OrdinaryITPostAd

কোন দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে কেন পালন করা হয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? এই বিষয় সর্ম্পকে জানতে চান। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আজকের এই পোস্টে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? তা জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়

ভূমিকাঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হল বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? সে সম্পর্কে জানেনা। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়?

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়?

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের একটি জাতীয় দিবস। বাংলাদেশের একটি বিশেষ দিন হিসেবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আমাদের অবশ্যই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে না জানে তাহলে সেটা আমাদের লজ্জার বিষয়।

আরো পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে ২০২২ - সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে

প্রতি বছর ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। কারণ ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সকল বুদ্ধিজীবীকে নির্বিচারে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এবং এই কাজে পাক হানাদার বাহিনীদের সাহায্য করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠনগুলোর।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের 2 দিন আগে পাক হানাদার বাহিনী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবী অর্থাৎ শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রফেসর, প্রকৌশলী, কবি-সাহিত্যিকদের হত্যা করেছিল। তারা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে এবং তাদের বাংলাদেশ সময় শেষ।

সাধারণত এইজন্য তারা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। সেজন্য তারা বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই দিন যে সব বুদ্ধিজীবী মৃত্যুবরণ করেছিল তাদের স্মরণ করতে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। এটি সরকারীভাবে পালিত একটি দিবস।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় কেন?

বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং শোকাহত দিন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা হয়েছিল।

পাক হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশ যতদিন শাসন করেছে তারা বাংলাদেশের ধন-সম্পদ তাদের দেশে পাচার করেছে। তারা বাংলাদেশের কোন উন্নয়ন সাধন করেন নি। বাংলাদেশের মানুষের ওপর তারা নির্বিচারে অত্যাচার করে গিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ আর সহ্য করতে না পেরে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - জাতীয় সংহতি দিবস অনুচ্ছেদ

মুক্তিযোদ্ধারা সশরীরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং যারা বুদ্ধি এবং মেধা দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তাদের বুদ্ধিজীবী বলা হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পরে ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে বিজয় অর্জন হয়। বিজয় অর্জনের 2 দিন আগে পাক হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাশূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।

পাক হানাদার বাহিনীদের এ কাজে সহযোগিতা করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠনগুলো। তারা বাংলাদেশের সকল স্থানের জ্ঞানী ব্যক্তিদের তালিকা করে তাদের নির্বিচারে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাশূন্য করে যেতে। যেহেতু ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল তাই প্রতিবছর এই দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কোন দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয় কেন?

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করেছি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর। কারণ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করার কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সকল বুদ্ধিজীবীদের পাক হানাদার বাহিনীরা নির্মমভাবে হত্যা করে।

পাক হানাদার বাহিনীরা এটি পরিকল্পিত ভাবেই করেছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল যে তাদের বাংলাদেশ সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তারা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাশূন্য করতে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পাক হানাদার বাহিনী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন রাজাকাররা মিলে বাংলাদেশ মেধাশূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জাতীয় আয়কর দিবস কবে - আয়কর দিবস কেন পালিত হয়

বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিভিন্ন রকম পেশার মানুষ ছিল যেমন শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, প্রফেসর আরো অন্যান্য। তাদের সকলের নাম তালিকাভুক্ত করে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল তাই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর সারা দেশ জুড়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।

আমাদের শেষ কথাঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়? আশা করি আপনি উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে জেনে গিয়েছেন। প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করার জন্য।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url