OrdinaryITPostAd

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস - ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা যারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা রাখি তারা নিশ্চয় জানে জেলহত্যা দিবস কি এবং কখন পালন করা হয়। কিন্তু একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস - ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস - ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf: প্রথম কথা

বর্তমানের বাংলাদেশের যুবক যুবতীদের জেল হত্যা দিবস সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। বাংলাদেশের মানুষ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোকে ভুলে যাচ্ছে। আজকে আমরা আপনাদের জন্য জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যারা জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট - অনলাইন ইনকাম সাইট 2022

বাংলাদেশের ইতিহাসে অতিগুরুত্বপূর্ণ চার জাতীয় নেতা কে এই দিনে হত্যা করা হয়েছিল জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জেনে থাকা উচিত। আর বেশি কথা না বাড়িয়ে জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস এবং ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

জেলহত্যা দিবস কত তারিখ

প্রিয় বন্ধুরা জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আপনাকে জেলহত্যা দিবস কত তারিখে সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আপনার অবশ্যই বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন। অন্তত আপনার এটুকু জেনে থাকা প্রয়োজন জেলহত্যা দিবস কত তারিখ?

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে নির্মমভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল। তাই তাদের স্মরণ করে প্রতিবছর বাংলাদেশ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়। এখন আমরা জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানব।

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস জেনে নিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়। এর কয়েকদিন পরে বাংলাদেশের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতিহাসে আরেকটি বর্বর হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সাধারণত বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ হতে শুরু করে। বাংলাদেশের কোন জায়গাতেও পরিস্থিতি ভাল ছিলনা। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সরকারের দায়িত্বে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার ২০টি উপায় - ঘরে বসে আয় করার উপায়

যারা সব সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ছিল অর্থাৎ স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গী বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা তার মধ্যে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান।

বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম এই চারজন নেতা কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে গুলি করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পরাজয় বরণ করা বাংলাদেশের শত্রুরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তারা প্রতিশোধ নিতে সবসময়ই তৎপর ছিল। প্রথমে তারা বাংলাদেশের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশ যেন কখনো আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে সে কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চার নেতা কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকারের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান চার নেতা।

তারা যদি তখন বেঁচে থাকতো তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে তাই স্বাধীনতাবিরোধীরা কৌশলে সর্বপ্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। এরপরে বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে জেলের ভেতরে প্রবেশ করানো হয় যাতে বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হতে পারে। এরপর একদিন সুযোগ বুঝে বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf

প্রিয় পাঠকগণ আপনারা ইতিমধ্যে জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আপনার অবশ্যই জেলহত্যা দিবস সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত। কারণ এটি আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। এখন আমরা ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf সম্পর্কে জানব।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অত্যন্ত বিশ্বস্ত চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এবং এএইচএম কামরুজ্জামান। এদিন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি জঘন্য তম দিন।

কারণ এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাসক গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পুরো পরিবার সহ হত্যা করেছিল। এর কিছুদিন পরেই বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে নেতৃত্বশুন্য করার জন্য বাংলাদেশের চারজন অতি গুরুত্বপূর্ণ নেতা কে হত্যা করা হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন

মানবতা লঙ্ঘনকারী এই নির্মম হত্যাকাণ্ড গুলো এমন এক সময়ে ইতিহাস যাকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে বস্তুনিষ্ঠভাবে গবেষণা ও বিশ্লেষণ না করে তার থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ছিল অন্যতম একটি কারণ। সেই বিষয় থেকে আজও আমরা শিক্ষা গ্রহণ না করার কারণে এখনও বাংলাদেশ মানসিক স্বস্তি করতে পারিনি।

সাধারনত বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে জেলখানাতে তাদের জীবনের হেফাজতের কারণেই রাখা হয়েছিল সেখান থেকেই তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যেহুতু বঙ্গবন্ধু সবথেকে ঘনিষ্ঠ ছিল তারা চারজন। যদি তারা চারজন বাইরে চলে আসতো তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতো কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি যেন কখনোই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য তাদের হত্যা করা হয়।

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস - ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf: শেষ কথা

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস, ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পূর্বাপর pdf, এছাড়া জেলহত্যা দিবস কত তারিখ? এ বিষয়ে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url