BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড
ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খোলার নিয়মআজকের পোস্টে আমরা BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড সম্পর্কে আলোচনা করবো। এখন কেউ অফিসে গিয়ে ঝামেলা পোহাতে চাই না তাই বর্তমানে আমরা সব কাজ অনলাইনে করে থাকি। আজকে আমরা ধাপে ধাপে জানবো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খুলতে হয়।
![]() |
ড্রাইভিং-লাইসেন্স |
পেজ সূচিপত্র: BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড
- BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড
- BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য যে তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে
- লার্নার বা শিক্ষানবীস লাইসেন্স করার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজ
- বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি সম্পর্কে জানুন
- পেশাদার লাইসেন্স নাকি অপেশাদার লাইসেন্স - কোন লাইসেন্স গ্রহণ করবেন
- ২০২৫ সালের ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
- ২০২৫ সালের ড্রাইভিং লাইসেন্স মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ফলাফল দেখার নিয়ম
- স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
- অনলাইনে নিজের ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখার নিয়ম
- শেষ কথা - BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড
BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড
চলুন BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আপনি একটি গাড়ি কিনতে চাচ্ছেন তাহলে তো অবশ্যই আপনাকে আগে গাড়ি চালানো শিখতে হবে। শুধু গাড়ি চালানো শিখলেই হবে না আপনি যখন রাস্তায় গাড়ি চালাবেন তখন রাস্তার বিভিন্ন ট্রাফিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি না হয় গাড়ি কিনে আপন আত্মীয়র কাছে গাড়ি চালানো শিখলেন তারপর রাস্তায় গাড়ি চালালেন কিন্তু আপনি তো ট্রাফিক আইন কানুন সম্পর্কে জানেন না বলে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলেন। আপনি তো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালালেন আবার আইনও ভঙ্গ করলেন এতে আপনাকেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
তাই এসব ভোগান্তিতে যদি পড়তে না চান তাহলে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। লাইসেন্স করার আগে আপনাকে কয়েক মাস ড্রাইভিং ট্রেনিং নিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে তারপরই আপনি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার ড্রাইভিং যাচাই-বাছাই করে সব কিছু ঠিক থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অনুমোদন প্রদান করা হবে।
আজকে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স খোলার নিয়ম ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। আপনি চাইলে ঘরে বসে অথবা কোনো দোকান থেকেই আবেদন করতে পারবেন। আপনার মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার থেকেও আবেদন সম্পূর্ণ করা যাবে।
প্রথমেই গুগল ব্রাউজার ওপেন করে নিবেন। তারপর সার্চ অপশনে ক্লিক করে bsp.brta.gov.bd লিখে ওপেন করে নিবেন। ওপেন করার পর সবার উপরে যে লিংকটি আসবে, সেই অপশনে ক্লিক করে প্রবেশ করুন। উক্ত লিংকে প্রবেশ করার পর অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেহেতু আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নতুন আবেদন বা নিবন্ধন করবো তাই এখানে "নিবন্ধন" অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এক্ষেত্রে আরেকটি পেজ ওপেন হবে যেখানে দেখা যাবে কিছু তথ্য পূরণ করতে বলা হচ্ছে। আপনার এনআইডি অনুযায়ী জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর এবং এনআইডি নম্বর দিয়ে পূরণ করে নিতে হবে এবং অবশ্যই আপনার মোবাইল নম্বর এনআইডি অনুযায়ী হতে হবে। মোবাইল নম্বর দিয়ে পূরণ করার পর "অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করলে আপনার ফোনে ৩ ডিজিটের ওটিপি যাবে। সেই ৩ ডিজিটের ওটিপি বসিয়ে "যাচাই করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই ওটিপি ব্যবহার করা হয় আপনার এনআইডিতে দেওয়া মোবাইল নম্বরের সাথে আপনার পূরণকৃত মোবাইল নম্বর সঠিক কিনা যাচাই করার জন্য।
মোবাইল নম্বর সঠিক হলে লেখা আসবে "your mobile no successfully verified"। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী এখানে আপনার সকল সঠিক তথ্য চলে আসবে, যেমন- গ্রাহকের নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর। এখানে একটি জিমেইল বা ইমেইল অ্যাড্রেস আসবে সেটি পূরণ করে নিবেন। আপনার অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একটি পাসওয়ার্ড নির্বাচন অপশন আসবে সেখানে পাসওয়ার্ড বসিয়ে, পাসওয়ার্ডটি নিশ্চিত করে "নিবন্ধন করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী ধাপ বা পেজ চলে আসবে।
এখানে দেখতে পারবেন ইংরেজিতে লেখা আসবে আপনার একাউন্টটি সফলভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন আপনার ইমেইলে একটি ভ্যারিফাই মেইল আসবে আপনি সেই মেইল দিয়ে যাচাই করতে পারবেন যে আপনার দেওয়া ইমেইলটি সঠিক। এবার আপনি যে মোবাইল নম্বর বা ইমেইল দিয়েছেন সেটি ইউজারনেমে বসিয়ে এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে "লগইন" অপশনে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন আপনার একাউন্টে সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পেরেছেন।
