OrdinaryITPostAd

ঘূর্ণিঝড়ের ১৭৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত জানুন

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত? আমরা অনেকেই এ সম্পর্কে অবগত নয়। বিভিন্ন রকম দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অনেকেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত এ সম্পর্কে জানতে চাই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত তা আপনাদের জানাবো। এর সাথে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত তা জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত - ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত - ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবেঃ ভূমিকা

বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ছোট বড় ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। এ সময় অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল আশ্রয় কেন্দ্র। বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে মানুষ বিভিন্ন দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ কমলা হওয়ার ৭ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা জেনে নিন

আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত তা জানতে পারবেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে এ বিষয়টি আপনাদের জানাবো।

আশ্রয় কেন্দ্র কাকে বলে - ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত তা জানার আগে আপনাকে আশ্রয় কেন্দ্র কাকে বলে এই বিষয়টি জানতে হবে। আশ্রয় কেন্দ্র হল সাধারণ মানুষ যেখানে বিভিন্ন রকম দুর্যোগের সময় আশ্রয় নিতে পারে তাদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। অর্থাৎ বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ দেখা যায় যেমন বন্যা ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি এ সময় মানুষ তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য এবং গবাদি পশু আসবাবপত্র নিয়ে যেখানে আশ্রয় নেই সেই জায়গায়কে আশ্রয় কেন্দ্র বলা হয়।

বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে অনেকগুলো আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের ঘূর্ণিঝড় দেখা যায় তাই এই আশ্রয় কেন্দ্র গুলো কাজে লাগে। তো চলুন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত তা জেনে নেওয়া যাক।

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর যখন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পায় তখন তারা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে সর্তকতা জারি করে। বিশেষ করে তারা সতর্ক সংকেত দিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলে। যদি ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা খুবই ভয়াবহ তখন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে অনেকগুলো আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশের জেলা ও আশ্রয় কেন্দ্র সংখ্যা উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ মেঘ কিভাবে বৃষ্টি তে পরিণত হয় - মেঘ থেকে কিভাবে বৃষ্টি হয়

জেলা ----- আশ্রয় কেন্দ্র সংখ্যা

১। বরিশাল ---- ৫২ টি

২। ভোলা ---- ৬৭৭ টি

৩। বরগুনা ---- ২১৬ টি

৪। বাগেরহাট ---- ১৬৩ টি

৫। পটুয়াখালী ---- ৩৪০ টি

৬। ঝালকাঠি ---- ১৭ টি

৭। পিরোজপুর ---- ৭০ টি

৮। খুলনা ---- ১২৪ টি

৯। সাতক্ষীরা ---- ৮২ টি

এছাড়াও আরও অনেক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে মানুষ ঘূর্ণিঝড় হলেই আশ্রয় নিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ দিকে এগিয়ে আসছে যার কারণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে খুলে দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে

বাংলাদেশে যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তখন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের এলাকাগুলো। এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের এলাকাগুলোর মানুষের প্রাণহানি হয়। বাংলাদেশ সরকার এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলে থাকে।

আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগের সময় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সরকারি ভবন এগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিয়ে থাকে। এখনো অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে?

আরো পড়ুনঃ আজ রাতে কি বৃষ্টি হবে - আজ দুপুরে কি বৃষ্টি হবে

১। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী এবং শিশু এছাড়া গর্ভবতী নারীদের আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতে হবে।

২। যখন আপনি আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন তখন আপনার সাথে টচ লাইট, মোমবাতি, লাইটার, দেশলাই, বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে রাখতে হবে।

৩। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় চিড়া মুড়ি ইত্যাদি শুকনো খাবার গুলো সঙ্গে রাখতে হবে।

৪। ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত এবং ঝড় হতে পারে। অধিক পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে পাহাড়ী ঢল জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধস এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।

৫। ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পরে সবকিছু শান্ত হয়ে যাই তখন সাথে সাথেই আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করা উচিত নয়। যার ফলে হঠাৎ করে আবার ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে বিপদের মুখে পড়ে যাবেন।

৬। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অবশ্যই গবাদি পশু গুলো নিয়ে যাবেন। কারণ আশ্রয় কেন্দ্রে সেগুলো রাখার অন্য ব্যবস্থা রয়েছে।

উপসংহারঃ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত - ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত? এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত ভাবে এই আর্টিকেল আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমরা এখানে জেলাভিত্তিক কয়টি করে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে তা আলোচনা করেছি।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url