OrdinaryITPostAd

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম - শূন্য থেকে আয় শুরু

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট নেওয়ার উপায়ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন থাকে। যে কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবো, কিভাবে গিগ তৈরি করবো, কিভাবে সেটিং করবো। একবারে শূন্য থেকে আয় করা যায় ফাইভারের মাধ্যমে। বর্তমানে এই যুগে অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজ আমরা সেটা জানবো।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
এখন আর বাইরে যেয়ে খেটে ইনকামের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও একটা ডিভাইস থাকলে ইনকাম করা যায়। তবে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম অনেক সহজ। শুধু দরকার নিয়ম অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খোলা ও সে অনুযায়ী কাজ করা।

পেজ সূচিপত্রঃ ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জানা অনেক জরুরি। কারণ ঠিকভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারলে কখনই ইনকাম করা সম্ভব না। ফাইভারের প্রোফাইল যদি ক্লায়েন্টের কাছে আকর্ষণীয় না লাগে। তাহলে সে কেন আপনাকে কাজ দিবে। সেজন্য প্রোফাইল আগে সুন্দর ভাবে তৈরি করা লাগবে। যারা একবারে নতুন ও শূন্য থেকে ইনকাম করতে চায় তাদের জন্য এই প্লাটফর্মটা একটা বিশ্বাসযোগ্য জায়গা। 

ইনকামের শুরুতে আপনাকে আগে জানতে হবে ফাইভার অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া। শুধু রেজিস্ট্রেশন করে নিলাম আর হলে গেলো ইনকাম শুরু ব্যাপারটা আসলে সেরকম না। আমাদের ভালো মতো জানতে হবে অ্যাকাউন্ট খোলা। নিচে আমরা ধাপে ধাপে জানবো ফাইভার অ্যাকাউন্ট দ্রুত ভেরিফাই করার উপায়।

১। প্রথমে মোবাইল বা ল্যাপটপে ফাইভার অ্যাপ অথবা সফটওয়্যারটা ইন্সটল করবো। শুরুতে একটা যাছাইয়ের অপশন আসবে। যেমন ধরেন আপনি যদি কাজ করে দেন তাহলে কর্মী আর কাজ করান তাহলে গ্রাহক। আপনি অপশন বাছাই করবেন।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
২। তারপরে যে ধাপটা আসবে সেটা হল আপনি এই ফাইভার অ্যাকাউন্টটা কিভাবে লগ ইন করবেন। যেমন ফেসবুক দিয়ে লগ ইন নাকি মেইল থেকে লগ ইন। সে অপশনটা আসবে। ফেসবুক দিয়ে করলে ফেসবুকে চাপ দিবেন। তবে মেইল দিয়ে করাটা ভালো। কারণ আন্তর্জাতিক কাজে মেইল বেশি ব্যবহার হয়।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৩। যদি আপনি মেইলের অপশনে চাপ দেন তাহলে আপনার মেইলে চলে যাবে। এখন যদি আপনার একের বেশি মেইল থাকে তাহলে কোনটাতে আপনি এই ফাইভার চালাবেন সেটা সিলেক্ট করে সামনে এগিয়ে যাবেন।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৪। মেইলে যাওয়ার পরে আপনাকে বলা হবে আপনার ইউজার নাম অ্যাড করতে আর আপনার মেইল লিখতে। নামের যায়গায় নাম, মেইলের যায়গায় মেইল বসাবেন।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৫। তারপর আপনার ইউজার নাম আর মেইল যোগ হয়ে যাবে। এখন আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হবে। সাধারনত সহজ প্রশ্ন করে। তবে এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে বুঝে শুনে দিতে হবে। কারণ এইটার উপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দিবে বা করাবে। সেজন্য এই বিষয়ে ভালমতো খেয়াল রাখা জরুরি। আপনাকে শুরুতে বলবে যে আপনি একক ফ্রীলান্সার নাকি অফলাইন ফ্রীলান্সার। আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সিলেক্ট করবেন।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৬। এবার যে প্রশ্ন করবে সেটা হল আপনার অভিজ্ঞতার বিষয়ে। আপনি কি এর আগে এই প্লাটফর্মে কাজ করছেন কিনা বা আপনি এখানে নতুন কিনা সেটা জানতে চাইবে। আপনি নতুন হলে বলবেন আমি সবে মাত্র শুরু করছি। দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৭। আপনার কাজ কমপ্লিট হয়েছে কিনা সেটা বুঝার জন্য আপনার সামনে এই রকম একটা পেজ আসবে। যদি সঠিক ভাবে হয়ে যায় তাহলে এইরকম দেখাবে।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৮। যখন আপনি বুঝে গেলেন যে আপনার প্রোফাইল হয়ে গেছে। তখন সামনে এগিয়ে আসলে আপনার ফাইভারের হোমপেজ দেখতে পারবেন। এখানে আপনার সব ধরনের কাজ গুলো সামনে দেখাবে। যেমন লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিট । এইরকম আরও অনেক কিছু দেখাবে। হোম পেজ আসলে ভালো মতো সব দেখে নিতে হবে। সব ঠিক ঠাক আছে কিনা।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
৯। নিচে একবারে ডান দিকে একটা অপশন থাকে সেটা আসলে সেটিং। সেখানে যাবা দিয়ে তোমার প্রোফাইল সেটিংয়ের অনেক কিছু দেখতে পাবা। যেমন তোমার অ্যাকাউন্ট, তোমার বায়ো, তোমার নাম। সেগুলো এক একটা দেখে বুঝে ঠিক করে নিতে হবে।
ফাইভার-মার্কেটপ্লেসে-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম
এইভাবে ফাইভার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং এই সকল নিয়মগুলো মেনে এবং ধাপে ধাপে কাজ করলে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খোলা সহজ হয়ে যাবে আমি মনে করি। কারণ এখানে হাতেকলমে বুঝানো হয়েছে যে কিভাবে করে অ্যাকাউন্ট খোলা লাগে।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসের পরিচিতি ও গুরুত্ব

