OrdinaryITPostAd

চুল ঘন করার উপায় ৭ দিনে - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

অনেকেই চুল ঘন করার উপায় জানতে চাই লিখে সার্চ করেন। ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়, পাতলা চুল ঘন করার উপায় জেনে নিন। সেই সাথে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল লম্বা করার উপায় জানতে চাই? ওকে ফাইনঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, সামনের চুল ঘন করার উপায়, শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় পড়তে থাকুন।

চুল নারী ও পুরুষ উভয়ের অলংকার, যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকরা ঘন কালো রেশমি চুলের প্রেমে পড়ে লিখেছেন কত মহা কাব্য তার কোন শেষ নেই। শুধুমাত্র মাত্র বাস্তবে নয় আমাদের রুপকথার গল্প যা আমরা যুগ যুগ ধরে শুনে এসেছি সেই গল্প গুলোতেও চুলকে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। 

রাজপুত্র হোক বা রাজকন্যা ঝলমলে চুলের বিবরণ দেওয়া হয়েছে উভয়ের ক্ষেত্রেই। তাই চুলের প্রতি হতে হবে যত্নশীল।দেশব্যাপী ট্রাইকোলজিষ্টরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে দেশে প্রায় তিনগুন চুলের সমস্যার রুগী বেড়েছে। 

অপরিচ্ছন্ন আবহাওয়ার সাথে আমরা আমাদের চুলকে খাপ খায়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত অথচ চুলের প্রয়োজন যত্ন। তাই  এই লেখাটি পড়লে আপনারা চুল নিয়ে আপনাদের সমস্ত অনিশ্চয়তা, ভয়, এবং উদ্বেগের সহজ সমাধান পেয়ে যাবেন।

একনজরে সূচিপত্রঃ চুল পড়া বন্ধ ও চুল ঘন করার উপায় সমূহ


চুল কাকে বলে? ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়

চুল স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি নির্দেশক বৈশিষ্ট্য। চুলের প্রধান উপাদান "কেরোটিন" প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী প্রাণীভেদে সব ধরনের প্রোটিন তন্তুকে চুল হিসেবে বিবেচনা করা ভুল হবে। কারন, প্রাণীভেদে লোম বা ফোর রয়েছে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রানীর শরীরে, লোম রয়েছে ভেড়া এবং ছাগলের শরীরে, পোকামাকড়ের শরীরে রয়েছে "রোঁয়া" এবং অ্যানথ্রোপড। 

এই সব কিছু কিন্তু চুল হিসেবে বিবেচ্য নয়। শুধুমাত্র স্তন্যপায়ীদের শরীরে সূক্ষ্ম সুতার মতো প্রোটিন তন্তুই হচ্ছে চুল। 

ছেলে এবং মেয়েদের চুলের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে? 


মার্কিন প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট "কোরা" (Quora) তে অসংখ্যবার এই প্রশ্নটি করা হয়েছে। পাঠকদের অনেকের মনেও হয়তো এই প্রশ্নটি রয়েছে। তবে জেনে অবাক হবেন জীনগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ছেলে এবং মেয়েদের চুলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। 

সাধারনত মেয়েরা চুল লম্বা রাখে তাই তাদের চুলে অনেক বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় যত্নে চুল অনেক বেশি পরিস্কার, ঝলমলে এবং সুন্দর দেখায়। অপরদিকে সাধারনত ছেলেদের চুল হয় মিডিয়াম বা ছোট তাই খুব সুস্থ সুন্দর চুলও দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ঝলমলে দেখায় না। 

ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় চুলের প্রতি কিছুটা কম যত্নশীল হয়ে থাকে তাই খুব তারাতারি ছেলেদের চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং, ছেলে হোক বা মেয়ে, চুলের সঠিক যত্নই চুলকে আকর্ষনীয়, সুস্থ, এবং সুন্দর করতে পারে। নিন্মোক্ত এই লেখাটিতে চুলের সমস্যা-সমাধান এবং যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কেন চুল পড়ে? পাতলা চুল ঘন করার উপায়


গত দশকেও চুল পড়াটা একটা স্বাভাবিক বিষয় ছিলো। বলা হয়, আমাদের চুল ১ হাজার একশত দশ দিন বাঁচে তারপর মারা যায়। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ টি চুল গজায় বিপরীতে ১০০-১৫০ টি চুল মারা যায়। কিন্তু চলতি দশকে অস্বাভাবিক হারে চুল পড়াটা একটি নিত্য নৈমত্ত্বিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেন? আসুন দেখে নেই কি কারনে একবিংশ শতকে এসে আমরা চুল হারাচ্ছিঃ 
  1. অ্যান্ড্রোজেনেটিক বা বংশগতঃ ছেলেদের মধ্যে বংশগত কারনে চুল পড়ার বাতিক রয়েছে এবং এই বিষয়ে মানুষ বেশ কিছুকাল পর্যন্ত অজ্ঞ ছিলো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের অ্যান্ড্রোজেনেটিক সমস্যাটি জানতে সাহায্য করেছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গত কুড়ি বছর আগেও মেয়েদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেনেটিক কারনে চুল পড়ার সমস্যা দেখা যেত না কিন্তু ইদানীং মেয়েদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। 
  2. অপ্রয়োজনীয় খাদ্যাভ্যাসঃ কায়িক পরিশ্রম না করা ও অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্যাট এবং সুগার জাতীয় খাবার গ্রহন করলে মাথার ত্বক পুষ্টি হারায় বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সঠিক পুষ্টি উৎপাদন করতে ব্যররথ হওয়ায় অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়তে থাকে। 
  3. রাসয়নিক ব্যবহারঃ বর্তমান সময়ে বাজার প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ রাসয়নিক দ্রব্য পাওয়া যায় যা ব্যবহারে মাথার ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও চুলের প্রোটিন ভেঙ্গে যায় তাই চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেরা চুলের জেল, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করার মাধ্যমে চুলের ক্ষতি করে। অন্যদিকে ক্লোরিনযুক্ত পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করলেও চুল পড়ার পরিমান বাড়তে থাকে। 
  4. ধুমপানঃ চুলের পুষ্টি আসে রক্তের মাধ্যমে। চুলের গোড়ায় সূক্ষ্ম রক্ত নালী থাকে যা ধুমপান করলে বন্ধ হয়ে যায় ফলস্বরুপ চুল পড়ার পরিমান বাড়ে। 
উপরোক্ত কারনগুলো ব্যাতীত আরও বিবিধ কারন থাকলেও বর্তমান সময়ে চুল পড়ার মূল কারন হিসেবে বর্ণনাকৃত কারন গুলোই মূখ্য হিসেবে গণ্য করা যায়। 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়ঃ অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়


