OrdinaryITPostAd

২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব

১০ উপায়ে যেভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করবেনআপনি কি, ২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব সেই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমানে অনেক মানুষ ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা আয় করছে। 

ইউটিউব-চ্যানেল-কিভাবে-চ্যানেল-মনিটাইজ-করব

ইউটিউবে চ্যানেল খুললেই হবে না। ইউটিউবে চ্যানেল খোলার পরে টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করতে অবশ্যই মনিটাইজেশন চালু করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব

২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব

আজকের এই পোস্টটিতে ২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষ ইউটিউবে চ্যানেল খুলে মনিটাইজেশন চালু করার মাধ্যমে টাকা আয় করছে। তবে অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রথমে আপনি আপনার youtube চ্যানেল এ লগইন করুন। এরপরে chrom browser থেকে চ্যানেল ড্যাশবোর্ডে যান। আপনার চ্যানেল ড্যাশবোর্ডের বাম দিকে অপশন গুল স্ক্রল করে একেবারে নিচের দিকে যান। সেখানে মনিটাইজেশন অপশনটি পেয়ে যাবেন। এবার মনিটাইজেশন অপশনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পরে আপনি একটি অন্য পেজে পৌঁছে যাবেন। সেখানে আপনার ওয়াচ টাইম, সাবস্ক্রাইবার কত আছে তা দেখতে পেয়ে যাবেন। যদি আপনার সাবস্ক্রাইবার ওয়াচ টাইম, ভেরিফিকেশন ও কমিউনিটি পলিসি ঠিক থাকে। 

তাহলে আপনি একটি apply now অপশন পাবেন। এরপরে আপনাকে apply now অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরেই আপনি Review partner program terms অপশনটি পাবেন। এখানে আপনি স্টার্ট অপশন নামের একটি বাটন পাবেন। আপনাকে সেখানে ক্লিক করতে হবে। 

আপনি-স্টার্ট-অপশন-নামের

সেই অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে প্রায় অনেকটি "Terms and Arrangement" আপনার সামনে আসবে। এগুলো আপনাকে ভালোভাবে পড়ে বুঝতে হবে। এরপর একেবারে নিচের দিকে "I accept the Base terms"নামক একটি অপশন থাকবে। সেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। পরিশেষে আপনাকে "Accept" অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনি দেখতে পাবেন কংগ্রাচুলেশন step 1 সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে।

পরিশেষে-আপনাকে-Accept-অপশনটিতে

Sign up for Google AdSense: এই স্টেপটিতে প্রথমে আপনার সামনে স্টার্ট নামের একটি অপশন আসব। স্টার্ট অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

প্রথমে-আপনার-সামনে-স্টার্ট-নামের

এরপরে "do you have an existing account"একটি লেখা দেখতে পাবেন। তার নিচে তিনটি অপশন আসবে। আপনার যদি আগে থেকেই গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকে। তাহলে আপনাকে সেটি বাছাই করতে হবে। আর যদি আপনার আগে থেকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে আপনাকে "No, I need to create one"অপশনটি বাছাই করে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

তার-নিচে-তিনটি-অপশন

এরপরে আপনার সামনে জিমেইল একাউন্ট দেখানো হবে। আপনাকে জিমেইল একাউন্টটি বাছাই করতে হবে। এরপরে আপনি গুগল এডসেন্সের হোম পেজটি দেখতে পাবেন। এরপর আপনাকে "your country and territori"অপশন থেকে আপনি যেই দেশে বসবাস করছেন। সেই দেশটি বাছাই করতে হবে। 

আপনি-যেই-দেশে-বসবাস-করছেন

এরপরে আপনার সামনে কিছু টার্ম দেখানো হবে। সেগুলো ভালোভাবে আপনাকে পড়তে হবে। এরপর "I have read and accept the agreement"  অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর "Set up account"অপশনটিতে ক্লিক করুন। সেখানে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস আসবে। 

আপনার-সামনে-কিছু-টার্ম-দেখানো

সেখানে আপনার কাছে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন সম্পর্কে জানতে চাইবে। সেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে দিয়ে সাবমিট অপশনে ক্লিক করে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি "channel monetization page" এ চলে যাবেন। এরপরে গুগল এবং ইউটিউব আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে গুগল এডসেন্স যুক্ত করতে ৭২ ঘণ্টার মতো লাগতে পারে। এরপর আপনি দেখতে পাবেন আপনার স্টেপ টু সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 

