OrdinaryITPostAd

গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা

আপনি কি, গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে, এই পোস্টটি আপনার জন্য। গ্রামের মানুষেরা আগে থেকেই একটা কাজ করতো- গোসলের আগে গায়ে সরিষার তেল মাখা। এখন হয়তো অনেকেই এই অভ্যাসটা ভুলে গেছে।

গায়ে-সরিষার-তেল-মাখার-উপকারিতা

কিন্তু এটা খুবই উপকারী একটি কাজ। শরীরের ব্যথা কমানো থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ, এমনকি ত্বক নরম রাখতেও সরিষার তেল খুবই কার্যকর। বিশেষ করে শীতে শরীর গরম রাখতে এটা দারুণ কাজ করে। এই পোস্টে গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা

গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা

অনেকেই গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। আমাদের দেশে অনেক পুরনো একটা প্রথা রয়েছে- গোসলের আগে গায়ে সরিষার তেল মাখা। এটা শুধুমাত্র একটা অভ্যাস নয় বরং স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য একটি দারুণ উপায়। আগে গ্রামের মানুষেরা নিয়ম করে সকালবেলা সরিষার তেল মেখে রোদে বসে থাকতো। এখন যদিও শহরের ব্যস্ত জীবনে এই অভ্যাসটা অনেকটাই হারিয়ে গেছে। কিন্তু এর উপকারিতা এখনো একইভাবে কাজ করে। প্রথমেই বলা যায়-সরিষার তেল শরীকে গরম রাখতে সাহায্য করে।

শীতকালে ঠান্ডা লাগলে, হাঁচি-কাশির সমস্যা হলে বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেলে সরিষার তেল দারুণ কাজ করে। সরিষার তেল শরীরের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়, ফলে গা ঝিমঝিম ভাব বা ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। যারা জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন বা পুরনো ব্যথা রয়েছে, তারা সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে অনেক উপকার পেতে পারেন। সরিষার তেল মাখলে শুধু শরীরের ভেতরেই উপকার হয় না, শরীরের বাইরে থেকেও উপকার পাওয়া যায়। সরিষার তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও জীবাণু দূর করে।

অনেক সময় ত্বকে র‍্যাশ বা চুলকানি হয়ে থাকে, তখন নিয়মিত সরিষার তেল লাগালে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শিশুদের জন্যও এই তেল অনেক উপকারী। অনেক মা-বাবা বাচ্চাদের শরীরে সরিষার তেল মালিশ করে দেয়, যাতে করে তাদের হাড় শক্ত হয় এবং ঠান্ডা কম লাগে। এছাড়াও ঘুমানোর আগে তেল মালিশ করে নিলে, ঘুম ভালো হয় এবং মানসিক ভাবে প্রশান্তি পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে- যেটা প্রাকৃতিক উপাদান এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ। আর সরিষার তেলের দামও তুলনামূলকভাবে কম।

আরো পড়ুনঃ মুখের ব্রণ দ্রুত দূর করার কার্যকরী উপায়

খাঁটি সরিষার তেলে কোনো কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। তাই অনেক দামি লোশন বা ওষুধের বদলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে, অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সবশেষে বলা যায়-গায়ে সরিষার তেল মাখা শুধুমাত্র আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ নয় বরং এটা একটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। যারা নিয়মিত গায়ে সরিষার তেল মাখেন, তারা জানেন এর উপকারিতা কত। এখন সময় এসেছে এই উপকারী অভ্যাসটা আবার ফিরিয়ে আনা। এর উপকারিতা পেতে হলে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

শরীরে সরিষার তেল লাগানোর উপকারিতা

ছোটবেলায় অনেকেই দেখেছেন, গোসলের আগে মা-দাদীরা গায়ে সরিষার তেল মাখিয়ে রোদে বসিয়ে রাখতো। তখন হয়তো বুঝতে পারিনি, এই সরিষার তেল শরীরের জন্য কতটা উপকারী। এখন যত বড় হচ্ছি, তত বুঝতে পারছি এই প্রাকৃতিক তেল আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সরিষার তেল শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে যখন হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় বা হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা অনুভব হয়, তখন সরিষার তেল মালিশ করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এই তেল রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, যার ফলে শরীরের ভেতরের অকার্যকর কোষগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