চুল শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানতে চেয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইন্টারনেটে সার্চ করে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে ইন্টারনেট বোঝাই করা বিভিন্ন নিয়ম এবং কৌশল রয়েছে। তবে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের কোন গন্ডী নেই তাই যে কেউ নিজের ইচ্ছে মতো চুল পড়া বন্ধ করার উপায় বিষয়ক নির্দেশনা দিতে পারবে। 
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অবৈজ্ঞানিক সম্মত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় বিষয়ক নির্দেশনা বিপরীতভাবে কাজ করে বা কাজ-ই করে না। তাই আপনাকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে এবং বৈজ্ঞানীক সম্মত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় বেছে নিতে হবে। নিন্মে আপনাকে কিছু বৈজ্ঞানীক সম্মত ঘরোয়া চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানানো হলোঃ 
  1. সুষম খাবার গ্রহনঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রথমেই যে বিষয়টির কথা বলা দরকার তা হলো সুষম খাবার গ্রহণ। গত দশকের তুলনায় অবশ্যই মানুষের খাবার গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সেই খাবার গুলো পরিপূর্ণ সুষম খাবার নয়। চুলের জন্য প্রয়োজনীয় হচ্ছে ভিটামিন সি এবং ডি। তাই আমাদের বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ডি যুক্ত খাবার গ্রহন করতে হবে। অনেকেই বলেন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ই দরকার এবং ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল খাওয়ার পরামর্শও দেয়। কিন্তু চুলের গঠন প্রক্রিয়ায় ভিটামিন ই নেই বললেই চলে তবে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। 
  2. তেল ব্যবহারঃ তেল চুলকে সুরক্ষিত করে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে মাথায় তেল ব্যবহার আবশ্যক। মাথার তেল হিসেবে নারকেল তেল অতীব প্রচলিত কারন নারকেল তেলে ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। নারকেল তেল মালিশ করলে চুল কালো, ঘন, এবং চুল ঝকঝকে এবং মজবুত হয়। 
  3. দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাঃ দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি অন্যতম কারন। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রতিদিন অত্যন্ত ৮ ঘন্টা ঘুম এবং দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা প্রয়োজন। 

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়ঃ পাতলা চুল ঘন করার উপায়


অতিরিক্ত চুল পড়া নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আমাদের প্রতিদিন গড়ে ১০০-১৫০ টি চুল পড়ে কিন্তু কারো যদি স্বাভাবিক হারের তুলনায় বেশি চুল পড়ে তাহলে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে ভাবতে হবে। অনেক মানুষের চুল পড়তে পড়তে মাথায় টাক হয়ে যায়। 

সেক্ষেত্রে, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রথমত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। কিন্তু আমরা সবাই চাই পেশাদারী চিকিৎসা এড়িয়া চলতে তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে অতিরক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় বেশি গ্রহনযোগ্য। নিন্মে লেখাটিতে কিছু পেশাগত চিকিৎসা এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ 

তেলের ব্যবহারে পরিবর্তনঃ শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায়

নারকেল তেল চুলের জন্য অবশ্য উপকারী। অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে নারকেল তেলের সাথে কিছু উপাদান যুক্ত করলেই অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হওয়া সম্ভব। যেমন- 
  1. নারকেল তেলের মধ্যে কিছু পরিমাণ মেথি, অ্যালোভেরা, নিমপাতা মিশ্রণ করে অল্প আঁচে চুলায় গরম করে, ঠান্ডা করে বোতলে সংগ্রহ করে রাখুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যাবহার করলে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে কার্যকরী সমাধান হবে। 
  2. অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে নারকেল তেলের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে সংরক্ষণ করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন। 
  3. নারকেল তেলের সঙ্গে কাঠবাদাম মিশিয়ে ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়।
  4. অনেকেই অতিরিক্ত চুল পড়ার কারন হিসেবে শুস্ক চুলকে দায়ী করেন। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুস্ক অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে কাজ করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের বেশি যেন তেলটি মাথায় না থাকে। 
  5. অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় বিষয়ক সবচেয়ে প্রচলিত এবং অনেকক্ষেত্রে কার্যকরী সমাধান হচ্ছে সপ্তাহে ৩-৪ দিন মাথায় তেল ব্যবহার করে গরম তোয়ালে দিয়ে ২০ মিনিট মাথা পেঁচিয়ে রাখুন এতে করে চুলের উপাদান সমূহ চুলে পুষ্টি জোগাবে ফলস্বরুপ অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে।

