OrdinaryITPostAd

লিচু খাওয়ার ৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

লিচু আমাদের সকলেরই প্রিয় ফলের মধ্যে একটি। লিচু গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল। লিচুর বৈজ্ঞানিক নাম Litchi chinensis। এটি বাংলাদেশের রাজশাহী ও দিনাজপুরে বেশী পরিমানে উৎপাদিত হয়। হাজার রকম পুষ্টিগুনে ভরপুর এই লিচু আপনাকে অনেক রকমের অসুখের হাত থেকে রক্ষা করবে। আজ আমরা লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।

চলুন আর দের না করে লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, লিচু খাওয়ার উপকারিতা, লিচু খাওয়ার অপকারিতা, লিচু খাওয়ার নিয়ম ও লিচু খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচীপত্রঃ লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল গুলোর মধ্যে একটি হল লিচু। লিচু কম বেশী সবাই পছন্দ করে। লিচুতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। লিচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি।

আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা

ক্যালসিয়াম খেহাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে ১৩.৬ গ্রাম শর্করা, ক্যালরি ৬১, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৩১ মিলিগ্রাম। প্রায় মাঝারি আকারের ১০টি লিচুকে ১০০ গ্রাম লিচু বোঝায়।

লিচু খাওয়ার উপকারিতা | লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লিচু খাওয়ার কিছু উপকারিতা আছে। চলুন লিচু খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি তা দেখে নেই।
  • লিচুতে থাকে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। লিচু খেলে হাড়ের ভঙ্গুরতা কমে ও অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। লিচু হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • লিচুতে রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন, ভিটামিন সি, কে, ই এবং বি৬ আছে। লিচুর এই ভিটামিন লোহিত রক্তকোণিকা তৈরীতে সাহায্য করে। এছাড়াও লিচু প্রদাহজনিত রোগ থেকে মানব দেহকে রক্ষা করে।
  • কিডনির জন্য লিচু খুবই উপকারী একটি ফল। কারণ লিচুতে আছে পর্যাপ্ত পরিমান পানি এবং পটাশিয়াম যা কিডনিতে জমে থাকা দূর্ষিত পদার্থ বের করে কিডনির ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব কমায়।
  • লিচু নিয়মিত খেলে সর্দি ও সাধারণ ফ্লু থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও লিচু অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে বাঁধা প্রদান করে।
  • লিচু কার্যকারী ব্যাথানাশক হিসেবে কাজ করে, তাই লিচু খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরণের ব্যাথা দূর হয়। এছাড়াও লিচু খেলে শরীরের প্রদাহ কমে ও টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
  • লিচুতে থাকে নাইট্রিক অক্সাইড যা শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিচুতে থাকা অলিগোনল, যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরী করে। এছাড়াও ফ্ল্যাভোনয়েড ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে যা হার্টের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
  • লিচুতে ক্যালোরি কম থাকে যা শরীরের ওজম কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও লিচু অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরিয়ে রাখে ও হজমশক্তি উন্নত করে।

লিচু খাওয়ার অপকারিতা | লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লিচু খাওয়ার উপকারিতার সাথে অপকারিতা ও আছে। চলুন লিচু খাওয়ার অপকারিতা গুলো দেখে নেই।
  • ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালোরি আছে। এতো ক্যালোরিতে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই বেশী লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • লিচু রক্তের গ্লুকোজ কমাতে সাহায্য করে। তাই লিচু একসাথে বেশী খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। তাই যাদের ডায়বেটিস আছে এবং ডায়বেটিস এর ঔষুধ খান তাদের লিচু খাওয়ার ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বণ করা উচিত। বাচ্চাদের লিচু কখনওই খালি পেটে খাওয়ানো উচিত না।
  • বেশী লিচু খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে যার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, মাতাহ ঘুরানো, বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।
  • বেশ কয়েকদিন একটানা লিচু খেলে ইমিউনিটি বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, লুপাস ইত্যাদি রোগ থাকলে তা বাড়তে পারে।
  • লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই যার ফলে বেশী লিচু খেলে শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে।

লিচু খাওয়ার নিয়ম | লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার পাশাপাশি লিচু খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। আজ আমরা লিচু খাওয়ার সেই নিয়ম সম্পর্কে জানব। চলুন লিচু খাওয়ার নিয়ম কি তা জেনে নেই।
  • লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন আছে, তাই খালি পেটে লিচু খেলে এই হাইপোগ্লাইসিন শরীরের শর্করার মাত্রা একদম কমিয়ে দেয়, যার ফলে ব্যাক্তির মৃত্যুও হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর লিচু খেতে হবে।
  • লিচু বেশী খেলে বিরাট ক্ষতি হতে পারে, তাই একদিনে অনেক গুলো লিচু একসাথে খাওয়া ঠিক না। প্রতিদিন ৭-.৮ টা লিচু খাওয়া যাবে। বেশী লিচু খেলে জ্বর হতে পারে।
  • পাকা লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন বেশী থাকে না কিন্তু কাঁচা লিচুতে বেশী হাইপোগ্লাইসিন থাকে, তাই কাঁচা লিচু কখনও খাওয়া ঠিক না।

লিচু খাওয়ার সঠিক সময় | লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সকল খাবারের মতই লিচু খাওয়ার সঠিক সময় আছে। লিচু এমন একটি ফল যা খুব বেশী খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই হতে পারে বেশী। লিচুতে আছে হাইপোগ্লাইসন এ, এমসিপিজি ইত্যাদি যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। লিচু দিনে ৭ থেকে ৮ টি খাওয়া উচিত। বেশী লিচু একসাথে খেলে জ্বর সহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। লিচু খালি পেটে খাওয়া একদম ঠিক না। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। লিচু খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খাওয়া যেতে পারে। রাতের বেলা লিচু বা অন্য কোন ফল খাওয়া ঠিক না, এতে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

শেষ কথাঃ লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বন্ধুরা, আজ আমরা লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছি। আমরা সকলেই জানি লিচু একটি মৌসুমি ফল। আর লিচু পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। লিচু খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি ভাবে লিচুর কিছু অপকারিতা ও আছে। যা আমরা আমাদের এই লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, লিচু খাওয়ার উপকারিতা, লিচু খাওয়ার অপকারিতা, লিচু খাওয়ার নিয়ম ও লিচু খাওয়ার সঠিক সময় পোস্টটিতে আলোচনা করেছি।
আশাকরি আমাদের এই লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, লিচু খাওয়ার উপকারিতা, লিচু খাওয়ার অপকারিতা, লিচু খাওয়ার নিয়ম ও লিচু খাওয়ার সঠিক সময় পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Shabuz Rayhan
    Shabuz Rayhan ২৬ জুন

    লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সুন্দর মত জানতে পারলাম। পোস্টটি যুগোপযোগী মনে হয়েছে।

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url