OrdinaryITPostAd

কক্সবাজারের ৬০টি দর্শনীয় স্থান এবং ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ঘুরতে যাওয়ার আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা হল সবথেকে সুন্দর এবং পর্যটন এর দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে। কিন্তু অনেকেই কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। আজকের এই আর্টিকেলে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান 

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান

প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বাংলাদেশের বাইরে থেকে অনেক মানুষ আসে কক্সবাজারে ঘুরতে। কক্সবাজার হলো বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দর একটি জেলা। কক্সবাজার রয়েছে পৃথিবীর সবথেকে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কিন্তু আমরা অনেকেই কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখি না। যেহেতু বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব - ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানঃ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত - কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শুধু বালু রয়েছে কোন কাদার অস্তিত্ব এখানে পাওয়া যায় না। এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রয়েছে আধুনিক সব হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট। প্রতি বছর এখানে পর্যটক আসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও।

কক্সবাজার লাবনী বিচ - কক্সবাজার পুরাতন সমুদ্র সৈকত যা আজকে লাবনী পয়েন্ট অথবা লাবনী বিচ নামে পরিচিত। কক্সবাজার লাবনী বীজ কক্সবাজারের কলাতলীতে অবস্থিত। যারা সমুদ্র দেখতে ভালোবাসে এবং দূর দূরান্ত থেকে সমুদ্র দেখতে আসে সাধারণত তারা কক্সবাজার লাবনী বীজে ছুটে যাই। কক্সবাজার শহর থেকে খুবই নিকটতম স্থানে লাবনী বীচ অবস্থিত।

কক্সবাজার কলাতলী বিচ - কক্সবাজার যারা ঘুরতে যায় সাধারণত তাদের আরো একটি বড় আকর্ষণ হল কক্সবাজার কলাতলী সমুদ্র সৈকত। এটি হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি সি বিচ পয়েন্ট। যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে যায় সাধারণত তারা কড়াতলী বীচে আসে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর।

হিমছড়ি - কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের পদ দেশের এই সমুদ্র সৈকতের নাম হলো হিমছড়ি। যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যায় সাধারণত তারা হিমছড়ি যায়। কারণ হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য অনেক বেশি যা মানুষ মিস করতে চাই না।

কক্সবাজার ইনানী বিচ - ইনানী সমুদ্র সৈকত হলো হিমছড়ি থেকে আরো পাঁচ কিলোমিটার দূরে। ইনানী সমুদ্র সৈকতের মূল আকর্ষণ হল এখানে প্রবাল প্রাচীর দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে সমুদ্র সৈকত। দেখতে অনেকটাই সেন্টমার্টিন এর মত লাগে। তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেমন বড় ঢেউ থাকে কক্সবাজার ইনানী বিচে তেমন বড় ঢেউ নেই।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ - যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যায় সাধারণত তাদের জন্য দর্শনীয় একটি স্থান হলো সেন্ট মার্টিন। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। এই দ্বীপটি টেকনাফ থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার নাফ নদীতে অবস্থিত।

কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান

উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যেই কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনেছি। এখন কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা জানি যে কক্সবাজার হল বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে সুন্দর একটি জেলা। এখানে রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বড় সমুদ্র সৈকত। এছাড়া আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান নিচে উল্লেখ করা হলো।

১। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

২। সেন্টমার্টিন দ্বীপ

৩। মহেশখালী দ্বীপ

৪। হিমছড়ি

৫। ইনানী সমুদ্র সৈকত

৬। ছেঁড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন

৭। শাহপরীর দ্বীপ

৮। রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড

৯। সোনাদিয়া দ্বীপ

১০। রামু রাবার বাগান

১১। লামাপাড়া খিয়াং

১২। নিভূতে নিসর্গ পার্ক

১৩। মাথিনের কূপ

১৪। ইনানী রয়েল রিসোর্ট

আরো পড়ুনঃ ২০ উপায় অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আয়

১৫। মারমেইড বিচ রিসোর্ট

১৬। শামলাপুর সমুদ্র সৈকত

১৭। রামু বৌদ্ধবিহার

১৮। রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট

১৯। আদিনাথ মন্দির

২০। কুতুবদিয়া দ্বীপ

২১। দরিয়া নগর

২২। ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক

২৩। মেরিন ড্রাইভ রোড

২৪। প্রবাল দ্বীপ সেন মার্টিন

২৫। রামকোট বৌদ্ধবিহার

২৬। লামার পাড়া বৌদ্ধবিহার

২৭। শ্রীশ্রী রামকূট বৌদ্ধ বিহার

২৮। কুদুম গুহা

২৯। কালাতলী বিচ

৩০। লাবনী বিচ

৩১। সুগন্ধা বিচ

৩২। বড় রাখাইনপাড়া বৌদ্ধমন্দির

৩৩। কুতুবদিয়া বাতিঘর

৩৪। কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

৩৫। কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত

৩৬। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম 

৩৭। ১০০ ফুট বদ্ধ মূর্তি

৩৮। দরিয়া নগর সী ভিউপার্ক

৩৯। দরিয়া নগর সমুদ্র সৈকত

৪০। শ্যামলাপুর সমুদ্র সৈকত

৪১। টেকনাফ সমুদ্র সৈকত

৪২। মথিনের কূপ

৪৪। নাফ ট্যুরিজম পার্ক

৪৫। সবরাং ট্যুরিজম পার্ক

৪৬। শ্রী শ্রী রামকূট তীর্থধাম

৪৭। রামকোট বৌদ্ধ বিহার

৪৮। আইসোলেটেড নারিকেল বাগান 

৪৯। কানা রাজার গুহা

৫০। লবণ উৎপাদন এলাকা

৫১। বরইতলী মৎস্য খামার

৫২। অজ্ঞমেঘা ক্যাং

৫৩। রাডার স্টেশন

৫৪। বদর মোকাম জামে মসজিদ

৫৫। হিলটপ সার্কিট হাউস

৫৬। লাইট হাউস

৫৭। রাখাইনপাড়া

৫৮। ইনানী ন্যাশনাল পার্ক

৫৯। চৌফলদভী সেতু

৬০। ঝিনুক মার্কেট

কক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময়

অনেকেই আছে যারা এখন পর্যন্ত কক্সবাজার ভ্রমণ করেনি। কক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময় রয়েছে। আপনি যদি এই সময়ের মধ্যেই কক্সবাজার ভ্রমণ করেন তাহলে বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সাধারণত তাদেরকে কক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময় সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

আপনি যদি কক্সবাজার ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলব অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন। কারণ এই সময়টিকেই কক্সবাজার ভ্রমণ করার উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এই সময় রোদের তেমন তেজ থাকে না যার ফলে আপনি আরামে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন পায়ে হেঁটে।

এই সময় সমুদ্রে অনেকটাই শান্ত থাকে এবং হালকা পাতলা শীত থাকে। সাধারণত তাই বিপুল সংখ্যক সমুদ্র প্রেমীরা এই সময়টুকুতে সমুদ্রের মাঝে ভিড় করে। যেহেতু পর্যটক বেশি থাকে সেহেতু তেমন কোন হোটেলে জায়গা থাকে না তাই একটু বেশি খরচ করতে হয়। এছাড়া আপনি যদি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে যেতে চান তাহলে এই সময় তেমন কোন লোক সমাগম থাকে না।

কক্সবাজার জেলার ইতিহাস

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যেই কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনেছি। আমাদের বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা রয়েছে। এই ৬৪ টি জেলার মধ্যে অন্যতম হলো কক্সবাজার জেলা। সাধারণত বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ কক্সবাজার জেলা চেনে কারণ এখানে রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বড় বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। কিন্তু অনেকেই কক্সবাজার জেলার ইতিহাস সম্পর্কে জানেনা।

কক্সবাজার জেলাটি হল বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় জেলা। এটি হল বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে অবস্থিত। সাধারণত কক্সবাজারের মধ্যে রয়েছে ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। মুঘল অধিগ্রহণের আগে কক্সবাজার সহ চট্টগ্রামের একটি বিশাল অংশ আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আরাকান যাওয়ার পরে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধ হয়ে এখানে ক্যাম্প স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুঘল সাম্রাজ্যের পরে ত্রিপুরা এবং আরাকান তারপরে ব্রিটিশরা এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। কক্সবাজার নামটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার ক্যাপ্টেন হিমা কক্স এর নাম থেকে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩০টি সেরা উপায়

কক্সবাজারের পূর্বের নাম ছিল পালংকি। যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা শাসন করতে শুরু করে তখন বাংলার গভর্ণর হিসেবে নিযুক্ত হয় ওয়ারেন্ট হোস্টিং এবং হিরাম কক্স হয়েছিলেন কক্সবাজারের মহাপরিচালক। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করেন।

সাধারণত তাই তিনি মারা যাওয়ার পরে সেখানে একটি বাজার স্থাপন করা হয় যার নামকরণ করা হয়েছিল কক্স সাহেবের বাজার নামে। সেখান থেকে কক্সবাজার নামকরণ দিয়ে এসেছে। সাধারণত এটাই ছিল কক্সবাজার জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। আশা করি আপনি কক্সবাজার জেলার ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।

আমাদের শেষ কথাঃ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান, কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান, কক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময়, কক্সবাজার জেলার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেবেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কারণ আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url