আলুর রসের ব্যবহারঃ সামনের চুল ঘন করার উপায়

আলু অতি সহজলোভ্য পণ্য। আলুর রস অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে খুবই কার্যকরী। ভালো ব্যপারটি হচ্ছে, যে কেউ চাইলেই আলুর রস ব্যবহার করে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে পারবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক নিত্যদিনের ব্যবহার্য এই সবজির রস কিভাবে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হতে পারে। 
  1. চুলের গোড়ায় আলুর রস ব্যবহার করে কিছুক্ষণ মালিশ করুন। তারপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি এবং অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। 
  2. পেঁয়াজের রস এবং আলুর রস একসাথে মিশ্রণ করুন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন। অনেকের মাথার চামড়া পাতলা হয় সেক্ষেত্রে সামান্য জ্বালা পোড়া অনুভূত হতে পারে কিন্তু ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  3. ১ চা চামচ মধুর সাথে ৩টি আলুর রস এবং সাথে ১টি ডিমের কুসুম ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চুলের প্রতিটি স্থানে খুব ভালোভাবে লাগিয়ে অন্তত ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রনটি অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন তাদের সকলের জন্য সমান কার্যকরী।

হেয়ারপ্যাক তৈরী ও ব্যবহারঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে একটি বিশেষ হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। হেয়ারপ্যাকটিতে চুলের প্রয়োজনীয় সব ভেষজ উপাদান রয়েছে তাই ঘরে বসে এই হেয়ারপ্যাকটি ব্যবপহার করে খুব দ্রুত অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন। 
  • উপকরণ সমূহ- মেথি, ডিম, টকদই, ত্রিফলা
  • তৈরী ও ব্যবহার বিধি- মেথি এবং ত্রিফলা ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন, তারপর টকদই ও ডিমের সাথে মিশিয়ে নিন। যদি ডিম ব্যবহারে সমস্যা হয় তাহলে আপনি পেঁয়াজের রস, আমলকীর রস মিশিয়ে নিলেও পারবেন। 
  • তৈরিকৃত মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খুব ভালো করে মাসাজ করুন। খেয়াল রাখবেন যেন মিশ্রনটি চুলের সব স্থানে পৌঁছায়।
  • ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর অল্প পরিমান শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। 
  • তোয়ালে এবং বাতাসের মাধ্যমে হেয়ার ড্রায়ার ব্যতীত চুল শুকান।
  • প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরা মণ্ড ব্যবহার করতে পারেন, এক্ষেত্রে চুলের চকচকে ভাব বজায় থাকবে।
উপড়ে বর্ননাকৃত বিশেষ হেয়ারপ্যাকটি অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে খুবই সুপরিচিত এবং একটি কার্যকরী সমাধান।

পেশাগত চিকিৎসাঃ চুল ঘন করার উপায় জানতে চাই

আমরা প্রতিটি মানুষ যেমন ভিন্ন তেমনই আমাদের চুলের রোগ ও ভিন্ন ভিন্ন। আপনি আপনার সমস্যা চিহ্নিত করে উপড়ে বর্ণিত উপায়গুলো থেকে আপনার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহন করুন। যদি সমস্যা সমাধান না হয় তবে অবশ্যই পেশাগত চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। 

মনে রাখবেন, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম এবং চুল থাকতে চুলের যত্ন দুটিই অপরিহার্য। বাংলাদেশে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে প্রসিদ্ধ কিছু পেশাগত চুলের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনে করা যাক।
  1. মিনোক্সিডিলঃ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ওষুধ। মাথার ত্বকে ব্যবহার করা হয়। ফলস্বরুপ প্রচুর চুল নতুন চুল গজায় এবং এই একটি মাত্র ওষুধ যা নারী-পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করতে পারবে। 
  2. কর্টিকোস্টেরয়েডঃ অতন্ত্য ক্ষমতা সম্পন্ন একটি তরল ওষুধ। অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটা নামক একটি রোগ যার ফলে মাথার বিভিন্ন দিক থেকে চুল উঠে আসে। তখন কর্টিকোস্টেরয়েড মাথার তালুতে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে থাকেন।
  3. বিবিধঃ আরও কিছু ব্যয়বহুল পেশাগত চিকিৎসা রয়েছে যেমন- লেজার যন্ত্রের ব্যবহার, অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে মাথায় চুল প্রতিস্থাপন, মাথার সামনের পাতলা চামড়া কমানো। 

