সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট
সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট এবং সরকারি চাকরির বেতন স্কেল নিয়ে আগ্রহ
সব সময়ই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক। বিশেষ করে যারা নতুন করে চাকরিতে প্রবেশ
করতে চান অথবা বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কর্মরত আছেন তাদের জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
আমার এই লেখাটি পড়লে আপনি সহজভাবে জানতে পারবেন সরকারি চাকরির সর্বশেষ বেতন
কাঠামো, বিভিন্ন গ্রেডের বেতন স্কেল, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে।
এখানে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হবে যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারেন ২০২৫ সালের
সরকারি বেতন স্কেলের পরিবর্তন ও এর প্রভাব।
পেজ সূচিপত্রঃসরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট
- সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট
- শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন কাঠামো ২০২৫
- ডাক্তার ও স্বাস্থ্যখাতের বেতন স্কেল আপডেট
- পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেতন স্কেল
- বেসিক পে ও গ্রস পে এর মধ্যে পার্থক্য
- অবসরকালীন সুবিধা পেনশন, গ্র্যাচুইটি
- পূর্বের বেতন কাঠামোর সাথে ২০২৫ আপডেটের তুলনা
- সরকারি চাকরির নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা ও অসুবিধা
- সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরামর্শ
- লেখকের মন্তব্যঃ সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট
সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট
সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট অনুসারে বেতন কাঠামোর প্রধান তথ্য ৮ম
জাতীয় পে স্কেল অনুযায়ী, ২০১৫ সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন ৮ম জাতীয় পে
স্কেলে সরকারি চাকরির বেতনের সর্বনিম্ন ভিত্তি ৮২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮,০০০
টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
BCS ক্যাডারে প্রবেশকারী কর্মকর্তারা সাধারণত 9ম গ্রেড থেকে ন্যূনতম ২২,০০০
টাকা বেসিক বেতন পান। বিভিন্ন গ্রেড অনুযায়ী BCS ক্যাডারের বেসিক বেতন
গ্রেড-9: ২২,০০০ টাকা, গ্রেড-8: ২৩,০০০ টাকা, গ্রেড-7: ২৯,০০০ টাকা, গ্রেড-6:
৩৫,৫০০ টাকা, গ্রেড-5: ৪৩,০০০ টাকা, গ্রেড-4: ৫০,০০০ টাকা, গ্রেড-3: ৫৬,০০০
টাকা, গ্রেড-2: ৬৬,০০০ টাকা, গ্রেড-1: ৭৮,০০০ টাকা।
ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাঃ
বাড়িভাড়া ভাতা বেসিক বেতনের ৩৫% থেকে ৬৫% পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসা ভাতা
প্রতি মাসে সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫০০ টাকা, ৬৫ বছরের ওপরে
কর্মচারীদের জন্য ২৫০০ টাকা। পরিবহন ভাতা বেসিক বেতনের প্রায় ১০%। প্রতি বছর
সাধারণত ৫% হার অনুযায়ী ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয় ১লা জুলাই কার্যকর হয়। তবে
যেসব কর্মকর্তা/কর্মচারী বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছে গেছেন তারা
আর ইনক্রিমেন্ট পান না।
শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন কাঠামো ২০২৫
সরকার সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম
গ্রেড থেকে উন্নীত করে ১০তম গ্রেডে নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট
৬৫,৫০২ জন প্রধান শিক্ষক এই বেতন স্কেল উন্নয়নের আওতায় এসেছেন। সহকারী শিক্ষকরা
বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে ছিলেন, যেখানে মূল বেতন ছিল প্রায় ১১,০০০ টাকা।
বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারের কাছে প্রস্তাব
দেয় তাদের বেতন ১১তম গ্রেড মূল বেতন প্রায় ১২,৫০০ টাকা করা হোক। এই প্রস্তাবে
অনুমোদন পেলে, সহকারী শিক্ষকদের বেতন সংশোধিত হবে।
