OrdinaryITPostAd

ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায়

 ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায়আপনি কি ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায়, তা জানতে চান? আপনি যদি নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা শখের বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করে আয় করতে চান, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা অনেকেই ভাবি, ব্লগিং কীভাবে শুরু করব, কোথা থেকে শুরু করবো?

ব্লগিং-কীভাবে-শুরু-করা-যায়আমাদের পোস্টে আপনি জানবেন কীভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয়। আপনি প্রতিদিন এর পিছনে সময় দিচ্ছেন কিন্তু ফল পাচ্ছেন না এই সমস্যার সহজ সমাধানও আছে আমাদের কাছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত সবকিছু 

ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায় 

বর্তমানে ইন্টারনেটে আয় করার জন‍্য জনপ্রিয় একটি প্রশ্ন হলো ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায় এবং কীভাবে আয় করা যায়। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই অনেকে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেন। আপনি যদি সত্যিই লেখালেখি ভালোবাসেন, তবে ব্লগিং হতে পারে আপনার আয়ের নতুন পথ। এখানে আমরা ধাপে ধাপে দেখাব কীভাবে আপনি নিজেই একটি ব্লগ তৈরি করে আয় শুরু করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ব্লগিং কি? ব্লগিং করে টাকা আয় করার ৫টি সেরা উপায়

প্রথম ধাপ, গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুনঃ আপনার যদি আগে থেকেই একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সেটি দিয়েই শুরু করতে পারেন। না থাকলে গুগলে গিয়ে একটি নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। কারণ ব্লগার প্ল্যাটফর্ম গুগলের অধীনে পরিচালিত হয়।

ব্লগিং-কীভাবে-শুরু-করা-যায়ব্লগার ওয়েবসাইটে যানঃ আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে bloggerএ প্রবেশ করুন। এখানে new blog নামে একটি অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি একটি নতুন ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। এখানে আপনার টাইটেল দিন। আপনাকে ধাপে ধাপে কাজগুলো করতে হবে। তাই সবকিছু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ব্লগিং-কীভাবে-শুরু-করা-যায়ব্লগের নাম ও ঠিকানা নির্বাচন করুনঃ আপনি যেই বিষয়ে লিখতে চান, সেই বিষয়ে একটি সুন্দর ও মানানসই নাম নির্বাচন করুন। এরপর একটি ইউনিক ঠিকানা দিন (যেমন: myblog.blogspot.com)। এই নাম ও ঠিকানাই হবে আপনার ব্লগের পরিচয়। যারমাধ‍্যমে গুগলে মানুষ আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাবে।
ব্লগিং-কীভাবে-শুরু-করা-যায়থিম ও ডিজাইন ঠিক করুনঃ আপনার ব্লগের জন্য একটি উপযুক্ত থিম নির্বাচন করুন যা পাঠকদের চোখে আরামদায়ক দেখায়। এরপর প্রয়োজনমতো হেডার, সাইডবার, ফুটার এসব ঠিক করে নিন। আপনি প্রথমে ব্লগারের সাইট থেকে Theme অপশনে যাবেন। আপনি নিজে থিম ডিজাইন করতে পারবেন বা তাদের দেওয়া কিছু থিম থেকে পছন্দ করে নিতে পারবেন। 
সবকিছু সেটআপ করার পর আপনার প্রথম ব্লগ পোস্ট লিখুন। চেষ্টা করুন বিষয়ভিত্তিক ও পাঠকের উপকারে আসে এমন কিছু নিয়ে লেখার। লেখার ফরম্যাট যেন পরিষ্কার ও আকর্ষণীয় হয়। এরপর আপনার ব্লগটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার পাঠকসংখ্যা বাড়বে। এভাবে আপনি ধাপে ধাপে শিখে নিতে পারবেন ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায়। আপনি চাইলে এই অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করে নিতে পারেন একটি সাজানো ব্লগ তৈরির পদ্ধতি অনুসরণ করে। নিয়মিত চর্চা ও ধৈর্যই এই পথে সফলতার চাবিকাঠি।

একজন ব্লগার কিভাবে বেতন পায়

একজন ব্লগার কিভাবে বেতন পায়, এটি অনেক নতুন ব্লগারের প্রশ্ন। মূলত ব্লগাররা সরাসরি বেতন পায় না। তারা আয় করে গুগল অ্যাডসেন্স, স্পনসরশিপ বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। যখন একজন পাঠক আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করবে, তখন আপনি কিছু টাকা পাবেন। এছাড়া, কোনো কোম্পানি যদি তাদের পণ্য নিয়ে লিখতে বলে, সেটিও ইনকামের বড় উৎস হতে পারে। নিয়মিত মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। তাই ধৈর্য্য ধরে কাজ করাটাই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

