OrdinaryITPostAd

জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - জ্বিলকদ ছুটির তালিকা ২০২৪

আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনায় ঘটেছিলজ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ সমন্ধে অনুসন্ধান তো আমরা প্রায় প্রত্যেকেই করি। কারণ আর সব মাসের মতো এই মাসেও রোজা ও নফল ইবাদত গুলো জানা প্রত্যেকেরই কর্তব্য। এছাড়াও জ্বিলকদ মাসের ছুটির তালিকা ১৪৪৫ সম্বন্ধেও অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে।
জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫
তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ সম্বন্ধে। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র: জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫

জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫

জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ নিচে দেওয়া হল:

ইংরেজী তারিখ - বার - হিজরী তারিখ

১০ - মে - ২০২৪ - শুক্র - ১ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১১ - মে - ২০২৪ - শনি - ২ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১২ - মে - ২০২৪ - রবি - ৩ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৩ - মে - ২০২৪ - সোম - ৪ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৪ - মে - ২০২৪ - মঙ্গল - ৫ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৫ - মে - ২০২৪ - বুধ - ৬ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৬ - মে - ২০২৪ - বৃহস্পতি - ৭ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৭ - মে - ২০২৪ - শুক্র - ৮ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৮ - মে - ২০২৪ - শনি - ৯ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১৯ - মে - ২০২৪ - রবি - ১০ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২০ - মে - ২০২৪ - সোম - ১১ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২১ - মে - ২০২৪ - মঙ্গল - ১২ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২২ - মে - ২০২৪ - বুধ - ১৩ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৩ - মে - ২০২৪ - বৃহস্পতি - ১৪ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৪ - মে - ২০২৪ - শুক্র - ১৫ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৫ - মে - ২০২৪ - শনি - ১৬ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৬ - মে - ২০২৪ - রবি - ১৭ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৭ - মে - ২০২৪ - সোম - ১৮ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৮ - মে - ২০২৪ - মঙ্গল - ১৯ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২৯ - মে - ২০২৪ - বুধ - ২০ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

৩০ - মে - ২০২৪ - বৃহস্পতি - ২১ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

৩১ - মে - ২০২৪ - শুক্র - ২২ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

১ - জুন - ২০২৪ - শনি - ২৩ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

২ - জুন - ২০২৪ - রবি - ২৪ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

৩ - জুন - ২০২৪ - সোম - ২৫ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

৪ - জুন - ২০২৪ - মঙ্গল - ২৬ - জ্বি লকদ - ১৪৪৫

৫ - জুন - ২০২৪ - বুধ - ২৭ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

৬ - জুন - ২০২৪ - বৃহস্পতি - ২৮ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

৭ - জুন - ২০২৪ - শুক্র - ২৯ - জ্বিলকদ - ১৪৪৫

জ্বিলকদ মাসের ছুটির তালিকা ১৪৪৫

জ্বিলকদ মাসের ছুটির তালিকা ১৪৪৫ হচ্ছে ইংরেজী জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ এর মে ও জুন মাসের মধ্যে পড়ে। জ্বিলকদ মাস আরবী বছরের একাদশ তম মাস। এ মাসটিরও বহু ফজিলত আছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাস কে অত্যন্ত সম্মানের মাস মনে করতেন। এ মাসের ফজিলত সম্পর্কে বহু সংখ্যক হাদিস বিদ্যমান আছে। এই মাসের কিছু রাত্রের নফল ইবাদত রয়েছে আবার কিছু রোজার বিধান রয়েছে। তবে এ মাসে আরবী কোন ছুটির তারিখ নেই।

রোজা রাখার নিষিদ্ধ দিন সমূহ

রোজা রাখার নিষিদ্ধ দিন সমূহ সম্বন্ধে আপনাদের কি কোন ধারণা আছে? কিছু কিছু সময় দেখা যায় রোজা রাখার কোন তারিখ না থাকলেও কিছু কিছু সময় আমরা মানতের নামে রোজা রাখি। কিন্তু আরবী ১২ মাসের মধ্যে বিশেষ কিছু কিছু দিন আছে যেই দিন কোন ধরনের রোজা রাখায় উচিত নয়। যে দিন গুলোতে ইসলামে রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছেন। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে মাত্র পাঁচ দিন রোজা রাখা হারাম।