অনলাইনে ইনকাম করতে সবাই চাই। আবার ইনকাম করার অনেক প্লাটফর্ম আছে। যেমন আপওয়ার্ক, ফ্রীলান্সার, ফাইভার ইত্যাদি মতো শুধু নাম করা বাকি তো আরও আছেই। আমার দেখা মতে বিগত ৫-৬ বছর আগেও মানুষ অফিস কাজ করতো। কিন্তু এখন অবাক করা বিষয় যে প্রতিটা ঘরে ঘরে ফ্রীলান্সার এখন কাজ করে। সাধারনত এসবকে রিমোট জব বলে। এখন শহরে অনেক এইরকম অনলাইন কাজ শিখানোর অফিস তৈরি হয়েছে। কয়েক বছর আগেও মানুষ নিজে শিখে কাজ করতো। কিন্তু দিনের পর দিন এই কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়াই এখন এসব কাজ শিখানোর কোর্স বানাচ্ছে বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষেরা। ফলে পড়াশুনা শেষ করার পরে কাজ খোঁজার জন্য ঘুরে বেড়ানো লাগবে না। ইন্টারনেট থাকলে এবং সাথে ডিভাইস থাকলে খুব সহজে দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার কাজ করা যায়। ইনকামের রাস্তাকে সহজ করেছে এইসব মার্কেটপ্লেস। 

