গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন

গুগল এডসেন্সে ফেক ক্লিক এক্টিভিটিআপনি কি, গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন এই সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টটিতে গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলা যায় এবং গুগল এডসেন্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করব।

বর্তমানে অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইট খুলছে। এই চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট গুলোর কনটেন্ট গুলোতে গুগল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এই বিজ্ঞাপন গুলো কনটেন্ট এর মধ্যে দেখানোর জন্য কনটেন্টের মালিক টাকা পেয়ে থাকে। 

পেজ সূচিপত্রঃ গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন

• গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন
• গুগল অ্যাডসেন্স কি
• গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার সুবিধা
• গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে 
• গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায় 
• গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কি কি দরকার পড়ে 
• কখন গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে হয় 
•  ব্লগ সাইটের জন্য গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল টিপস
•  ইউটিউব এর জন্য গুগল এডসেন্স অ‍্যাপ্রুভাল টিপস 
• উপসংহার (গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন)

গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন

আপনি কি, গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন সে সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। বর্তমানে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অনেকেই ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইট খুলে গুগোল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করছে। অনেকেই গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় সে সম্পর্কে জানেন না।  তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রথমে আপনাকে এই লিংকে https://adsense.google.com/start/ প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনার সামনে নিচে দেখানো ছবির মত একটি ইন্টারফেস আসবে।

এরপরে আপনাকে শুরু করুন  নামের অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

এরপরে আপনার কাছে ইমেইল এড্রেস চাইবে। আপনার যদি একাধিক ইমেইল এড্রেস থাকে। তাহলে আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটি ইমেইল এড্রেস দিয়ে একাউন্টে সাইন ইন করতে হবে।

আপনি যেই সাইটে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখাতে ইচ্ছুক। যেমনঃ ব্লগ ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ও ইউটিউব চ্যানেল। এরমধ্যে যেই সাইটগুলোতে অ্যাড দেখাতে ইচ্ছুক। সেই সাইট গুলোর ইউ আর এল লিখতে হবে। যেমনঃ www.youtube.com/@AramvoIT। আপনি যদি সাইট পরে যোগ করতে চান। তাহলে এই জায়গায়টি খালি রাখতে পারেন। এরপর আমার এখনো কোনো সাইট নেই বিকল্প বেছে নিতে পারেন। 

অ্যাডসেন্স আপনাকে কাস্টমাইজ করার জন্য সাহায্য বা পারফর্মেন্স পাঠাবে কিনা তা আপনাকে বেছে নিতে হবে। আপনাকে হ্যাঁ বিকল্প বেছে নেওয়ার জন্য সাজেশন দেওয়া হবে। যেন এডসেন্স থেকে আপনি আরো অনেক সুবিধা পেতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার নিজের পরিচিতির সেটিংস পাল্টাতে পারেন। 

আপনাকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনার দেশ বা বসবাসের স্থানের নাম বাছাই করতে হবে। আপনি বর্তমানে যেই দেশ বা স্থানে বসবাস করছেন। সেটির আসল ঠিকানা দিতে হবে। যখন আপনার ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ করবে। তখন যেন আপনি আপনার স্থানীয় পোস্ট অফিস থেকে ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ নাম্বার পিন সহ চিঠি সঠিক সময়ে পেতে পারেন। এগুলো আপনাকে পরে পেমেন্ট পাওয়ার জন্য সহায়তা করে থাকবে। আপনি পরবর্তীতে গুগল এডসেন্সে আপনার বসবাসের ঠিকানার পরিবর্তন করতে পারবেন না। 

এরপরে আপনাকে গুগল এডসেন্সের নিয়ম এবং শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে বুঝে পর্যালোচনা করে সম্মতি জানাতে হবে টিক দিয়ে। এরপরে এডসেন্স ব্যবহার করুন বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। এই মুহূর্তে আপনি আপনার নিজস্ব নতুন এডসেন্স একাউন্ট সাইন  ইন করা হয়ে গেছে। 