সেগুলো হচ্ছে দুই ঈদের দুই দিন এবং ঈদুল আযহা তথা কোরবানী ঈদের পরবর্তী তিন দিন অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ রোজা রাখা হারাম। রোজার নিয়ত করা যেহেতু আবশ্যক কর্তব্য সেহেতু তো নিয়ত করতে হবে নতুবা রোজার শুদ্ধ হবে না। এক্ষেত্রে রমজান মাসের রোজার নিয়তের শেষ সময় রোজার দিন ঠিক দুপুর পর্যন্ত।

ফেতরা গ্রহণ যোগ্য লোকগণ

ফেতরা গ্রহণ যোগ্য লোকগণ কোন গুলো বা কোন কোন ব্যক্তিসমূহ ফিতরা গ্রহণের জন্য যোগ্য তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • দরিদ্র ভাই বোনেরা।
  • গরীব প্রতিবেশীরা।
  • নিকটবর্তী ও দূরবর্তী মিসকিনগণ।
  • গরীব তালেবে ইলম বা আলেম ওলামাগণ।
  • একজনের ক্ষেত্রে একজনকেই উত্তম। তবে একাধিক ব্যক্তিকেও দেওয়া যায়।
  • বহুজনের ফিতরাও একজনকে দেওয়া যায়।
  • কোন প্রতিষ্ঠান বা মসজিদ মাদ্রাসার রাস্তাঘাট পুল ইত্যাদিতে দেওয়া জায়েজ নয়।

ফিতরা দান প্রসঙ্গে মাসায়ালা

ফিতরা দান প্রসঙ্গে মাসায়ালা গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত। কারণ আমরা প্রত্যেকেই যাকাত দিতে না পারলেও প্রত্যেকের ফিতরা দিয়ে থাকি। ফেতরা ঈদের নামাযের পূর্বেই আদায় করা বাঞ্ছনীয়। রমজানের ভেতরে আদায় করলেও আদায় হবে। তখন তা ফেতরা হিসেবেই আদায় হবে। ফেতরাও দানের অংশ। ফিতরা হল ওয়াজিব দান। কিন্তু যাকাত ফিতরার টাকা মসজিদ, মাদ্রাসা, গৃহ নির্মাণ রাস্তাঘাট সংস্করণ প্রভৃতি করা যাবে না। গরীব ছাত্রদের দিলে দ্বিগুণ সাওয়াব। প্রথমত গরীবদেরকে দান করা সাওয়াব। দ্বিতীয়তম মাদ্রাসা শিক্ষা টিকিয়ে রেখে দ্বীন রক্ষা করা সাওয়াব।

জ্বিলকদ মাসের নফল রোজা

জ্বিলকদ মাসের নফল রোজা গুলো কোন কোন তারিখে তা জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ লক্ষ্য করলে বোঝা যায়। জ্বিলকদ মাসের রোজা সম্বন্ধে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি জ্বিলকদ মাসের যেকোনো একদিন রোজা রাখে মহান আল্লাহ পাক তার জন্য প্রত্যেক ঘন্টায় একটি করে কবুল হজ্জের সাওয়াব দান করেন।
হাদীসে বর্ণিত আছে যে ওই মাসের রোজাদারদের প্রত্যেক নিঃশ্বাসে এক একটি গোলাম আজাদ করার সাওয়াব হাসিল হয়। ওপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে এই মাসের সোমবার যে ব্যক্তি রোজা রাখবে তাকে হাজার বছরের ইবাদত অপেক্ষা অধিক সাওয়াব দান করা হয়।

তারাবীহ নামাযের তসবীহ

তারাবীহ নামাযের তসবীহ সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো:

সুবহানা যিলমুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানা যিল ইজ্জাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জব্বারুতি, সুবহানাল মালিকিল হাইয়িল্লাযী লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদান সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রুহ।