শুরুতে খুব বেশি মানুষ জানতো না যে অনলাইনে কিভাবে কাজ করা যায়। আবার অনলাইনে এখনকার মতো অনেক অনেক প্লাটফর্ম ও ছিল না। যত দিন গেছে নতুন নতুন প্লাটফর্ম জন্ম নিয়েছে। একজন একজন করে জানতে জানতে এখন অনেক মানুষের মধ্যে এই ফ্রীলান্সিং এর শখ জন্ম নিয়েছে। যারা কম্পিউটার নিয়ে পড়েছে তারা তো কাজ টুকটাক জানেই আর যারা পড়েনা তারাও শখের বশে ইচ্ছা করেই শিখে। কারণ এখন সবাই জানে যে অনলাইন ছাড়া তারা নিজেদের উন্নত করতে পারবে না। মানুষ শিখবে আর অভিজ্ঞরা নতুন নতুন কোর্স তৈরি করবে। এই যেমন ধরেন ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সিপিএ মার্কেটিং ইত্যাদি। এইরকম অনেক কোর্স এখন বের হয়েছে। ফাইভারে কাজ করা এই সকল কোর্স থেকে সহজ। কারণ ফাইভার একমাত্র সুযোগ দিচ্ছে যেটা অন্য কোন প্লাটফর্ম দেইনা। শুরুতে কোন টাকা খরচ করা লাগবে না। একবারে শূন্য থেকে ইনকাম শুরু করা যাবে যদি কাজের ধরণ এবং কিছু নিয়ম জানা থাকে।
এই ফাইভারে কাজের শুরুতে আপনাকে জানতে হবে ফাইভার অ্যাকাউন্ট খোলার বিস্তারিত নিয়ম ও  ভালো মতো সেট করে নিতে হবে নিজের প্রোফাইল টা। তারপর যেটা প্রথম কাজ সেটা হল গিগ বানানো। গিগে আপনার সব মেধা থাকবে। মানে আপনি যা যা পারেন সে সব আপনাকে এই গিগে দিতে হবে। যেমন মনে করেন আপনি আর্টিকেল রাইটিং জানেন, এসইও জানেন, ওয়েবসাইট স্কেল করতে জানে। এই সব কিছু আপনি আপনার গিগে দিবেন। তাহলে কি হবে, যে এই কাজ গুলো তার ওয়েবসাইটে করাই নিতে চাই। সে আপনাকে আগে মেসেজ দিবে। কিন্তু একটা কথা মাথাই রাখা লাগবে। সেটা হল শুরুতে আপনাকে আপনার সার্ভিসের দামটা একটু কম রাখা লাগবে। 

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সুবিধা ও সম্ভাবনা

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম বাকি সব প্লাটফর্ম থেকে সহজ বলে আমি মনে করি। কেন , সেটা হল আপওয়ার্ক, ফ্রীলান্সারের মতো মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করলে আপনাকে সাধারন কাজ সম্পর্কে জানতে হবে সাথে কিছু টাকাও জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা লাগবে। আবার অ্যাকাউন্ট খোলার পরে প্লাটফর্মের ভিতরে অনেক কাজ করা লাগবে। কিন্তু ফাইভার একবারেই আলাদা একটা প্লাটফর্ম। কারণ এই প্লাটফর্মে কাজ শুরু করতে কোন টাকা চার্জ করেনা। ফ্রীতে আপনি আপনার মেইল কানেক্ট করে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। আবার প্লাটফর্মের ভিতরে বেশি কোন কাজ করা লাগবে না। আপনার গিগেই আপনার সব দক্ষতা যোগ করা থাকবে। অনলাইনে ভবিষ্যৎ তৈরি করতে এই মার্কেটপ্লেসের কাজ জানাটা অনেক দরকারি। 

দুনিয়াতে দিনের পর দিন প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আপনাকে নিত্য নতুন পরিবর্তনের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, সেসব বিষয়ে জানতে হবে। পিছিয়ে পড়া যাবে না। আগে মানুষ নিজের দেশে অনলাইনে সাপোর্ট দিত। লোকালভাবে কাজ করতো। কিন্তু যত দিন গেছে এই প্লাটফর্মটা আরও বড় হয়েছে। প্লাটফর্মে গ্রাহক ও কর্মী সব দিন দিন বেরেছে। এখন এই প্লাটফর্মের কাজ দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাই। দেশ দেশান্তরে চলে গেছে। এখন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বসে মানুষ আমেরিকার যে কোন একটা রিমোট কোম্পানিতে কাজ করছে। যদিও এখানে তাদের সময়ের একটু পরিবর্তন আছে। মানে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের অনলাইনে কাজ হয় রাতে। কারণ আমেরিকাতে যখন সকাল বাংলাদেশে তখন রাত।