জনবল কাঠামো ও MPO নীতিমালা ২০২১ অনুসারে এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা পায় মূল
বেতন ১২,৫০০, বাড়িভাড়া ভাতা
১,০০০, চিকিৎসা ভাতা ৫০০, বিশেষ
সুবিধা ১,৮৭৫,মোট বোনাস, কর্তন ও
অন্যান্য বাদে ১৫,৮৭৫ টাকা। বিভিন্ন
কর্তন যেমন কল্যাণ তহবিল কর্তন বাদে হাতে প্রায় ১৪,৬২৫ টাকা যায়।
প্রশিক্ষণবিহীন নতুন সহকারী শিক্ষক ১২,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৪,০০০ টাকা
পর্যন্ত পেতে পারেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বিশেষ
প্রণোদনাঃ সহকারী শিক্ষক ১৩ম গ্রেডের: মূল বেতন ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা, প্রধান শিক্ষক ১১ম
গ্রেড: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট: ৫%। গ্রেড ১-৯: মূল বেতনের
৫%, গ্রেড ১০-২০: মূল বেতনের ১৫%।
ডাক্তার ও স্বাস্থ্যখাতের বেতন স্কেল আপডেট
সরকারি ডাক্তারদের বেতন স্কেল গ্রেড অনুযায়ী সরকারি স্বাস্থ্যখাতে মেডিকেল
অফিসারদের বেসিক বেতন গ্রেড ১০ এ প্রায় ১৬,০০০ টাকা, আর গ্রেড ৮ এ প্রায়
২৩,০০০ টাকা। সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের মতোই ডাক্তারদের বেতনভুক্ত ভাতাগুলোর
মধ্যে রয়েছে বাড়িভাড়া ৩৫-৬৫% পর্যন্ত, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং পরিবহন
ভাতা ১০%।
আরোও পড়ুনঃ
কিভাবে HSC পরীক্ষার রেজাল্ট দেখবেন
ঢাকায় একজন ডাক্তার সাধারণত প্রাপ্ত বেতনের সীমা বেস পে ১৯,০০০ টাকা থেকে
৫৩,০০০ টাকা। গড় ভিত্তিক বেসিক বেতন ডাটা অনুযায়ী প্রায় ৩০,০০০ টাকা। বার্ষিক
বেতন হিসেবে বাংলাদেশে একজন ডাক্তার গড়মাসে ৩৪,৭৯২ টাকা বা বছরে ৩ লাখ ১৭
হাজার থেকে ৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেতন স্কেল
সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট পুলিশ কনস্টেবল এর মূল বেতন ৯,০০০ টাকা
গ্রেড-১৭, বেতন স্কেল ৯,০০০-২১,৮০০টাকা। বাড়িভাড়া অবিবাহিত-২০%, বিবাহিত-৪০%,
পুরো পরিবার সহ ৪৫-৬৫%, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা, ঝুঁকি ভাতা ১,৫০০ টাকা,
অস্ত্রভাতা ১০০ টাকা, ধোলাই/চুলকাটা ৩০০ টাকা, টিফিন ভাতা ২০০ টাকা, বিশেষ
সুবিধা ১,০০০ টাকা মোট আনুমানিক মাসিক আয় প্রাথমিকভাবে ১৫,৪০০ টাকা।
এসআই এর মূল বেতন ১৬,০০০ টাকা গ্রেড-১০। এএসআই মূল বেতন ১০,২০০ টাকা গ্রেড-১৪।
মোট বেতন ভাতাসহ প্রায় ২২,৪২০ টাকা। বাড়িভাড়া ৬,১২০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০,
শিক্ষাভাতা ১,০০০, বিশেষ ভাতা ১,০০০, ঝুঁকি ১,৮০০, যাতায়াত ৩০০, টিফিন ২০০,
ধৌতভাতা (৩০০)।
আইজিপি ৮২,০০০, অতিঃ আইজিপি ৭৮,০০০, ডিআইজি ৬৬,০০০, অতিঃ ডিআইজি ৫৬,৫০০, এসপি
৪৩,০০০, অতিঃ এসপি ৩৫,০০০, সিনিয়র এএসপি ২৯,০০০, এএসপি ২৩,১০০, পরিদর্শক
২২,০০০, সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট ১৬,০০০, এএসআই ১০,২০০, কনস্টেবল ৯,০০০।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সামরিক বাহিনীর বেতন বিশ্ব-স্তরের গড় তথ্য থেকে Dhaka
ভিত্তিক বার্ষিক আয় ২,৮৮,১০০ টাকা মাসিক ২৪,০০৮ টাকা। নিম্ন থেকে উচ্চমান
১,৩০,৪০০ টাকা থেকে ৪,৫৪,৯০০ টাকা পর্যন্ত। Military Officer এর বার্ষিক আয়
BDT ৩৪৪,০০০ মাসিক ২৮,৬৭০ টাকা থেকে BDT ৪৯৫,০০০ মাসিক ৪১,২৫০ টাকা, অভিজ্ঞতা
ও পদমর্যাদা অনুযায়ী ভিন্নতা থাকে। সামরিক বাহিনীর বেতন কাঠামো পর্যালোচনার
জন্য ২০২৫ সালে একটি পে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
বেসিক পে ও গ্রস পে এর মধ্যে পার্থক্য
বেসিক পে হলো মূল বেতন। এটি চাকরির গ্রেড বা স্কেলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
এতে কোনো ভাতা যেমন বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পরিবহন ভাতা ইত্যাদি যোগ
থাকে না। যদি কোনো সরকারি চাকরির ৯ম গ্রেডে বেসিক বেতন ২২,০০০ টাকা হয় তবে
সেটিই তার বেসিক পে।
গ্রস পে হলো বেসিক পে ও সব ধরনের ভাতা যেমন House Rent, Medical, Transport,
Special Allowance ইত্যাদি এর যোগফল। এটি হলো কর্মচারী যে পরিমাণ টাকা হাতে
পান, কর্তন যেমন কর, পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড হওয়ার পর।যেমন কারও বেসিক
পে ২২,০০০ টাকা হলে তার সাথে যদি বাড়িভাড়া ভাতা ৮,০০০, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০
এবং পরিবহন ভাতা ২,০০০ যোগ হয় তবে তার গ্রস পে হবে ২২,০০০ + ৮,০০০ + ১,৫০০ +
২,০০০ = ৩৩,৫০০ টাকা।
অবসরকালীন সুবিধা পেনশন, গ্র্যাচুইটি
গ্র্যাচুইটি হলো অবসর গ্রহণ বা চাকুরিচ্যুতির সময় সরকারি এবং পেনশন-বাহিত
চাকরিজীবীদের দেওয়া এককালীন অর্থ। এটি প্রদান করা হয় কর্মজীবনের দীর্ঘতর সেবা
স্বীকৃতিতে। সাধারণত ৫ বছর বা তার বেশি অব্যাহত সময়ে চাকরি করা থাকলে এর
অধিকার মেলে। সাধারণত মোট চাকরির সময়কাল × সর্বশেষ মূল বেতন অনুযায়ী
গ্র্যাচুইটি নির্ধারিত হয়। যদি কোনো কর্মচারীর সর্বশেষ বেসিক বেতন ৩০,০০০
টাকা এবং তিনি ৩০ বছর চাকরি করেন তবে গ্র্যাচুইটি হবে ৩০ × ৩০,০০০ = ৯,০০,০০০
টাকা।
আরো পড়ুনঃবোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
পেনশন হলো অবসর গ্রহণের পর সরকার কর্তৃক চাকরিজীবীকে মাসিকভাবে প্রদত্ত একটি
নির্দিষ্ট অর্থ।সরকারি চাকরিতে অন্তত ২৫ বছর চাকরি করলে এবং নিয়ম অনুযায়ী
অবসর নিলে কর্মচারী পেনশনের অধিকারী হন। সাধারণত সর্বশেষ প্রাপ্ত বেসিক
বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ প্রায় ৮০% পেনশন হিসেবে মাসিক প্রদান করা
হয়। পেনশনভোগী মারা গেলে তার স্ত্রী/স্বামী বা নির্ভরশীলরা পারিবারিক
পেনশন পেয়ে থাকে।
পূর্বের বেতন কাঠামোর সাথে ২০২৫ আপডেটের তুলনা
২০১৫ সালে প্রণীত বেতন কাঠামোতে ২০ গ্রেড সিস্টেম চালু হয় যেখানে সর্বনিম্ন
বেতন ৮,২৫০টাকা জুনিয়র এন্ট্রি-লেভেল কর্মী, গ্রেড-২০ এবং সর্বোচ্চ
৭৮,০০০টাকা সচিব/চিফ সেক্রেটারি, গ্রেড-১ নির্ধারণ করা হয়। বার্ষিক
ইনক্রিমেন্ট, বাঙালি নববর্ষ ভাতা ও অন্যান্য উৎসব ভাতা দেওয়া শুরু হয়।
২০২৫ সালে নতুন আপডেট ও বিশেষ সুবিধা হলো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও স্পেশাল
ইনসেন্টিভ। ২০২৪ সালের পর গ্রেড ১-৯ এর কর্মচারীদের বেসিক বেতনে প্রতি বছর
১০% এবং গ্রেড ১০-২০এর কর্মচারীদের ১৫% ইনক্রিমেন্ট কার্যকর করার সিদ্ধান্ত
নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জুলাই ২০২৫ সালে ২৩ সদস্যের একটি নতুন Pay Commission গঠন করা হয়েছে যার
প্রধান হলেন প্রাক্তন অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান। কমিশন আগামী ছয় মাসের মধ্যে
রিপোর্ট জমা দেবে। কমিশনের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী বেতন
পুনর্মূল্যায়ন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, ভাতা ও উৎসব ভাতা নির্ধারণ, পেনশন ও পোস্ট
রিটায়ারমেন্ট সুবিধা উন্নয়ন ইত্যাদি।
সরকারি চাকরির নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা ও অসুবিধা
সরকারি চাকরির নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধাঃ নতুন পে স্কেল অনুযায়ী
সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ও মোট বেতন ভাতা সহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি
পেয়েছে। নতুন কাঠামোতে পেনশন ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা আরও স্বচ্ছ ও হিসাবযোগ্য
করা হয়েছে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও ভাতা সমন্বয় করার মাধ্যমে অবসরকালীন
আর্থিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, পরিবহন ভাতা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ
ক্ষেত্রে ঝুঁকি ভাতা বা প্রমোশনাল ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কর্মচারীরা
বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও প্রেরণা পান যা কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পদোন্নতি বা গ্রেড পরিবর্তনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ বেতন কাঠামো সুবিধা দেয়।
সরকারি চাকরির নতুন বেতন কাঠামোর অসুবিধাঃ যদিও বেতন বৃদ্ধি
পেয়েছে তবুও মুদ্রাস্ফীতি ও দৈনন্দিন খরচ বৃদ্ধির কারণে প্রকৃত অর্থনৈতিক
সুবিধা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। নতুন বেতন কাঠামোতে কিছু ভাতা এবং বিশেষ সুবিধা
এখনও সমন্বয়হীন বা বিভক্ত ফলে কর্মচারীদের জন্য হিসাব করা জটিল।
আরোও পড়ুনঃ
মোবাইল দিয়ে প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং টিপস
নতুন পে কমিশন রিপোর্ট অনুসারে বেতন কাঠামো পরিবর্তন হতে পারে। অনিয়মিত বা
বিলম্বিত প্রয়োগ কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারে। নতুন কাঠামো
অনুযায়ী ডকুমেন্টেশন, ফর্ম, হিসাব এবং গ্রেড অনুযায়ী বেতন সংশোধন
প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক বোঝা বাড়তে পারে।
সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরামর্শ
সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেটে বেতন, ভাতা ও অবসরকালীন সুবিধা
উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হলে প্রথমেই
পদের যোগ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা ও বিশেষ স্কিল যাচাই করুন। অনলাইন
আবেদন ফর্ম পূরণের আগে সরকারি ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল উৎস নিশ্চিতভাবে দেখে
নিন। শিক্ষাগত সনদপত্র, নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র, জন্মসনদ, অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট
ইত্যাদি স্ক্যান করা কপি এবং মূল নথি প্রস্তুত রাখুন।
ছবি, স্বাক্ষর ও অন্যান্য ফাইল ফরম্যাট বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ অনুসারে প্রস্তুত
করুন। সরকারি চাকরির আবেদন প্রত্যেক ক্ষেত্রে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নির্ধারিত
পোর্টাল থেকে করুন। তথ্য ভুল/অসম্পূর্ণ হলে আবেদন বাতিল হতে পারে। সময়মতো
আপডেট দেখুন। সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, ফলাফল এবং পরবর্তী নির্দেশনা নিয়মিত
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চেক করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিশিয়াল উৎস যাচাই করাও জরুরি। চাকরির জন্য অপেক্ষার সময়
অল্প খরচে জীবনযাপন এবং মানসিক প্রস্তুতি রাখা জরুরি। প্রয়োজনে মক টেস্ট,
স্টাডি গ্রুপ বা অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করুন। অনেক সরকারি চাকরিতে শারীরিক
পরীক্ষা বা মেডিক্যাল টেস্ট বাধ্যতামূলক। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্য
অভ্যাস গড়ার চেষ্টা করুন। সরকারি চাকরিতে কোনো ফি বা কমিশন দেওয়ার প্রয়োজন
নেই। কোনো এজেন্ট বা অনলাইন স্কিমে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব এড়িয়ে চলুন।
লেখকের মন্তব্যঃ সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট
সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো ২০২৫ আপডেট এ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
এসেছে যা চাকরিজীবীদের জন্য ইতিবাচক দিকগুলোর পাশাপাশি কিছু সীমাবদ্ধতাও আনে।
নতুন কাঠামোর প্রধান সুবিধা হলো বেতন বৃদ্ধি, পেনশন ও গ্র্যাচুইটি সুবিধার
স্বচ্ছতা, ভাতা ও অতিরিক্ত সুবিধার সমন্বয়। এটি সরকারি চাকরিকে আরও আকর্ষণীয়
ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলেছে।
তবে কিছু অসুবিধাও লক্ষ্য করা যায় যেমন মুদ্রাস্ফীতি ও দৈনন্দিন ব্যয়ের সঙ্গে
বেতন বৃদ্ধি সামঞ্জস্য না থাকা, ভাতার হিসাব জটিলতা, প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায়
বিলম্ব যা প্রার্থীদের জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি
করতে পারে। আমার পরামর্শ হলো সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা এই নতুন কাঠামো অনুযায়ী
নিজের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করুন। এতে সরকারি চাকরির সুবিধা সর্বোচ্চভাবে
কাজে লাগানো সম্ভব হবে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ। 250737




অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url