OrdinaryITPostAd

৬৪টি জেলার রমজানের সময়সূচি 2023 - রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৩

রমজানের সময় সূচি 2023 যদি আপনি আপনার সংগ্রহের রাখতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত রমজানের সময় সূচি 2023 ডাউনলোড করে আপনার কাছে রেখে দিতে পারেন। সময় মত সেহরি ও ইফতার করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে, রমজানের সময় সূচি 2023 যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পেজ সূচিপত্র: রমজানের সময় সূচি 2023

উপস্থাপনা - রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৩

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রমজান মাস অন্যান্য মাসের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও ফজিলতপূর্ণ। মুসলমানগণ রমজান মাসে রোজা পালন করে থাকেন। রোজার মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো সময়মতো সেহরি খাওয়া এবং ইফতার করা। আপনি যদি সময় মতো সেহরি খেতে না পারেন, তাহলে সারাদিন রোজা রাখা  আপনার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যাবে। 

পক্ষান্তরে যদি আপনি, সময়মতো ইফতার না করতে পারেন, অর্থাৎ সময়ের পূর্বেই ইফতার করেন তাহলে কিন্তু রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রোজার মাসে যথাসময়ে সেহরি ও ইফতার করা বাঞ্ছনীয়। আপনি যদি সময়মত সেহরি ও ইফতার করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে রমজানের সময় সূচি 2023 যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। নিচে রমজানের সময় সূচি 2023 তুলে ধরা হবে। 

রমজানের সময় সূচি 2023

নিচে রমজানের সময় সূচি 2023 তুলে ধরা হলো। নিম্ন বর্ণিত, রমজানের সময় সূচি 2023 ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন। আপনি যদি, রমজানের সময় সূচি 2023 ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দেন তাহলে যে কোন সময় তা দেখে নিতে পারবেন। 
আশা করি নিম্ন বর্ণিত, রমজানের সময় সূচি 2023 আপনার উপকারে আসবে। তাই চাইলে আপনি নিম্নবর নিত ক্যালেন্ডারটি ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন। আসুন দেখে নেয়া যাক, রমজানের সময় সূচি 2023

source: vecteezy.com

  • ঢাকা জেলা - ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
  • মুন্সীগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরি ও ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • নরসিংদী - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট ও ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • নারায়ণগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে একই সময় এবং ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • গাজীপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট কমাতে হবে আর ইফতারের সময় একই।
  • নোয়াখালি- ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট এবং ইফতারিতে ৪ মিনিট কমাতে হবে।
  • চাঁদপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট এবং ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • লক্ষ্মীপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট এবং ইফতারিতে ৩ মিনিট কমাতে হবে।
  • ময়মনসিংহ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট কমাতে হবে এবং ইফতারিতে একই সময়।
  • কুমিল্লা - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট এবং ইফতারিতে ৪ মিনিট কমাতে হবে।
  • বি-বাড়িয়া - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট এবং ইফতারিতে ৩ মিনিট কমাতে হবে।
  • কিশোরগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট এবং ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • নেত্রকোনা - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট এবং ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • ফেনী - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট এবং ইফতারিতে ৫ মিনিট কমাতে হবে।
  • কক্সবাজার - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট এবং ইফতারিতে ৯ মিনিট কমাতে হবে।
  • চট্টগ্রাম - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট এবং ইফতারিতে ৭ মিনিট কমাতে হবে।
  • হবিগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট এবং ইফতারিতে ৫ মিনিট কমাতে হবে।
  • খাগড়াছড়ি - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট এবং ইফতারিতে ৭ মিনিট কমাতে হবে।
  • রাঙ্গামাটি - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট এবং ইফতারিতে ৮ মিনিট কমাতে হবে।
  • বান্দরবান - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট এবং ইফতারিতে ৯ মিনিট কমাতে হবে।
  • সুনামগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট এবং ইফতারিতে ৩ মিনিট কমাতে হবে।
  • মৌলভীবাজার - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট এবং ইফতারিতে ৫ মিনিট কমাতে হবে।
  • সিলেট - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৮ মিনিট এবং ইফতারিতে ৫ মিনিট কমাতে হবে।
ঢাকার সময় হতে বাড়াতে হবে
  • মানিকগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট ও ইফতারিতে ২ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • গাইবান্ধা - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • বরিশাল - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট বাড়াতে হবে ও ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • শরীয়তপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট বাড়াতে ও ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • টাঙ্গাইল - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ১ মিনিট ও ইফতারিতে ২ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • সিরাজগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট ও ইফতারিতে ৩ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • ফরিদপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট ও ইফতারিতে ২ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • মাদারীপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট বাড়াতে হবে ও ইফতারিতে একই সময়।
  • পটুয়াখালী - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট বাড়াতে ও ইফতারিতে ১ মিনিট কমাতে হবে।
  • ঝালকাঠি - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট বাড়াতে হবে ও ইফতারিতে একই সময়।
  • লালমনিরহাট - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ২ মিনিট ও ইফতারিতে ৫ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • পঞ্চগড় - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • গোপালগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট ও ইফতারিতে ৯ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • বগুড়া - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট ও ইফতারিতে ৫ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • রংপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট ও ইফতারিতে ৫ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • পিরোজপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৩ মিনিট বাড়াতে হবে ও একই সময়।
  • পাবনা - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৫ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • মাগুরা -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৩ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • নওগাঁ -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৭ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • নড়াইল -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৩ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • বরগুনা -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট  বাড়াতে হবে ও ইফতারিতে একই সময়।
  • খুলনা -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৩ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • দিনাজপুর -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৮ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • নীলফামারী -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৭ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • ঠাকুরগাঁও -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৯ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • জয়পুরহাট -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৪ মিনিট ও ইফতারিতে ৬ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • কুষ্টিয়া -  ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট ও ইফতারিতে ৫ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • রাজবাড়ী - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • যশোর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • বাগেরহাট - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট ও ইফতারিতে ১ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • ঝিনাইদহ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • নাটোর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৫ মিনিট ও ইফতারিতে ৬ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • রাজশাহী - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট ও ইফতারিতে ৭ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • সাতক্ষীরা - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৬ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • চুয়াডাঙ্গা - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৭ মিনিট ও ইফতারিতে ৪ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • মেহেরপুর - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৭ মিনিট ও ইফতারিতে ৭ মিনিট বাড়াতে হবে।
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ - ঢাকার সময় হতে সেহরিতে ৭ মিনিট ও ইফতারিতে ৯ মিনিট বাড়াতে হবে।

