OrdinaryITPostAd

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন অনলাইনে

 

আপনি কি আপনার ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চাচ্ছেন? জানেন না ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন এর উপায়? আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি পড়ুন। 

ভোটার আইডি কার্ড এ তথ্য দেয়ার সময় অনেক সময় ভুলবশত অনেক তথ্য ভুল আসে। তার মধ্যে কমন একটি ভুল হলো ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ ভুল। জন্ম তারিখ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যাবলীর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন একটি তথ্য। এই তথ্য ভুল হলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড কোনো কাজেই আসবেনা। তাই অসতর্কাবশত ভুল করে ফেললেও অনেক এই ভুলের দ্রুত সমাধান চান অর্থ্যাত ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান। 

তো ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন নিয়ে গুগলে সার্চ দিলে অনেক পোস্টটিই আসে। তবে সব পোস্টে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন নিয়ে সঠিক তথ্য নেই। আপনি আমাদের ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন নিয়ে এই পোস্টটি পড়ুন এবং প্রদত্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। চলুন তাহলে শুরু করার আগে জেনে নেয়া যাক কি কি থাকছেঃ

পেজ সূচিপত্রঃ ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড কি -  ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোনো কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। ভোটার আইডি কার্ড করার সময় ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যে ভুল আসে । ভুলগুলো হতে পারে নিজের নামে অথবা বাবার নামে অথবা মায়ের নামে। আবার অনেক সময় দেখা যায় ঠিকানা বা জন্ম তারিখেও ভুল আসে। এর ফলে ভোটার আইডি কার্ডের মালিককে অনেক রকমের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। যাদের আইডি কার্ডে ভুল আছে তারা নিশ্চয় ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন কিভাবে করবেন তা নিয়ে। যারা এই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা এই পোস্টটির সাথে থাকুন কেননা এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে এই ভুলগুলো সংশোধন করা যায়। তবে আইডি কার্ড সংশোধন করার আগে একটি কথা জেনে রাখা উচিৎ যে, আপনি একটি তথ্য শুধু মাত্র একবারই পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে এটাই যেন একদম ঠিকঠাক হয় কেননা এরপর আপনি আর তথ্যটি পরিবর্তন করতে পারবেন না। 

প্রথমে জেনে নিই ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন ছাড়াও আর কি কি তথ্য সংশোধন করতে পারবেন? 

ভোটার আইডি কার্ডে বিভিন্ন রকম ভুল তথ্য আসে। ভুলগুলো বিভিন্নরকমের হতে পারে। যেমনঃ 

ভুলে পিতা , মাতা অথবা স্বামীর নামের পূর্বে মৃত উল্লেখ করা হলে, ভোটার অবিবাহিত কিন্তু কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে, বিয়ের পর স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করবেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর ভোটার আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম সরানো,  বিবাহ বিচ্ছদের পর নতুন বিবাহ হলে পরবর্তী স্বামীর নাম সংযুক্তকরণ, পেশা পরিবর্তন, পিতা মাতা মারা গেলে ‘মৃত’ উল্লেখ করার প্রক্রিয়া, ঠিকানা পরিবর্তন, পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের আইডিতে বাবা মায়ের নাম ভিন্ন হলে, শিক্ষাগতযোগ্যতা ভুল হলে, আইডি কার্ডে ভিন্ন ব্যক্তির তথ্য আসলে, রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা পরিবর্তন, বয়স বা জন্মতারিখ পরবির্তন, স্বাক্ষর পরিবর্তন, প্রামাণিক কোনো দলিল না থাকলে জন্ম তারিখ পরিবর্তন। 

এগুলো হচ্ছে মূলত ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যাদি। এছাড়াও জাতীর পরিচয়পত্র এবং নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো কিছু তথ্য রয়েছে যা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। যেমনঃ

 ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা , ধর্মীয় উপাধি,পদবী যুক্ত করা , রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে কিন্তু কার্ড গ্রহন করা হয়নি, যথাসময়ে রেজস্ট্রেশন করা হয়নি, বিদেশ অবস্থান করার কারনে রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি ইত্যাদি। এসব সমস্যা সংশোধনের জন্য কি কি করতে হবে তা জানতে এই পোস্টটির সাথে থাকুন।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের উপায় - ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করবেন কিভাবে?