চুল ঘন করার উপায়ঃ সামনের চুল ঘন করার উপায়


ঘন চুল আমাদের সকলের কাম্য। কিন্তু ধুলো এবং দূষণের কারনে চুল অত্যন্ত নোংড়া হয়ে থাকে তাই অনেকের ক্ষেত্রে মাথার পর্যাপ্ত চুল থাকা সত্ত্বেও চুল পাতলা দেখায়। 
আবার চুল পড়ে যাওয়ার কারনেও ক্রমশ চুল ঘনত্ব হারায়। এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়ও রয়েছে। কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরনের মাধ্যমে দ্রুত চুলের ঘনত্ব ফিরে আসে। নিন্মে চুল ঘ্ন করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বলা হলো।
  1. চুলের প্রোটিনের মাত্রা বাড়লে চুল ঘন হয়। ডিম চুলের জন্য প্রাকৃতিক প্রোটিন হিসেবে কাজ করে। একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে তা ভালোভাবে ফেটে নিন। তারপর পরিস্কার চুলে খুব যত্ন সহকারে নিচ থেকে উপড় পর্যন্ত মাখুন, ডিম মাখা শেষ হলে মোটা দাঁত ওয়ালা চিরুনী দিয়ে সাবধানে আঁচড়ে নিন। তারপর চাইলে আপনি শাওয়ার ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন অথবা ঝুটি করে রাখতে পারেন। এভাবে ৩০ মিনিট রেখে পরিস্কার নরমাল পানি এবং হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলেই আপনি আপনার চুলের ঘনত্ব ফিরে পেতে শুরু করবেন।
  2. মাথার ব্লাড সার্কুলেশন বাড়লে চুল ঘন হয়। চুল ঘন করার উপায় হিসেবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার একটি অত্যন্ত কার্যকরী সমাধান। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার ১০ থেকে ২০ মিনিট যাবৎ মাথার যে অংশের চুল অতি মাত্রায় ঝরে গেছে সেখানে ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলটি খুব দ্রুত উপশম হয়ে পাশাপাশি মাথায় ব্লাড সার্কুলেশন বাড়লে চুল ও ঘন হতে শুরু করে।
  3. ট্রিটমেন্ট ক্রিম ব্যবহারও চুল ঘন করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু ক্রিমটি অবশ্যই এক চামচ মধু এবং প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন তাহলে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 
  4. চুল ঘন করার উপায় হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত একটি উপায় হচ্ছে তেলের মিশ্রন ব্যবহার করা। নারকেল তেলের সাথে তিলের তেল, অলিভ ওয়েলের সাথে ক্যাষ্টর ওয়েল অথবা ক্যাষ্টর ওয়েলের সাথে অ্যামন্ড ওয়েল এই রকম তেলের মিশ্রন রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে অতি দ্রুত চুল ঘন এবং চুল অনেক বেশি স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়। 
  5. ভেঁজা চুলে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না। অনেকেই চুল ঘন করার বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করেও প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ার পিছনে প্রতিদিনের এই বদ অভ্যাসটি জড়িত। তাই চুল সব সময় হালকা বাতাসে শুনাকোর চেষ্টা করুন। এতে করে চুলের ত্বক ভালো থাকবে।
উপরে লিখিত পদ্ধতি গুলোর বাইরেও চুল ঘন করার অনেক উপায় রয়েছে কিন্তু বিজ্ঞান এবং বহুজন স্বীকৃত এই পদ্ধতিগুলো নিরাপদ ফলাফল প্রদান করবে। 