গায়ে-সরিষার-তেল-মাখার-উপকারিতা

যাদের ত্বক শুষ্ক বা খসখসে, তাদের জন্য সরিষার তেল খুবই উপকারী। নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে- ত্বক নরম হয়, মসৃণ হয় এবং বিভিন্ন র‍্যাশ বা চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সরিষার তেলে থাকা প্রাকৃতিক জীবানু নাশক উপাদান, ত্বককে পরিষ্কার রাখতে অনেক সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে সরিষার তেল লাগালে তাদের হাড় শক্ত হয়, পেশি মজবুত হয় এবং ঠান্ডা-কাশির সম্ভাবনা কমে যায়। আবার রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের তালুতে বা পিঠে হালকা করে সরিষার তেল মালিশ করলে শিশুরা আরামে ঘুমাতে পারে।

বড়দের ক্ষেত্রেও সরিষার তেল একই কাজ করে। যারা সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে একটু তেল মালিশ করলে, শরীর হালকা লাগবে এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- সরিষার তেল আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গাতে সহজেই পাওয়া যায়। তাই কেমিক্যাল ভরা দামি প্রোডাক্টের পেছনে না ছুটে এ প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিতে পারেন। তবে সরিষার তেল কেনার সময় মান যাচাই করে কিনতে হবে। শরীরে সরিষার তেল লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যাবে এবং স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া যাবে।

প্রতিদিন তেল মালিশ করার উপকারিতা

এখন অনেকেই প্রতিদিন তেল মালিশ করার অভ্যাসটি ভুলে গেছে। এই ছোট অভ্যাসটা শরীর আর মন দুটোকেই ভালো রাখতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বা রাতে ঘুমানোর আগে হালকা করে তেল মালিশ করলে শরীর যেমন আরাম পায়, তেমনি শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন তেল মালিশ করলে, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। যার ফলে শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টি ঠিকভাবে পৌঁছে যায়। এটা শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। বিশেষ করে যারা সারাদিন কাজ করেন বা দীর্ঘ সময় বসে থাকেন, তারা যদি নিয়মিত তেল মালিশ করেন, তাহলে পেশির টান অনেকটাই কমে যাবে।

এছাড়াও তেল মালিশ করলে ত্বকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে করে ত্বক নরম হয় এবং মসৃণ থাকে। শীতে তো অনেকেরই ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়, তখন তেল মালিশ করলেই এই সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে। তেল ত্বকের ভেতরে ঢুকে ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে, ফলে ত্বক ফাটে না। আরেকটা উপকার হচ্ছে- রাতে ঘুম ভালো হবে। রাতে পায়ের তালুতে বা মাথায় একটু তেল মালিশ করলে, শরীর ও মন শান্ত থাকে এবং গভীর ঘুম হয়। সবশেষে বলা যায়- প্রতিদিন কয়েক মিনিট সময় নিয়ে তেল মালিশ করা শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 

ঠান্ডা-কাশি থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়

শীতকালে বা হটাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে, অনেকেরই ঠান্ডা-কাশি হয়ে যায়। ডাক্তার দেখানোর আগে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে, অনেকটাই আরাম পাওয়া যাবে। এসব ঘরোয়া উপায় সহজ এবং কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। প্রথমেই যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে- হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলিকুচি করা। এটা গলা পরিষ্কার করে, জীবাণু ধ্বংস করে এবং কাশির খুসখুসে ভাব কমায়। দিনে ২ থেকে ৩ বার এভাবে কুলি-কুচি করলে, অনেকটাই আরাম পাওয়া যাবে। এক কাপ গরম চা বা আদা চা খেলে কাশিতে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়।

এক টুকরো আদা, কিছু তুলসী পাতা এবং মধু দিয়ে চা করে খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে গলায় খুসখুস ভাব থাকলে, এভাবে চা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আবার এক চামচ মধুতে সামান্য কালোজিরা মিশিয়ে সকালে খেলে কাশি অনেকটাই কমে যায়। আরেকটা উপকারী পদ্ধতি হচ্ছে-শরীরে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করা। এতে করে শরীর গরম থাকে এবং সহজে ঠান্ডা লাগে না। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বেশ কার্যকর। সবশেষে বলা যায়- এই ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে, ঠান্ডা-কাশি থেকে খুব সহজেই বাঁচা যাবে। 