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন দুইভাবে করা যায়। উপায়গুলো হলোঃ 

  • অনলাইনে এবং 
  • অফলাইনে

অনলাইনে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করবেন?

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।  এজন্য আপনাকে লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। 

এই লিঙ্কে যাওয়ার পর আপনি এরকম নিচের স্ক্রিনশটের মত একটি পেজ পাবেন। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

১। এখানে গিয়ে আপনাকে প্রথমে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিতে হবে । 

২। এরপর আপনার জন্মতারিখ প্রদান করুন

৩। এরপর প্রদত্ত কোডটি প্রবেশ করান

৪। সব তথ্য প্রবেশ করানো হলে সাবমিটে ক্লিক করুন। 

ব্যস হয়ে গেলো আপনার রেজিস্ট্রেশন। এরপর আপনাকে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবেঃ

১। প্রথমে আপনাকে একটি ইউজারনেম দিতে হবে

২। এরপর পাসওয়ার্ড দিতে হবে

৩। এরপর প্রদর্শিত যে কোডটি রয়েছে সেটা প্রবেশ করান।  

৪। এরপর লগইন বাটনে ক্লিক করুন।

 এরপর আপনি নিম্নের স্ক্রীনশট অনুযায়ী  আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রদর্শিত  পেজটি দেখতে পাবেন। 

৫। এরপর আপনি পেজ থেকে প্রোফাইল সিলেক্ট করবেন।  প্রোফাইলে যাওয়ার পর আপনি দেখতে পাবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ,অন্যান্য তথ্য, ঠিকানা সব পাবেন।

৬। আপনি যদি যে তথ্য সংশোধন করবেন  সেখানে নিম্নের স্ক্রীনশট অনুযায়ী এডিটে ক্লিক করবেন।

৭। এডিটে যাওয়ার পর ফিস/ চার্জ নামক একটি পেজে আসবে সেখানে বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

৮। এরপর আপনি ব্যক্তিগত তথ্যের যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান সেগুলো চলে আসবে। এখানে আপনি যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান তার পাশে টিক চিহ্ন মার্ক করবেন। যেমনঃ আপনি যদি নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে নামের পাশে টিক চিহ্নে ক্লিক করবেন । এরপর আপনি আপনার সংশোধিত নাম প্রবেশ করাবেন। এভাবে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান তার পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে তথ্যটি সংশোধন করতে পারবেন। এছাড়াও অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে আপনাকে এভাবেই তথ্যগুলো সংশোধন করতে হবে। 

৯। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর বর্তমান আবন আপডেটেড দুটি অপশন আসবে নিম্নের স্ক্রীনশট অনুযায়ী যেখানে আপনার বর্তমানে যে তথ্য রয়েছে তা এবং আপনি যে তথ্যগুলো পরিবর্তন করেছেন তার একটি লিস্ট দেয়া থাকবে। 

১০। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। এখানে যে পেজটি আসবে সেখানে আপনারা একটি লেখা দেখতে  পারবেন। লেখাটি হলোঃ ‘You have total deposit of 0 BDT’  । এর মানে হচ্ছে আপনি এই সংশোধনীর জন্য কোনো টাকা প্রদান করেননি। টাকা প্রদান না করলে পাওনি পরবর্তী ধাপেও যেতে পারবেন না। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের পেমেন্টের সিস্টেমের মাধ্যমে রকেটের  মাধ্যমে ৩৪৫ টাকা পে করতে হবে।  রকেটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে ৩৪৫ টাকা পে করার জন্য আপনাকে প্রথমে রকেট ওয়ালেট অপশনে যেতে হবে। এরপর বিল পে অপশনটিতে ক্লিক করবেন। আপের মাধ্যমে বিল পে করা খুব সহজ। বিল পে অপশনে ক্লিক করার পর আপনারা সার্চ বারে গিয়ে 1000 লিখলে EC Bangladesh  নামে একটি অপশন আসবে। এরপর অপশনটিতে ক্লিক করবেন। ক্লিক করলে Biller name  একটি অপশন আসবে যেখানে EC Bangladesh দিতে হবে। এরপর NID Number অপশনে যে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনী করা হবে সে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি নির্ভুল্ভাবে দিতে হবে। এরপর Application Type নামের একটি অপশন আসবে যেখানে ক্লিক করলে আপনারা অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন। 

