OrdinaryITPostAd

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে ১৬টি বিষয়ে জানা প্রয়োজন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? তা নিচে তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। আসুন জেনে নেয়া যাক, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

পেজ সূচিপত্র: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

ভূমিকা 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই লাভজনক। তাই আপনি যদি ঘরে বসে প্রতি মাসে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পারফেক্ট হতে পারে। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে, আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত স্ট্রাটেজি গুলো সম্পর্কে না জেনে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে সফল হতে পারবেন না। তাই এফিলেট মার্কেটিং করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার যাবতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কার্যকর পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জেনে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ব্যাপারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া অত্যাবশ্যক, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই যদি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়েন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 
  • নিস সিলেক্ট করুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিস সিলেক্ট করা। আপনি যদি সঠিক নিস সিলেক্ট না করতে পারেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন না। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিস সিলেক্ট করতে হবে।  
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন: নিস সিলেক্ট করার পরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলে সফল হতে পারবেন না। তাই সফল হতে চাইলে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। 
  • প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন। হতে পারে তা ব্লগিং, ইউটিউবিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। অর্থাৎ যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম আপনাকে দাঁড় করাতে হবে, যে প্লাটফর্মের সাহায্যে আপনি এফিলিয়েট লিংক প্রমোট করবেন। 
  • ইউজফুল কন্টেন্ট তৈরি করুন: প্রফেশনাল মানের প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরি করুন। কেননা প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষামূলক কন্টেন্টগুলো সকলেই পছন্দ করে থাকে। তাই এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে এর মাঝে আপনাকে এফিলিয়েট লিংক প্রমোট করতে হবে। 
  • অ্যাফিলিয়েট সাইট নির্বাচন করুন: আপনি কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে সেই সেই ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করতে পারেন। 
  • প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুন: এফিডিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা। কেননা সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট না করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? তা তো জানা গেল, এখন কথা হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কার্যকর উপায় গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো। 
এফিলেট মার্কেটিং করার যে সকল মাধ্যম রয়েছে সেই মাধ্যমগুলোর সম্পর্কে আর্টিকেলটির এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেয়া যাক, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার নিয়ম। 
  • ব্লগিং: ব্লগিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার ব্লগের কনটেন্টে রিলেভ্যান্টলি অ্যাফিলিয়েট লিংক বসাতে পারেন। 
  • ইউটিউবিং: ইউটিউবে যদি আপনার অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার হয়ে থাকে তাহলে ইউটিউবের মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট অডিয়েন্সদের মাঝে প্রমোট করতে হবে। 
  • সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনার ভালো পরিমাণে ফ্যান ফলোয়ার থেকে থাকে, তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজেটিভ কোন বিষয় সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করলে অনেকেই সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে। যদি কেউ সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন। 
  • এডভারটাইজিং: ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা সার্চ ইঞ্জিনে অ্যাডভার্টাইজিং এর মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যেতে পারে। তবে আপনি যদি এডভারটাইজিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করেন তাহলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। 
  • ইমেইল মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং খুবই কার্যকর, তাই চাইলে আপনি ইমেইলের মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন, আশা করি তা জানতে পেরেছেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার অনেকগুলো সিস্টেম রয়েছে। এই সিস্টেমগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি সিস্টেমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সমূহ নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো। 
  • পিপিএস সিস্টেম: এফিলিয়েট মার্কেটিং করার যে সকল উপায় রয়েছে তার মধ্য থেকে অন্যতম একটি হলো পিপিএস সিস্টেম। পিপিএস মানে হলো "পে পার সেল"। অর্থাৎ আপনি যতগুলো পণ্য বিক্রি করবেন প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য কমিশন পাবেন। 
  • পিপিসি সিস্টেম: এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি ধরন হলো পিপিসি। পিপিসি এর পূর্ণরূপ হল "পে পার ক্লিক" অর্থাৎ আপনার রেফারেলে  যতজন ক্লিক করবে সেখান থেকে, আপনি নির্দিষ্ট হারে একটি কমিশন পাবেন। 
  • পিপিএল সিস্টেম: এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি সিস্টেম হল পিপিএল " পে পার লিড" অর্থাৎ আপনার প্রচার-প্রচারণা থেকে যত গুলো লিড আসবে তার প্রত্যেকটি লিডের জন্য আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। অর্থাৎ এখানে ক্লিকের জন্য কোন ধরনের কোন টাকা পয়সা পাওয়া যাবে না। 
  • রিক্রুটিং কমিশন: অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটারদের দিয়ে তাদের পণ্য ক্রয় করার ব্যাপারে রিক্রুটিং করে, এই ধরনের রিক্রুটিং এর জন্যও কমিশন পাওয়া যায়। বিশেষ করে বড় বড় কোম্পানিগুলো এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করে থাকে। 
  • প্রোডাক্ট রিভিউ: প্রোডাক্ট রিভিউ পোস্ট কিংবা ভিডিও দেখার মাধ্যমে যদি কোন ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করে তাহলে সেখান থেকেও আপনি কমিশন পাবেন। তবে সেই প্রোডাক্ট অবশ্যই আপনার লিংক এর মাধ্যমে ক্রয় করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ভিডিওর মধ্যে প্রোডাক্ট রিভিউ করেন তাহলে ডেসক্রিপশনে এফিলিয়েট লিংক বসাতে হবে। আর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করেন তাহলে পোষ্টের মধ্যে প্রাসঙ্গিকভাবে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে হবে। 

শেষ কথা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 
তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। এতে করে অন্যরাও এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Zamzam IT Farm ।  জমজম আইটি ফার্ম আপনার বিশ্বস্ত সহচর।
    Zamzam IT Farm । জমজম আইটি ফার্ম আপনার বিশ্বস্ত সহচর। ১০ সেপ্টেম্বর

    Informative

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url