OrdinaryITPostAd

জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল

ঈদের নামাজের নিয়ম কানুনজুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। ঈদের সময় আমাদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে এ বিষয়ে জেনে রাখতে হবে।

জুমাতুল-বিদা-ও-ঈদের-করণীয়-আমল

আপনি যদি মনে করে থাকেন যে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে আমল করবেন তাহলে আপনার জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল এই বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তাহলে চলুন বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও ঈদের করণীয় আমল সমূহ জানুন

জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল

জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা মুসলিম হিসেবে আল্লাহর প্রতি কিন্তু আমাদের মুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাজন রয়েছে। সাধারণত আমরা একেক জন একেক রকম বিষয় বিশ্বাস করে থাকি। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জুমাতুল বিদা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ অনেকেই এই দিনটি বিশ্বাস করে থাকে এবং অনেক গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের আমল - শবে কদরের যে সকল আমল করবেন

যেহেতু আমরা দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব প্রথমে জুমাতুল বিদা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব। এরপরে ঈদের দিনের আমল এবং করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা জুমাতুল বিদা বিষয়টি কি? সে সম্পর্কে ভালো মতো জানে না। আপনি যদি এই দিনে আমল করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই ভালোভাবে এই দিনটি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

জুমাতুল বিদা এর শব্দের অর্থ হলো রমজান মাসের শেষ জুমার দিন। আমরা জানি যে মুসলিমদের কাছে রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ। রমজান মাসে যে আমলগুলো করা হোক না কেন সাধারণত এর নেকি ডাবল পাওয়া যায়। এমনিতেই জুমার দিন মুসলিমের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পরিচিত। যদি এই জুমার দিন রমজান মাসে হয়ে থাকে তাহলে এর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়।

সাধারণত আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে এমনি সময় জুমার দিনের যে গুরুত্ব রয়েছে তার থেকে রমজান মাসে জুমার দিনের গুরুত্ব অনেক বেশি। সাধারণত তাই রমজান মাসে শেষ জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকে। তবে আপনাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে রমজান মাসের শেষ জুম্মা বলে কোন ধরনের বিষয় হাদিস এবং কোরআনের কথা উল্লেখ করা নেই।

সাধারণ জুমার যেমন গুরুত্ব রয়েছে ঠিক একই রকম গুরুত্ব রমজান মাসের জুমার মধ্যে রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে রমজান মাসে যে কোন ইবাদত করলে বেশি বেশি নেকি পাওয়া যায়। যে আমল গুলো সাধারণ জুমার দিনে করে থাকেন সাধারণত সেই আমল গুলো রমজান মাসের শেষ জুমার দিনে করুন। এমনি সময় যেই নেকি গুলো পাবেন এর থেকে বেশি নাকি আপনার আমল নামায় লেখা হবে।

ঈদ মানে হচ্ছে আনন্দ। ঈদের দিনে বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো করলে আল্লাহ তা'আলা খুশি হবে। আপনি যদি আল্লাহ তালাকে খুশি করতে চান তাহলে ঈদের দিনে এই আমল গুলো করতে পারেন।

  • অন্যদিনের তুলনায় ঈদের দিনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মেসওয়াক করতে হবে।
  • এরপরে সুন্দর করে গোসলের ফরজ গুলো মেরে গোসল করতে হবে।
  • ইসলামী শরীয়তে যেভাবে রয়েছে সেভাবে সুন্দর করে পরিপাটি হতে হবে। ঈদের দিন অবশ্যই উত্তম পোশাক পড়তে হবে।
  • ঈদগাহে যাওয়ার আগে অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে।
  • যদি ঈদুল ফিতরের ঈদ হয় তাহলে অবশ্যই ঈদগাহ যাওয়ার আগে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • ঈদুল ফিতরের ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগা যাওয়ার আগে অবশ্যই সাদাকায়ে ফিতর আদায় করে নিতে হবে।
  • ঈদের নামাজ অবশ্যই ঈদগাহে আদায় করতে হবে এটি সুন্নত।
  • যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এবং আসার সময় ভিন্ন আরেক রাস্তা দিয়ে আসতে হবে।
  • অবশ্যই পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • ঈদগাহ যাওয়ার সময় অবশ্যই তাকবির পড়তে পড়তে যেতে হবে।

জুমাতুল বিদা কি

জুমাতুল বিদা কি? এই বিষয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি উপরের আলোচনাগুলো পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যেই জুমাতুল বিদা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। প্রতি সপ্তাহে একবার শুক্রবার আসে যেটি হল প্রতিটি মুসলিমের জন্য জুমার দিন। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জুমার দিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে সাধারণত এই দিনে কিছু বড় বড় ঘটনা ঘটেছে যেগুলো আল্লাহতালার হুকুমে সম্পন্ন হয়েছে।

