OrdinaryITPostAd

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস ২০২৩ - বিশ্ব টেলিভিশন দিবস কবে?

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। ১৯২৬ সালের এই দিনে টেলিভিশন আবিষ্কৃত হয়। সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই সারা বিশ্ব প্রতিবছর বিশ্ব টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়। নিচে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।

পেজ সূচিপত্র: বিশ্ব টেলিভিশন দিবস - বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য: ভূমিকা

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। তাই আজকে টেলিভিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। টেলিভিশন সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় জানতে সাথেই থাকুন। টেলিভিশন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণমাধ্যম। এন্টারটেইনমেন্টের পাশাপাশি গত এক শতাব্দী ধরে গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই গণমাধ্যম সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

টেলিভিশনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ২১ তারিখে সারা বিশ্বে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব টেলিভিশন দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। সেই সাথে টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। 

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস - বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ও বিশ্ব টেলিভিশন দিবস পালন করা হচ্ছে। যেহেতু বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ তাই বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও গোলটেবিল বৈঠক সম্প্রচার করবে। ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘের এক ফোরাম বৈঠকে ২১ নভেম্বর কে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করা হয়। 

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। তাই আজকের এই দিনটি সারাবিশ্বে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সহিত টেলিভিশন দিবস পালন করা হচ্ছে। পঞ্চাশের দশকে যখন প্রিন্ট মিডিয়ার জয়জয়কার, ঠিক সেই সময় টেলিভিশন আবিষ্কৃত হয়। টেলিভিশন আবিষ্কৃত হওয়ার পরে ধীরে ধীরে তা গণমাধ্যমে পরিণত হতে থাকে এবং সময়ের ব্যবধানে প্রিন্ট মিডিয়া কে ছাপিয়ে যায়।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনকে বিবেচনা করা হয়। টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। টেলিভিশন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়লে, আপনি টেলিভিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। আমরা প্রতিদিনই টেলিভিশন দেখি। কিন্তু কতজন টেলিভিশন দিবস সম্পর্কে জানি? আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেছেন? তাহলে কি আপনি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? শতকরা কতজন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আমার ধারণা, শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। 

অথবা যদি এই প্রশ্ন করা হয় যে, টেলিভিশন কত সালে আবিষ্কৃত হয়েছে? তাহলেও আশাব্যঞ্জক উত্তর পাওয়া যাবে না। অথচ প্রতিদিন আমরা টেলিভিশন দেখে যাচ্ছি। যাইহোক, টেলিভিশনের আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়লে, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেছেন এবং কত সালে টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে যাবেন। 

টেলিভিশন আবিষ্কার করার পথ সহজ ছিল না। অনেক প্রচেষ্টার পরে, বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে ১৯২৬ সালে, জন লোগি বেয়ার্ড, টেলিভিশন আবিষ্কার করেন। বৈদ্যুতিক সিগ্নাল এর মাধ্যমে তখন দূরদর্শন করা হতো। তবে তখনো বাণিজ্যিকভাবে টেলিভিশনের ব্যবহার শুরু হয়নি। টেলিভিশন আবিষ্কার হওয়ার ১০ বছর পরে প্রকৌশলী শোয়েনবারগের সহায়তায় বিবিসি টিভি সম্প্রচার শুরু করে।

এরপর আস্তে আস্তে টেলিভিশন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। এবং টেলিভিশনের গুণগতমান আস্তে আস্তে উন্নত হতে থাকে। পরবর্তীতে সাদাকালো থেকে টেলিভিশন, রঙ্গিন টেলিভিশন এ উন্নীত হয়। এবং ধীরে ধীরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথমে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য টেলিভিশনের ব্যবহার শুরু হলেও, পরবর্তীতে শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে ও টেলিভিশন অবহেলিত নয়। অর্থাৎ টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি এবং ভবিষ্যতেও কমবেনা। টেলিভিশন তার নিজ অবস্থান সর্বদাই দখল করে রাখবে এমনটাই ধারণা করেন বিশিষ্ট জনেরা। টেলিভিশনের আবিষ্কার কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এবং টেলিভিশন এর গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য প্রতিবছর টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়। 

টেলিভিশন দিবস কবে থেকে পালন করা হয় এবং টেলিভিশন দিবস পালন করার পেছনে পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। টেলিভিশন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক টেলিভিশন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ। 

বিশ্ব টেলিভিশন দিবসের পটভূমি

যেহেতু বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ, তাই আজকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবসের পটভূমি সম্পর্কে আলোচনা করার উপযুক্ত সময়। নিচে বিশ্ব টেলিভিশন দিবসের পটভূমি তুলে ধরা হলো।  ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ, নভেম্বর মাসের ২১ তারিখকে টেলিভিশন দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। 

এরপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ২১ তারিখে টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশেও আড়ম্বরপূর্ণভাবে টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়। টেলিভিশন দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হলো: টেলিভিশন এর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয়া। 
সেই সাথে যার কল্যাণে টেলিভিশনে আজ আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারছি তাকে স্মরণ করাও টেলিভিশন দিবস পালনের অন্যতম আরেকটি উদ্দেশ্য। টেলিভিশন যেমন আমাদের অনেক উপকার সাধন করে, ঠিক তেমনি ভাবে কোন কোন মহল ইচ্ছাকৃতভাবে টেলিভিশনের মাধ্যমে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ক্ষতি করার প্রচেষ্টা করে।

টেলিভিশন খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা কখনই উচিত নয়। টেলিভিশনের সব ধরনের খারাপ প্রভাব থেকে আমাদেরকে মুক্ত থাকতে হবে এবং কল্যাণকর কাজে টেলিভিশনকে ব্যবহার করতে হবে। আমরা যদি কল্যাণকর কাজে টেলিভিশনকে ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারি, তাহলেই কেবল টেলিভিশন আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

টেলিভিশন সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। টেলিভিশন সম্পর্কে উপরোল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার উচিত হবে, উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা। কেননা, বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টেলিভিশন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, টেলিভিশন সম্পর্কে রচনা লিখতে বলা হয়। 

তাই আপনি যদি টেলিভিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখেন, তাহলে খুব সহজেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করতে পারবেন। টেলিভিশন যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রচার মাধ্যম তাই বিসিএসের ভাইবা পরীক্ষা সহ বড় বড় পরীক্ষাগুলোতে টেলিভিশন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আর সে কারণেই টেলিভিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর একান্ত কর্তব্য। 

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ: উপসংহার

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। আবিষ্কারের পর থেকেই টেলিভিশন সাধারণ জনগণের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান শতাব্দী উন্নত প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় টেলিভিশন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সারাবিশ্বে খুব সহজেই টেলিভিশনের সম্প্রচার করা যায়, এর ফলে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের অপর প্রান্তের খবর সম্পর্কে জানতে পারে। 

যদিও বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে দ্রুততম সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য খুব সহজেই আমরা পেয়ে থাকি। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল তথ্য পাওয়া যায় তার সবগুলোই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনের কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। টেলিভিশন সম্পর্কে উপরের সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে।
উপরোল্লেখিত টেলিভিশন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। যেন তারাও গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি থেকে টেলিভিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url