস্থাপনা

মসজিদে দান করার ফজিলত ও মসজিদে দান করার ঘটনা সমূহ উপরে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। উপরোল্লিখিত মসজিদে কুবার ইতিহাস, মসজিদে নিষিদ্ধ কাজ সমূহের তালিকা মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত? সে সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্যগুলো জেনে রাখলে আপনি বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। ১৬৪১৩'

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url