এখন বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় সবাই প্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞান রাখে। শিশুরা এখন ছোট থেকে মানুষ হয় মোবাইল নিয়ে। তাদের মধ্যে প্রযুক্তি বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করার দরকার হয় না। বাইরের দেশে ছোট যুবকেরা অনলাইনে কাজ করে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে। আমার দেখা মতে, এক বন্ধু আমেরিকার এক কোম্পানিতে কাজ করে। সকালের সূর্য দেখতে পায় কিনা সন্দেহ আছে। কারণ সারা রাত কাজ করে অনলাইনে। অল্প পরিশ্রমে অনেক ইনকাম। মাস গেলে নাহয় দেড় লাখ বেতন পায়। সে তুলনায় সে কোন অফিসে কাজ করলে এই বেতন পেতো না। তাহলে ইনকামের উৎস টা বেশি থাকায় মানুষ অনলাইনের পিছে ছুটবে। আর এখন সেটাই হচ্ছে। কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ফ্রীলান্সিং জেনে অনলাইনে কাজ করছে। আমিও সে কাজেই এগিয়ে জাচ্ছি। অনলাইনে আমিও কাজ করছি ইনকামটা ভালো করার জন্য। সে দিন বেশি দূরে নাই যখন প্রতি মানুষ অনলাইনে কাজ করবে। থাকবে না কোন অফিস, আদালত। যা প্রয়োজন সব কিছু অনলাইনেই পেয়ে যাবে।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে প্রথম কাজ পাওয়ার কার্যকারী টিপস

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম এর দিক ঠিক রেখে যদি অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, তাহলে পরবর্তী ধাপ হল ফাইভারে গিগ তৈরি করার নিয়ম জেনে কাজ শুরু করে ইনকাম করা। এখন মূল বিষয় হল আপনি যে যে কাজ পারেন। যেমন এসইও, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব সাইট বানাও এইরকম যদি কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রথমেই আপনার গিগে বর্ণনা দিতে হবে এই কাজ গুলোর। আবার বর্ণনা দিতে গেলে অনেক কিছু খেয়াল রাখা লাগবে। কোন বিষয়গুলো ক্লায়েন্টদের আকর্ষিত করে, কোন কাজ গুলো তারা বেশি চায়, কোন কাজ কতক্ষণে দিতে পারবেন। এই সকল বিষয়গুলো খেয়াল করবে হবে এবং বর্ণনা ঐভাবে দিতে হবে। ক্লায়েন্ট বিরক্ত হলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সেজন্য ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খোলার পরে প্রথম কাজ পেতে হলে কিছু ট্রিকস ভালো মতো বুঝে কাজ করতে হবে।
ফাইবার-মার্কেটপ্লেসে-প্রথম-কাজ-পাওয়ার-কার্যকারী-টিপস
প্রথম কাজ পাওয়ার প্রথম যে বিষয় মাথায় রাখা লাগবে সেটা হল যোগাযোগের মাধ্যম। আপনার যোগাযোগ করার দক্ষতা ভালো থাকা লাগবে। যখন কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে তখন আপনাকে তার সাথে ভালোভাবে ভদ্র ভাবে কথা বলতে হবে। কারণ আপনি ভালো ব্যবহার করলে সে আপনাকে কাজ করিয়ে ভালো অনুভব করবে। যদি আপনি কাজ শেষ করতে ১-২ দিন বেশিও লাগে, যাতে আপনি সময় চেয়ে নিলে সময় দেয় আপনাকে। এখন আপনি ভালো মতো কথা বলেন তাহলে সময়ের বাইরে কাজ জমা দিলে আপনাকে ভালো রিভিউ দিবে না। এতে আপনার এই প্লাটফর্মে কাজ করার সপ্ন শেষ হয়ে যাবে। আবার আরেকটা বিষয় আপনাকে যখন মেসেজ দিবে তখন যেন রিপ্লাই করতে দেরি না করেন। এতে সে বিরক্ত হয়। পরে সে আপনাকে বাদ দিয়ে অন্য আরেকজনকে দিয়ে কাজ করাবে। তাই প্রথম কাজ পেতে এই দিক গুলো ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে।