এখানে আপনাকে আপনার সমস্যা অনুযায়ী নাম্বার সিলেক্ট করতে হবে।  এখানে যে ভোটার আইডি তথ্য সংশোধন করা হচ্ছে যে অনুযায়ী ৩ নাম্বার সিলেক্ট করা হয়েছে। এরপর pay for  একটি অপশন পাবেন । যদি আপনি নিজের জন্য পে করে থাকেন তাহলে self বাটনে ক্লিক করবেন আর যদি অন্য কারো জন্য পে করে থাকে তাহলে other বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর যদি অন্যের জন্য করে থাকেন তাহলে অন্যের মোবাইল নাম্বার দিবেন। এরপর যে অ্যামাউন্টটি পে করতে হবে সেটি লিখতে হবে। ভোটার আইডি তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫টাকা বিল পে করতে হয় তাই এখানে অ্যামাউন্টের ঘরে ৩৪৫ টাকা লিখতে হবে। এরপর নিচের Validate  এ লিক করবেন। 

এরপর রকেটের পিন নাম্বার দিয়ে কনফার্ম করবেন । এরপর Ok তে প্রেস করবেন। এর মাধ্যমে আপনার নির্বাচন কমিশনে ৩৪৫ টা কা বিল পে করা হয়ে গেলো। 

 ১১। বিল পে করা হয়ে গেলে ভোতার আইডি কার্ড সংশোধনীর সাইটে প্রবেশ করে সাইটটি রিলোড করবেন। রিলোড করার পর ‘you have total deposit of 345 BDT’ এই লেখাটি দেখতে পারবেন। 

১২। এরপর বিতরণের ধরনের অপশনে রেগুলার স্মার্ট কার্ড অপশনটি সিলেক্ট করব। 

১৩। এরপর পরবর্তী অপশনটি সিলেক্ট করব।  

১৪। এরপর আপনি যে তথ্যগুলো পরিবর্তন করেছে সে সম্পর্কিত কাগজপত্র জমা দিতে বলবে। কাগজগুলো আপনি আগেই স্ক্যানারের মাধ্যমে স্ক্যান করে নিবেন। স্ক্রিনশটের মার্ক করা জায়গায় ক্লিক করলে দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন । আপনার যে তথ্য সংশোধন করতে হবে তার সম্পর্কিত টপিকটি বাছাই করুন। এরপর কাগজগুলো জমা দিন।

১৫। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।  নিশ্চিত করুন বাটন চলে এসেছে। এটি হচ্ছে ভোটার আইডি সংশোধনের শেষ ধাপ । এখানে আপনাকে ভালোভাবে দেখতে হবে আপনি যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে চাইছেন তা ঠিক আছে কিনা। এই ধাপটি আপনাকে খুব সাবধানে দেখতে হবে। কেননা এখানে ওকে করলে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি সাবমিট হয়ে যাবে যা আপনি পুনরায় কোনো ভুল পেলে আর সংশোধন করতে পারবেন না। তাই আপনাকে এই অপশনটি ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। 

এভাবে আপনি অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারবেন। 

অফলাইনে কিভাবে তথ্য সংশোধন করবেন - ভোটার আইডি কার্ড বয়স সংশোধন

অফলাইনে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে আপনাকে নিম্নের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

১। কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনাকে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এজন্য ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমগুলো এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে অথবা Website: www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউনলোড করতে হবে। 

২। আপনি যদি আপনার ভোটর আইডি কার্ড নাম সংশোধন করেন তাহলে তা সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে। 

৩। যদি জীবিত স্বামী, পিতা , মাতার নামের আগে ভুল্ক্রমে মৃত উল্লেখ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। 

৪। অবিবাহিত কিন্তু পিতার নামের স্থানে যদি স্বামীর নাম চলে আসে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা /থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে অবিবাহিত হওয়ার প্রমানাদিসহ আবেদন করতে হবে। 

৫। বিয়ের আগে ভোটার হয়েছে। কিন্তু এখন স্বামীর নাম ভোটার আইডি কার্ডে যুক্ত করতে চান যারা তাদেরকে  নাম যুক্ত করার জন্য নিকাহনামা ও স্বামীর আইওডি কার্ড এর ফটোকপি যুক্ত করে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