পাতলা চুল ঘন করার উপায়ঃ চুল লম্বা করার উপায় জানতে চাই

পাতলা চুল ঘন করার উপায় জানতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ট্রাইকোলজিষ্টের শরণাপন্ন হয়। কেউ কেউ মাথায় অস্ত্রপাচার করে। কেউ আবার লেজার চিকিৎসা গ্রহন করে। যারা এতো ভারী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারে না তারা বিভিন্ন প্রকার ওষুধ নেন। অথচ সকলের ক্ষেত্রে পেশাগত চিকিৎসা আশানরুপ ফলাফল প্রদান করে না। কারন, যেকোন সময় চাইলেই পাতলা চুল ঘন করা সম্ভব হয় না। যেমন-
  • জন্মগত পাতলা চুল যাদের তাদের ক্ষেত্রে পাতলা চুল ঘন করার কোন উপায় কাজে আসবে না। কারন তাদের মাথার স্ক্যাল্প গুলোতে নতুন চুল গজানোর কোন সম্ভাবনা নেই। 
  • বংশগত ভাবেই অনেকে মাথার চুল পাতলা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অবশ্য ফিফটি ফিফটি চান্স থাকে। তাই পাতলা চুল ঘন করার উপায় প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে।
  • বয়সের কারনেও চুল পাতলা হয়ে যায়। তখন আর পাতলা চুল ঘন করার উপায় কাজে আসে না। 
  • মাথায় টাক পরে গেলেও পাতলা চুল ঘন করার উপায় গুলো ফলাফল প্রদানে ব্যর্থ হয়। 
এখন তবে প্রশ্ন হচ্ছে কাদের জন্য পাতলা চুল ঘন করার উপায় গুলো প্রযোজ্য। প্রথমত অল্প বয়সে যাদের চুল খুব দ্রুত পাতলা হচ্ছে, অসুস্থতার জন্য হঠাৎ চুল পাতলা হয়ে গেছে, এবং উপড়ে বর্ণিত সমস্যাগুলো যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ঘরোয়া পাতলা চুল ঘন করার উপায় ব্যবহারের মাধ্যমেই আপনি আপনার ঘন চুলের সৌন্দর্য ফিরে পেতে পারেন।
  1. দেশের পরিবেশ অত্যন্ত দূষিত হওয়ায় আমাদের চুল সব সময় ময়লা হয়ে যায়। চুল পরিস্কার রাখলে চুলের পুষ্টি এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এটা যেমন সঠিক তেমনি চুল পরিস্কার করতে গিয়ে ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় এবং চুল পড়তে শুরু করে ও চুল পাতলা হয়ে যায়। অনেকেই চুল পরিস্কার রাখতে অতিরিক্ত হারে চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করাকে একটি পাতলা চুল ঘন করার উপায় বলে মনে করেন। কিন্তু নর্মাল পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করলেও চুল খুব ভালোভাবেই পরিস্কার হয়। তাই সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২ বারের বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  2. অপুষ্টি শুধুমাত্র শরীরের জন্যেই চিন্তার বিষয় নয় চুলের জন্যেও পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির অভাব চুলকে ভয়ানকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করে। পাতলা চুল ঘন করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে হলে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা করতে হবে। চুলের সঠিক পুষ্টির জোগান দিতে কয়েকটি খাবারে নাম উল্লেখ করার হলো।
    পালংশাক- হালকা সেদ্ধ করে লবন দিয়ে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন খেলে চুলের পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব পূরণে সাহায্য করবে। পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ, পটাশিয়াম, ওমেগা, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
    গাজর- গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ যা মাথার ত্বকে সিবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত প্রদার্থ উৎপাদন করে ফলে চুলের গোড়ার শুষ্ক ভাব চলে গিয়ে চুল ঘন হতে শুরু করে।
    বাদাম- বাদামের পুষ্টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ বাদাম খেলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল ঘন হয়।
  3.  নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ চুল কাটুন। পাতলা চুল ঘন করার উপায় হিসেবে প্রায় উবে যাওয়া একটি পদ্ধতি হচ্ছে চুল কাটা। বেশিরভাগ মানুষ মনে করে চুল কাটলে পাতলা হয়ে যায় তাই তারা চুল কাটা থেকে বিরত থাকতে চান। কিন্তু ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ পর পর অন্তত ১ ইঞ্চি চুল কেটে ফেললে চুলের আগার ফাঁটা অংশ চলে গিয়ে ঘন হয়ে নতুন চুল গজায়। 
  4. ক্যামিকেল ব্যবহার আজই বন্ধ করুন। অনেক পণ্য বিক্রেতার কাছে এবং বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় যে পাতলা চুল ঘন করার উপায় হিসেবে তাদের পণ্য ব্যবহার করুন ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে তারা পন্য বিক্রয় করে ইত্যাদি। সাবধান! এসব পণ্য ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। পাতলা চুল ঘন করার উপায় হিসেবে পেশাগত চিকিৎসা এবং প্রাকৃতিক ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার ব্যতীত অন্য কোন ক্ষতিকারক ক্যামিকেল পণ্য ব্যবহার করবেন না। এমনকি, চুল রঙ করা, সটীক করা, কেমিক্যাল দিয়ে স্ট্রেইট করা, চুলে জেল ব্যবহার, গেয়ার স্প্রে ইত্যাদি ধরণের কেমিক্যাল বন্ধ করে দিন। চুলকে স্বাভাবিক নিয়মে বাড়তে দিন।
  5. এছাড়াও তেলের মিশ্রণ ব্যবহার, পেঁয়াজের রস ব্যবহার, ডিম ব্যবহার, অ্যামন্ড, অ্যালোভেরা ইত্যাদি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করাও পাতলা চুল ঘন করার উপায় হিসেবে বিবেচ্য। 
সব সময় খেয়াল রাখবেন। আপনার চুল আপনার অলংকার। সুতরাং, অবহেলায় সেই অলংকার নষ্ট করবেন না। 

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও চুল ঘন করার উপায়ঃ 


মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অতি দ্রুত চুল পড়ে। ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৮৫ শতাংশ পুরুষ ৫০ বছরের পূর্বেই টাক হয়ে যায়। 

বর্তমানে ২০-৩০ বছরের যুবকরাও অতি দ্রুত চুল হারাচ্ছে। তাই, ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি প্রয়োজন এবং পাশাপাশি ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় হিসেবে ঘরোয়া সমাধানও রাখতে হবে হাতের কাছে। 
একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন, যদি আপনার মাথায় টাক পরে গিয়ে থাকে তাহলে প্রকৃতিগতভাবে আর  সেখানে নতুন চুল গজানো সম্ভব নয়। তবে অবশিষ্ট চুল পরিস্কার এবং ঘন করার মাধ্যমে আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। 
  • হালকা শ্যাম্পুর ব্যবহারঃ ছেলেদের চুল পড়া ও ঘন করার উপায় হিসেবে প্রচলিত অনেক লেখা ইন্টারনেটে পাবেন। কিন্তু ছেলেদের শ্যাম্পুর ব্যবহার নিয়ে খুব একটা কথা বলা হয় না। অথচ ভারী উপাদানের শ্যাম্পু চুলকে রূক্ষ্ম করার পাশাপাশি মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই ছেলেদের সর্বদা হালকা ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুল ঘন হতে শুরু করবে।
  • রাসয়নিক পদার্থ ব্যবহার বর্জন করাঃ ছেলেদের মধ্যে রাসয়নিক পদার্থের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। তাই অল্প বয়সের মধ্যেই অনেক ছেলে মাথায় টাক নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এই বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য সে নিজেই দায়ী। তাই ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করায় উপায় হিসেবে অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে, জমকালো বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে বাজারের ক্ষতিকারক ক্যামিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখা। 
  • সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুনঃ সুস্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। অল্প বয়সে মাথায় টাক নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানো কখনোই সুখের নয়। তাই আপনার সুস্বাস্থ্য আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। যেকোন ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করায় উপায় হিসেবে সুস্বাস্থ্য অধিক গুরুত্বপূর্ন।
  • ধুমপান বর্জনঃ ধুমপানের সাথে পুরুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারনা করা হয়। বাংলাদেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অপ্রাপ্ত এবং অপরিনত বয়সের পুরুষ। ধূমপান চুল এবং মাথার ত্বকের অত্যধিক ক্ষতি করে থাকে। এক্ষেত্রে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় ব্যবহার করেও অনেকেই আশানরুপ ফল পায় না তার কারন তারা ধূমপান বর্জন করতে পারছেন না। সুস্থ সুন্দর চুল নিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজই ধূমপান বর্জন করুন।
  • হেয়ার প্যাক ব্যবহারঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় হিসেবে ঘরে তৈরী বিশেষ হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। হেয়ার প্যাকটি তৈরী করার পদ্ধতি- একটি বাটিতে ১ চামচ মধু, পাঁচ ফোঁটা রোজমেরি তেল, একটি ডিমের কুসুম এবং সাথে অ্যাভোকাডো পেষ্ট নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চুলে সামান্য পরিমাণ পানি স্প্রে করে হেয়ার প্যাকটি ভালোমত সম্পূর্ণ চলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর্যন্ত মালিশ করুন এবং প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো মতো ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।
  • নিয়মিত চেক-আপঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় হিসেবে ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। অনেকক্ষেত্রে মাথার ত্বকে বিশেষ কিছু রোগের আক্রমনের কারনে চুল পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে, ঘরোয়া সমাধান কাজ না করতে পারে। তাই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
  • ছেলেদের চুল ঘন করার তেলের নাম হচ্ছে সরিষার তেল। নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে ছেলেদের চুল ঘন হয়।