এখন যখন আপনার সাথে যদি বলে সে কাজ দিতে আগ্রহী হল। তখন সে আপনার গিগ দেখবে। আপনাকে আপনার গিগ ভালমতো এডিট করতে হবে। গিগের ভাষা সহজ ও সরল হয় যেন। কারণ বেশির ভাগ কাজ বাতিল হয় এই গিগের জন্য। ভাষা জটিল হয়, বুঝতে অসুবিধা হয়। যার জন্য ক্লায়েন্ট আর কাজ দেয় না। সহজ, সরল হলে সেটা রাঙ্কিং ও হবে, ক্লায়েন্ট আকর্ষিত হলে কাজ ও পাওয়া যাবে।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে সার্চ রাঙ্কিং উন্নত করার উপায়

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে তো সবাই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। কিন্তু খোলার পর গিগ বানানো আর সেটাকে সার্চ রাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসাটা হল মূল কাজ। কারণ এইরকম প্লাটফর্মে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ করে। কাজ শুধু তারাই পায় যারা তাদের গিগ নিয়ে বেশি কাজ করে। গিগকে ভালো ভাবে মডিফাই করে। ভালোভাবে এসইও করার জন্য। এখন সার্চ রাঙ্কিংয়ে আনার কিছু কৌশল আছে। যার সঠিক নিয়ম মেনে চললে সহজে রাঙ্কিংয়ে আনা সম্ভব। এখন তুমি অনেক ভালো ফ্রীলান্সার হতে পারো, কিন্তু তোমার গিগ যদি সার্চ রাঙ্কিংয়ে না আসে তাহলে তুমি কখনই কাজ পাবা না। তোমার গিগটা ক্লায়েন্টের কাছে আগে প্রদর্শন হতে হবে। তারা যেন তোমার গিগ প্রথম রাঙ্কিংয়ে পায়। সেজন্য শুধু অ্যাকাউন্ট খুলে দিলে হল না সঠিক ভাবে নিজের গিগকে এডিট করে ভালো মতো রাঙ্কিংয়ে আনতে হবে। তবেই সেটা ক্লায়েন্ট দেখবে আর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
ফাইভার মার্কেটপ্লেসে নিজের গিগকে সার্চ রাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার আরেকটা উপায় হল গিগের ভিতরের ছবি এবং ভিডিও। যদি গিগের সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ সার্চ রাঙ্কিংয়ের জন্য। তবুও ছবি আর ভিডিও আলাদা মূল্য তৈরি করে গিগের। এখন ধরো তুমি যদি গিগের বর্ণনা দিলা অনেক সুন্দর, মানে এক কথায় অসাধারন কিন্তু ছবি দিলা নরমাল। তাহলে সেটা কখনই রাঙ্কিং হবে না। কারণ গুগল সেগুলোর সব আলগারিডম বুঝে তারপর রাঙ্কিংয়ে আনে। সেজন্য ছবিটা হতে হবে ভালো মানের। এতে তোমার গিগটা ভালো রাঙ্কিংয়ে আসবে। ফলে সেটা ক্লায়েন্টের চোখে আসবে। তারপর ক্লায়েন্ট তোমাকে দিয়ে সে তার নিজের কাজ করিয়ে নিবে। 

