OrdinaryITPostAd

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন তার বিস্তারিত

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। আমরা যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা রাখি তারা জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে অনেকেই জানি। কিন্তু জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? এ সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? এ বিষয়ে জানব।

আপনি যদি জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? তা জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। তো চলুন দেরি না করে জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? তা জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হনঃ প্রথম কথা

আমরা যারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা রাখে তারা বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতার মুক্তিযুদ্ধের অবদান সম্পর্কে জানি। বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত কাছের। কিন্তু এই জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে কারাগারের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? সে সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ ১৭ ই মার্চ কি সরকারি ছুটি - ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নাকি শিশু দিবস

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়তে থাকেন তাহলে আজকেই জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? এর সাথে জাতীয় চার নেতার অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।

জাতীয় নেতা কয়জন

বাংলাদেশের জাতীয় নেতা কয়জন? এই প্রশ্নটিই আমরা অনেকেই সচরাচর শুনে থাকি। বাংলাদেশের জাতীয় নেতা হলেন চারজন। জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? আজকে আমরা সেই বিষয়ে জানব এছাড়া জাতীয় নেতাদের আরো অনেকগুলো বিষয় জানতে পারবেন। বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা হলেন -

১। সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম

২। বাংলাদেশের প্রথম মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ

৩। ক্যাপ্টেন মনসুর আলী

৪। মুজিবনগর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান অর্থাৎ এইচ এম কামরুজ্জামান।

জাতীয় চার নেতা কেন জেলে ছিল

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন এবং জাতীয় চার নেতা কেন জেলে ছিল এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। বাংলাদেশের চার নেতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এই চার নেতার অনেক গুরুত্ব ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত কাছের এবং ঘনিষ্ঠতম সহ যোদ্ধা অর্থাৎ সহযোগী ছিলেন। তারা জীবনের শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং তার সাথে থাকার চেষ্টা করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে প্রতিটি পদক্ষেপে তারা যুক্ত ছিলেন। প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয় যেন বাংলাদেশ রাজনীতি আর কখনো ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। এরপরে জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় আবদ্ধ করা হয়। এবং তাদেরকে হত্যা করার একমাত্র মূল কারণ হলো বাংলাদেশের রাজনীতি সারা জীবনের জন্য আবদ্ধ অর্থাৎ নেতৃত্বশুন্য হয়ে যায়।

যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ হতে শুরু করে। বাংলাদেশ আবার অশান্তি শুরু হয়ে যায়। সাধারনত বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি জন্য অনেক রাজনীতিবিদ চিন্তিত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সরকারের হেফাজতে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ - জাতীয় শোক দিবস রচনা

স্বাধীনতাবিরোধীরা ভয় পেত যে যদি বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা বেঁচে থাকত তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আবার আগের মত শক্ত অবস্থানে চলে যেত। সেই বিবেচনা করে তারা কখনই এটি চাইনি। এজন্যই তারা প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এরপরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। কারণ জাতীয় চার নেতার হাত ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।

জাতীয় চার নেতার সমাধি কোথায়

প্রিয় পাঠক বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চারজন নেতা যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে পূর্ণ গঠন করতে বিভিন্ন রকম ভূমিকা পালন করেছিল। তারা তাদের ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। তারা সব সময় চেয়েছিল বাংলাদেশ যেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হয়। সেজন্য তারা সবসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহায্য করতেন।

কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশের রাজনীতিকে একবারের ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে এরপর বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় এরপরে তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়।

এবং ঢাকার বাইরে রাজশাহীতে অবস্থিত এএইচএম কামরুজ্জামান দাফন করা হয়। প্রতিবছর জেলহত্যা দিবসের সকল ধরনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন দলাদলি থাকেনা সবাই বাংলাদেশের এই চারজন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায়। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন

বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে সকলেই কম বেশি জানি। কিন্তু জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? এ বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা পড়েছি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর তার খুনি মোশতাক বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে তার সরকারে যোগদান দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। বাংলাদেশের সাহসী ৪ জন নেতা যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত কাছের সহযোগী ছিলেন। যারা সব সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহায্য করেছেন।

তারা নেতা মোশতাক কে ঘৃণাভরে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন। এরপরে মোশতাক ব্যর্থ হয়ে ২৩ আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল। এরপরে তাদের বাংলাদেশের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। এবং জেলখানার মধ্যেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

জাতীয় চার নেতার পরিবার

প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আমরা আপনাদের সামনে জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করেছি। জাতীয় চার নেতা ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তারা বিভিন্ন রকম ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগিতা করে গিয়েছেন। তারা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করেছিলেন।

আমাদের জাতীয় চার নেতা হলেন -

  1. সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  2. তাজউদ্দিন আহমেদ
  3. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
  4. আবুল হায়াত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান

সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯২৫ সালে ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম ছিল সৈয়দা নাফিসা ইসলাম। তাদের পরিবারের মোট ৬ জন সন্তান ছিল তাদের মধ্যে চারজন ছেলে এবং দুইজন মেয়ে সন্তান। চারজন ছেলে হলেন - সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এবং সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এবং কন্যা দুজনের নাম হলেন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং সৈয়দা রাফিয়া নূর।

আরো পড়ুনঃ ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রতিবেদন ২০২২

তাজউদ্দিন আহমেদঃ

তাজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের অর্থাৎ মুজিবনগর সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৯২৫ সালের গাজীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের পিতার নাম ছিল মৌলভী মোহাম্মদ ইয়আসিন খান। তাজউদ্দিন আহমেদ এর স্ত্রীর নাম ছিল সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন। তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।

তাজউদ্দিন আহমেদের চারজন সন্তান ছিল এর মধ্যে তিনজন কন্যা সন্তান এবং একজন পুত্র সন্তান তাদের নাম হল - বড় মেয়ে শারমিন আহমদ রিপি, মেজো মেয়ে বর্তমানে সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, এবং ছোট মেয়ে মাহজাবিন আহমদ মিমি এবং একমাত্র ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

মনসুর আলীঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত কাছের এবং অন্যতম নেতা ছিলেন মনসুর আলী। তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য চার নেতার মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র কাল থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার দুইজন পুত্র সন্তান রয়েছে তাদের নাম গুলো হল - মোহাম্মদ নাসিম এবং মোহাম্মদ সেলিম।

আবুল হায়াত মোহাম্মদ কামরুজ্জামানঃ

আবুল হায়াত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে তার ছয় জন সন্তান ছিল তার মধ্যে বড় ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মেজো ছেলে এএইচএম এহসানুজ্জামান স্বপন এবং মেয়েদের নাম হল ফেরদৌস মমতাজ পলি, দিলারা জুম্মা রিয়া, রওশান আক্তার রুমি এবং কবিতার সুলতানা চুমকি।

জাতীয় চার নেতার খুনি

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে নেন সেনাবাহিনী। এরপরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অতিগুরুত্বপূর্ণ চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এরপরে এর কোন ধরনের বিচার করা হয় না। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্য শুরু করা হয়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত হত্যায় তিন সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড দেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর পাওয়া ক্যাপ্টেন কিসমত হাসেম সহ ১২ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

জাতীয় চার নেতার ছবি

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেপ্তার হন? এই বিষয় সর্ম্পকে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পেরেছেন। আমরা অনেকেই জাতীয় চার নেতাকে চিনি না। তাদের জন্য জাতীয় চার নেতার ছবি নিচে উল্লেখ করা হলো।

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হনঃ শেষ কথা

জাতীয় চার নেতা কত তারিখে গ্রেফতার হন? জাতীয় চার নেতার পরিবার, জাতীয় চার নেতার খুনি সহ জাতীয় চার নেতার ছবি উল্লেখ করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলের। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url