টাকা ছাড়া কি ব্লগ করা যায়

আমরা অনেকেই জানতে চাই, টাকা ছাড়া কি ব্লগ করা যায়? হ্যাঁ, অবশ্যই যায়। আপনি চাইলে একদম বিনামূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন গুগলের ব্লগার প্ল্যাটফর্মে। আমাদের এই পোস্টে দেখানো হয়েছে কীভাবে একাউন্ট খুলা যায়। আপনি এই পদ্ধতিতে টাকা ছাড়া ব্লগিং করা শুরু করতে পারবেন। এতে আপনার কোনো খরচ হবে না।

এখানে আপনাকে কোন হোস্টিং বা ডোমেইন কিনতে হয় না। শুধু একটি জিমেইল আইডি খুলে ব্লগ চালু করে লেখা শুরু করলেই চলবে। তবে, পেশাদার হতে চাইলে পরবর্তীতে নিজস্ব ডোমেইন নেওয়া ভালো। শুরুতে কিছু না খরচ করেও আপনি একটি সফল ব্লগ গড়তে পারবেন ধৈর্য আর নিয়মিত লেখার মাধ্যমে। তাই আপনার উচিৎ ব্লগিং করার জন‍্য ব্লগার বেছে নেওয়া।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, তা নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট, পাঠকসংখ্যা এবং মার্কেটিং দক্ষতার উপর। অনেকে মাসে কয়েকশো টাকা আয় করেন, আবার কেউ কেউ মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করেন। সবটাই নিজের গুণ ও দক্ষতা বা পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে।

শুরুতে হয়তো আয় কম হবে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন পাঠক বাড়বে তখন ইনকামও বাড়বে। মূল কথা হলো, আপনি যদি বুঝে শুনে ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায় তা অনুসরণ করেন এবং নিয়মিত ভালো কনটেন্ট তৈরি করেন, তাহলে আয় অবশ্যই সম্ভব। ব্লগিং হচ্ছে ধৈর্যের খেলা। যারা এতে সময় দিয়েছে তারাই সফল হয়েছে।

১ লক্ষ ট্রাফিক দিয়ে কত টাকা আয় করা যায়

১ লক্ষ ট্রাফিক দিয়ে কত টাকা আয় করা যায় এই প্রশ্নটি নতুন ব্লগারদের মনে প্রায়ই আসে। আপনি যদি প্রতি মাসে এক লক্ষ ভিজিটর পেতে পারেন, তাহলে আপনি বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট ও স্পনসর কনটেন্ট থেকে ভালো আয় পেতে পারবেন। সবটাই আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে সাথে আপনার এখানে ভাগ‍্যেরও প্রয়োজন। 

ব্লগিং-কীভাবে-শুরু-করা-যায়এক লক্ষ ট্রাফিকে গড়ে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। তবে কনটেন্টের মান, ভিজিটরের দেশ, বিজ্ঞাপন সেটআপ এসবকিছু ব্লগ থেকে আয় করতে বড় ভুমিকা রাখে। অনেকে মনে করে শুধু ট্রাফিক হলেই টাকা আসবে, কিন্তু আসলে এর কৌশল জানা খুব জরুরি। আপনার ভিজিটর কোন কোন দেশ থেকে আসছে এবং কতগুলো এডস দেখতে পেয়েছে তার উপর সম্পূর্ণ আয় নির্ভর করে। 

ব্লগ খুলতে কি টাকা দিতে হয়

অনেকেই ভাবেন ব্লগ খুলতে কি টাকা দিতে হয়? এর উত্তর হল হ্যাঁ এবং না দুইটাই। বিষয়টা কেমন জটিল না? আসুন বুঝিয়ে বলি। আপনি চাইলে ফ্রি প্ল্যাটফর্ম যেমন Blogger বা WordPress ব্যবহার করে ব্লগ খুলতে পারেন, সেখানে কোনও টাকা দিতে হয় না। এরমাঝে ব্লগার সবচেয়ে ভালো। এখানে ঝামেলা ছাড়াই কাজ করা যায়। ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায় এর মাঝে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আরও পড়ুনঃ ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য সেরা ১০টি ব্যাকলিংক সাইট

তবে পেশাদারভাবে কাজ করতে চাইলে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে, যার জন্য শুরুতে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা খরচ হতে পারে। এটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয়। কোনো কিছুই ফ্রিতে চললে ভালো কিছু পাওয়া যায় না। তেমনি আপনি যদি ফ্রি ব্লগ চালান আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এই খরচ আপনার ভবিষ্যতের আয়ের পথ তৈরি করে। 

ব্লগাররা কি এখনো আয় করে

বেশিরভাগ মানুষ ভাবে ব্লগাররা কি এখনো আয় করছে? অবশ্যই হ‍্যাঁ। এখনো হাজারো ব্লগার গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-বুক বিক্রি ও স্পনসর পোস্ট থেকে আয় করে। বতর্মানে ইন্টারনেট তথ‍্য সবকিছু এই ব্লগিং এর উপরেই নির্ভর করছে। বলতে গেলে আগে থেকে এখন ব্লগারের সংখ‍্যা বেড়ে গেছে।