গুগল এডসেন্স কি

এসইও এর একটি সার্ভিস প্রোভাইডার হলো গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগ সাইটে গুগল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এই বিজ্ঞাপনের বিনিময়ে ইউটিউব চ্যানেলের মালিক, ফেসবুক পেজের মালিক, ব্লগ সাইটের মালিক টাকা পেয়ে থাকে। আমরা ইউটিউব, ফেসবুক বা বিভিন্ন ব্লগে বিভিন্ন অডিও, ভিডিও বা লিখা দেখার সময় বিভিন্ন অ্যাড দেখতে পায়।

আরো পড়ুনঃ এডসেন্স এর বিকল্প ৫ টি অস্থির অ্যাড নেটওয়ার্ক 

এই অ্যাড গুলোকেই গুগল এডসেন্স বলা হয়। যারা ফেসবুক পেজ, ইউটিউব বা ব্লগ থেকে আয় করতে ইচ্ছুক। তাদের জন্য গুগল এডসেন্স আয় করার একটি অন্যতম উপায়। বর্তমানে অনেক মানুষ ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ সাইটে গুগল এডসেন্স‌ এর মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করছে। এর ফলে নিজের একটি উন্নত মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে।

গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার সুবিধা

আজকের পোস্টটিতে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করা অনেক সুবিধা রয়েছে। বর্তমানের অনেক মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করছেন। অনলাইনের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার সুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। 

বর্তমানে ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করছে। গুগল এডসেন্সের ট্রান্সপারেন্সি সেফটি এবং সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক উন্নত মানের। অনেক রকমের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট সাহায্য করে। এইচ টি এম এল ভিডিও, গুগল টেক্সট ইমেজ বর্তমান সময়ে অ্যাড দেখিয়ে থাকে। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার কোন পণ্যের দরকার পড়বে না। আপনি শুধু একটি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। 

ভালোমতো অডিও, ভিডিও এবং লিখার কনটেন্ট ছাড়লেই গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে না। এছাড়াও আপনি যদি চাকরি করেন এর পাশাপাশিও পার্টটাইম হিসেবে এ কাজগুলো করতে পারেন। ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখে, ফেসবুক পেজ তৈরি করে এবং ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স এর এপ্লাই করার জন্য কোন টাকার প্রয়োজন পড়ে না। গুগল এডসেন্স রেজিস্ট্রেশন করা খুব একটি জটিল বিষয় নয়।

গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে 

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় সকল রকম কাজ করা হচ্ছে। অনলাইনে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পোস্ট পড়ি। ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে ভিডিও দেখি, অডিও দেখি। ভিডিও ও অডিও গুলোর মধ্যে এবং কোন পোস্ট এর মধ্যে আমরা বিভিন্ন সময় অনেক অ্যাড দেখি। এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখার মাধ্যমে আমরা সেই পণ্য বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারি। 

আমরা অনেকেই এই পণ্যগুলো দেখে যাচাই-বাছাই করে ক্রয় করি। এই যে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে যে টাকা উপার্জন করা হয়। সেগুলোই ফেসবুক পেজের মালিক, ইউটিউব চ্যানেলের মালিক এবং ওয়েবসাইটের মালিক এদের দেওয়া হয়। গুগল এডসেন্স এর কাজই হল বিভিন্ন অডিও, ভিডিও এবং পোস্টের মধ্যে তাদের বিজ্ঞাপনের প্রচার করা। বিজ্ঞাপন প্রচার করার মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় হল গুগল এডসেন্স এর কাজ।

গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায়

আজকে গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেই সম্পর্কে এই পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে অনেক টাকা আয় করা যায়। তাই অনেক মানুষ টাকা আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স কে ব্যবহার করছে। গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেটি নির্দিষ্ট কোন অংকে নির্ধারিত নেই। 

আপনার ওয়েবসাইটে যত ক্লিক বা ভিউ বাড়বে আপনার টাকা তত বেশি আয় হবে। আবার আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে বা ফেসবুক পেজে অনেক উন্নত মানের ভালো ভিডিও ছাড়েন। সেই ভিডিওগুলো দেখে আপনার ভিউ, ওয়াচ টাইম, সাবস্ক্রাইবার যত বাড়বে আপনার গুগল এডসেন্স থেকে তত বেশি টাকা আয় হবে। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অংকের কোন টাকা নয়। বরং গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে অনেক টাকা আয় করা যায়।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কি কি দরকার পড়ে

বর্তমানে অনলাইনের জগতে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। তথ্যগুলো দ্বারা গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট খুলতে হয়। গুগল এডসেন্স একাউন্ট ছাড়া টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। অনেকেই গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য কি কি তথ্যের প্রয়োজন পড়ে সেই সম্পর্কে ভালোমতো জানেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, গুগলের একাউন্ট খুলতে কি কি দরকার পড়ে সেই সম্পর্কে।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমেই একটি গুগল আইডির দরকার পড়বে। এরজন্য একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন পড়বে। একাউন্ট  ভেরিফাই করতে হবে। এজন্য একটি সচল মোবাইল নাম্বার এর দরকার পড়বে। ভেরিফিকেশন চিঠি পাঠানোর একটি সত্যিকারের বা আসল ঠিকানার দরকার পড়বে। একাউন্ট খোলার শেষে গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইনে এর মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য একটি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট এর দরকার পড়বে। এই দরকারি তথ্যগুলো বা উপকরণ গুলি যদি নিশ্চিত ভাবে থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

কখন গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে হয়

ইউটিউব ব্যবহার করে আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এরপরে আপনাকে সেই চ্যানেলে কপিরাইট ফ্রি সকল ভিডিও আপলোড করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে শিক্ষনীয় ফানি এবং ভালো মানের কনটেন্ট ভিডিও ছাড়তে হবে। সেখানে কোন অ্যাডাল্ট খারাপ ভিডিও ছাড়া যাবে না। ইউটিউবে গুগল এডসেন্সের এপ্লাই করার জন্য আপনার চ্যানেলের ওয়াচ টাইম ৪০০ ঘন্টা হতে হবে। এছাড়াও চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবার ১০০০ হতে হবে। তাহলেই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য গুগল এডসেন্স এর এপ্লাই করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়  

আপনি যদি ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য গুগল এডসেন্স এপ্লাই করতে চান। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটিতে কমপক্ষে ৫০ টির উপরে পোস্ট থাকতে হবে। এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে। আপনার পোস্টগুলি অনেক ভালো মানের ইউনিক হতে হবে। যে কোন ভাবে পোস্ট লিখে ওয়েবসাইট ভরিয়ে তুললে হবে না। ভালো মানের পোস্ট লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটির সকল ক্যাটাগরিতে পাঁচটির বেশি পোস্ট থাকতে হবে। কোন ক্যাটাগরি খালি রাখলে হবে না। এছাড়াও আপনার প্রাইভেসি পলিসি, কন্টাক্ট এবাউট আস পেজগুলো খুলে রাখতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটিকে একটি ভালো মানের ওয়েবসাইটে রূপান্তরিত করতে হবে। তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন

ব্লগ সাইটের জন্য গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল টিপস

যাদের প্রচুর লেখালেখি করতে ভালো লাগে এবং লেখালেখির মান অনেক ভালো তারা একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। এরপর গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে খুব সুন্দর এবং ভালো মানের পোস্ট লিখে পাবলিশ করতে হবে। কম শব্দের পোস্ট লিখে পাবলিশ করলে চলবে না। কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের পোস্ট লিখে ছাড়তে হবে। এছাড়াও যদি আপনি ৩০০০ শব্দের পোস্ট লিখে ছাড়তে পারেন। তাহলে সেটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আরও বেশি ভালো হবে। আপনার পোস্ট লেখার সময় অবশ্যই আপনাকে কপিরাইট পোস্ট লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি যদি কপিরাইট পোস্ট লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন।

তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর অ্যাপ্রুভাল পেতে অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। অবশ্যই আপনাকে নিজের মতো করে ভালোভাবে রিসার্চ করে এবং নিজস্ব মেধা খাটিয়ে পোস্ট লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। অন্যের দেখে কপি করে লিখলে সেটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তাই আপনি আপনার নিজের মত করে পোস্ট লিখুন এবং ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন। তাহলে সেটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুব ভালো হবে। এছাড়াও আপনার ব্লগ সাইটের জন্য অবশ্যই আপনাকে চারটি পেজ খুলতে হবে। গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য এই চারটি পেজ খোলা খুবই প্রয়োজনীয়। 

আপনার সঙ্গে যেন পাঠকেরা যোগাযোগ করতে পারে। এজন্য আপনাকে যোগাযোগের একটি পেজ তৈরি করে গুগল থেকে ইনডেক্স করতে হবে। এরপরে আপনার ওয়েবসাইটটিতে আপনি কি ধরনের পোস্ট লিখে পাবলিশ করছেন? সেই সম্পর্কে ভালোভাবে লিখে এবাউট আস নামের পেজটিতে বর্ণনা করে গুগলে ইনডেক্স করতে হবে। এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কিছু শর্ত সেট করতে হবে। যেই শর্তগুলো গুগলের কাছে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটিকে অর্থবহ করে তুলতে সাহায্য করবে। এরপরে আপনার এই পেজটিকে গুগল দ্বারা ইনভেস্ট করতে হবে। 

পরিশেষে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটিকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রাইভেসি পলিসি নামক একটি পেজ তৈরি করতে হবে। এরপর সেই পেজটি গুগলে ইনডেক্স করতে হবে। এরপরে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্লাই করার কথা ভাববেন। সবচেয়ে ভালো হবে আপনি ৫০ টিরও বেশি পোস্ট লিখে দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করার পরে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। সেটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বেশি ভালো হবে।

ইউটিউব এর জন্য গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল টিপস

বর্তমানে অনেক মানুষ ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে।এরপরে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করছে। আপনি যদি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভাল মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এরপর সেই চ্যানেলটিতে ইউনিক এবং ভালো মানের প্রতিদিন কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। 

আপনার ভিডিও দেখে মানুষ যত পছন্দ করবে আপনার ভিউ তত বাড়বে, লাইক বাড়বে, কমেন্ট বাড়বে, শেয়ার বাড়বে। এগুলো আপনার চ্যানেলকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করবে। ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার চ্যানেলের ওয়াচ টাইম ৪০০০ ঘন্টার সময় হতে হবে। এছাড়াও ১০০০ সাবস্ক্রাইব এর প্রয়োজন পড়বে। যখন আপনার চ্যানেলের ওয়াচ টাইম ৪০০০ ঘন্টা এবং সাবস্ক্রাইব ১০০০ হয়ে যাবে। 

তখন আপনি খুব সহজেই আপনার চ্যানেলের জন্য গুগল এডসেন্সে এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। আপনাকে অবশ্যই আপনার চ্যানেলে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ছাড়তে হবে। নিজের ভিডিওগলো খুব সুন্দর ইউনিক এবং আকর্ষণীয় করে তৈরি করতে হবে। যেন দর্শক আপনার ভিডিও গুলো দেখতে আকর্ষণ বোধ করে। এগুলো আপনার চ্যানেলকে আরো উন্নত করবে। ফলে আপনি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

উপসংহার (গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন)

আজকের এই আর্টিকেলটিতে গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও এডসেন্স কি, গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার সুবিধা, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে কত টাকা আয় করা যায় ইত্যাদি আরও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমানে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করা অন্যতম একটি বিষয়। 

বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে, ফেসবুকে পেজ খুলছে, ব্লগ ওয়েবসাইট খুলছে। এই চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন অডিও, ভিডিও, লিখার কনটেন্ট ছাড়ছে। এই কনটেন্ট গুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে চ্যানেলের মালিক টাকা পেয়ে থাকে‌। এর ফলে একটি ভালো মানের টাকা আয় হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষ টাকা আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স ব্যবহার করছে। এর ফলে আমাদের বাংলাদেশে অনেক বেকারত্বের হার কমেছে। Job id no: 250833