রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়
বরই পাতা জাদু নষ্ট করেআপনি কি, রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়, রাইস কুকারের গরুর মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আধুনিক রান্না করার যন্ত্রপাতি গুলোর মধ্যে রাইস কুকার অন্যতম একটি যন্ত্র। রাইস কুকারে আমরা সাধারণত ভাত রান্না করে থাকি। রাইস কুকারে ভাত অনেক ঝরঝরে এবং সুন্দর হয়। তবে রাইস কুকারে খুব সুন্দরভাবে বিরিয়ানি রান্না করা যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।
পেজ সূচিপত্রঃ রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়
- রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়
- রাইস কুকারে গরুর মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
- রাইস কুকারে মুরগির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
- রাইস কুকারে খাসির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
- রাইস কুকারে ডিমের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
- রাইস কুকারে কি কি রান্না করা যায়
- বর্তমানে রাইস কুকারের দাম কত
- রাইস কুকার ভালো রাখার কিছু টিপস
- রাইস কুকারে রান্না করার সুবিধা
- উপসংহারঃ (রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়)
রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়
আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। রাইস কুকারে আমরা সাধারণত ভাত রান্না করে থাকি। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে, রাইস কুকারে ভাত রান্না করার পাশাপাশি মাছ, মাংস, সবজি, বিরিয়ানি, তেহেরি সবকিছুই রান্না করা যায়। রাইস কুকারে এইসব কিছু রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজা লাগে। রাইস কুকারে বিরিয়ানি রান্না করলে বিরিয়ানি অনেক ঝরঝরে এবং সুস্বাদু হয়। বর্তমানে অনেক রাইস কুকার পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো রান্না হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
তাই রাইস কুকারে বিরিয়ানি রান্না করলে বিরিয়ানি হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন, রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময় সম্পর্কে? রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর জন্য ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। তবে বর্তমানে অনেক মডেলেরই রাইস কুকার পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভালো মডেল গুলোর খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয় এবং যেগুলো অনেক কমা সেগুলোতে একটু সময় লাগতে পারে। তবে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই রাইস কুকারে বিরিয়ানি হয়ে যায়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মত মাংস রান্না করতে সময় লাগে এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর মতো চাল মিশিয়ে পুরো বিরিয়ানি রান্না হতে সময় লাগে।
রাইস কুকারে গরুর মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে গরুর মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। গরুর মাংসের বিরিয়ানি বানানোর জন্য প্রথমে যে উপকরণ গুলো লাগবে সেগুলো হলোঃ এক কেজি গরুর মাংস, ৫০০ গ্রাম আতপ চাল বা বাসমতি চাল, তিনটি আলু মাঝারি সাইজের করে কেটে নিতে হবে, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা - গাজর খাওয়ার নিয়ম