রমজানের ফজিলত

পবিত্র রমজান মাস অন্যান্য সকল মাসের চাইতে অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ। রমজান মাস কে বলা হয় পবিত্র কুরআনের মাস। ফজিলতপূর্ণ এই মাসের আমলসমূহ যথাযথভাবে পালন করার জন্য রমজানের সময় সূচি 2023 আপনার সংগ্রহে রাখতে হবে। আপনি যদি রমজানের সময় সূচি 2023 আপনার সংগ্রহে রাখেন তাহলে তা দেখে দেখে সময় মত সব আমল করতে পারবেন। রমজান মাসে এই পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনে বলেন, আমি একে (পবিত্র কুরআন)  নাযিল করেছি শবে-কদরে। ( সূরা আল-কদর )

অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শবে কদর নাযিল করা হয়েছে আর শবে কদর রমজান মাসের মধ্যে রয়েছে। তার মানে হলো পবিত্র কুরআন এর নাজিলের বরকতের কারণে রমজান মাস ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ।" (আল হাদিস)
রমজান মাসে রোজা রাখার প্রত্যেক মুসলমানের উপরে আবশ্যকীয় কর্তব্য। মহান আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের অসংখ্য জায়গায় রোজা রাখার ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেছেন। যেমন পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও।" (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

যেহেতু আল্লাহ তায়ালা রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হবে রমজান মাসে যথাযথভাবে রোজা পালন করা। রমজান মাসে রোজা পালন করার পাশাপাশি দরিদ্র রোজাদারদের কে সাহায্য করাও প্রত্যেক মুসলমানের অন্যতম একটি কর্তব্য। আপনি যদি কোন রোজাদার ব্যক্তিকে সেহরি খাওয়া বা ইফতার করেন সেক্ষেত্রে আপনি অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন। 

দান করা সব সময় ফজিলত পূর্ণ, তবে রমজান মাসে দান করা অন্যান্য মাসের চেয়ে অধিক সওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে অধিক পরিমাণে দান করতেন। রমজান মাস সংযমের মাস। আর তাই রমজান মাসে শুধু না খেয়ে থাকলেই রোজা হয়ে যায় না। যাবতীয় অশ্লীলতা নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত। সকল নিয়ম কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করে যদি কোন ব্যক্তি সঠিক ভাবে রোজা পালন করতে পারে তাহলে আল্লাহতালার কাছে এসে খুবই প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে। 

