১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার সম্পর্কে জানুন
১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। অনেকে ব্রাউজার মানে শুধু ক্রোম ব্রাউজারকেই চিনে থাকে। বর্তমান সময়ে ক্রোম ব্রাউজার ছাড়াও যে আরোও অনেক ব্রাউজার আছে সেই ব্রাউজার গুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জানবো।
বর্তমান সময়ে ব্রাউজিং, প্রাইভেসি সহ আরোও অনেক দিক বিবেচনা করে শত শত ব্রাউজার মার্কেটে নিয়ে আসা হয়েছে। যে ব্রাউজার গুলো ক্রোম ব্রাউজারের মতই ওপেন সোর্স বা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। এখন আমরা সেই ব্রাউজার গুলোর নাম জানার চেষ্টা করবো।
১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার
- ১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার
- ব্রাউজিং এর জন্য কোন ব্রাউজার সেরা
- কোন ব্রাউজারের সিকিউরিটি সব চেয়ে ভালো
- প্রাইভেসির দিক থেকে ব্রেভ ব্রাউজার কেমন?
- ক্রোম ব্রাউজারে অ্যাডস বন্ধ করার উপায়
- Anonymous ব্রাউজিং করার সেরা ব্রাউজার কোনটি?
- ক্রোমিয়াম এবং ক্রোম কি একই ব্রাউজার?
- মাইক্রোসফট এজ থেকে রিডিম কোড নেওয়ার উপায়
- ক্রোম ব্রাউজারের কিছু প্রয়োজনীয় শর্টকার্ট
- পরিশেষেঃ ১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার
১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার
১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনে কোন তথ্য জানতে অথবা কোন কিছু জানতে কখনো না কখনো ব্রাউজার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। তবে আমরা অনেকে ব্রাউজার বলতে ক্রোম ব্রাউজারকেই বেশি চিনে থাকি বা যারা তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে একটু কম বুঝে তারা হয়ত ক্রোম ছাড়া অন্য কোন ব্রাউজার চিনেই না। আসলে ক্রোম ছাড়াও আরোও অনেক ব্রাউজার আছে যেমন যারা আইফোন বা অ্যাপেলের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তারা সাফারি ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন। ঠিক একই ভাবে বর্তমান সময়ে ক্রোম ছাড়াও শত শত নাম জানা ও না জানা ব্রাউজার আছে। তাই এখন আমরা ক্রোমের বিকল্প কিছু ব্রাউজারের নাম নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- মজিলা ফায়ারফক্স।
- মাইক্রোসফট এজ।
- ব্রেইভ ব্রাউজার।
- ওপেরা ব্রাউজার।
- ভিভালডি ব্রাউজার।
- টর ব্রাউজার।
- সাফারি।
- এপিক প্রাইভেসি ব্রাউজার।
- পাফিন ব্রাউজার।
- ম্যাক্সথন ব্রাউজার।
- ওয়াটারফক্স।
- আনগুগলড ক্রোমিয়াম।
ব্রাউজিং এর জন্য কোন ব্রাউজার সেরা