তারাবীহ নামাযের বিবরণ

তারাবীহ নামাযের বিবরণ সমুহ সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নাই। তারাবীহ নামায আমরা সকলেই কম বেশি পড়তে জানি কিন্তু এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বা বিবরণ রয়েছে যা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। রমজানের চাঁদ উঠলে সে রাতেই এশার ফরজ এবং সুন্নতের পর বেতের নামাযের পূর্বে ২০ রাকাত নামায স্ত্রী পুরুষ সকলের জন্য আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাস।
তারাবীহ নামাযের বিবরণ
শুধু পুরুষ লোকই জামায়াতে আদায় করবে। একা পড়লেও নামায আদায় হবে। কিন্তু জামাতের সাওয়াব পাবে না। সারা মাসে তারাবীহ নামাযে একবার কোরআন শরীফ খতম করা সুন্নত। ইমাম হাফেজ না হলে সূরা ফিল থেকে নিচের দিকে সূরা পড়বে এটা সহজ নিয়ম।

তারাবীহ নামাযের নিয়ত

তারাবীহ নামাযের নিয়ত সমূহ নিচে আলোচনা উল্লেখ করা হলো:

নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকাআতাই সালাতিল তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

সদকায়ে ফিতরার বিবরণ

সদকায়ে ফিতরার বিবরণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • ঈদুল ফিতরের দিন সাহেবে নেসাব অর্থাৎ নির্দিষ্ট ধনীদের প্রতি সাদকায়ে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।
  • রমজানের রোজার কোন ত্রুটি বিচুক্তি ঘটলে ফেতরার দ্বারা তা প্রায়শ্চিত করা যায়।

জ্বিলকদ মাসের ইবাদত

জ্বিলকদ মাসের ইবাদত ও ফজিলত সম্বন্ধে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা জ্বিলকদকে সম্মানিত মাস মনে করবে। কেননা এই মাস সম্মানিত। অর্থাৎ মাস সমূহের মধ্যে এ মাস পবিত্র মাস। হাদিসের বাকি অংশে বর্ণিত আছে যে, তোমরা এই মাসকে গণিমত মনে করবে। কেননা এই মাসের একদিনের সাওয়াব হাজার বছর ইবাদতের অপেক্ষায় অতি উত্তম। অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি এই মাসে বৃহস্পতিবার দিন একশত রাকাত নফল নামায আদায় করবে এবং প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ১০ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে মহান আল্লাহ পাক তার আমল নামায় অফুরন্ত সাওয়াব দান করবেন। আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে যে, এই মাসের শুক্রবারের দিন নিম্নের নিয়মে যে ব্যক্তি চার রাকাত নফল নামায আদায় করবে তাকে মহান আল্লাহপাক একটি হজ্জ ও ওমরা হজ্জের সাওয়াব দান করবেন।

নামায আদায়ের নিয়ম: দুই দুই রাকাতের নিয়তে এ নামায আদায় করতে হবে। এর প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে দশবার করে সূরা এখলাস পাঠ করবে।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি এই মাসের প্রথম রাতে নিম্নের নিয়তে চার রাকাত নফল নামায আদায় করবে মহান আল্লাহ পাক তার জন্য বেহেস্তের মধ্যে লোহিত বর্ণের ইয়াকুত পাথর দ্বারা চার হাজার বালাখানা নির্মাণ করে রাখবেন। তার প্রত্যেকটি বালাখানায় মনি মুক্তা নির্মিত সিংহাসন থাকতে এবং তার ওপর এক একজন হুর উপবিষ্ট থাকবে। উক্ত হুরদের ললাট সূর্যলোক হতে অধিক দীপ্ত হবে।

নামায আদায়ের নিয়ম: দুই দুই রাকাত নিয়তে এই নামায আদায় করতে হবে এবং এর প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ২৩ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে।

আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন এ মাসে প্রতিরাতে যে দুই রাকাত নফল নামায আদায় করে ও তার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস পড়ে মহান আল্লাহ তা'আলা প্রতি রাকাত নামাযের বিনিময়ে একজন শহীদের সাওয়াব দান করে দেন।