বাচ্চাদের শরীরে তেল মানুষের উপকারিতা

বাচ্চাদের শরীরে তেল মালিশ করা আসলেই খুব কার্যকরী একটি অভ্যাস। তেল মালিশ করলে বাচ্চাদের হাড় মজবুত হয়। যেহেতু বাচ্চারা দ্রুত বড় হয়, তাই তাদের শরীরের গঠন ঠিক রাখতে হাড় ও পেশীর সঠিক বৃদ্ধির প্রয়োজন। প্রতিদিন নিয়ম করে সরিষার তেল মালিশ করলে- বাচ্চাদের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়বে, পেশী শক্ত হবে এবং গঠন ঠিকঠাক থাকবে। আবার বাচ্চাদের পায়ের তালুতে তেল মালিশ করলে, তাদের ঘুম ভালো হয়। এছাড়াও শরীর শান্ত থাকে, আরাম লাগে এবং সহজে ঘুমিয়ে পড়ে।

এতে করে বাচ্চার মানসিক বিকাশেও ভালো প্রভাব পড়ে। শীতকালে এই তেল মালিশ করলে, তা ওষুধের মতো কাজ করে। শরীর গরম থাকে, আরাম লাগে এবং ঠান্ডা-কাশি কম হয়। বাচ্চাদের শরীরে তেল মালিশ করার ফলে, অনেক সময় বাচ্চাদের সর্দি-জ্বর হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। আর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে- এটা একদম প্রাকৃতিক, কোনো কেমিক্যাল নেই এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। শুধু প্রতিদিন কয়েক মিনিট সময় দিয়ে বাচ্চাদের শরীরে তেল মালিশ করলে, তাদের শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকবে। সবশেষে বলা যায়- আমাদের উচিত এই পুরনো উপকারী অভ্যাসটা আবার ফিরিয়ে আনা।

ত্বক নরম রাখার ঘরোয়া উপায়

ত্বক নরম আর মসৃণ রাখতে চাইলে, সব সময় দামি প্রসাধানী ব্যবহার করলেই হয় না। ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় মেনে চললেও ত্বক নরম এবং সুন্দর রাখা সম্ভব। এর জন্য প্রথমে যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে, শরীরের ভেতরে হাইড্রেশন ঠিক থাকবে এবং বাইরের ত্বক সতেজ থাকবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণে সরিষার তেল দিয়ে মুখে ও হাতে মালিশ করলে, ত্বক অনেকটাই নরম হবে এবং উজ্জ্বল হবে। শীতকালে সরিষার তেল খুব ভালো কাজ করে।

আবার আপনি চাইলে- দুধ আর মধু মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন, এটা ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সপ্তাহে একবার মুলতানি মাটি, বেসন ও দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে, ত্বক আরো পরিষ্কার ও কোমল হয়। মুখ ধোয়ার পর নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং ঘামার পর মুখ ধুতে হবে এ ছোট ছোট অভ্যাসগুলো ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ঘরোয়া যত্ন নিতে পারলে- আপনার ত্বক নরম, কোমল এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

ঘরে বসে শরীর চর্চা করার উপায়

স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন শরীর চর্চা করে খুবই জরুরী। কিন্তু সবার তো জিমে যাওয়ার সময় বা সুযোগ থাকে না। কিন্তু ঘরে বসেও সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে চললে, শরীর ফিট রাখা সম্ভব। এর জন্য প্রথমেই হালকা স্ট্রেচিং দিয়ে শুরু করতে হবে। ঘুম থেকে উঠার পর পাঁচ থেকে দশ মিনিট পুরো শরীর টান টান করে স্ট্রেচ করলে শরীর অনেকটাই সতেজ থাকবে। এরপরে, ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে এবং হালকা ব্যায়াম করতে হবে। বেশি সময় না থাকলে স্কোয়াট বা হাত-পা তুলেঝুলে কিছু সহজ ব্যায়াম করলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়।

এগুলো একদমই সহজ এবং শরীরের পেশি মজবুত করতে খুব ভালো কাজে দেয়। যারা একটু সময় বের করতে পারবেন, তারা ইউটিউবে বা মোবাইলে হালকা ফিটনেস ভিডিও দেখে সেগুলো প্র্যাকটিস করতে পারেন। তবে যেটাই করবেন, নিয়মিত করতে হবে। একদিন করে আরেকদিন না করলে কোনো লাভ হবে না। শরীর চর্চার সঙ্গে সঙ্গে- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, ঠিকমতো ঘুমাতে হবে এবং হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন নিজের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় বের করতে হবে। এতে করে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং মনও ফুরফুরে থাকবে। 