এক কাপ পেঁয়াজ কুচি, এক কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা, দু চা চামচ জিরা গুঁড়া, ৫ টি এলাচ, ৫ টি দারুচিনি, ৫ টি লবঙ্গ, ৫ টি গোলমরিচ, তিনটি তেজপাতা, আধা কাপ গুড়া দুধ, কিসমিস কাঠবাদাম এবং কাজুবাদাম বাটা আধা কাপ, আধা চা চামচ জয়ত্রী গুঁড়া, আধা চা চামচ জয়ফল, শুকনো মরিচের গুঁড়া পরিমাণ মতো তেল এবং ঘি, ৭-৮ টি কাঁচা মরিচ, পরিমাণ মতো লবণ, কেওড়া জল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে চালগুলো ধুয়ে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপরে মাংসের সাথে আদা বাটা, রসুন বাটা, জয় ফলের গুঁড়া, জয়ত্রী গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কিসমিস, কাজুবাদাম কাঠবাদাম বাটা, গুঁড়া দুধ, তেজপাতা, পরিমাণ মতো মরিচের গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, পরিমাণ মতো লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মেরিনেট করে নিতে হবে। এভাবে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা হয়ে গেলে রাইস কুকার ভালোভাবে মুছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে রাইস কুকারের পাতিলে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিতে হবে।
এক কাপ পেঁয়াজ কুঁচি, গরম মসলা, লবঙ্গ, এলাচ, গোল মরিচ দিয়ে ভালোভাবে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। এরপরে মেরিনেট করা মাংস ঢেলে দিতে হবে। মাংস ঢেলে নেওয়ার পরে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবারে টুকরো করে রেখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে ৫ মিনিটের মতো ঢেকে দিতে হবে। ৫ মিনিট হয়ে গেলে রাইস কুকারের ঢাকনা খুলে আবার মাংস নেড়ে দিতে হবে। প্রয়োজন মত পানি ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ৫ মিনিট পর পর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে।
বিশ মিনিটের মধ্যে মাংস গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে। এরপরে ধুয়ে রাখা চাল মাংসের সাথে মিশিয়ে নিতে হব। ৫০০ গ্রাম চালের জন্য ৭৫০ গ্রাম পানি দিতে হবে। এরপরে চাল এবং মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দশ মিনিট পরে একবার ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে। এরপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ কেওড়া জল, সামান্য পরিমাণে ঘি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে বিরিয়ানি হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে রাইস কুকার বন্ধ হয়ে যাবে। তৈরি হয়ে গেল রাইস কুকারে গরুর মাংসের বিরিয়ানি। রাইস কুকারের বিরিয়ানি অনেক ঝরঝরে এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
রাইস কুকারে মুরগির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে মুরগির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। মুরগির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর জন্য যে উপকরণ গুলো লাগবে সেগুলো হলোঃ এক কেজি মুরগির মাংস, ৫০০ গ্রাম আতপ চাল বা বাসমতি চাল, তিনটি আলু মাঝারি সাইজের করে কেটে নিতে হবে, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক কাপ পেঁয়াজ কুচি, এক কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা, ২ চা চামচ ধনের গুঁড়ো, শুকনো মরিচের গুঁড়া, যেকোনো ব্র্যান্ডের বিরিয়ানি মসলা, পরিমাণ মতো তেল এবং ঘি, ৩-৪ টি কাঁচা মরিচ, পরিমাণ মতো লবণ, কেওড়া জল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে চালগুলো ধুয়ে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপরে মাংসের সাথে আদা বাটা, রসুন বাটা, দুই চা চামচ মরিচের গুঁড়া, দুই চা চামচ ধনের গুঁড়া পরিমাণ মতো লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মেরিনেট করে নিতে হবে। এভাবে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা হয়ে গেলে রাইস কুকার ভালোভাবে মুছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রথমে আলু গুলো অল্প ভাবে ভেজে নিতে হবে। এরপরে আলু গুলো তুলে একটি বাটিতে রাখতে হবে।
এরপরে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে এক কাপ পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভালোভাবে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। এরপরে মেরিনেট করা মাংস ঢেলে দিতে হবে। মাংস ঢেলে নেওয়ার পরে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে ৫ মিনিটের মতো ঢেকে দিতে হবে। ৫ মিনিট হয়ে গেলে রাইস কুকারের ঢাকনা খুলে আবার মাংস নেড়ে দিতে হবে। এরপরে আলুগুলো এবং তিন চা চামচ বিরিয়ানি মসলা দিয়ে ভালোভাবে মাংসের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এভাবে ৫ মিনিট পর পর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে।