মাথার সামনের চুল ঘন করার উপায়ঃ পাতলা চুল ঘন করার উপায়


মাথার সামনে দিকের চুল পড়া খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। অনেকের ক্ষেত্রেই এমন হয় যে মাথার পিছনের চুলের তুলনায় সামনের চুল পাতলা হয়ে যায় এবং মাথার উপড়ে ও পিছনের দিকে নতুন চুল গজালেও সামনের দিকে নতুন চুল গজানো প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। 

অনেকের ক্ষেত্রে মাথার সামনের দিকে চুল পড়তে শুরু করলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। মাথার সামনের চুল ঘন করার উপায় হিসেবে কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবম্বন করা যায়। তবে প্রথমেই আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে কেন আপনার মাথার সামনের দিকের চুল পড়ছে তাহলে সমাধানের সময়সীমা কমিয়ে আনা যাবে। 

হরমোনের পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মানষিক চাপ মাথার সামনের চুল পড়ার অন্যতম কারন তাই এই লেখাটিতে মাথার সামনের চুল ঘন করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো।
  1. তিন ধরনের তেলের মাসাজঃ চুলের জন্য তেল সব সময় অপরিহার্য। মাথার সামনের চুল ঘন করার উপায় স্বরুপ তিন ধরনের তেলের মাসাজ খুবই কার্যকরী। ক্যাষ্টর অয়েল, নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ক্যাষ্টর অয়েলে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, মিনারেল এবং এ্যান্টি অক্সিডেন্ট এই সবগুলো উপাদান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নারকেল তেল চুলের আদ্রতা ধরে রেখে চুলকে মজবুত করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের ফলিকলে পুষ্টির জোগান দেয়। রাতে ঘুমানোর পূর্বে  তিনটি তেল একসাথে মিশিয়ে সপ্তাহে ২-৩ দিন মাসাজ করে সকালে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ১ মাস ব্যবহার করলেই লক্ষনীয় ফলাফল দেখতে পাবেন।
  2. অ্যালোভেরা জেলের সাথে পেঁয়াজের রসঃ মাথার সামনের চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? সামনের চুল ঘন করার উপায় হিসেবে পেঁয়াজের রসের সাথে অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। কারন, পেঁয়াজের এন্টি অক্সিডেণ্ট ও সালফার চুলের পুষ্টি বহুগুণ বাড়ায়। পাশাপাশি অ্যালোভেরার গ্লাইকোপ্রোটিন চুলের পুনরায় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাথার সামনের চুল ঘন করার ক্ষেত্রে যেখানে চুল পাতলা হয়ে গেছে সেখানে ভালোভাবে মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট ধুয়ে ফেলুন। ফলফল দেখে চমকে যাবেন। 
  3. অলিভ ওয়েলের সাথে রসুনঃ যাদের মাথার সামনের দিকের চুল অনেক বেশি পাতলা হয়ে যায় এবং দ্রুত পাতলা চুল ঘন করার উপায় খুঁজছেন তাদের জন্য উপযোগী এই পদ্ধতিটি। রসুনে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণ সালফার যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। অলিভ ওয়েলের সাথে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে মিশিয়ে হালকা গরম করে সপ্তাহে ৫-৬ বার ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন, অলিভ ওয়েলের মানের সাথে কখনোই সমঝোতা করবেন না সব সময় এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল বেছে নিন।
  4. হেয়ার প্যাকঃ সামনের চুল ঘন করার উপায় হিসেবে আপনি এই হেয়ার প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। একটি বাটিতে আলুর রস, মধু, লেবু এবং একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিন। তারপর মাথার সামনের যেই স্থানগুলোতে চুল কমে গেছে সেখানে মাসাজ করুন। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহার করলেই আপনি তুলনামুলক ফলাফল পাবেন। 
ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো কাজ না করলে মাথার সামনের চুল ঘন করার জন্য অবশ্যই পেশাগত চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে। 

চুল লম্বা করার উপায়ঃ শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায়

চুলের মোহনায় হারিয়ে গিয়ে নজরুল রচনা করেছিলে- 
আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গ্যেয়ি।
বিনোদ বেণীর জরীণ ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কাছ গ্যেয়ি।। - কাজী নজরুল ইসলাম