আমরা সাধারণত ব্রাউজিং করার জন্য অর্থাৎ ইন্টারনেটে কোন কিছু খুঁজে বের করার জন্যই ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকি। তাই এখন আমরা জানবো ব্রাউজিং করার জন্য কোন ব্রাউজার সেরা এই সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে এখন পর্যন্ত ব্রাউজিং করার জন্য সেরা যে ব্রাউজার সেটি হচ্ছে গুগলের তৈরি ক্রোম ব্রাউজার। গুগল ক্রোম বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার। এটি এতটাই জনপ্রিয় যে প্রত্যেক অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ল্যাপটপ গুলোতে বিল্ড ইন ভার্সন হিসেবে আসে অর্থাৎ এটি আপনাকে আলাদা ভাবে ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে না। এটি ব্যবহারের সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি সহজে গুগল একাউন্টের সাথে অ্যাড হয়ে যেতে পারে।
গুগলে ক্রোম ব্রাউজারে এক সাথে হাজার হাজার এক্সটেনশন ব্যবহার করা যায়। এক্সটেনশন গুলোর কারণে ব্রাউজিং ছাড়াও প্রফেশনাল বিভিন্ন কাজ গুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। উদাহরণ স্বরূপ যারা ইমাইল মার্কেটিং এর কাজ করেন তারা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ইমেইল এক্সট্রাক্টর নামে একটি মাত্র এক্সটেনশনের মাধ্যমে মাত্র কয়েক মিনিটে শত শত ইমেইল সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর এই একই কাজ যদি আপনি এক্সটেনশন ছাড়া ম্যানুয়ালি করতে যান তাহলে আপনার কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে। আবার গুগল ক্রোম ব্যবহার করে আপনি যদি ব্রাউজিং এর কাজ করেন তাহলে গুগল কতৃপক্ষ আপনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
কোন ব্রাউজারের সিকিউরিটি সব চেয়ে ভালো
কোন ব্রাউজারের সিকিউরিটি সব চেয়ে ভালো এটি কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমনঃ ব্রাউজারটি নিয়মিত আপডেট হয় কি না, বিল্ট ইন নিরাপত্তা ফিচার রয়েছে কি না, ব্যবহারকারীর ডেটা কতটা সুরক্ষিত থাকে, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ট্র্যাকিং থেকে কতটা সুরক্ষা দেয় ইত্যাদির উপর। উপরের এই বিষয় গুলো যে ব্রাউজারের মধ্যে থাকবে সেটির সিকিউরিটি হবে সব চেয়ে ভালো। তবে বর্তমান সময়ে যে ব্রাউজার গুলো রয়েছে সেগুলো সকল সিকিউরিটি এক সাথে দেয় না বরং একেক ব্রাউজারে আলাদা আলাদা ফিচার দিয়ে থাকে। তাই নিচে সিকিউরিটির দিক থেকে সেরা ব্রাউজার তালিকা দেওয়া হলো।
র্যাংক | ব্রাউজার | সিকিউরিটি ফিচার |
---|---|---|
১ | ব্রেভ ব্রাউজার | বিল্ট-ইন এড ব্লকার, ট্র্যাকার ব্লকার, HTTPS প্রটেকশন |
২ | মজিলা ফায়ারফক্স | ট্রাকিং প্রটেকশন, কাস্টম প্রাইভেসি সেটিংস |
৩ | গুগল ক্রোম | নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট, সেফ ব্রাউজিং, স্টান্ডবক্স |
৪ | স্যাফারি | ট্রাকিং প্রেভেনশন, আই ক্লাউড কি-চেইন |
৫ | মাইক্রোসফট এজ | ডিফেন্ডার স্মার্ট স্কিন, ট্রাকিং প্রেভেনশন |
প্রাইভেসির দিক থেকে ব্রেভ ব্রাউজার কেমন?
অনেকে মনে করে প্রাইভেসির দিক থেকে ব্রেভ ব্রাউজার সব চেয়ে ভালো। এই কথা কত টুকু সত্য আজকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। এখন প্রাইভেসির দিক থেকে ব্রেভ ব্রাউজারের কিছু বৈশিষ্ট নিচে তুলে ধরা হবে। এই বৈশিষ্ট গুলো থেকে খুব সহজে বুঝা যাবে যে প্রাইভেসির দিক থেকে ব্রেভ ব্রাউজার আসলেই ভালো নাকি খারাপ।