বিশ মিনিটের মধ্যে মাংস গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে। এরপরে ধুয়ে রাখা চাল মাংসের সাথে মিশিয়ে নিতে হব। ৫০০ গ্রাম চালের জন্য ৭৫০ গ্রাম পানি দিতে হবে। এরপরে চাল এবং মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দশ মিনিট পরে একবার ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে। এরপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচামরিচ কেওড়া জল, সামান্য পরিমাণে ঘি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে বিরিয়ানি হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে রাইস কুকার বন্ধ হয়ে যাবে। তৈরি হয়ে গেল রাইস কুকারে মুরগির মাংসের বিরিয়ানি। রাইস কুকারের বিরিয়ানি অনেক ঝরঝরে এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
রাইস কুকারে খাসির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে খাসির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। খাসির মাংসের বিরিয়ানি বানানোর জন্য যে উপকরণ গুলো লাগবে সেগুলো হলোঃ এক কেজি খাসির মাংস, ৫০০ গ্রাম আতপ চাল বা বাসমতি চাল, তিনটি আলু মাঝারি সাইজের করে কেটে নিতে হবে, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা।
এক কাপ পেঁয়াজ কুচি, এক কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা, দু চা চামচ জিরা গুঁড়া, দুই চা চামচ ধনের গুঁড়ো, ২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো, ৫ টি এলাচ, ৫ টি দারুচিনি, ৫ টি লবঙ্গ, ৫ টি গোলমরিচ, তিনটি তেজপাতা, আধা কাপ গুঁড়া দুধ, কিসমিস কাঠবাদাম এবং কাজুবাদাম বাটা আধা কাপ, আধা চা চামচ জয়ত্রী গুঁড়া, আধা চা চামচ জয়ফল, শুকনো মরিচের গুঁড়া পরিমাণ মতো তেল এবং ঘি, ৭-৮ টি কাঁচা মরিচ, পরিমাণ মতো লবণ, কেওড়া জল।
প্রথমে চালগুলো ধুয়ে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপরে মাংসের সাথে আদা বাটা, রসুন বাটা, জয় ফলের গুঁড়া, জয়ত্রী গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, কিসমিস-কাজুবাদাম-কাঠবাদাম বাটা, গুঁড়া দুধ, তেজপাতা, প্রয়োজন মত মরিচের গুঁড়া, পরিমাণ মতো লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মেরিনেট করে নিতে হবে। এভাবে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা হয়ে গেলে রাইস কুকার ভালোভাবে মুছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে রাইস কুকারের পাতিলে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিতে হবে।
এরপরে এক কাপ পেঁয়াজ কুঁচি, গরম মসলা, লবঙ্গ, এলাচ, গোল মরিচ দিয়ে ভালোভাবে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। এরপরে মেরিনেট করা মাংস ঢেলে দিতে হবে। মাংস ঢেলে নেওয়ার পরে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবারে টুকরো করে রেখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে ৫ মিনিটের মতো ঢেকে দিতে হবে। ৫ মিনিট হয়ে গেলে রাইস কুকারের ঢাকনা খুলে আবার মাংস নেড়ে দিতে হবে। প্রয়োজন মত পানি ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ৫ মিনিট পর পর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে।
বিশ মিনিটের মধ্যে মাংস গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে। এরপরে ধুয়ে রাখা চাল মাংসের সাথে মিশিয়ে নিতে হব। ৫০০ গ্রাম চালের জন্য ৭৫০ গ্রাম পানি দিতে হবে। এরপরে চাল এবং মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দশ মিনিট পরে একবার ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে। এরপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচামরিচ কেওড়া জল, সামান্য পরিমাণে ঘি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে বিরিয়ানি হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে রাইস কুকার বন্ধ হয়ে যাবে। তৈরি হয়ে গেল রাইস কুকারে খাসির মাংসের বিরিয়ানি। রাইস কুকারের বিরিয়ানি অনেক ঝরঝরে এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
রাইস কুকারে ডিমের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে ডিমের বিরিয়ানি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডিমের বিরিয়ানি বানানোর জন্য যে উপকরণ গুলো লাগবে সেগুলো হলোঃ ৮ টি সিদ্ধ ডিম, ৫০০ গ্রাম আতপ চাল বা বাসমতি চাল, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক কাপ পেঁয়াজ কুচি, এক কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা, দু চা চামচ জিরা গুঁড়া, এক চা চামচ শুকনা মরিচের গুঁড়া, ২ চা চামচ ধনে গুঁডা, বিরিয়ানি মসলা, পরিমাণ মতো তেল এবং ঘি, ৩-৪ টি কাঁচা মরিচ, পরিমাণ মতো লবণ, কেওড়া জল।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে কাঠবাদাম নাকি চিনাবাদাম বেশি উপকারী
প্রথমে চালগুলো ধুয়ে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।এরপরে রাইস কুকার ভালোভাবে মুছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরে ডিম গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে। এরপরে রাইস কুকারের পাতিলে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিতে হবে। এরপরে এক কাপ পেঁয়াজ কুচি ভালোভাবে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। এরপরে দুই চা চামচ ধনে গুঁড়ো, একটা চামচ মরিচের গুঁড়ো, একটা চামচ জিরা গুঁড়ো, দুইটা চামচ বিরিয়ানি মসলা এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে মসলা গুলোকে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
এরপরে ডিমগুলো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।এরপরে ধুয়ে রাখা চাল ডিমের সাথে মিশিয়ে নিতে হব। ৫০০ গ্রাম চালের জন্য ৭৫০ গ্রাম পানি দিতে হবে। এরপরে চাল এবং ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দশ মিনিট পরে একবার ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে। এরপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচামরিচ কেওড়া জল, সামান্য পরিমাণে ঘি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে বিরিয়ানি হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে রাইস কুকার বন্ধ হয়ে যাবে। তৈরি হয়ে গেল রাইস কুকারে ডিমের বিরিয়ানি। রাইস কুকারের বিরিয়ানি অনেক ঝরঝরে এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
রাইস কুকারে কি কি রান্না করা যায়
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন, রাইস কুকারে কি কি রান্না করা যায়? আমরা সাধারণত রাইস কুকারে ভাত রান্না করে থাকি। অনেকেই জানেন না যে, রাইস কুকারে ভাত রান্না করার পাশাপাশি অনেক কিছুই রান্না করা যায়। রাইস কুকারে আপনি ভাত রান্না পাশাপাশি বিরিয়ানি রান্না করতে পারবেন। রাইস কুকারে বিরিয়ানি রান্না করার যেমন সহজ তেমনি অনেক ঝরঝরে এবং সুস্বাদু হয়।
এছাড়া রাইস কুকারে খিচুড়ি রান্না করা যায়। এছাড়াও আপনি রাইস কুকারে যেকোনো সবজি রান্না করতে পারবেন। মাছ, মাংস, ডিম রান্না করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ইচ্ছে করলে রাইস কুকারে পোলাও বানিয়ে নিতে পারেন। রাইস কুকারের পোলাও অনেক ঝরঝরে হয়। আপনি যেকোনো খাবারই রাইস কুকারে রান্না করে খেতে পারবেন।
বর্তমানে রাইস কুকারের দাম কত
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন, বর্তমানে রাইস কুকারের দাম কত? বর্তমানে বিভিন্ন মডেলের রাইস কুকার পাওয়া যাচ্ছে। একেক ব্র্যান্ডের রাইস কুকারের দাম একেক রকম। এছাড়াও রাইস কুকারের ওয়াট এবং লিটারের ওপর রাইস কুকারের দাম নির্ভর করে। আপনি যত বেশি ওয়াট এবং লিটারের রাইস কুকারে নিবেন। রাইস কুকারের দাম তত বেশি হবে।
