আম খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আম আমাদের সকলের সবচেয়ে প্রিয় একটি ফল। আম পছন্দ করেননা এরকম মানুষ খুব কমই আছে। আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি আছে। মানুষ যেমন আম খেতে ভালোবাসে ঠিক তেমনি আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে। পাকা আম কাঁচা আম দুই অবস্থাতেই আম খাওয়া যায়।
চলুন আজ আমরা দেখব আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, আম খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা আমের উপকারিতা, আম এর অপকারিতা, আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও আম খাওয়ার নিয়ম।
পেজ সূচীপত্রঃ আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- আম খাওয়ার উপকারিতা
- কাঁচা আমের উপকারিতা
- আম এর অপকারিতা
- আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম | আম খাওয়ার নিয়ম
- শেষ কথাঃ আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আম ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজলে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে। আমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরী করে যা আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখে। কোলাজেন প্রোটিন আমাদের ত্বকের বলিরেখা ও ব্রণের সমস্যা দূর করে। তাছাড়া আম চুলের সমস্যাও দূর করে।
আম খাওয়ার উপকারিতা | আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- পাকা আম খেলে আমাদের ত্বক সুন্দর, মসৃণ হয়। এটি আমাদের ত্বকের ভিতর ও বাইরে থেকে উজ্জ্বল করে। আম ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার করে ও ব্রণের সমস্যা সমাধান করে।
- আম লোমের গোড়া থেকে পরিষ্কার করেযার ফলে মুখের ও নাকের ব্ল্যাকহেড দূর করে। এছাড়া প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হবে।
- গাছপাকা আমে পর্যাপ্ত পরিমানে খনিজ লবন আছে, যা আমাদের শরীরের দাঁত, নখ, চুল মজবুত করে।
- আমে থাকা ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের স্নায়ুকোষে অক্সিজেন সরাবরাহ সচল ও শরীরকে সতেজ রাখে। যার ফলে আম খেলে আমাদের খুব দ্রুত ঘুম আসে।
- আমে প্রায় ২৫ প্রকার কেরাটিনোইডস উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে, যা ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ ও সবল রাখে।
- ভিটামিন-এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী আর আমে রয়েছে ভিটামিন-এ। আপনি যদি প্রতিদিন এককাপ আম খান তাহলে আপনার শরীরের ২৫% ভিটামিন-এ এর চাহিদা মিটাবে। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও রাত কানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
- পাকা আমে থাকা টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
কাঁচা আমের উপকারিতা | আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- মানুষের দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে গরম থেকে বাঁচতে সাহায্য করে কাঁচা আম। এছাড়াও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম। অতিরিক্ত রোদের তাপ থেকে দেহকে রক্ষা করে কাঁচা আম।
- পেটের সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের মত সমস্যা কমাতে কাঁচা আম বেশ উপকারী।
- কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদানগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকায় মুখের নানা রকমের ক্ষত শুকাতে ও মুখের নানা রকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা আম স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। তাছাড়া কাঁচা আমের থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খুবই উপকারী।
আম এর অপকারিতা | আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- যাদের শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের জন্য আম ক্ষতির কারন হতে পারে। কারণ আমে প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতো উপাদান আছে যা অ্যালার্জির সমস্যা তৈরী করতে পারে।
- বিভিন্ন ধরনের আমে ফাইবার কম থাকে আর আমের খোসা ও বীজে বেশী পরিমানে ফাইবার থাকায় তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারেন না। ফলে আম হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।
- আমে উচ্চ মাত্রায় প্রকৃতিক চিনি থাকার কারণে ডায়বেটিস রোগীদের অতি দ্রুত চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার সময় আমের পরিমানের উপর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- একইসাথে অনেক গুলো আম খেলে শরীরের ওজন বাড়াতে পারে। কারণ আমে ফাইবার কম ও প্রকৃতিক শর্করা ও ক্যালোরির পরিমান বেশী হওয়ায় তা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীরের ওজন কমাতে আম খোয়ার ব্যপারে সতর্ক হওয়া উচিত।
- আমে গাঁজনযোগ্য কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) বাড়াতে পারে এবং পাচনতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম | আম খাওয়ার নিয়ম | আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- আম জুস করে খাওয়া উচিত না। কারণ জুস করে আম খেলে তা থেকে ফাইবার ও পুষ্টিগুন অনেকটাই কমে যায়। তাই আম জুস করে না খেয়ে টুকরো করে খাওয়া উচিত।
- আমে চিনির মাত্রা বেশী থাকে। কিন্তু অন্যান্য উপাদান শরীরের জন্য ভালো কাজ করে। তাই ডাইবেটিস রোগীরা পরিমান মত আম খাবেন। অতিরিক্ত আম খাবেন না।
- আম শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে আম কম করে নিয়ন্ত্রিত পরিমানে খান। কেননা অতিরিক্ত আম শরীরের ওজন বাড়ায়।
- আম দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর খাওয়া ঠিক না, কারণ আম দ্রুত পেট ভরায় ও নিজেই পরিপূরক খাবারের কাজ করে।
- আম সকালে ও বিকালে খাওয়া উচিত। কারণ এটি পুরো এক সময়ের খাবারের চাহিদা মেটায়।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন