OrdinaryITPostAd

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

iR

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিংয়ের -সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

কারণ, এখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক। এখানে সঠিক জায়গায় দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে না পারলে, সময় ও পরিশ্রম দুটোই বৃথা যাবে। তাই যারা নতুন শুরু করতে চাইছেন, তাদের জন্য এই বিষয়ে জানা খুবই জরুরী। এই পোস্টে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের  সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের  সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের  সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

অনেকেই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের  সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এই বিষয়ে জানতে চেয়ে থাকেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি চাহিদার কাজটি হচ্ছে- ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রতিনিয়ত অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা বেড়েই চলেছে। ছোট থেকে বড় সব কোম্পানি এখন চাচ্ছে- তাদের পণ্য বা সেবা যেন ইন্টারনেটে বেশি মানুষ দেখতে পায়। আর এই কাজগুলো একজন ডিজিটাল মার্কেটার করে থাকে। এই কাজের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব প্রমোশন, কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও, গুগল এডসেন্স এবং ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। 

আপনি চাইলে যেকোনো একটি অথবা একাধিক বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে- এই কাজগুলো করতে হলে কোনো কোডিং এর প্রয়োজন হয় না। সাধারণ প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকলেই শুরু করা সম্ভব। অনেকেই ভাবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং খুব কঠিন কাজ। কিন্তু বাস্তবে এটা এমন একটি বিষয়, যেটা আপনি নিজে আগ্রহ দিয়ে শেখা শুরু করে, ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। এই ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে ইউটিউব ভিডিও দেখে অথবা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে খুব সহজেই শেখা যায়। আবার আপনি চাইলে, নিজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে প্র্যাকটিস করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশনে করণীয় ধাপ 

এতে করে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং পরে সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুধু বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য নয়।বাংলাদেশেও বিভিন্ন কোম্পানি, দোকানদার বা অনলাইন ব্র্যান্ড আছে, যারা একজন ভালো মার্কেটের খুঁজে থাকেন। আপনি চাইলে, আপনার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশীয় বাজারেও কাজ পেতে পারেন। সবশেষে বলা যায়, ভবিষ্যতের দিক থেকে চিন্তা করলেও ডিজিটাল মার্কেটিং একটি নিরাপদ এবং লাভজনক সেক্টর। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন কিভাবে

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর ও জনপ্রিয় পথ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা। কারণ, দিন দিন ব্যবসাগুলো অনলাইনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। বর্তমানে এই বাজারে একজন দক্ষ মার্কেটারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-আপনি যদি একদম নতুন হন, তাহলে কিভাবে শুরু করবেন? প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং একটা বিষয় হলেও, এর মধ্যে অনেক উপ-বিষয় রয়েছে। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, গুগল এডসেন্স, কন্টেন্ট রাইটিং, ইউটিউব প্রমোশন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ।

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিংয়ের -সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

ইউটিউবে বাংলা ভাষায় অনেক ভালো টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে। যেগুলো ভিডিও দেখে আপনি একেবারে শুরু থেকে শিখতে পারবেন। আবার আপনি যদি চান, তাহলে ভালো অনলাইন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। শেখার সময় চেষ্টা করতে হবে, নিজের একটি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে বাস্তবে প্র্যাকটিস করতে। এতে করে আপনি হাতে-কলমে অভিজ্ঞ হতে পারবেন। যখন একটু দক্ষ হয়ে যাবেন, তখন- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। এই সমস্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন। 

শুরুতে অল্প বাজেটের কাজগুলো করে, রিভিউ বাড়িয়ে নিতে হবে। যখন আপনি একেবারে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন, তখন আপনি নিজেই দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। সবশেষে বলা যায়, ধৈর্য এবং নিয়মিত চর্চায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং থেকে সফলতার মূল চাবিকাঠি। একদিনে কোনো কিছুই সম্ভব হয় না, তবে নিয়মিত শিখলে ও প্র্যাকটিস করলে, কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি ভালো একজন ডিজিটাল মার্কেট হয়ে উঠতে পারবেন। তাই নিয়মিত চেষ্টা করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। 

এসইও করে ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়

বর্তমানে ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে- এসইও। এসইও মানে হচ্ছে- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সহজ ভাবে বললে, গুগলে কোনো কিছু সার্চ করলে যে ওয়েবসাইটগুলো উপরে ভেসে আসে, সেগুলোকেই এসইও করে প্রথম পেজে আনা হয়। যাদের ওয়েবসাইট বা অনলাইন বিজনেস রয়েছে, তারা সবাই চাই তাদের ওয়েবসাইটগুলো যাতে গুগলে সবার উপরে র‍্যাংক করে। আর এই কাজের জন্য একজন ভালো এসইও এক্সপার্টের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ভালোভাবে এসইও শিখে নিতে পারেন, তাহলে ঘরে বসেই ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে অথবা ফ্রিতে অনেক গুলো ভালো কোর্স রয়েছে সেখান থেকে খুব সহজেই এসইও করা শিখতে পারবেন। তারপরে, নিজের একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে প্র্যাকটিস করতে হবে। প্র্যাকটিস করতে করতে আপনি ধীরে ধীরে দক্ষতা অর্জন করবেন এবং অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন। তারপরে, ফাইভার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম- এই সমস্ত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন। ধীরে ধীরে বাইরের ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইটে কাজ করে ঘরে বসেই ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভবিষ্যতেও এসইও  এর চাহিদা অনেক হতে পারে। 

ফেসবুক মার্কেটিং করে মাসে কত ইনকাম করা সম্ভব

ফেসবুক মার্কেটিং এখন অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেকেই প্রশ্ন করেন- ফেসবুক মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব? এর উত্তর নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, আপনার অভিজ্ঞতা এবং আপনি কাদের জন্য কাজ করছেন তার উপর। যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন এবং ছোট ব্যবসার জন্য কাজ করেন, তাহলে শুরুতে প্রতি মাসে ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে। আর যদি আপনি ভালোভাবে কাজ শিখে ফেলতে পারেন এবং প্রফেশনাল লেভেলের মার্কেটার হতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। 

অনেক সময় ৪থেকে ৫টি ক্লায়েন্টদের ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করতে হবে, অ্যাড রান করতে হবে, কনটেন্ট তৈরি করতে হবে- তাহলেই মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। বিশেষ করে বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাজ পেলে, প্রতিটি প্রজেক্টে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, ইনকাম বাড়াতে হলে অবশ্যই স্কিল বাড়াতে হবে। নিয়মিত শিখতে হবে, প্র্যাকটিস করতে হবে এবং নতুন নতুন সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই ফেসবুক মার্কেটিং থেকে স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য ইনকাম করা সম্ভব হবে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কনটেন্ট রাইটিং শেখার গুরুত্ব

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কন্টেন্ট রাইটিং একটি অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন ও সম্মানজনক কাজ। অনলাইনে হাজারো ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-কমার্স এবং ডিজিটাল পেজগুলো প্রতিদিন নতুন নতুন কনটেন্ট রাইটার খুঁজে থাকেন। কারণ, ভালো কনটেন্ট ছাড়া কোনো ওয়েবসাইট অথবা কোনো ব্র্যান্ড মানুষের নজরে আসে না। যদি আপনি সুন্দর ভাবে বাংলা বা ইংরেজি লিখতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই কনটেন্ট রাইটিং শিখে ঘরে বসেই ইনকাম শুরু করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে- এই কাজে কোডিং, ডিজাইন এবং প্রযুক্তিগত জটিলতা থাকে না। 

লেখার দক্ষতা অর্জন করে, বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে, গুছিয়ে লিখতে পারার অভ্যাস করে এবং কিছু এসইও জ্ঞান থাকলেই হবে। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেমন- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম- এই সমস্ত মার্কেটপ্লেসগুলোতে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ খুঁজে নিয়ে, কাজ করতে পারেন। এছাড়াও, অনেক ব্লগার এবং ওয়েবসাইটের মালিক সরাসরি রাইটার খুঁজে থাকেন, সেখানেও আপনি সুযোগ পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করার। সবশেষে বলা যায়, কন্টেন রাইটিং শেখ ইনকাম নয় বরং এটা আপনার জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। 

ইমেইল মার্কেটিং করে কিভাবে ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বা সেবা নিয়ে গ্রাহকদের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করে। আপনি যদি এই কাজটি ভালোভাবে শিখে ফেলতে পারেন, তাহলে অনায়াসে দেশী-বিদেশী ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ নিতে পারবেন খুব সহজেই। ক্লায়েন্ট পাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেমন- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। এখানে আপনি প্রোফাইল তৈরি করে ইমেইল ক্যাম্পেইন সেটআপ, অটো রেসপন্ডার ডিজাইন অথবা সাবস্ক্রাইব ম্যানেজমেন্ট সেবা অফার করতে পারেন। 

ভালোভাবে গিগ তৈরি করে, কিছু স্যাম্বল দিয়ে শুরু করলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও, লিংকদিন অথবা ফেসবুক থেকেও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপে অনেক ছোট ছোট প্ল্যানের কাজ পাওয়া যায়, যারা ইমেইল মার্কেটিং এক্সপার্ট লোক খুঁজে থাকে। আপনি চাইলে সরাসরি বিজনেস ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের কন্টাক্ট পেজে ইমেইল পাঠিয়েও নিজের সেবা অফার করতে পারেন। সবশেষে বলা যায়, প্রথম দিকে হয়তো একটু সময় লাগতে পারে, কিন্তু ধৈর্য ধরে ভালো করে কাজ করলে, ধীরে ধীরে আপনার রেগুলার ক্লায়েন্ট তৈরি হয়ে যাবে। 

ফাইবার ও আপ-ওয়ার্কে ডিজিটাল সার্ভিস কিভাবে দিতে হয়

ফাইবার ও আপ-ওয়ার্ক হচ্ছে এমন দুটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি ঘরে বসে ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল সার্ভিস বলতে বোঝায়- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইট গুলোতে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। ফাইবারে আপনাকে একটি গিগ তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনি স্পষ্টভাবে লিখে রাখবেন- আপনি কি বিষয়ে কাজ করবেন, কি সার্ভিস দিবেন, কত টাকায় দিবেন এবং কত দিনে কমপ্লিট করে দিবেন। 

এরপরে, কিছু সুন্দর ছবি, স্যাম্পল বা ভিডিও ব্যবহার করলে ক্লাইন্টের চোখে আকর্ষণ বাড়বে। আর আপ-ওয়ার্কে কাজ করতে হলে বিভিন্ন জব পোস্ট বিড করতে হবে। যেখানে সুন্দরভাবে নিজের দক্ষতা, পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং কিভাবে আপনি কাজটি ভালোভাবে করবেন তা বুঝিয়ে প্রপোজাল লিখতে হবে। সবশেষে বলা যায়, দুই প্ল্যাটফর্মে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হলে- সময় মতো কাজ জমা দিতে হবে, ভালো কমিউনিকেশন রাখতে হবে এবং ক্লায়েন্টদের চাহিদা বুঝে কাজ করতে হবে।শুরুতে ধৈর্য ধরে কাজ করলে, ভালো রিভিউ পেলে, একটি সুন্দর রেপুটেশন তৈরি হবে। 

বাংলাদেশ থেকে বিদেশী মার্কেটিং ক্লায়েন্ট পাওয়ার উপায়

বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে বিদেশী ক্লায়েন্টদের জন্য মার্কেটিং সার্ভিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে এর জন্য কিছু কৌশল জেনে রাখা দরকার। প্রথমত, ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। এই সমস্ত মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোফাইল তৈরি করে রাখতে হবে। আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল এডসেন্স, ইমেইল মার্কেটিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং জেনে থাকেন, তাহলে এসব বিষয়ে আপনার স্কিলের উপর ভিত্তি করে গিগ বা প্রপোজাল তৈরি করতে হবে। শুরুতে ছোট ছোট কাজ ধরে রিভিউ জমা করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ব্লগ সাইট সম্পর্কে জানুন

এরপরে, রয়েছে লিংকদিন। এটি একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। এখানে নিজের প্রোফাইল প্রফেশনাল ভাবে সাজিয়ে বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কানেকশন তৈরি করতে পারবেন। মাঝে মাঝে ইনবক্সে প্রফেশনালি সেবা অফার করতে পারেন।এছাড়াও, নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনার কাজের নমুনা এবং সফলতার গল্প তুলে ধরতে পারেন। আবার ফেসবুকে বিভিন্ন মার্কেটিং গ্রুপে অনেক ক্লায়েন্ট খোঁজা হয়ে থাকে। নিয়মিত একটিভ থাকলে ও সাহায্য করলে তারা আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে এবং এখান থেকেও আপনি কাজ নিতে পারবেন। 

নতুনদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং গাইড

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং অতি  প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ঘরে বসে ইনকাম করতে চান অথবা নিজের বিজনেস তো অনলাইনে তুলে ধরতে চান, তাদের জন্য এটি শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য প্রথমে জানতে হবে- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং মানে হচ্ছে- ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রচার করা। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব প্রমোশন, গুগল এডসেন্স, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। এরপরে, ভাবতে হবে কোথায় থেকে শুরু করবেন?

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিংয়ের -সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

ইউটিউব থেকে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে ধারণা নিতে হবে। আবার আপনি চাইলে, ফ্রি কোর্স দেখেও ধারণা নিতে পারেন। একটা নির্দিষ্ট সেক্টর বেছে নিতে হবে- যেমন সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং।এরপরে প্র্যাকটিস করতে হবে।নিজের পেজ, ব্লগ অথবা ফেক প্রজেক্টে কাজ করে প্র্যাকটিস করতে হবে এবং নিজের অভিজ্ঞতা বাড়াতে হবে।তারপরে, ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। যেমন- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক অথবা ফ্রিল্যান্সার ডটকম। এরপরে, নিজের স্ক্রিনশট, রিপোর্ট এবং ভালো রিভিউ গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। চলুন এবার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস নিয়ে আলোচনা করা যাক- 

  • ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে, একটা কথা মাথায় রাখতে হবে হুট করে ইনকাম হয় না।
  • প্রতিদিন কিছু সময় নিয়ে শিখতে হবে এবং প্র্যাকটিস করতে হবে
  • ইংরেজি শেখার চেষ্টা করতে হবে, বিদেশী ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করতে হলে ইংরেজি শেখাটা জরুরী।
  • সঠিক গাইড অনুসরণ করে কাজ করতে হবে, না জেনে ইনভেস্ট করবেন না।
  • এভাবেই, ধীরে ধীরে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের  সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি-শেষ কথা

এই পোস্টে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের  সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়ায় অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, কিন্তু সবকিছুর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি সেক্টর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। কারণ, ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায় এখন অনলাইনে চলে এসেছে। আর সবাই চাচ্ছে- তাদের পণ্য বা সেবা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে। এই কাজগুলো দক্ষ ভাবে সম্পন্ন করতে পারে একজন ডিজিটাল মার্কেটার।

তবে এর মানে এই নয় যে শুধু এটাতেই ভবিষ্যৎ রয়েছে। আপনার আগ্রহ, আপনার দক্ষতা, আপনার শেখার ইচ্ছা এবং পরিশ্রম যেখানে থাকবে- সেটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর হয়ে উঠবে। তাই কারো কথায় কান না দিয়ে, নিজের মনের ইচ্ছা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রত্যেকটা সেক্টর থেকে সফল হওয়া সম্ভব, যদি আপনি সত্যি মন থেকে শিখতে পারেন এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন তাহলে। শুরুটা ছোট হলেও ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে পারলে, আপনিও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। 250455

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url