আরো পড়ুনঃ লাল নাকি সাদা আটা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
আপনি যদি কম ওয়াট এবং লিটারের রাইস কুকার কিনতে চান। তাহলে রাইস কুকারের দাম কম পড়বে। বর্তমানে রাইস কুকার কিনতে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা লাগে। এছাড়াও আরো হাই কোয়ালিটির রাইস কুকার রয়েছে। যেগুলোর দাম আরো অনেক বেশি। আপনি যদি ভিশনের ১১টি মডেলের রাইস কুকার কিনতে চান। তাহলে ১৯০০ থেকে ২৯০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।
রাইস কুকার ভালো রাখার কিছু টিপস
আজকের আর্টিকেলটিতে রাইস কুকার ভালো রাখার কিছু টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা রাইস কুকারে রান্না করার পরে রাইস কুকারের যত্ন নেয় না। রাইস কুকারের যত্ন না নিলে খুব সহজে রাইস কুকার নষ্ট হয়ে যায়। তাই অবশ্যই রাইস কুকারের ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। রান্না করার পরে রাইস কুকার ভালোভাবে মুছে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে রাইস কুকারে যেন পানি না থাকে।
রাইস কুকারে পানি থাকলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার সময় শক লাগতে পারে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আলো বাতাস পূর্ণ জায়গায় রাইস কুকার রাখতে হবে। রান্না করার পরে অবশ্যই রাইস কুকারের তারটি খুলে রাখতে হবে এবং সুইচ বন্ধ করে রাখতে হবে। রান্না করার সময় যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে অবশ্যই রাইস কুকারে সুইচ অফ করে রাখতে হবে। এছাড়াও ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে ঢাকনা খুললে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
রাইস কুকারে রান্না করার সুবিধা
আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে রান্না করার সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। রাইস কুকারে ঝামেলা ছাড়াই রান্না করা যায়। আপনার যদি হঠাৎ করে গ্যাস ফুরিয়ে যায়। তাহলে আপনি রাইস কুকারে রান্না করতে পারবেন। রাইস কুকারের অন্যতম একটি সুবিধা হল রান্না হয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে রাইস কুকার বন্ধ হয়ে যায়।
রাইস কুকারে রান্না করলে খাবার অনেকক্ষণ গরম থাকে। রাইস কুকারে খাবার খুব সহজেই গরম করতে পারা যায়। এছাড়াও রাইস কুকারের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে রাইস কুকারে আপনি ভাত রান্নার পাশাপাশি সব রকমের খাবার রান্না করতে পারবেন। রাইস কুকারে ওপরে একটি পিঠা বানানোর জন্য পাতিল থাকে। তাই আপনি খুব সহজেই রাইস কুকারে ভাপা পিঠা বানিয়ে খাওয়া যায়।
উপসংহারঃ (রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক সময়)
আজকের আর্টিকেলটিতে রাইস কুকারে বিরিয়ানি বানানোর সঠিক নিয়ম সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও রাইস কুকারে মুরগির মাংসের বিরিয়ানি, রাইস কুকারে খাসির মাংসের বিরিয়ানি, রাইস কুকারে গরুর মাংসের বিরিয়ানি, রাইস কুকারে ডিমের বিরিয়ানি, রাইস কুকারে রান্না করার সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।বর্তমানে অনেক আধুনিক যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলোর মাধ্যমে রান্না করা যায়।
এর মধ্যে রাইস কুকার অন্যতম একটি রান্নার যন্ত্র। রাইস কুকারে ভাত রান্না করা যায়। ভাতের পাশাপাশি রাইস কুকারে সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, বিরিয়ানি, খিচুড়ি রান্না করা যায়। রাইস কুকারে খুব অল্প সময়ে অনেক ঝরঝরে এবং সুস্বাদুভাবে রান্না করা সম্ভব। আপনার যদি একটি ভালো মানের রাইস কুকার থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজে অল্প সময়ে বিরিয়ানি বানিয়ে নিতে পারবেন। হঠাৎ করে মেহমান আসলে মেহমানের জন্য রাইস কুকারে বিরিয়ানি খুব সহজেই বানিয়ে আপনি মেহমানদের আপ্যায়ন করতে পারবেন। Job id no: 250833




অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url