সঠিকভাবে-দিয়ে-সাবমিট-অপশনে

Get reviewed: এখানে আপনাকে বিশেষ কোন কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না। এখানে আপনার প্রথম দুইটি স্টেপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে সেটি দেখতে পাবেন।

আপনাকে-বিশেষ-কোন-কিছু-করার-প্রয়োজন

এই স্টেপটিতে গুগল আপনার চ্যানেল এর মনিটাইজেশন সম্পর্কে রিভিউ করবে। রিভিউ করার পরে যদি সব সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। তাহলে আপনি এখানে দেখতে পাবেন আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন চালু হয়ে গেছে। এরপর আপনি আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলোর মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এই বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমেই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে যেসকল যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে

বর্তমান সময়ে অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে অনেক টাকা আয় করছে। টাকা আয় করার জন্য শুধু চ্যানেল খুললেই হবে না। টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করতে হবে। মনিটাইজেশন চালু করার জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে যে সকল যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

সর্বপ্রথমে একটি ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে হবে। এরপর সেই চ্যানেলে ইউনিক এবং ভালো মানের ভিডিও আপলোড করতে হবে। যেন সেই ভিডিওগুলো দর্শক খুব পছন্দ করে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কমপক্ষে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে। কমিউনিটি নিয়ম নীতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এছাড়াও গুগল এডসেন্সের নিয়ম নীতি ও মনিটাইজেশন পলিসি অনুসরণ করে  চলতে হবে। 

আপনার চ্যানেলে কপিরাইট ভিডিও ছাড়া যাবে না। এছাড়াও কপিরাইটের যে সকল নিয়ম নীতি রয়েছে সেগুলো ভাঙ্গা যাবে না। আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে গুগল এডসেন্সের সাথে অবশ্যই সংযুক্ত করা লাগবে। এছাড়াও আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি দুই স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে রাখুন। তাছাড়াও আপনাকে আপনার দেশ বা অঞ্চল এর ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য উপযোগী হতে হবে। এই নিয়ম এবং শর্তগুলো মানতে পারলে আপনি মনিটাইজেশন এর সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল কনটেন্ট মনিটাইজেশন নীতিমালা সম্পর্কে জেনে নিন

আজকের এই পোস্টটিতে ইউটিউব চ্যানেল কনটেন্ট মনিটাইজেশন নীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা করব। ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরে মনিটাইজেশন চালু করার জন্য অবশ্যই মনিটাইজেশন নীতিমালা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। না হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইউটিউব চ্যানেল কনটেন্ট মনিটাইজেশন নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

ইউটিউব-চ্যানেল-কনটেন্ট-মনিটাইজেশন-নীতিমালা-সম্পর্কে-জেনে-নিন

আপনি যে ইউটিউব চ্যানেলটি খুলেছেন। সেই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার জন্য অবশ্যই সেই ভিডিওগুলো মৌলিক ধরনের হতে হবে। এছাড়াও আপনি অন্যের ভিডিও বা কোন ভিডিও কপি করে আপলোড করতে পারবেন না। এটি আপনার চ্যানেলের জন্য ক্ষতিকর। কমিউনিটি নিয়ম নীতিগুলো ভালোভাবে মানতে হবে। আপনি আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে কোন প্রকারের ঘৃণা, সহিংসতা, অশ্লীলতা, মিথ্যা তথ্য আপলোড করতে পারবেন না। 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সকল প্রকারের অডিও, ভিডিও, ছবি আপনার নিজস্ব মালিকানার হওয়া লাগবে। কারণ আপনি যদি কপিরাইট এর নিয়ম নীতিগুলো ভঙ্গ করেন। তবে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন বাদ হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও বা কনটেন্ট গুলোর গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন নিয়ম নীতি মানতে হবে। আপনাকে আপনার ভিডিওতে খারাপ বা অশ্লীল ভাষা, মাদক ও অস্ত্র পাচারের বিভিন্ন বিষয় এর ভিডিও বানানো থেকে দূরে থাকতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন যেসকল ইউটিউবার পাবে না

আপনি কি, ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন যেসকল ইউটিউবার পাবে না সেই সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। অনেকেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে তবে সকলেই কিন্তু মনিটাইজেশন চালু করতে পারে না। কারণ মনিটাইজেশনের যে সকল নিয়ম নীতি রয়েছে সেগুলো তারা ভালোভাবে মেনে চলে না। সেই নিয়ম নীতিগুলো মেনে না চললে কখনোই ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন চালু হবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন যে সকল ইউটিউবার পাবে না সেই সম্পর্কে।