বাঙ্গালী নারীর চুলের সৌন্দর্য যেন এক ঈশ্বর প্রদত্ত উপহার। ঐতিহাসিক গদ্য পদ্য থেকে জানা যায় সেই শুরুর সময় থেকেই নারীরা রেশমি ঘন কালো লম্বা চুলের জন্য কত কি করতো। বর্তমানে ফ্যাশন সচেতন পুরুষরাও লম্বা চুল রাখছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া, প্রতিদিনের ধুলা দূষন যেন বাড়ন্ত চুলের দুষমনে পরিনত হয়েছে। 

চুল পড়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, মাথার ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া আরো বিভিন্ন ধরনের চুলের রোগ এখন নারী-পুরুষের নিত্য সঙ্গী। চুলের যত্ন নেওয়ার সময়ও এখন কমে এসেছে সকলের কাছে। এই অবস্থায় সহজ এবং কার্যকরী ঘরোয়া চুল লম্বা করার উপায় সবচেয়ে বেশি গ্রহনযোগ্য। 

আসলে চুল লম্বা করা বলতে বুঝায় চুলের সঠিক পরিচর্যা করে চুলের ক্ষতিহ্রাস করা ও চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখা। রাতারাতি চুলের বৃদ্ধি সম্ভব নয়, তার জন্য চাই সঠিক যত্ন এবং ধৈর্য। এই লেখাটিতে আপনাকে কিছু ঘরোয়া চুল লম্বা করার উপায় জানাবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সঠিক উপায়ে চুলের পরিচর্যা করা চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারবেন।

প্রথমেই আপনার অভ্যাসগত কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। কারন, চুলের ক্ষতি সাধনের পিছনে আপনার কিছু বদ অভ্যাস জড়িত থাকতে পারে পাশাপাশি চুল লম্বা করার উপায় প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। 

  1. আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে।
  2. দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম শরীর সুস্থ রাখবে। 
  3. সুষম খাবারের পরিমান বাড়িয়ে জাঙ্ক ফুড গ্রহন কমাতে হবে।
  4. সপ্তাহে অন্তত ২ দিন চুলে শ্যাম্পু করবেন।
  5. অতিরিক্ত রোদের তাপে চুল পুড়াবেন না। প্রয়োজনে মাথা ঢেকে রাখুন। 
  6. গরম পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করবেন না। 
  7. উচ্চ মাত্রার ক্যামিক্যাল জাতীয় পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। 
  8. ধুমপান বর্জন করুন। 
নিয়মিত তেলের ম্যাসাজঃ পুরো আর্টিকেল জুড়েই তেলের ম্যাসাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত তেলের ম্যাসাজ আপনার চুলের সুস্বাস্থ্য বজার রেখে চুলকে বাড়তে সাহায্য করবে। চুল পড়া বন্ধ হোক বা চুল লম্বা করার উপায় তেলের গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেল, বাদাম তেল অথবা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী 
  • ক্যাষ্টর অয়েল- ক্যাষ্টর অয়েলকে চুলের মহৌষধ বলা হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন ই ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাটি এসিড যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুলের ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে। চুল লম্বা করার উপায় হিসেবে আপনি ক্যাষ্টর অয়েলের সাথে নারিকেল তেল/ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে অন্তত তিন বার ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার চুল বাড়তে শুরু করেছে। চুল লম্বা করার জন্য একটি সহজ এবং কার্যকরী উপায়।
বিশেষ হেয়ার প্যাকঃ চুল লম্বা করার উপায় হিসেবে বেশ কিছু ভেষজ হেয়ার প্যাক রয়েছে। ঘরোয়া ভাবেই ঝটপট তৈরী করে নেওয়া সম্ভব। ব্যবহার বিধিও খুব সহজ। 
  • চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ডিমের ভূমিকা তো নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। চুল লম্বা করার উপায় হিসেবেও ডিমের ব্যবহার রয়েছে। ডিমের প্রোটিন, আয়রন , ফসফরাস, জিঙ্ক, সালফার ইত্যাদি উপাদান চুলের জন্য কতটা প্রয়োজন সেটা হয়তো ডিম নিজেও উপলব্ধি করতে পারে না। ডিমের সাথে টক দই, মেথি, পাকা কলা মিশিয়ে একটি প্রোটিন হেয়ার প্যাক বানানো যায়।
  • ত্রিফলা নামে পরিচিত আমলকী, হরীতকী, বহেরার সাথে টকদই মিশিয়ে তৈরীকৃত একটি হেয়ার প্যাক খুবই সুপরিচিত।
  • আমলকির রস চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় উপকারী। আমলকির রসের সাথে অ্যালোভেরা মিশিয়ে একটি সহজ প্যাক তৈরী করতে নিতে পারেন।
  • মধু ও দুধ মিশিয়ে শুষ্ক বা রুক্ষ চুলের জন্য একটি ভালো হেয়ার প্যাক তৈরী করা যায়।
চুল লম্বা করার উপায় হিসেবে আপনি উপড়ে লিখিত যেকোন একটি প্যাক সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ব্যবহার করবেন। একটানা ২ মাস ব্যবহার করলে আপনি নিজেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আপনার চুল হবে সুস্থ, সুন্দর এবং চুলের বৃদ্ধি হতে নজর কেড়ে নেওয়ার মতো। 

শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায়ঃ চুল ঘন করার উপায় জানতে চাই