এখান থেকে আয়ের জন্য দরকার ধৈর্য, মানসম্পন্ন লেখা ও ট্রাফিক। ব্লগিং পেশা হিসেবে নিতে চাইলে সময় ও শ্রম দিতে হয়। আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যান, তবে ব্লগিং শুরু করার উপায় জানা থাকলে সাফল্য আসবেই। আমাদের মতো অনেকেই এখনও ব্লগিং থেকেই আয় করে। তাই আমরা আপনাকে বলছি আপনিও এখন থেকে শুরু করুন।

একজন ব্লগার এর কাজ কি

একজন ব্লগার এর কাজ কি এই প্রশ্নটি নতুনদের কাছে খুব সাধারণ। একজন ব্লগার মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লেখার মাধ্যমে অন্যদের সাহায্য করে। সে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে, তথ্য যাচাই করে, ছবি সংযুক্ত করে ও নিজের লেখাকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য প্রস্তুত করে।

এছাড়াও, পাঠকদের কমেন্টের উত্তর দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার প্রচার, এবং নিজের ওয়েবসাইটের যত্ন নেওয়াও একজন ব্লগারের কাজের অংশ। ব্লগিং কীভাবে শুরু করতে হয়, তা জানলেই আপনি এসব কাজ সহজে করতে পারবেন। মূলত একজন ব্লগারের কাজ হচ্ছে মানুষকে বিভিন্ন তথ‍্য সম্পর্কে জানানো এবং বিনিময়ে কিছু উপার্জন করা।

ব্লগিং কি ভালো ক্যারিয়ার

আজকের দিনে ব্লগিং কি ভালো ক্যারিয়ার নাকি এই প্রশ্ন অনেক নতুন ব্লগারের মনে ঘোরে। সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য আর মানসম্মত কনটেন্ট থাকলে ব্লগিং অবশ্যই ভালো ক্যারিয়ার হতে পারে। অনেকেই চাকরির পাশাপাশি ব্লগ করে বাড়তি আয় করে নেয়। এটি একটি ভালো কাজ। কারণ এর মাধ‍্যমে মানুষ অনেককিছু সম্পর্কে জানতে পারে এবং উপকৃত হয়।

ব্লগিং-কীভাবে-শুরু-করা-যায়গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসর পোস্ট সব মিলিয়ে ইনকামের পথ অনেক। আপনি যদি পছন্দের বিষয়ে লেখতে ভালোবাসেন, তাহলে ব্লগিং আপনার ক্যারিয়ার হতে পারে। আমরার মতে, আপনি ধাপে ধাপে শিখলে সহজেই ব্লগিং শুরু করার উপায় জানতে পারবেন। তবে এখানে আপনি যদি মানুষকে ভুল তথ‍্য দেন বা খারাপ এডস লাগান তাহলে এটি আপনার জন‍্য ভালো হবে না। 

ব্লগিং করলে কি ধনী হওয়া যায়

প্রথমেই বলি, ব্লগিং করলে কি ধনী হওয়া যায় এমনটা এক রাতে সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত ভালো কনটেন্ট তৈরি করে, সঠিক পথে পরিশ্রম করে ধাপে ধাপে অনেক ব্লগারই সফল ও ধনী হইছে। বিশ্বজুড়ে এমন বহু উদাহরণ আছে যারা শূন্য থেকে শুরু করে আজ লাখপতি। তবে এজন্য সময়, দক্ষতা আর ধৈর্য লাগেই। আপনি যদি ধারাবাহিক থাকেন, তাহলে সাফল্য আসবেই।

পরিশেষে আমার মতামত

ব্লগিং কীভাবে শুরু করা যায় এই প্রশ্নর উত্তর খুঁজতে গিয়া আমরা শিখলাম কিভাবে একদম শুরু থেকে ব্লগ খুলতে হয়, কীভাবে সেটিংস ঠিক রাখতে হয়, আর কেমন করে কনটেন্ট দিলে পাঠক পছন্দ করবে। আমরা বুঝলাম, টাকা না থাকলেও ব্লগ শুরু করা যায়, আর সঠিক নিয়ম মেনে চললে ভালো ইনকামও করা যায়।

আমার মতে, যারা এখনো শুরু করেন নি, তারা দেরি না করে আজ থেকেই কাজ শুরু করে দিন। আপনার আগ্রহ, আর নিয়মিত শেখার মন থাকলে ব্লগিং আপনার জন‍্য একটা ভালো ক্যারিয়ারে রূপ নিতেও পারে। শুরুতে ধৈর্য ধরে লিখতে হবে। আমরাও শুরুতে ভুল করেছি, শিখছি, তারপর উন্নতি করছি। আপনি যদি মন দিয়া সময় দেন, তাহলে ব্লগ থেকে ইনকাম করা শুধু স্বপ্ন না একসময় তা বাস্তব হয়ে দাঁড়াবে। আপনার জন্য রইল আমাদের আন্তরিক শুভকামনা। [250412]

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url