কমিউনিটির নিয়ম নীতি যে সকল ইউটিউব চ্যানেলের মালিক ভঙ্গ করবে তারা মনিটাইজেশন কখনোই চালু করতে পারবে না। এছাড়াও যদি কৃত্রিমভাবে চ্যানেলের ভিডিও দেখে ওয়াচ টাইম বাড়ায় তাহলে কখনোই মনিটাইজেশন চালু করতে পারবে না। কপিরাইট ভিডিও বা অডিও চ্যানেলে আপলোড করলে কখনোই মনিটাইজেশন চালু করতে পারবে না। এছাড়াও সাবস্ক্রাইব ফর সাবস্ক্রাইব করার কারণে কখনোই মনিটাইজেশন চালু করতে পারবে না। তাই ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করতে এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে বুঝে মেনে চলতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য যেভাবে আবেদন করতে হয়

আজকের এই পোস্টটিতে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য যেভাবে আবেদন করতে হয় সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম এবং শর্ত রয়েছে সেই শর্ত এবং নিয়মগুলো আপনাকে পূরণ করা লাগবে। সেই শর্ত এবং নিয়মগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশনের জন্য যেভাবে আবেদন করতে হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

আপনার চ্যানেলের যখন ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে। তখন আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে আপনি প্রথমে ইউটিউব স্টুডিওতে লগইন করুন। এরপর মনিটাইজেশন ট্যাব অপশনে যান। এরপরে আপনাকে Apply Now অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার সামনে কতগুলো নিয়ম নীতি দেখানো হবে। সেগুলো ভালোভাবে আপনাকে পড়তে হবে।

এরপরে সকল নিয়ম নীতি মেনে আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার আবেদনটি জমা নিয়ে ইউটিউব সকল বিষয় ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করবে। এই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ হতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগতে পারে। এরপরে আপনার চ্যানেলটি যখন মনিটাইজেশন চালু হয়ে যাবে। তখন আপনাকে বিজ্ঞাপনের সেটিংস অপশনটি অন করতে হবে। এরপর থেকে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

এই পোস্টটিতে ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি ইউটিউবে চ্যানেল খুলেছেন। তবে ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম সম্পর্কে কোন কিছুই আপনার ধারণা নেই। তাহলে আপনার চ্যানেলটি খুলা বৃথা হবে। সেই চ্যানেল থেকে আপনি কোন টাকা আয় করতে পারবেন না। ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইউটিউবে কপিরাইট সম্পর্কে বিস্তারিত।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই আপনাকে নিজের বানানো অডিও এবং ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে কপিরাইট ফ্রি অডিও, ভিডিও, মিউজিক, ছবি আপলোড করতে হবে। আপনি যদি অন্য কারোর অডিও বা ভিডিও ব্যবহার করতে চান। তাহলে অবশ্যই অডিও বা ভিডিওর আসল মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এরপর সেই অডিও এবং ভিডিও ব্যবহার করতে হবে। কপি রাইট স্ট্রাইক সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে।

ইউটিউব কপিরাইট আইন সম্পর্কে জানুন

ইউটিউব  চ্যানেল খোলার আগে অবশ্যই আপনাকে কপিরাইট আইন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কপিরাইট আইন সম্পর্কে ভালোভাবে না জানলে আপনার চ্যানেল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অন্যের অডিও, ভিডিও, মিউজিক, ছবি কখনোই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ছাড়তে পারবেন না। কপিরাইট অডিও, ভিডিও, মিউজিক, ছবি আপলোড করলে আপনার চ্যানেলটিতে কপিরাইট স্ট্রাইক দেখা দিবে। অন্যের ছবি, অডিও, ভিডিও, মিউজিক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তার আসল মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব  চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ বাড়ানোর উপায়

এরপর তিনি অনুমতি দিলে সেই অডিও, ভিডিও, মিউজিক এবং ছবিগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া কারো ছবি, অডিও, ভিডিও এবং মিউজিক ব্যবহার না করাকেই কপিরাইট আইন বলা হয়। এই কপিরাইট আইনটি চালু হওয়ার কারণে কখনোই অন্যের সৃষ্টি চুরি করতে পারা যায় না। কপিরাইট আইন মানুষের নিজস্ব সৃষ্টিকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। যেমন ধরুন আপনি একজনের কোন অডিও, ভিডিও, মিউজিক, ছবি নিজের চ্যানেলে আপলোড করলেন। 