ফাইভার অ্যাকাউন্টের মধ্যে গিগের কাজ অনেক। সাধারনত গিগ দেখেই ক্লায়েন্ট কাজ দেয়। সেজন্য গিগের সব কিছু হতে হবে একবারে উন্নত মানের। যেমন ছবি ঠিক তেমন বর্ণনা। কারণ সব কিছু ভালো থাকলে সেটা সার্চ রাঙ্কিংয়ে উপরে থাকে। এতে প্রতিটা ক্লায়েন্টের চোখের সামনে সে গিগটা আসে। সেজন্য যত ভালো গিগ দেওয়া যাবে তত ভালো কাজ পাওয়া যায়। সময়ের সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। সে সাথে গিগের মধ্যেও অনেক পরিবর্তন আসে। সেগুলো সময় থাকতে আপগ্রেড করে নেওয়া ভালো। কারণ এই আপগ্রেড করা কিন্তু সার্চ রাঙ্কিং ভালো করা যায়। এখন আপগ্রেডের সাথে যদি নিজের গিগ আপগ্রেড না করো তাহলে তোমার গিগ যতই ভালো হক না কেন সেটা রাঙ্কিংয়ে আসবে না।

ফ্রীলান্সিংয়ে ফাইভার মার্কেটপ্লেসের ভুমিকা

যে মানুষ ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে, সে জানে যে বাকি সকল ফ্রীলান্সিং প্লাটফর্ম থেকে এই মার্কেটপ্লেস একবারে অন্য রকম। কারণ এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করা সহজ। নিমিষে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ পাওয়া যায় যা অন্য সকল প্লাটফর্মে পাওয়া যায় না। বাকি প্লাটফর্মগুলোতে কাজ পাওয়ার জন্য আগে বিড করতে হবে। অর্থাৎ নিজের দক্ষতা ক্লায়েন্টকে দেখানোর জন্য যেটা করা হয় সেটা হল বিড। এইটা ফ্রীলান্সার নিজে থেকে ক্লায়েন্টের প্রোজেক্টে বিড দেয়। তাহলে বিষয়টা দাঁড়ালো যে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে এইরকম কোন বিড করা লাগে না। শুধু অ্যাকাউন্ট খুলে গিগ তৈরি করে নিতে হবে। বাকিটা ক্লায়েন্টই দেখে নিবে আর কাজ দিবে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে ফাইভারের ভুমিকা অনেক বেশি। কলেজে পড়া ছাত্ররা এখন অবসর সময়ে এসব কাজ করে ইনকাম করতে পারছে। অফিসের কর্মীরাও এক্সট্রা ইনকামের জন্য ফ্রীলন্সিং শিখছে এবং ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলছে আর কাজ করছে।

ফ্রীলান্সিং করার পরে একজন ফ্রীলান্সারের প্রয়োজন হয় নিজের সার্ভিসের একটা নাম ও স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা। শুরু সে হইত নিজের দক্ষতা গুলো সার্ভিস হিসেবে ব্যবহার করে ফ্রীলান্সিং করেছে। কিন্তু সময়ের সাথে নিজের কাজের ধরনটাও পরিবর্তন করা লাগে। এক্ষেত্রে ফাইভার অনেক বড় সুযোগ করে দিয়েছে। বিনা টাকাতে কাজ শুরু করে একটা সময় যেয়ে অনেক লাভবান হওয়া যায়। ফ্রীলান্সারের কাজের দক্ষতার উন্নতির ফলে ক্লায়েন্টরা খুশি হয়। যার ফলে সে অনেক রিভিউ পায়। এটা  তার নিজের জন্য অনেক বড় উপহারের মতো। যত দিন যায় সে কাজের পর কাজ করতে করতে একটা সময় পর ভালো স্থানে চলে যায়। 

এই ফাইভার মার্কেটপ্লেসের আরেকটা বড় ভুমিকা হল এইটা যেমন ফ্রীলান্সারদের ইনকামের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, ঠিক তেমনি ছোট বড় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদের কাজকে করেছে সহজ। মানে একটা কোম্পানির কর্মীকে বেতনভুক্ত করে রাখা হয় কোম্পানির কাজ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু যদি সে ব্যবসায়ী যদি কর্মীকে না দিয়ে একজন ফ্রীলান্সারকে কাজ দেয়, সে ১০ জনের কাজ একাই করে দিতে পারবে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়ালো যে ব্যবসায়ীদের ব্যয় হার কমে যাবে এই ফাইভারের ফ্রীলান্সারের জন্য। এইটা আরেকটা বড় ভুমিকা ফাউভারের বলে আমি মনে করি।

