OrdinaryITPostAd

শিশুর জ্বর কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়ের বিস্তারিত

প্রযুক্তির এই যুগে জ্বর একটি সাধারণ সমস্যা। ফলে বাসাবাড়িতে শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এরপরেও অনেকেই শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় জানেন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি।

শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর ক্ষেত্রে-  শিশুর জ্বর ১০২, ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয়, শিশুর জ্বর হলে করণীয়, শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয়, শিশুর জ্বর হলে কি খাবার, শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় প্রভৃতি বিষয় অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। আর জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন। চলুন শুরু করা যাকঃ-

পেজ সূচিপত্রঃ

শিশুর জ্বর ১০২, ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয়

আমাদের পরিবারের শিশুদের জ্বর ১০০ ডিগ্রি বা  এর চেয়ে বেশি হয়ে গেলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি এবং আমাদের মনে শিশুর জ্বর ১০২, ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয়  কি বা  কি করা যায় এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আজ আমরা এই  প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পোস্টটি শুরু করেছি। চলুন শুরু করা যাকঃ-

প্রথমেই, জ্বর ১০০ ডিগ্রী উঠে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়াবেন এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে কপাল ও মাথায় পট্টি দিবেন। জ্বর ১০2 ডিগ্রী বা তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং তাপমাত্রা কমলে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিতে হবে। 

শিশুর জ্বর ১০২, ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয় হচ্ছে বাড়িতে তৈরি তরল জাতীয় পানীয় বা পানি যত বেশি পারেন খাওয়াবেন অন্যান্য খাবার স্বাভাবিকভাবে যেভাবে খাওয়ান সেভাবে খাওয়াবেন। বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এসময় খাওয়ার রুচি থাকে না তাই অল্প খাবারে বেশি শক্তি পাবে এমন খাবার দিতে হবে শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস ও দুধ খাওয়াতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন

শিশুর গোটা শরীর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে স্পঞ্জিং করতেই থাকবেন। শিশুর মাথা, গলা, বগল কখনোই গরম হতে দিবেন না। এক মিনিট পরপর ভেজা কাপড় চিপে নিয়ে ওইসব জায়গায় রাখবেন। সর্বোপরি উপরের আলোচনায় বলা যায়, আপনি বা আপনারা শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর আওতায় শিশুর জ্বর ১০২, ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয় কি তা জানতে সক্ষম হয়েছেন।

শিশুর জ্বর হলে করণীয়

পরিবারে বা সমাজে বাচ্চাদের জ্বর হয় কিন্তু জ্বরের তাপমাত্রা যখন অনেক বেড়ে যায় তখন কি করবেন অনেকেই বুঝতে পারেন না এবং ঘাবড়ে যান কি হবে। তাই, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আজকের এই পোস্টটি শিশুর জ্বর হলে করণীয় বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ

প্রথমেই, থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখবেন এবং নিয়ম করে জ্বর মাপতে হবে প্রতি আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘন্টা পর পর। ঘুমের মধ্যেও জ্বর মাপবেন কারণ অনেক সময় বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকার মধ্যেও জ্বর বেড়ে যেতে পারে।

জ্বর ১০০ ডিগ্রী উঠে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়াবেন এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে কপাল ও মাথায় পট্টি দিবেন। জ্বর ১০2 ডিগ্রী বা তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিতে হবে। 

বগল ও উরুর কুঁচকি বারবার মুছে দিতে হবে। যতক্ষণ তাপমাত্রা 103, 104 ডিগ্রী থেকে 101, 102 ডিগ্রী না নামবে ততক্ষণ পানি ঢালতে হবে। খিচুনির সম্ভাবনা যাতে বেড়ে না যায় এজন্য চেষ্টা করতে হবে যেন তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায় তাই মাথা ও ঘাড়ের পেছনে যতক্ষণ তাপমাত্রা না কমে আসবে ততক্ষণ পানি ও পট্টি দিতে হবে তাপমাত্রা কমে এলে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিন

বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এসময় খাওয়ার রুচি থাকে না তাই অল্প খাবারে বেশি শক্তি পাবে এমন খাবার দিতে হবে শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস ও দুধ খাওয়াতে হবে। 

সর্বোপরি উপরের আলোচনা বলা যায়, শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর আওতাভুক্ত শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি তা জানতে সক্ষম হবেন।

শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয়

আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোকই শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় দিক জানি না। তাই, শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় দিক নিচে তুলে ধরা হলোঃ 

শিশুর জ্বর এর ক্ষেত্রেঃ

প্রথমেই, থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখবেন এবং জ্বর ১০০ ডিগ্রী উঠে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়াবেন এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে কপাল ও মাথায় পট্টি দিবেন। জ্বর ১০2 ডিগ্রী বা তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিতে হবে। 

বগল ও উরুর কুঁচকি বারবার মুছে দিতে হবে। যতক্ষণ তাপমাত্রা 103, 104 ডিগ্রী থেকে 101, 102 ডিগ্রী না নামবে ততক্ষণ পানি ঢালতে হবে। খিচুনির সম্ভাবনা যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য চেষ্টা করতে হবে যেন তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায় তাই, মাথা ও ঘাড়ের পেছনে যতক্ষণ তাপমাত্রা না কমে আসবে ততক্ষণ পানি ও পট্টি দিতে হবে তাপমাত্রা কমে এলে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ দ্রুত লম্বা হবার উপায় 

শিশুর বমির এর ক্ষেত্রেঃ

প্রথমেই, আপনার শিশুর বমি হলে তার মুখ থেকে বমি বের করে নিতে হবে এবং  আপনার   শিশুকে সাথে এক কাত করে রাখবেন। বমির সময় আপনার শিশুকে কোন কিছু খেতে দেওয়া দরকার নেই। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

সর্বোপরি উপরের আলোচনা বলা যায়, শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় কি তা জানতে সক্ষম হবেন।

শিশুর জ্বর হলে কি খাবার

শিশুর জ্বর হলে কি খাবার তালিকা করবেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই, শিশুর জ্বর হলে যে সকল খাবার গ্রহণ করতে হবে তা নিম্নরূপঃ

প্রথমেই, আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি খাওয়াবেন। বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে সু্্যপ তৈরি করে আপনার শিশুুকে খাওয়াবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে, খাবার স্যালাইন, শরবত, ডাবের পানি, বার্লি, ফলের রস ও দুধ খেতে দিবেন। 

অতএব উপরের আলোচনায় বলতে পারি যে, শিশুর জ্বর হলে কি খাবার তালিকা এবং শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় উপরে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। ফলে পোষ্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি তা না জানার কারণে আমরা অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আর এই সমস্যা দূর করার জন্য আজকের এই পোস্টটা নিয়ে আপনার বা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাকঃ

প্রথমেই, থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখবেন এবং মাঝে মাঝে জ্বর মাপতেই থাকবেন। বগল ও উরুর কুঁচকি বারবার মুছে দিতে হবে। যতক্ষণ তাপমাত্রা 103, 104 ডিগ্রী থেকে 101, 102 ডিগ্রী না নামবে ততক্ষণ পানি ঢালতে হবে। খিচুনির সম্ভাবনা যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য চেষ্টা করতে হবে যেন তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায়। 

তাই, মাথা ও ঘাড়ের পেছনে যতক্ষণ তাপমাত্রা না কমে আসবে ততক্ষণ পানি ও পট্টি দিতে হবে তাপমাত্রা কমে এলে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিতে হবে। এক্ষেত্রে, পানি ও বিভিন্ন মহলের স্যুপ তৈরি করে খাওয়াবেন। এই সময় ডাবের পানি, বার্লি, ফলের রস ও দুধ খাওয়াতে পারেন।

অতএব উপরের আলোচনায় বলতে পারি যে, শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি তা জানতে সক্ষম হয়েছেন বা হবেন এবং উপকার পাবেন।

মূল কথাঃ শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর ক্ষেত্রে-  শিশুর জ্বর ১০২, ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয়, শিশুর জ্বর হলে করণীয়, শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয়, শিশুর জ্বর হলে কি খাবার, শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় প্রভৃতি বিষয় উপরে অতি সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সুতরাং আশা করি, উপরোক্ত আলোচনা থেকে শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় জানতে সক্ষম হবেন এবং উপকৃত হবেন। আর পোস্টটি আপনার বা আপনাদের ভালো লেগে থাকলে আপনি বা আপনারা শেয়ার করতে পারেন আপনার বা আপনাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে ও ইনস্টাগ্রামে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url