শিশু সন্তান নিঃসন্দেহে বাবা-মা এর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় উপহার। সেই সন্তানের জন্য বাবা মা সব কিছু করতে পারে। আমার সন্তান যেন রয় দুধে ভাতে- এই লাইনটি থেকে বুঝতেই পারছেন শুধুমাত্র শারীরিক নয়, শারীরিক, বাহ্যিক, মানষিক সব দিক থেকেই সন্তান যেন হয় সম্পূর্ণ নিখুঁত এই চাওয়া থাকে প্রত্যেকটি বাবা মায়ের। 

কিন্তু অনেক শিশুর চুলের বৃদ্ধির হার কম, বাবা মা খুবই দুশ্চিন্তা করেন এই বিষয়টি নিয়ে। শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় জানতে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করেন কিন্তু ডাক্তাররা ছোট বাচ্চাদের জন্য ওষুধ দিতে চান না, পাশাপাশি ছোট্ট শিশুর স্বাস্থ্যের দিকটাও নজরে রাখতে হয়। এই আর্টিকেলটিতে শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় হিসেবে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় যতটা নিরাপদ রাখা যায় ততটাই ব্যবহারযোগ্য হবে। তবে ৬ বছর বয়সের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের জন্য এই পরামর্শ গুলো উপযোগী নয়। ছয় বছরের কম শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় নিয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। ছয় বছর বয়সের পর থেকেই শিশুর চুলের বৃদ্ধি হতে শুরু করে। 
  • ভিটামিন ডিঃ পুষ্টিযুক্ত খাবার সব শিশুর জন্যই অপরিহার্য। শিশুর প্রয়োজন পরিপূর্ণ শারীরিক উয়াপাদান যা শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে শুরুতেই ভিটামিন ডি এর কথা আসবে। কেননা ভিটামিন ডি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো- ফরটিফায়েড ফুড (মিল্ক, চিজ ইত্যাদি) 
  • বাদামঃ বাদাম বা আমন্ড শিশুর মাথার চুল ঘন করার সহায়ক হিসেবে খুবই কার্যকরী। চুলের প্রোটিনের পরিমান বৃদ্ধি করে চুল ঘন করে। তাই শিশুকে প্রতিদিন ২-৪ টি বাদাম খেতে দিন। যদি খেতে না চায় তবে দুধের সঙ্গের বাদামের গুড়া মিশিয়েও দিতে পারেন।
  • আয়রনঃ বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়ক একটি উপাদান। শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় হিসেবেও অত্যন্ত জরুরী উপাদান। বাচ্চার প্রতিদিনের খাবারে আয়রনযুক্ত খাবার রাখুন যেমন- শাক সবজি, মটরশুটি, কুমড়ো ইত্যাদি।
  • চিরুনির বব্যহারঃ অনেক বাবা মা মনে করেন চিরুনির ব্যবহার করলে শিশুর মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এই ধারনাটি সম্পূর্ন ভুল। শিশুর মাথার চুল ঘন করার জন্য আপনাকে ছোট চিরুনি দিয়ে মাঝে মাঝে শিশুর চুল আঁচড়ে দিতে হবে তাহলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। ফলস্বরুপ, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। 
  • পরিস্কার চুলঃ আমাদের দেশের একটি শ্রেনীর বাব মা মনে করেন যে শিশুর মাথা বেশি ধোয়ালে ঠান্ডা লেগে যাবে তাই নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। শিশুর মাথার ত্বকে বড়দের মাথার মতোই ময়লা জমে। মাথার ত্বক পরিস্কার থাকলে নতুন বৃদ্ধি হয়। শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় হিসেবে অবশ্যই ২-৩ দিন অন্তর অন্তর অল্প পরিমান বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করে শিশুর চুল পরিস্কার করবেন। 
  • তেল ব্যবহারঃ শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় হিসেবে তেলের ব্যবহার একটি সহজ এবং কার্যকরী পন্থা। জৈব নারিকেল তেল অথবা বাদাম তেল চুলের আদ্রতা বজায় রেখে চুলকে সতেজ করে তুলে পাশাপাশি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন সঠিক থাকে। এতে করে শিশুর চুল দ্রুত ঘন হয়। 
  • বিবিধঃ শিশুর মাথায় ঝুঁটি করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আলগাভাবে ঝুঁটি বাঁধুন। শিশুর শরীরের আদ্রতা বজার রাখতে অবশ্যই পরিমিত পরিমান পানি পান করাবেন এবং মাঝে মধ্যে ফলের জুস পান করাবেন। এতে করে শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায় সহজ এবং স্বল্প সময়ে ফলাফল প্রদর্শন করবে।
দূর্নীতির বাজারে শিশুদের পণ্য নিয়েও চলছে ব্যাপক ধাপ্পাবাজি। আসল নকলের মধ্যে ব্যবধান খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন কাজ তার পাশাপাশি রয়েছে অনুনমদিত পণ্য যা শিশুর ত্বকের ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে। তাই বিজ্ঞাপনের চটকে বা অন্যের কথার শিশুর শরীরে কোন পণ্য ব্যবহার করবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পরিশেষে, অযত্নে অবহেলায় চুল যেন না ঝরে যায়। যেকোন সমস্যায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা ট্রাইকোলজিষ্টের সাথে পরামর্শ করতে ইতস্তত বোধ করবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Leah Alexander
    Leah Alexander ০৪ ফেব্রুয়ারী

    ভাই আর কিছু ছিলো না,,,

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url