ফাইভারে কাজের মান বজায় রেখে ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জন

একজন ফ্রীলান্সার তখন ভালো কিছু করতে পারবে যখন সে বারবার ভালো রিভিউ পাবে। তবে শুধু ভালো রিভিউ পেলে হয় না। রিভিউের জন্য সেরকম কাজ ও করতে হয়। যেমন আমি বলতে চাচ্ছি যে নিজের গিগে যে সকল কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে ঠিক সেভাবে কাজ করে দিতে হবে। মানে আপনি লোগো ডিজাইন করবেন, লোগো ইউনিক করবেন, সময়ের মধ্যে দিবেন, এমনকি কাজ জমা দেওয়ার পরেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখবেন। এসকল কাজ ঠিক মতো করলে সে ফ্রীলান্সার ভালো রিভিউ পায়। আর একটা ভালো রিভিউ কত দূর আগে নিয়ে যাবে সেটা কল্পনাও করা যায় না। আসলে এইটা ধীরে ধীরে হয়। যত মানুষের কাজ করে দিবেন ,যত বেশি  রিভিউ পাবেন তত বেশি আপনার রেঙ্ক উপরে যাবে। আর তখনি আপনার নাম আপনার কাজ প্রতিটি মানুষ জানবে বুঝবে।

এখানে আরেকটা বিষয় না বললেই নয় সেটা হল কাজ নিয়ে কাজ করে দেওয়া বুঝায় এমনটা না। কাজ নিবেন এবং সঠিক সময়ে দিবেন সেটা ঠিক। তবে আপনি যদি ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্টি দিতে চান তাহলে আপনাকে ক্লায়েন্টের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। মানে আপনাকে যে কাজ দিয়েছে সেটাতে আরও এক্সট্রা মান সম্মত করে করা। এতে ক্লায়েন্ট বেশি খুশি হবে এবং আপনার বিষয়টা সে খেয়ালে রাখবে। পরবর্তীতে একই ক্লায়েন্ট আবার কাজ দিবে আশা করা যায়। সেজন্য এসব বিষয় মাথাই রেখে ফ্রীলান্সারদের কাজ করা উচিৎ। তাতে তার ভবিষ্যৎ ফ্রীলান্সিংয়ে অনেক দূর আগিয়ে যাবে।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে টেকসই আয় ও ক্যারিয়ার তৈরি