- ব্রেভ ব্রাউজার স্বয়ংক্রিয় ভাবে থার্ড পার্টি ট্র্যাকার ব্লক করে থাকে।
- স্বয়ংক্রিয় ভাবে অ্যাডস ব্লক করে থাকে।
- প্রতিটি ওয়েবসাইটে আলাদাভাবে Shields ফিচার দিয়ে প্রাইভেসি নিয়ন্ত্রণ করে।
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে HTTP লিংককে HTTPS-এ রিডাইরেক্ট করে।
- ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা Device Tracking থেকে ব্যবহারকারীকে রক্ষা করে।
- ব্রাউজিং ডেটা যেমনঃ হিস্টোরি, পাসওয়ার্ড, বুকমার্ক লোকাল ডিভাইসেই সংরক্ষিত থাকে।
- গোপন ব্রাউজিং এর জন্য Tor সমর্থিত প্রাইভেট উইন্ডো ব্যবহার করা যায়।
- ব্রেভ সার্চ ব্যবহার করলে গোপনীয়তা রক্ষা করে সার্চ করা যায়।
- কোনো ধরনের ইউজার ট্র্যাকিং বা ডেটা শেয়ারিং করে না।
উপরের সকল ফিচার গুলো ছাড়াও এই রকম আরোও অনেক ফিচার রয়েছে। এই ফিচার গুলো থাকার কারণে ব্রেভ ব্রাউজার ব্যবহার অনেক নিরাপদ অন্যান্য সকল ব্রাউজারের তুলনায়। তাই পরিশেষে বলা যায় যে নিরাপত্তার দিক থেকে আসলেই ব্রেভ ব্রাউজার ভালো। তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে ইন্টারনেটে কোন কিছুই চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই ব্রেভ সহ সকল ব্রাউজার ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে।
ক্রোম ব্রাউজারে অ্যাডস বন্ধ করার উপায়
ক্রোম ব্রাউজারে অ্যাডস আসার কারণে অনেকে এই ব্রাউজার ব্যবহার করতে বিরক্তবোধ করে থাকে। যদিও এই অ্যাডস গুলো ব্রাউজার কর্তৃপক্ষ দেখায় না অর্থাৎ আপনি যদি কোন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সেই ওয়েবসাইট ভুল ক্রমে অথবা ইচ্ছে করেই সাবস্ক্রাইব করে থাকেন তাহলে আপনি যখনি ব্রাউজার ওপেন করবেন সেই ওয়েবসাইট থেকে পপ আপ অ্যাডস অথবা যেকোনো এক প্রকারের অ্যাডস আপনার কম্পিউটারের ডিসপ্লেতে চলে আসবে। এখন আমরা এই বিরক্তিকর অ্যাডস গুলো বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানবো। এই অ্যাডস গুলো বন্ধ করার সেরা একটি উপায় হতে পারে অ্যাড ব্লকার।
অনেক সময় আপনি কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সাবস্ক্রাইব করেছেন এটি ভুলে যেতে পারেন অথবা এক সাথে অনেক গুলো ওয়েবসাইট সাবসক্রাইব করার কারণে সেগুলো ম্যানুয়ালি রিমুভ করা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে যায় আবার রিমুভ না করেও ভালোভাবে ব্রাউজিং করতে পারেন না। ঠিক এই সমস্যা সমাধানের সেরা একটি উপায় হতে পারে অ্যাডস ব্লকার। অ্যাডস ব্লকার চালু করার জন্য প্রথমে ক্রোম ব্রাউজার থেকে ম্যানেজ এক্সটেনশনে প্রবেশ করতে হবে এবং এর পর এখান থেকে অ্যাড এক্সটেনশনে প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার পর অ্যাডস ব্লকার লিখে সার্চ করলে অনেক এক্সটেনশন চলে আসবে। ফ্রি যেকোনো একটি ব্রাউজারে অ্যাড করে চালু করে রাখলেই এই অ্যাডস গুলো আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
Anonymous ব্রাউজিং করার সেরা ব্রাউজার কোনটি?