জুমাতুল বিদা হলো রমজান মাসের শেষ জুমার দিন। যেহেতু প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচটি শুক্রবার অর্থাৎ জুমার দিন এসে থাকে। রমজান মাস হয়ে থাকে ৩০ দিনের অথবা ২৯ দিনের সে অনুযায়ী রমজান মাসে কয়েকটি জুমার দিন এসে থাকে। সাধারণত রমজান মাসে শেষ দিনে যেই জুমার দিন এসে থাকে তাকেই ইসলামিক পরিভাষায় জুমাতুল বিদা বলা হয়ে থাকে।

জুমাতুল বিদা পালন করার কারণ

জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন সচেতন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জুমাতুল বিদা কেন পালন করা হয় সাধারণত এটি পালন করার কারণ কি? এ বিষয়ে জেনে রাখা উচিত। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মুসলিম রয়েছে যারা শুনে শুনে এই দিনগুলো পালন করে থাকে তাদের কোন ধরনের দলিল এর প্রয়োজন হয় না।

তবে যে কোন আমল করার আগে অবশ্যই আমাদেরকে সে আমল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এতে করে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। সাধারণত রমজান মাসের শেষ জুমার দিন এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। যারা এই দিনটি পালন করে থাকে সাধারণত তারা মনে করে রমজান মাস হল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এবং ফজিলতপূর্ণ।

সাধারণত এই রমজান মাসের মধ্যে যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি দিন জুমার দিন পড়েছে এবং সেটি হল রমজান মাসের শেষ জুমা সাধারণত তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে এসে জুমাতুল বিদা এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। আশা করি বিষয়টি জানতে পেরেছেন যে কেন রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।

জুমাতুল বিদার তাৎপর্য

জুমাতুল বিদার তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চান? একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই জুমাতুল বিদার যে সকল তাৎপর্য রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আমরা ইতিমধ্যেই রমজান মাসের শেষ জীবনে বেশ কয়েকটি আলোচনা করেছি। সাধারণত কোরআন এবং হাদিসের কোথাও এই রমজান মাসের শেষ জুমার কথা উল্লেখ করা নেই। সেহেতু আমরা বলতে পারি যে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জুমাতুল বিদার কোন তাৎপর্য নেই।

জুমাতুল-বিদার-তাৎপর্য

আরো পড়ুনঃ জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদার ফজিলত

যদি এই দিনটির তাৎপর্য থাকতো তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এবং প্রিয় নবীর সাহাবীগণ এই দিনটি পালন করতেন এবং কোন না কোন হাদিসে অবশ্যই এই দিনটি সম্পর্কে কোন বিষয় উল্লেখ করা থাকতো। যেহেতু পূর্বে এই দিনটিকেও পালন করেনি সাধারণত তাই আমরা বলতে পারি যে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জুমাতুল বিদার কোন ধরনের তাৎপর্য নেই।

জুমাতুল বিদার ফজিলত

জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। যারা এই দিনটি পালন করে থাকে সাধারণত তারা জুমাতুল বিদার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাই। জুমার দিন আমাদের কাছে এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ তবে এই জুমার দিন যদি রমজান মাসে হয় তাহলে এই দিনটির ফজিলত এবং গুরুত্ব বেড়ে যায়। তবে বিষয়টি মোটেও এরকম নয়। আমাদের মাঝে ভুল ধারণা রয়েছে।

সপ্তাহে জুমার দিন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন প্রতিটি মুসলিমের জন্য। তবে আরেকটি বিষয় জেনে রাখুন যে রমজান মাসের যেকোনো এবাদত করলে সাধারণ দিনগুলোতে যেমন নেকি আমলনামায় লেখা হয় সাধারণত রমজান মাসে তার চাইতে দ্বিগুণ নাকি লেখা হয়ে থাকে। তাই সাধারণত রমজান মাসে যদি জুমার দিনের আমল গুলো করা হয় তাহলে সাধারণ জুমার দিনের চাইতে বেশি নেকি লেখা হবে।

তবে যারা মনে করে থাকে যে রমজান মাসের শেষ জুমার দিনে বেশি বেশি আমল করতে হবে এবং এই দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাধারণত তারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। কুরআনে অথবা হাদিসের কোথাও এ বিষয়ে উল্লেখ করা নেই। তাই আপনি রমজান মাসের অন্যান্য শুক্রবার অর্থাৎ জুমার দিনগুলোতে যেমন ইবাদত পালন ঠিক একই রকম ইবাদত গুলো আপনাকে রমজান মাসের শেষ জুমার দিন পালন করতে হবে।

ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ

ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ কোন গুলো অবশ্যই আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই ঈদের দিনের করণীয় কাজ গুলো সম্পর্কে জেনেছি। ঈদের দিন হল আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশির একটি দিন। তবে ঈদের দিনে বেশ কিছু আমল রয়েছে এগুলো করার পাশাপাশি বেশ কিছু বর্জনীয় কাজ রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

  • আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে কাজগুলো ঈদের দিনে করতে নিষেধ করেছেন সে কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অমুসলিমরা যে সকল আচার-আচরণ পালন করে সাধারণত ঈদের আনন্দে আমাদেরকে সেগুলো পালন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • বর্তমান সময়ে ঈদের আনন্দের নামে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কাজ-কর্ম করা হয়ে থাকে। অবশ্যই একজন মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে এগুলো বর্জন করতে হবে।
  • ঈদ উৎসব পালন করতে হবে সাধারণত এ বিষয়টি বিবেচনা করে কোন ধরনের অশালীন খোলামেলা পোশাক পড়া যাবে না।
  • ঈদের আনন্দ করার নামে নারী পুরুষের পোশাক এবং পুরুষ নারীর পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ঈদের আনন্দ করার জন্য কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানো অথবা নাচানাচি করা যাবে না।
  • ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য অবশ্যই নারীদেরকে বেপর্দা অবস্থায় বাইরে যাওয়া থেকে বের হতে হবে।

ঈদের দিনের ফজিলত

জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মুসলিমদের জন্য দুইটি ঈদ অর্থাৎ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করে থাকে যে ঈদ শুধু আমাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য কিন্তু বিষয়টি এরকম নয়। আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার পাশাপাশি আমাদেরকে শরীয়ত অনুযায়ী আনন্দ করতে হবে। যদি আমরা শরীয়ত অনুযায়ী ঈদের আনন্দ করতে পারি তাহলে ঈদের দিনের ফজিলত রয়েছে।

আপনাদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই আমরা ঈদের দিনে যে সকল কাজ করণীয় রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করেছি এবং যে সকল কাজ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ বর্জনীয় কাজ উল্লেখ করেছি। আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঈদের দিনে অতিরিক্ত আনন্দ পালন না করে অবশ্যই শরীয়ত অনুযায়ী ঈদের আনন্দ করতে হবে।

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। বছরে আমাদের দুইটি ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। একটি হল ঈদুল ফিতর অর্থাৎ রোজার ঈদ এবং অন্যটি হলো ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। ঈদের নামাজ পড়ার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক নিয়মে ঈদের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যেহেতু বছরে দুইবার আদায় করতে হয় সেহেতু সবাই ঈদের নামাজ মনে রাখতে পারে না।

ঈদের-নামাজ-পড়ার-নিয়ম

  • স্বাভাবিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে আদায় করতে হয় সেভাবেই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বেঁধে নিতে হবে এরপরে ছানা পাঠ করতে হবে
  • সাধারণত এর পরেই অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দিতে হবে এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাত বেঁধে নিতে হবে।
  • সাধারণত এরপরে স্বাভাবিক নামাজের মতই আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সূরা পড়বেন। স্বাভাবিক নামাজের মতো করে রুকু-সিজদা করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে প্রথম রাকাত শেষ হবে।
  • দ্বিতীয় রাকাতে উঠে ইমাম কিরাত পড়া শেষে করবেন এরপরে রুখে যাওয়ার আগে আবার অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিতে হবে। প্রতি তাকবীরে হাত উঠাতে হবে এবং ছেড়ে দিতে হবে। এরপরে চতুর্থ তাকবির আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে।
  • সাধারণত এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতই নামাজ শেষ করতে হবে। নামাজ শেষে চলে গেলে হবে না ইমাম খুতবা দিবে অবশ্যই সম্পূর্ণ খুতবা শেষ করে ঈদগাহ ত্যাগ করতে হবে।

ঈদের দিনের দোয়া

ঈদের দিনের দোয়া কি করবেন? চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে ঈদের দিন হলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। সাধারণত এই দিনে বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো করতে হবে এর পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। সাহাবায়ে কেরাম ঈদের দিন কারো সঙ্গে দেখা হলে তাকে ঈদের শুভেচ্ছা দিয়ে বলতেন।

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়ম

আরবিঃ تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكَ

বাংলা উচ্চারণঃ তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকা।

বাংলা অর্থঃ আল্লাহতায়ালা আমার ও আপনার ঈদ উদযাপন কবুল করুন।

আমাদের শেষ কথা

জুমাতুল বিদা ও ঈদের করণীয় আমল গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন এবং রমজান মাসের শেষ জুমার দিন আমল করতে চান তাছাড়া ঈদের দিনে বিভিন্ন ধরনের আমল করে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় যদি আপনি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকে। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url