ফাইভার মার্কেটপ্লেস একটা অসাধারন মার্কেটপ্লেস। অন্য সকল মার্কেটপ্লেসের মতো না যে শুরুতে বিভিন্ন সমস্যা দেখতে হয়। ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম ভালমতো জেনে, বুঝে এবং খুলে গিগ তৈরি করে কাজ চালু করে দিতে পারবে। নিজের যদি ভালো যোগ্যতা থাকে আর কাছে যদি ইন্টারনেট মাধ্যম ও ডিভাইস থাকে তাহলে দ্রুত অনেক ভালো ফলাফল আনা যাবে। তবে এখানে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি আরও কিছু খেয়াল করা লাগে। জী হ্যাঁ ক্লায়েন্টের কাজ করে বুঝিয়ে দেওয়ার পর ক্লায়েন্টের তৃপ্তি। একটা ক্লায়েন্টের দ্বারা আপনি অনেক ভাবে উপকার পেয়ে থাকেন। তার কাজ করে সে কাজের মজুরি আবার ক্লায়েন্টের রিভিউ এবং কাজ ভালো হলে ভবিষ্যতে আবার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা। যা আপনাকে একটা শক্ত ও মজবুত ক্যারিয়ার তৈরি করতে সাহায্য করবে।
ফাইবার-মার্কেটপ্লেসে-টেকসই-আয়-ও-ক্যারিয়ার-তৈরি
কাজের জন্য যে গিগ থাকবে সেটা ভালোভাবে লিখা লাগবে ভালো ছবি দিতে হবে। আন্তরিকভাবে কথা বলতে হবে প্রতি ক্লায়েন্টের সাথে। বিরক্তি হচ্ছে সেটা বলা বা বুঝানো যাবে না। ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্টটা খুব বেশি দরকার ফ্রীলান্সিং কাজে। নিজের কাজকে তুমি কিভাবে কমপ্লিট সেটা হল মূল বিষয়। সঠিক সময়ে ডেলিভারি করা আর কাজের ধরণকে আরও গুরুত্ব দিয়ে করা। এতে ক্লায়েন্টের কাজ ভালো হয়, ক্লায়েন্ট খুশি হয়। সে খুশি হয়ে আপনাকে মজুরি ভালো ও দিতে পারে। তবে কোন কারনে কাজ করতে আরও সময়ের প্রয়োজন হয় তাহলে আগেই সময় চেয়ে নিতে হবে।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে একাধিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফাইভার মার্কেটপ্লেস এখন বহু মানুষ কাজ করে। ফলে জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে এই প্লাতফরমতি। এখানে কাজ করতে কোন বিড করা লাগে না। শুধু প্রোফাইল বানানোর সময় গিগ তৈরি করে নিলে ফাইভারে কাজ শেষ হয়ে যায়। বাকি কাজ ঐ গিগই করে দেয়। কিন্তু এখন মূল বিষয় হল এই কাজ পাওয়ার তাগিদে এবং কাজ করার লভে মানুষ অনেক কাজ পায়। এরই মধ্যে অনেকে ছাটাই হয় কাজ সম্পূর্ণ না করার জন্য। সেজন্য ফাইভার মার্কেটপ্লেসে একাধিক অর্ডার পেলে কাজ করার কিছু ম্যানেজমেন্ট আছে সেগুলো ভেবে কাজ করতে হবে। প্রথমে আপনি বেশি কাজ পাইলে আপনাকে দিনের শুরুতে ভাগ করতে হবে যে কোন কাজ কি রকম। মানে কোন কাজ কঠিন, কোন কাজ মাঝারি এবং কোন কাজ খুব সহজ।

দেখা গেলো কঠিন কাজটা শুরুতে করে নিতে হবে। তারপর মাঝারিটা করা লাগবে এবং সহজটা সবার শেষে করতে হবে। মানে এইভাবে কাজ যদি কোন নতুন ফ্রীলান্সার কাজ ভাগ করে নেয়, তাহলে আমার মনে হয় যে তার পক্ষে সব ধরনের কাজ করা কঠিন কিছু না বরং সহজ হয়ে যাবে। ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার ফলে দিন দিন রেঙ্ক বাড়ে। রেঙ্ক এর সাথে কাজ ও বাড়ে। কাজ গুলো করার একটা নিদিষ্ট সময়সীমা থাকে। যে সময়ের পরে কাজ জমা দিলে শুধু ক্লায়েন্টই নিরাশ হই না বরং নিজের রেঙ্কিং কমে আসে। কাজের ম্যানেজমেন্ট ঠিক করা থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

সর্বশেষ মন্তব্য

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম ভালো মতো যদি জানা যায়, তাহলে যে কেউই একবারে ফাকা থেকে আয় শুরু করতে পারবে। ফাইভারের সঠিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে যদি সকল কাজকে সময়ের মধ্যে দেওয়া যায়, তাহলে রাঙ্কিং বাড়ে না শুধু সাথে সুপরিচিতি ও বাড়ে। এই উন্নতির সাথে সাথে ফাইভারে বিভিন্ন ধাপে নিজেকে উন্নত করা যায়। অর্থাৎ দিনের পর দিন কাজ ভালো হলে নিজের লেভেল বাড়ে। 
সুতরাং আমার নিজ মতামত অনুযায়ী আমি এই ফাইভারে সবাইকে কাজ করার জন্য অনুপ্রেরনা দিবো। কারণ ফাইভারে কাজ করা একবারে সহজ। গিগ বানিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাইয়ের বড় সুযোগ দেয় এই ফাইভার। মূলত আমরা জানতে পারলাম ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার পূর্ণ গাইড।

250817

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url