Anonymous ব্রাউজিং করার সেরা ব্রাউজার কোনটি এটি জানার পূর্বে আমাদের জানা প্রয়োজন Anonymous ব্রাউজিং কি। Anonymous ব্রাউজিং বলতে বোঝায় এমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং যেখানে আপনার আইপি অ্যাড্রেস, লোকেশন এবং পরিচয় গোপন থাকার পাশাপাশ কুকিজ, ট্র্যাকার এবং ব্রাউজিং হিস্টোরি সংরক্ষণ করা হয় না। এইভাবে ব্রাউজিং করার ফলে অনলাইন কার্যকলাপ কেউ ট্র্যাক করতে পারে না। এক কথায় যদি সহজ ভাবে বলা হয় তাহলে বলা যায় যে আপনি ইন্টারনেটে এমনভাবে চলাফেরা করেন যেন আপনার সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না এটিই মূলত Anonymous ব্রাউজিং। এখন আমরা Anonymous ব্রাউজিং করার জন্য কিছু ব্রাউজার সম্পর্কে জানবো।
র্যাংক | ব্রাউজার | বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|
১ | টর ব্রাউজার | Onion রাউটিং ব্যবহার করে IP ও পরিচয় লুকায় |
২ | ব্রেভ ব্রাউজার | ট্র্যাকার ব্লক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট রোধ ও HTTPS Everywhere ফিচার |
৩ | মজিলা ফায়ারফক্স | ট্রাকিং প্রটেকশন, কাস্টম প্রাইভেসি সেটিংস |
৪ | ইপিক প্রাইভেসি ব্রাউজার | স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাকার, কুকি, অ্যাডস ব্লক করে |
৫ | ডাকডাক গো ব্রাউজার | ট্র্যাকিং ব্লকার, নিজস্ব প্রাইভেট সার্চ ইঞ্জিন, অটো হিস্টোরি ক্লিয়ার কর |
ক্রোমিয়াম এবং ক্রোম কি একই ব্রাউজার?
অনেকে ক্রোমিয়াম এবং ক্রোমকে একই ব্রাউজার বলে মনে করেন। আসলে এটি সম্পূর্ন ভুল ধারণা কেননা ক্রোমিয়াম এবং ক্রোম ব্রাউজার একই মনে হলেও এরা সম্পূর্ন আলাদা। সহজ ভাবে বলতে গেলে ক্রোমিয়াম হলো গুগলের তৈরি বেসিক একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার বা অনেকে একে গুগলের তৈরি কাঁচা ব্রাউজারও বলে থাকেন। অপর দিকে গুগল ক্রোম হলো ক্রোমিয়ামের উপর ভিত্তি করে বানানো সম্পূর্ণ ফিচারসহ বান্ডেলড ভার্সন যেখানে গুগলের কিছু অতিরিক্ত ফিচার যুক্ত করা আছে। এখন আমরা খুব সহজে ক্রোমিয়াম এবং ক্রোম ব্রাউজারের পার্থক্য সম্পর্কে জানবো।
বিষয় | ক্রোমিয়াম | ক্রোম |
---|---|---|
উৎপাদক | গুগলের ওপেন সোর্স প্রজেক্ট | গুগলের বানানো প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যার |
লাইসেন্স | ১০০% ওপেন সোর্স | ওপেন সোর্স + গুগলের নিজস্ব কোড |
আপডেট | ম্যানুয়ালি করতে হয় | স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয় |
ফিচার | শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ফিচার | অত্যাধুনিক ফিচার যুক্ত |
গোপনীয়তা | তুলনামূলকভাবে বেশি প্রাইভেসি | তুলনামূলকভাবে কম প্রাইভেসি |
এক্সটেনশন সাপোর্ট | ওয়েব স্টোর থেকে ইনস্টল করা যায় | ওয়েব স্টোর থেকে ইনস্টল করা যায় |
মাইক্রোসফট এজ থেকে রিডিম কোড নেওয়ার উপায়
আমরা অনেকে হয়ত জেনে থাকবো যে গুগল ক্রোম ব্রাউজার আসার পূর্বে মাইক্রোসফট এজ ছিলো একটি জনপ্রিয় ব্রাউজার। গুগল ক্রোম আসার পর মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার ব্যবহার তুলনামূলক অনেক কমে যায়। তাই মাইক্রোসফট এজ তাদের ব্রাউজার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য একটি নতুন আপডেট এনেছে। আপডেটটি হচ্ছে আপনি যদি মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার ব্যবহার করে অর্থাৎ প্রতিবারের সার্চ করার ফলে আপনি কিছু পয়েন্ট পাবেন এবং এই পয়েন্ট গুলো আপনার মাইক্রোসফট একাউন্টে জমা হতে থাকবে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জমা হয়ে গেলে এই পয়েন্ট দিয়ে বিভিন্ন গেমের টপআপ করতে পারবেন আবার আপনি চাইলে এই পয়েন্ট ডোনেট করতেও পারবেন।