এখন অডিও, ভিডিও, মিউজিক বা ছবির যিনি সত্যিকারের আসল মালিক। তিনি যদি এই চ্যানেলের বিরুদ্ধে ক্লেম করে এবং এই ক্লেম যদি সঠিক হয় তাহলে আপনার চ্যানেল থেকে সেই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হবে। এছাড়াও আপনার চ্যানেলটি একেবারে বন্ধ হয়ে যেতেও পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে অন্যের সৃষ্টি কপি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের তৈরিকৃত ভিডিও, অডিও, ছবি, মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করতে হবে।

ইউটিউব কপিরাইট থেকে বেঁচে থাকার উপায় জেনে নিন

এই পোস্টটিতে ইউটিউব কপিরাইট থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে টাকা আয় করছে। ইউটিউবে টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করতে হবে। মনিটাইজেশন চালু করার জন্য চ্যানেলকে কপিরাইট থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। না হলে চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু হবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইউটিউবে কপিরাইট থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে। 

ইউটিউব-কপিরাইট-থেকে-বেঁচে-থাকার-উপায়-জেনে-নিন

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই আপনার নিজের বানানো অডিও এবং ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। এখানে আপনি অন্যের বা কপিরাইট অডিও এবং ভিডিও ছাড়তে পারবেন না। তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কখনোই মনিটাইজেশন চালু হবে না। আপনি যদি অন্যের অডিও বা ভিডিও ব্যবহার করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে তার আসল মালিকের সাথে যোগাযোগ করে তার অনুমতি নিতে হবে। 

তিনি অনুমতি দিলে সেই অডিও বা ভিডিওগুলো আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন। এছাড়াও কপিরাইট স্ট্রাইক সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জেনে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। নাহলে আপনার চ্যানেলে যে কোন সময় কপিরাইট স্ট্রাইক দেখা দিতে পারে। আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি অডিও, ভিডিও, মিউজিক, ছবি ব্যবহার করতে হবে। অনলাইনে অনেক কপিরাইট ফ্রি অডিও ভিডিও মিউজিক ছবি পেয়ে যাবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে যেভাবে টাকা আয় করতে পারবেন

এই পোস্টটিতে ইউটিউব চ্যানেল থেকে যেভাবে টাকা আয় করতে পারবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমানে অনেক মানুষই ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে। এরপর সেই চ্যানেলে নানা রকমের ফানি ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূলক ভিডিও, রান্নার ভিডিও ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল থেকে যেভাবে টাকা আয় করতে পারবেন তার সম্পর্কে। 

প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এরপরে সেই চ্যানেলটিতে ভালো মানের নতুন নতুন ইউনিক ভিডিও আপলোড করতে হবে। এই ভিডিওগুলো দেখে যেন দর্শক আকর্ষণ বোধ করে। আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলো যেন বারবার দেখতে চায় এরকম ভিডিও তৈরি করতে হবে। আপনাকে ধৈর্য ধরে চ্যানেলে প্রতিদিন ভিডিও ছাড়তে ছাড়তে হবে। যখন আপনার চ্যানেলের ওয়াচ টাইম ৪০০০ ঘন্টা এবং সাবস্ক্রাইবার ১০০০ জন হয়ে যাবে। তখন আপনি মনিটাইজেশন চালু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন চালু হয়ে গেলে আপনি আপনার চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

উপসংহার (২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব)

আজকের এই আর্টিকেলটিতে ২০২৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে চ্যানেল মনিটাইজ করব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষই ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে। এরপর সেই চ্যানেল গুলোতে নিজেস্ব তৈরি কৃত ভিডিওগুলো আপলোড করছে। যেমনঃ রান্নার ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, ফানি ভিডিও, সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূলক ভিডিও ইত্যাদি। এ সকল ভিডিও গুলো ছাড়ার পরে যখন ওয়াচ টাইম ৪০০০ ঘন্টা এবং সাবস্ক্রাইবার ১০০০ জন হয়ে যায়। 

তখন চ্যানেলের জন্য মনিটাইজেশন চালু করার আবেদন করতে পারা যায়। এরপর ইউটিউব সকল কিছু যাচাই-বাছাই করার পর যদি তাদের মনে হয় এই চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন চালু করা যাবে। তাহলে তারা অনুমতি দিয়ে থাকে। এরপর সেই চ্যানেলের মনিটাইজেশন চালু হয়ে গেলে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারা যায়। বর্তমানে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেক ইউটিউবার লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। এরপরে নিজের একটি উন্নত মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। নিজেকে বেকারত্ব থেকে মুক্ত করছে। নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলছে। Job id no: 250833

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url