শেষধাপে এসে আপনাকে নতুন প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। উপরে "প্রোফাইল" অপশনে ক্লিক করলে একটি পেজ আসবে এখানে ইউজার নেম এর পাশে "রিফ্রেশ" বাটনে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন লেখা আসবে "YOUR PROFILE VERIFIED BY NID SERVER"। "Ok" বাটনে ক্লিক করলে সব তথ্য চলে আসবে। সব ইনফরমেশন ঠিক থাকলে নিচের দিকে এসে "প্রোফাইল হালনাগাদ" এ ক্লিক করে আপনার প্রোফাইল তৈরি করে ফেলুন।
BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য যে তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে
BRTA হলো বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাত ও সড়ক নিরাপত্তার মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। BRTA এর বাংলা অর্থ হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ। বাংলাদেশে সব ধরনের যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় BRTA সংস্থা।
আরো পড়ুন: কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করবেন জেনে নিন
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্ত কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। অনলাইনে এই BRTA সংস্থা বিএসপি পোর্টাল চালু করেছে এবং বিএসপি পোর্টাল এর মাধ্যমেই সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করা যায়। বিএসপি পোর্টালে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে হয় তা আমরা আগেই জেনেছি। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স করার আগে আপনাকে কিছু নিয়ম জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে আসি নিয়মগুলো।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাশ হতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ৮ম শ্রেণি পাশ করেন তবেই আপনি আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন।
- আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং গাড়ি চালানোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং অপেশাদার লাইসেন্স এর জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
আপনার সমস্ত তথ্য উপরে উল্লেখিত তথ্য ব্যতীত হলে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আবেদন করার আগে আপনি ঠিক করে নিবেন যে আপনি কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন, পেশাদার নাকি অপেশাদার। পেশাদার হলে আপনার বয়স ২১ হতে হবে এবং অপেশাদার হলে আপনার বয়স ১৮ হতে হবে। এ তথ্যগুলো মেনে চললে তবেই আপনি আবেদন করতে পারবেন।
লার্নার বা শিক্ষানবীস লাইসেন্স করার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় কাগজ
বাংলাদেশের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ১৯৮৩ এর ৩ নং ধারা অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন ব্যক্তি রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবে না। আমরা আগেই জেনেছি আপনি না হয় কোনভাবে গাড়ি চালানো শিখলেন কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবেন না। তাই পৃথিবীর যেকোনো স্থানে সেটা দেশে হোক বা বিদেশে গাড়ি চালাতে গেলে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোন বিকল্প নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধুমাত্র চালকের দক্ষতার পরিচায়ক নই পাশাপাশি পথচারীদের এবং নিজেদের নিরাপত্তা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে শিক্ষানবীস ট্রেনিং নিতে হবে, তারপর লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবীস ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ। অনলাইনে খুব সহজেই লার্নার বা শিক্ষানবীস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
প্রথমেই গুগল ব্রাউজারে bsp.brta.gov.bd লিখে সার্চ করে প্রথম অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে। সফলভাবে আবেদন জমা হওয়ার পর যখন লার্নার বা শিক্ষানবীস লাইসেন্সটি অনলাইনে ইস্যু করা হবে তখন অনলাইন থেকে প্রিন্ট করে নিবেন।
যেহেতু ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে তাই একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের কাছ থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে যা আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রমাণ দিবে। এরপর অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের সাথে মেডেকেল সার্টিফিকেটসহ, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য কাগজ জমা দিতে হবে। আবেদন করার পর উল্লেখিত নির্ধারিত তারিখে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে, একমাত্র লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে অর্থাৎ আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা পরীক্ষা করা হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফি নির্ধারণ করা হয় এবং গ্রহণ করা হয়। পেশাদার লাইসেন্স গ্রহণের জন্য এক ধরনের ফি, অপেশাদার লাইসেন্স এর জন আরেক ধরনের ফি গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
প্রয়োজনীয় কাগজ
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য এবং ফর্ম পূরণ করার জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
- অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। ছবি সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি এবং আকার (৩০০×৩০০) পিক্সেল হতে হবে।
- রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সাটিফিকেট
- জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)
- ইউটিলিটি বিলের কপি বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী হয় (সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ এর স্ক্যান কপি, ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাশ হতে হবে (সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)
- আবেদন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে (১ ক্যাটাগরির জন্য ৩৪৫ টাকা এবং ২ ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮ টাকা)
- বাংলা ও ইংরেজিতে নির্ভুল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি সম্পর্কে জানুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে ফি অবশ্যই দিতে হবে। যেহেতু আপনি অনলাইনে আবেদন করছেন তাই ফিও আপনাকে অনলাইনেই পরিশোধ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্সের জন্য যেমন আপনি মোটরসাইকেল যানের জন্য নাকি প্রাইভেটকারের জন্য লাইসেন্স করতে চান তার উপর ফি নির্ভর করে। তাহলে চলুন জেনে আসি এদের বিভিন্ন ফি সম্পর্কে -
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি
- ১ ক্যাটাগরির জন্য ৩৪৫ টাকা (যেকোন এক ধরনের মোটরযান অর্থাৎ শুধু মোটরসাইকেল অথবা হালকা মোটরযান)
- ২ ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮ টাকা (মোটরসাইকেল এর সাথে যেকোন এক ধরনের হালকা মোটরযান)
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ১৬৮০ টাকা (৫ বছরের নবায়ন ফিসহ)
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ২৫৪২ টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফিসহ)
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ১৫৬৫ ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে)
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২৪২৭ টাকা (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে)
পেশাদার লাইসেন্স নাকি অপেশাদার লাইসেন্স - কোন লাইসেন্স গ্রহণ করবেন
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় এবং আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তারপর জেনেছি বিভিন্ন ধরনের ফি পরিশোধ সম্পর্কে। এখন আমরা জানব আপনি কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করবেন। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পেশাদার এবং অপেশাদার লাইসেন্স সম্পর্কে জানতে হবে।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ ৬ টি উপায়
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই প্রকার। যথা -
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
বেতনভুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে মোটরযান বা পরিবহন চালানোর অধিকারীরা পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে থাকে। অর্থাৎ এরা যেকোন ধরনের গাড়ি চালাতে পারে।আপনি ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও বেতনভুক্ত হিসেবে যেকোন জায়গায় চাকরি বা উবারে গাড়ি চালাতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন পেশাদার লাইসেন্স অর্থাৎ পেশাদার লাইসেন্স জীবিকা নির্বাহের জন্য নেয়া হয়। পেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর এবং এর ফি ৩৫৮০ টাকা। এই পেশাদার লাইসেন্স আবার ৩ ধরনের।
- পেশাদার হালকা - এই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স ২১ হতে হবে। (মোটরযানের ওজন হবে ২৫০০ কেজির নিচে)
- পেশাদার মধ্যম - শুরুতেই পেশাদার মধ্যম লাইসেন্স নেওয়া যাবে না অর্থাৎ প্রথমে পেশাদার হালকা লাইসেন্স ৩ বছর ব্যবহার করতে হবে তারপর পেশাদার মধ্যম লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। (মোটরযানের ওজন ২৫০০-৬৫০০ কেজি হবে)
- পেশাদার ভারী - পেশাদার ভারী লাইসেন্স করার জন্য পেশাদার মধ্যম লাইসেন্স ব্যবহার কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে। (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি হবে)
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল অথবা প্রাইভেট গাড়ি চালানো যাবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো কোথাও চাকরি নিতে পারবেন না অথবা উবার চালাতে পারবেন না। বর্তমানে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে প্রয়োজন ৫৩০৫ টাকা এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ১০ বছর অর্থাৎ ১০ বছর পর পর নবায়ন করতে পারবেন।
![]() |
ই-লাইসেন্স |
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়িই নয় কোন চাকরির জন্য, কোন রেন্টে গাড়ি চালানোর জন্য এমনকি উবারও চালানো যায়। অর্থাৎ নিজে অবসর সময় কাটানোর পাশাপাশি জীবিকাও নির্বাহ করতে পারেন এমনকি এই লাইসেন্স দিয়ে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিংও করা যায়। কিন্তু অপেশাদার লাইসেন্স করলে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সময় কাটানোর জন্যই গাড়ি চালাতে হয়।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে মধ্যম ও ভারী যানবাহন চালানে যায় কিন্তু অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার চালানো যায়।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ৫ বছর অন্যদিকে অপেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ১০ বছর।