মাইক্রোসফট এজ থেকে রিডিম কোড নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি মাইক্রোসফটের একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আপনার ব্যবহার করে সাধারণ একটি জিমেইল দিয়েই আপনি মাইক্রোসফটের একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। মাইক্রোসফটের একাউন্ট তৈরি করার পর এই একাউন্ট মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজারে লগইন করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে বেশ কিছু দিন এই ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবার আপনি যেকোন কিছু লিখে সার্চ করলে প্রতিবার কিছু পয়েন্ট পেয়ে যাবেন। তবে প্রতিদিন আনলিমিটেড পয়েন্ট নিতে পারবেন না। এই ভাবে বেশ কিছুদিন এই ব্রাউজার ব্যবহার করার পর নির্দিষ্ট পয়েন্ট হয়ে গেলে খুব সহজে তা রিডিম করে নিতে পারবেন।
ক্রোম ব্রাউজারের কিছু প্রয়োজনীয় শর্টকার্ট
ক্রোম ব্রাউজারের অনেক শর্টকার্ট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে ব্রাউজিং করা যায় কিন্তু অনেকে হয়ত এই শর্টকার্ট গুলো সম্পর্কে জানেন না। আবার অনেকে এই শর্টকার্ট গুলো সম্পর্কে জেনে থাকলেও কোন শর্টকার্টের কাজ কি এই সম্পর্কে জানেন না। ঠিক এই কারণেই আজকে আমরা ক্রোম ব্রাউজারের কিছু প্রয়োজনীয় শর্টকার্ট আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে আপনি ক্রোম ব্রাউজারকে আরোও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। এই শর্টকার্ট গুলো সহজ হওয়ার কারণে ঝামেলা ছাড়াই মনে রাখতে পারবেন।
- Ctrl + T - নতুন ট্যাব খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + N - নতুন উইন্ডো খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + N - ইনকগনিটো মোডে নতুন উইন্ডো খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + W - বর্তমান ট্যাব বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + T - সর্বশেষ বন্ধ হওয়া ট্যাব পুনরায় খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Tab – পরবর্তী ট্যাবে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + Tab - পূর্ববর্তী ট্যাবে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + 1 থেকে 8 - নির্দিষ্ট নম্বরের ট্যাবে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + 9 – শেষ ট্যাবে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + ← (বাম অ্যারো) আগের পেজে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + → (ডান অ্যারো) - পরের পেজে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + R বা F5 - পেজ রিলোড করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + R - পেজ হার্ড রিফ্রেশ করতে ব্যবহার করা হয়।
- Esc - পেজ লোড বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + L - অ্যাড্রেস বারে কার্সর নিতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + K - সার্চ বক্সে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + F - পেজে কিছু খুঁজতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + H - ব্রাউজিং হিস্টোরি দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + J - ডাউনলোডস দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + D - বর্তমান পেজ বুকমার্ক করতে ব্যবহার করা হয়।
পরিশেষেঃ ১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার
১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার নিয়ে উপরে বিস্তারিত পরিসরে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে আমরা অনেকে ইতিমধ্যে জেনেছি যে ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে সম্প্রতি একটি ধারণা আছে যে ভবিষ্যতে ক্রোম ব্রাউজার আর থাকবে না। এটির যদিও এখন পর্যন্ত কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি তবুও অনেকে মনে করেন যে ক্রোম না থাকলে হয়ত আর ইন্টারনেটে কিছু সার্চ দেওয়া যাবে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং এই কারণেই আমরা উপরে ১২টি সেরা Chrome এর বিকল্প ব্রাউজার তুলে ধরেছি। এছাড়াও আমরা কিছু ব্রাউজার নিয়ে উপরে আলাদা ভাবেও আলোচনা করেছি। তাই আশা করা যায় যে উপরের লিখা গুলো পড়লে ক্রোম ব্রাউজার ছাড়াও যে আরোও অনেক ব্রাউজার আছে এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url