তেল মালিশ করে ব্যথা কমানোর উপায়

শরীরের ব্যথা অনেক সময় আমাদের কাজকর্মের বিরক্তি আনতে পারে। অনেকেই ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যথার সময় তেল মালিশ করলে, প্রাকৃতিক এবং উপকারী সমাধান পাওয়া যাবে। তেল মালিশ করলে শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এর ফলে ব্যথার জায়গায় সহজে রক্ত পৌঁছায়, সেই জায়গায় পেশি আর স্নায়ু নরম হয় এবং আরাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে সরিষার তেল হালকা গরম করে মালিশ করলে, ব্যথা দ্রুতই কমে যায়। ব্যথার জায়গায় আঙুলের মাথা দিয়ে ধীরে ধীরে গোল করে তেল মালিশ করা ভালো।

গায়ে-সরিষার-তেল-মাখার-উপকারিতা

এতে করে পেশীর টান ধীরে ধীরে কমে আসবে। কোমর, ঘাড়, হাঁটু কিংবা হাতে ব্যথা থাকলেও এই পদ্ধতিতে অনেক কাজে দেয়। অনেকেই ব্যথার সময় গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সেটি ব্যথার জায়গায় চেপে ধরেন, এটাও অনেক উপকারী। তেল মালিশ করলে শুধুমাত্র ব্যথা কমে না বরং মনও শান্ত হয়। কাজের পর ক্লান্ত শরীরে তেল লাগিয়ে হালকা করে মালিশ করলে, অনেক আরাম পাওয়া যায় এবং ঘুম ভালো হয়। সবশেষে বলা যায়- তেল যদি প্রাকৃতিক হয়, তাহলে কোনো ক্ষতি হবে না এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

শরীর গরম রাখার প্রাকৃতিক উপায়

শীতকালে বা ঠান্ডা আবহাওয়া শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো মেনে চললে, সহজেই শরীর গরম রাখা যায়। এর জন্য প্রথমেই যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে- সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে, এটা একটি কার্যকর উপায়। সকালে বা রাতে শরীরে তেল মাখলে রক্ত চলাচল বাড়ে, এর ফলে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে। বিশেষ করে হাত-পা অথবা পিঠে নিয়ম করে তেল মালিশ করলে, সহজেই শরীর গরম হয়। এছাড়াও দুধে হলুদ মিশে গরম করে খাওয়া, এটিও শরীর গরম রাখার একটি প্রাকৃতিক উপায়।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার

এতে করে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা দিনে একটু রোদে বসে থাকলে, শরীর অনেকটাই গরম হয়। খাবারের দিক থেকেও কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরী। যেমন- আদা, কালোজিরা অথবা দারুচিনি এসব মসলা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এই জিনিসগুলো চায়ে অথবা তরকারিতে ব্যবহার করলেই হয়। সবশেষে বলা যায়- শরীর গরম রাখার জন্য হালকা ব্যায়াম করতে হবে এবং হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এসব প্রাকৃতিক উপায় মেনে চললে, ঠান্ডা শরীর গরম রাখা সহজ হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। 

গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা-শেষ কথা

এই পোস্টে গায়ে সরিষার তেল মাখার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা শুধুমাত্র একটা পুরনো অভ্যাস নয় বরং এটা একটা উপকারী স্বাস্থ্যচর্চা। আগে গ্রামের মানুষজন নিয়ম করে গোসলের আগে তেল মাখতেন, কারণ তারা জানতেন এর আসল উপকারিতা কী। শরীর গরম রাখার জন্য, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, ব্যথা কমাতে এবং ত্বক মসৃণ রাখতে- সরিষার তেল মালিশ করা অনেক কার্যকরী একটি উপায়। শুধু বড়দের জন্য নয়, ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এই অভ্যাসটা খুবই উপকারী।

নিয়মিত তেল মালিশ করলে- শিশুদের হাড় শক্ত হয়, ঠান্ডা-কাশির সম্ভাবনা কমে এবং ঘুম ভালো হয়। আবার যাদের বয়স বেড়েছে বা পেশীতে টান পড়ে, তাদের জন্য সরিষার তেল মালিশ করা অনেক উপকারী সমাধান হতে পারে। তাই আমাদের উচিত এই উপকারী অভ্যাসটাকে আবার গড়ে তোলা। প্রতিদিন কয়েক মিনিট শরীরে তেল মালিশ করলে অনেক আরাম পাওয়া যাবে এবং মানসিক ভাবে প্রশান্তি পাওয়া যাবে। সুস্থ থাকতে হলে প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলায় সবচেয়ে ভালো। 250455

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url