OrdinaryITPostAd

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা - স্বাধীনতা দিবস যেভাবে উদযাপন করা হয়

আপনি কি স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা দিতে স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় এবং স্বাধীনতা দিবস কবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় জানতে চাইলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয়
নিজে আপনাদের জন্য স্বাধীনতা দিবস কবে, স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে আপনারা খুব সহজেই স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় এটা জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে এখনই জেনে নিন স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় 

স্বাধীনতা দিবস কবে

আমরা বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমাদের দেশের এমন এমন কিছু ইতিহাস রয়েছে যা আমাদের জন্য জানা অনেক জরুরী। তার মধ্যে একটি হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা দিবস কবে। আমরা যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও না জানি যে স্বাধীনতা দিবস কবে তাহলে সেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার হবে। মহান স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ। 
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর এই দিনে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হলো ২৬ মার্চ। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটিকে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের জন্মদিন। ২৫শে মার্চ গণহত্যার রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পূর্বে রাতের শেষ প্রহরে বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন।

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

আমরা বাংলাদেশের একজন নাগরিক। তাই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জানা উচিত। আমাদের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অনেক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হলো ২৬ মার্চ। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটিকে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের জন্মদিন। ২৫শে মার্চ গণহত্যার রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পূর্বে রাতের শেষ প্রহরে বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন।
আমাদের এই বাংলাদেশটি স্বাধীন হয়েছে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে। কৃষক শ্রমিক শিক্ষক ছাত্র সকলের প্রাণঢালা অবদান রয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে। আজকে আমরা স্বাধীন, আমাদের দেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি, স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করতে পারি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। এবার চলুন তাহলে স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় তা জেনে নিন।

স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয়

স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় এটা আমরা সকলেই জানি। আমাদের দেশে প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। এই তিনটি আমাদের দেশে সরকারিভাবে ছুটির দিন। তবে ইস্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে অনেক ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।
আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, শোক সভা, স্কুল কলেজে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। আশা করি স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন বাংলাদেশ কিভাবে স্বাধীনতা লাভ করে জেনে নিন।

বাংলাদেশ কিভাবে স্বাধীনতা লাভ করে

১৯৪৭ সালের পর ভারত এবং পাকিস্তানকে যখন আলাদা করে দেওয়া হয় তখন থেকে পাকিস্তানের একটি অংশ অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর শোষণ জুলুম চালিয়ে আসছিল। এই শোষণ জুলুমের প্রতিবাদে অনেক ছোট ছোট আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। তবে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যখন আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে যায় লাভ করে। কিন্তু তারপরেও পশ্চিম পাকিস্তানি পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। 

এই বিষয়টি নিয়ে এবং বৈষম্যের শিকার হতে বাঁচতে পূর্ব পাকিস্তানিরা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ২৬ শে মার্চ ভোররাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তারের পূর্বে আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। সেদিন থেকে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়ে যায়। আমাদের এই বাংলাদেশটি স্বাধীন হয়েছে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। 

আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে। কৃষক শ্রমিক শিক্ষক ছাত্র সকলের প্রাণঢালা অবদান রয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে। আজকে আমরা স্বাধীন, আমাদের দেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি, স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করতে পারি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। আশা করি বাংলাদেশ কিভাবে স্বাধীনতা লাভ করে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা জেনে নিন।

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা - আমরা যে এখন স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করছি এই বাংলাদেশ পূর্বে স্বাধীন ছিল না। ১৯৭১ সালের পূর্বে বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। তখন একটি দেশ ছিল নাম পাকিস্তান যার দুটি অংশের একটি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান এবং অপরটি হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান। তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নানা দিক থেকে বৈষম্যের শিকার হত। সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পেত পশ্চিম পাকিস্তানিরা।

এমনকি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ নির্বাচনে জয়লাভ করলেও তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি পশ্চিম পাকিস্তানীরা। এই বিষয়টি নিয়ে এবং বৈষম্যের শিকার হতে বাঁচতে পূর্ব পাকিস্তানিরা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গনহত্যার রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পূর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনরার ঘোষণা দেন। এভাবেই দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এই স্বাধীনতা যদি আজ লাভ না করতো তাহলে আমাদের এই দেশ এবং দেশের মানুষ আজীবন শোষণ হয়েই যেত।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটিতে স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপন করা হয় ছাড়াও আরো কিছু বিষয় যেমন স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা, বাংলাদেশ কিভাবে স্বাধীনতা লাভ করে ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আশা করি এ সকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতে ও পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url