রোজার কাফফারা সমূহ

রোজার কাফফারা সমূহের সঠিক নিয়ম ও এর গুরুত্বতা সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য। যাদের ওপর রোজার কাজা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায় তারা একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা রাখবে আর কাফফারা স্বরূপ একটি সুস্থ সবল নিখুঁত গোলামকে মুক্ত করে দেবে।
তাতে যদি সক্ষম না হয়, তবে ৬০ জন মিসকিনকে পরিপূর্ণ সহকারে আহার করাবে। তাতেও যদি সক্ষম না হয়, তবে একজন মুসলিমকে নিজে যেভাবে আহার করে ঠিক সেভাবে ৬০ দিন পর্যন্ত আহার করাবে। এতেও যদি সক্ষম না হয়, তবে দুই মাস লাগাতার রোজা রাখবে। কোনক্রমে যদি ৬০ দিনের মধ্যে একটি রোজাও ছুটে যায় তবে আবার প্রথম থেকে ৬০ দিন পর্ণ করতে হবে।

পূর্বের দিনগুলোর রোজা কোন কাজে আসবে না। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কাফফারা আদায় করার সময় বছরের হারামের ৫ দিন না পরে। আর স্ত্রী লোকের ক্ষেত্রে যদি কাফফারা আদায় করা অবস্থায় হায়েয উপস্থিত হয় তবে হাইজের সময়সীমার মধ্যে রোজা না রেখে পবিত্র হওয়া মাত্রই রোজা রাখা আরম্ভ করবে।

চাঁদ দেখলে মাসায়ালা

চাঁদ দেখলে মাসায়ালা সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:
চাঁদ দেখলে মাসায়ালা
  • আকাশে বেশি মেঘ থাকায় চাঁদ না দেখা গেলে একজন পরহেজগার মুসলমানের কাছে সে নিজের চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষ্য পাওয়া গেলে রোজা রাখা কর্তব্য।
  • আকাশে মেঘ না থাকা অবস্থায় অন্তত পক্ষে পাঁচজন মুসলমানের চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য পেলে রোজা রাখবে।
  • রোজা ভেঙ্গে ঈদ করার উপরোক্ত অবস্থায় কমপক্ষে দুইজন মুমিন পুরুষের স্বাক্ষ্য দরকার।
  • দুইজন মুমিন পুরুষের বদলে যদি একজন মুমিন পুরুষ এবং দুইজন মুমিন মহিলা হয় তাতেও হয়ে যাবে। কিন্তু পুরুষ সাক্ষী একজনও না পাওয়া গেলে মহিলারা সাক্ষী যতই হোক না কেন তাতে হবে না।

ফিতরা দিবে কারা

ফিতরা দিবে কারা বা কোন ধরনের মানুষ ফিতরা দিবে এ সম্বন্ধে নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • বৃহত্তার ফিতরা দেবে নিজের পক্ষ হতে।
  • নিজের দরিদ্র নাবালেক সন্তান সন্তুতিগনের পক্ষ থেকেও এটা বাড়ির কর্তাকে আদায় করতে হবে।
  • ঈদের দিন ফজরের নামাযের পূর্বে যদি কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে তার পক্ষ হতেও ফিতরা আদায় করতে হবে। অবশ্য যদি ওই সময় কেউ মারা যায় তবে তার পক্ষ হতে ফিতরা দিতে হবে না। ঈদের দিন সূর্য অস্তের পর কারো জন্ম হলে তার ফিতরা আদায় করতে হবে না। আবার ওই সময় কেউ মারা গেলে তার ফিতরা লাগবে। সন্তান সন্ততি বা স্ত্রী যদি সাহেবের নিবাস হয় তবে তার ফিতরা তারা নিজেরাই আদায় করবে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ সম্বন্ধে। সাথে ফিতরা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ও নফল রোজার সমস্ত বিধি নিয়ম সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন কোন বিষয়গুলি ভালো লেগেছে এবং আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন আপনার মূল্যবান মতামত আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 26181

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url