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য কোন পরীক্ষা দিতে হয় না কিন্তু পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা দিতে হয়।
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সে একবারই পরীক্ষা দিতে হয় এবং নবায়ন করার সময় শুধু ফি জমা দিলেই হয়। ১০ বছর পর পর ফি জমা দিলে মেয়াদ বেড়ে যায় কিন্তু পেশাদার লাইসেন্স নবায়ন করার সময় পরীক্ষা দিতে হয় অর্থাৎ প্রতি ৫ বছর পর পর পরীক্ষা দিতে হয়।
আমরা উপরের আলোচনাই জেনেছি পেশাদার এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি, এদের সুবিধা অসুবিধা ও পার্থক্য। আশা করি পার্থক্য আলোচলায় আপনি বুঝতে পেরেছেন কোনটি করা আপনার জন্য ভালো হবে। আপনি যদি ব্যক্তিগত চলাচলের জন্য করতে চান তাহলে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারেন আর যদি জীবিকা নির্বাহ করতে চান তাহলে পেশাদার লাইসেন্স নিতে পারেন। কিন্ত পেশাদার লাইসেন্স এর সুবিধা বেশি কারণ পেশাদার লাইসেন্স দিয়ে আপনি শুধু দেশেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারনেন না চাইলে পরবর্তীতে বিদেশেও যেতে পারেন আবার আপনি ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। তাই এসব দিক বিবেচনায় আপনার পেশাদার লাইসেন্স গ্রহণ করাই উত্তম হবে।
২০২৫ সালের ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন খুবই সহজ হয়। অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রতিবছরই প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে। তাই বিগত বছরে আসা প্রশ্ন পড়লে সহজেই কমন পেয়ে যেতে পারেন। তাহলে চলুন ২০২৫ সালে আসার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরগুলো যেনে আসি যাতে আপনি ধারণা পেতে পারেন কেমন প্রশ্ন আসে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন।
প্রশ্ন ১: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তর: সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
প্রশ্ন ২: গাড়ি চালনাকালে কি কি কাগজপত্র সাথে রাখতে হয়?
উত্তর: গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিষ্ট্রেশন সাটিফিকেট, ফিটনেস সাটিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিমা ইনসুরেন্স সাটিফিকেট, রুট পারমিট) ইত্যাদি গাড়ির সাথে রাখা।
প্রশ্ন ৩: গাড়ি চালানোর আগে করণীয় কাজ কী কী?
উত্তর: ক. গাড়িতে জ্বালানি আছে কিনা পরীক্ষা করা।
খ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।
গ. রেডিয়েটর বা ব্যাটারিতে পানি আছে কিনা তা। পরীক্ষা করা।
ঘ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেক ফ্লুইড, ব্রেকওয়েল পরীক্ষা করা।
ঙ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, স্টিয়ারিং সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
প্রশ্ন ৪: গতি কিসের উপর নির্ভর করে?
উ: গতি সাধারণত নির্ভর করে দৃষ্টিগোচতার উপর, আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর, গাড়ির অবস্থার উপর, রাস্তার উপর, চালকের উপর।
প্রশ্ন ৫: রাস্তায় চলমান গাড়ির কাগজপত্র পরিদর্শন করার ক্ষমতা রাখেন কারা?
উত্তর: পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও উর্ধ্বতন কর্মকতা, বি.আর.টি.এ এর কর্মকর্তা, মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রশ্ন ৬: ড্রাইভিং লাইসেন্স কোথা থেকে ইস্যু করা হয়?
উত্তর: বি.আর.টি.এ অফিস থেকে অথবা বিএসবি পোর্টাল থেকে।
প্রশ্ন ৭: দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তা ব্যবহারকারীকে কী করতে হবে?
উত্তর: ক. ট্রাফিক আইন জানতে হবে।
খ. ট্রাফিক আইন কার্যকরী করতে হবে।
প্রশ্ন ৮: সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তর: ক. অত্যাধিক আত্মবিশ্বাস।
খ.মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং অননুমোদিত ওভারটেকিং।
গ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।
প্রশ্ন ৯: গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে করণীয় কী?
উত্তর: আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় নিকটস্থল হাসপাতালে স্থানান্তর করা, ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।
প্রশ্ন ১০: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তর: পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২১ বছর আর অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৮ বছর।
২০২৫ সালের ড্রাইভিং লাইসেন্স মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি
প্রশ্ন ১: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তর: যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক বেতনভুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতে পারে, রেন্ট এ কার চালাতে পারে তাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স জীবিকা নির্বাহের জন্য করা হয়।
প্রশ্ন ২: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তর: যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক নিজের ব্যক্তিগত কাজে, অবসর সময় কাটানোর জন্য গাড়ি চালাতে পারে তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
প্রশ্ন ৩: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন কী কী?
উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার।
ক. বাধ্যতামূলক যা সাধারণত বৃত্তাকৃতির হয়।
খ. তথ্যমূলক যা সাধারণত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।
গ. সতর্কতামূলক যা সাধারণত ত্রিভুজাকৃতির হয়।
প্রশ্ন ৪: ট্রাফিক সংকেত বা সিগনাল কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ট্রাফিক সংকেত ৩ প্রকার। যথা- বাহুর সংকেত, আলোর সংকেত, শব্দ সংকেত।
প্রশ্ন ৫: লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশ করে?
উত্তর: লাল বাতি জ্বললে গাড়িকে থামানো বোঝায় এবং অপেক্ষা করতে হবে বোঝায়। সবুজবাতি জ্বললে সামনে অগ্রসর হওয়া বোঝায়। হলুদ বাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রশ্ন ৬: জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তর: জেব্রাক্রসিং এর উপর গাড়ি থামানে যাবে না এবং অবশ্যই পথচারীকে আগে যেতে দিতে হবে।পথচারী পুরোপুরি রাস্তা পার না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি থামিয়ে রাখতে হবে।
প্রশ্ন ৭: ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে শাস্তি কী?
উত্তর: সর্বোচ্চ চার মাস কার দন্ড অথবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক দণ্ডিত হতে পারে।
প্রশ্ন ৮: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুট পারমিট ব্যতীত গাড়ি চালালে শাস্তি কী?
উত্তর: অপরাধীর জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড অথবা ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমান অথবা উভয়দন্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
প্রশ্ন ৯: নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিক বা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তর: প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন বা এক মাসের কারাদণ্ড বা ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ড। পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড।
প্রশ্ন ১০: বেপরোয়া ও বিপদজনকভাবে গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তর: সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদন্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং যেকোন মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কার্যকারিতা স্থগিত।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ফলাফল দেখার নিয়ম
ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাশ করার জন্য তিনটি ধাপ পার করতে হয়- লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা। উপরে আমরা ২০২৫ সালে গ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি জেনেছি। ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখে BRTA অফিসের মাঠে ড্রাইভিং পরীক্ষা করা হয় যেখানে আপনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ড্রাইভিং করে দেখাতে হবে।
![]() |
লাইসেন্স রেজাল্ট |
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
যেদিন ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দেওয়া হয় তার ২-৩ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে দেয়। রেজাল্ট পাওয়ার পরবর্তী থাক আপনাকে স্মার্ট কার্ড করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে আসি আপনার লাইসেন্স স্মার্ট করার নিয়ম।
আপনি bsp পোর্টাল পেজে আপনার একাউন্টে লগইন করে "ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন" অপশনে ক্লিক করলে দেখা যাবে কৃতকার্য নাকি অকৃতকার্য তা লেখা আসবে। এরপর পরবর্তী ধাপে যে দেখতে পারবেন আপনার সমস্ত তথ্য দেওয়া আছে, সব তথ্য চেক করে স্মার্ট কার্ড করার জন্য ফ্রি প্রদান করবেন। কয়েকদিন পরেই দেখতে পারবেন অনলাইনে আপনার ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স চলে আসবে।
অনলাইনে নিজের ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখার নিয়ম
আমরা তো স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করলাম এবং অনুমতি দিয়ে দিল। কিন্তু স্মার্ট কার্ড এসেছে কিনা সেটা আজকে আমরা জানবো কিভাবে চেক করতে হয়। লাইসেন্স চেক ও ডাউনলোড করা খুবই সহজ।
প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে যেয়ে BRTA DL CHECKER অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড হয়ে গেলে অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করে DL NO. অর্থাৎ ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর দিয়ে দিতে হবে। আপনাকে BRTA REF. NO. চাইতে পারে অনলাইনে যে অনুমোদিত ফর্ম দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে রেফারেন্স নম্বরটি জেনে নিতে পারেন। এসব তথ্য দিয়ে সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই দেখতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ডটি চলে এসেছে।
শেষ কথা - BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড
উপরে আমরা আলোচনা করেছি BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আলোচনা করেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পাশাপাশি জেনেছি আপনি কিভাবে আপনার লাইসেন্সটি স্মার্ট কার্ড করবেন। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা নিয়ে আপনার নিজের জন্য ঘরে বসেই কোন ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে করে নিতে পারেন ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অনলাইনেই পেতে পারেন স্মার্ট কার্ড। 250222
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url