রমজানের আমল

রমজান মাস ইবাদতের মাস, রমজান মাস আমলের মাস। অন্যান্য মাসের আমলের চেয়ে রমজানের আমল অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা অন্যান্য মাসের আমলের রমজান মাসের আমলের সাওয়াব অনেক বেশি। তাই রমজান মাসে অনেক বেশি আমল করা উচিত। রমজান মাসে আমল করার জন্য রমজানের সময় সূচি 2023 খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের সময় সূচি 2023 যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি যথাসময়ে আমল করতে পারবেন না। যাই হোক, রমজান মাসে যে সকল আমল করা যেতে পারে তার তালিকা নিচে তুলে ধরা হবে। 

  • বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া: রমজান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক পরিমাণে নফল নামাজ পড়া উত্তম। বিশেষ করে তাহাজ্জুতের সালাত আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে,  "ফরয নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজের হলো রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ" (সহীহ মুসলিম : ২৮১২) 
  • ইফতারের পূর্বে দোয়া করা: রমজান মাসে ইফতারের পূর্বে দোয়া করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কেননা ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে আল্লাহতালা দোয়া কবুল করে থাকেন তাই আপনি যদি ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত আল্লাহর নিকটে কোন কিছু চান তাহলে আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ছোট দেবেন না। এই ব্যাপারে হাদিসে উল্লেখ করা হয়,  এসেছে: "ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহ রাববুল আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। মুক্তির এ প্রক্রিয়াটি রমাদানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে" (আল জামিউস সাগীর)
  • সেহরি খাওয়া: সেহেরী না খেলেও রোজা হয়ে যায় তবে সেহরি খাওয়া খুবই বরকতময়। সেহরি খেলে অনেক সাওয়াব অর্জন করা যায়। সেহরি খাওয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, "তোমরা সাহরি খাও! কেননা সেহরিতে আল্লাহ তাআলা বরকত রেখেছেন (বুখারি - ১৯২৩)
  • সময় হলে ইফতারে বিলম্ব না করা: রমজান মাসের সময় মতো ইফতার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। বিলম্বে ইফতার করা অনুচিত। সময় মতো ইফতার করার ব্যাপারে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "দ্বীন ততোদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে, যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কেননা, ইহুদি-খ্রিস্টানরা বিলম্বে ইফতার করে।" (সুনানে আবু দাউদ - ২৩৫৫)
  • কুরআন তেলাওয়াত করা: কুরআন তেলাওয়াত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল বিশেষ করে রমজান মাসে কুরআন তেলাওয়াত করার ফজিলত অনেক বেশি। কোরআন তেলাওয়াত করার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "কুরআনের ধারক-বাহককে বলা হবে কুরআন পড়ে যাও, আর উপরে উঠতে থাক, ধীর-স্থিরভাবে তারতীলের সাথে পাঠ কর, যেমন দুনিয়াতে তারতীলের সাথে পাঠ করতে। কেননা জান্নাতে তোমার অবস্থান সেখানেই হবে, যেখানে তোমার আয়াত পড়া শেষ হবে" (সুনান আত-তিরমিযী - ২৯১৪)
  • অধিক পরিমাণে দান সদকা করা: রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করা উচিত। এই মাসে দান সদকা করলে অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি সওয়াব অর্জন করা যায়। 
  • এতেকাফ করা: রমজান মাসের শেষ দশকে এতেকাফ করা রমজান মাসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। তাই আপনি যদি রমজান মাসে অধিক সওয়াব অর্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ করতে পারেন। 
  • ফিতরাহ দেয়া: রমজান মাসের সাথে সম্পর্কিত আরেকটি এমন হলো: ফিতরাহ দেয়া। আপনি রমজান মাসের সবগুলো রোজা যথাযথভাবে আদায় করে ঈদের নামাজে যাওয়ার পূর্বেই ফিতরা আদায় করতে হয়। ফিতরাহ হলো আপনার রোজার ভুলত্রুটির কাফফরা স্বরূপ। 

উপসংহার

রমজানের সময় সূচি 2023 ইতোমধ্যেই ওপরে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে উপরে রমজান মাসের ফজিলত এবং আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি রমজান মাস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল এই আর্টিকেল নিকটে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করতে করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url