৬। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম যুক্ত রয়েছে কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সেক্ষেত্রে  স্বামীর নাম বাদ দিতে হলেবিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল অর্থ্যাৎ নিকাহনামা সংযুক্ত করে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। যাদের বিবাহ বিচ্ছদের পর নতুন বিয়ে হয়েছে এবং তাঁরা আগের স্বামীর নামের স্থানে বর্তমান স্বামীর নাম সংযুক্ত করতে চান তাদেরকে প্রথম বিচ্ছদের তালাকনামা এবং পরবর্তী বিয়ের কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

৭। ভোটার আইডি কার্ডে পেশা পরিবর্তন করতে চাইলে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র জমা দিতে হবে। 

৮। যদি ভোটার আইডি কার্ডের ছবি স্পষ্ট হএ এবং ছবি পরিবর্তন করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

৯। পিতা, মাতা, স্বামীর নাম ভুল আসলে সংশোধনের সাথে বিভিন্ন প্রামাণিক তথ্য হিসেবে বিভিন্ন দলিল জমা দিতে হবে। যেমনঃ এসএসসি/ সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাস্পোর্ট , নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহনামা , পিতা/মাতা/স্বামীর জাতীর পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়। 

১০। নিজের ডাক নাম অথবা অন্য নাম নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কাগজগুলো হলোঃ এসএসসি/ সমমান সনদ,বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/ পৌর বা সিটি করপোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন।

১১। পিতা/ মাতা মারা যাওয়ার পর ভোটার আইডি কার্ডে মৃত উল্লেখ করতে হলে মৃত সনদ জমা দিতে হবে। 

১২। যারা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন তাঁরা যদি ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান তাহলে সেই এলাকার এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। যদি ভোটার একই এলাকার মধ্যে ঠিকানা পরিবর্তন করে অথবা ঠিকানার তথ্যে যদি ভুল থাকে তাহলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করতে হবে। 

১৩। একই পরিবারের বিভিন্ন সদ্যসের কার্ডে পিতা/ মাতার নাম বিভিন্নরকম আসলে তা সংশোধন করতে চাইলে সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে পর্যাপ্ত প্রমাণিদসহ আবেদন করতে হবে।

১৪। অজ্ঞাতবশত যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা ভুল দেয়া হয় এবং সেই সাথে যদি বয়সের অমিল হয় তখন তা সংশোধনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুলকরলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ভুল লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে কপিসহ সংশোধনের আবেধন করলে তা সংশোধন করা যাবে। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন।

১৫। ভোটার আইডি কার্ডে যদি অন্য কোন ব্যক্তির তথ্য ভুলে চলে আসে সেক্ষেত্রে ভুল তথ্যের সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রকিয়া করা হবে।

১৬। রক্তের গ্রুপ যুক্ত বা সংশোধন করার জন্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

১৭। বয়স অথবা জন্ম তারিখ পরিবর্তন করতে চাইলে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। যদি ভোটার এসএসসি অথবা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকে তাহলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল প্রমাণিদি উপস্থাপন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। 

১৮। যদি কোনো ভোটার স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চান তাহলে নতুন স্বাক্ষরের নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটারকে মনে রাখতে হবে যে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে। 

১৯। কোনো ভোটার যদি জন্মতারিখ লিখতে ভুল করে তাহলে তা এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে  আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যাবলি অফলাইনে সংশোধন করতে চাইলে উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে হবে। 

ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপসঃ ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধনঃ

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যে কোনো ভুল থাকলে আপনি চাইলে তা অ্যাপসের মাধ্যমেও সংশোধন করতে পারবেন। এই অ্যাপসটি পাওয়ার জন্য আপনাকে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

১। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা নিচের স্ক্রীনশট অনুযায়ী  পেজ এর ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন। 

২। ভোটার অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে নিম্নোক্ত চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করুন।

যদিও এই অ্যাপসটি এখনো প্রক্র্যাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই অ্যাপ্স নিয়ে ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত জানানো হবে আপনাদেরকে। 

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন – অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন – জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ২০২২ 

ভোটার আইডি কার্ড এমন একটি গুরুত্বপূর্ন জিনিস যা ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যেকোনো কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এখন এই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যে যদি ভুল আসে তাহলে যেকোনো কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়। এজন্য ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যে যদি ভুল আসে তাহলে তা যত দ্রুত সম্ভব সংশোধন করে নিতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভোটার অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই সংশোধন করতে পারবেন উপরোক্ত উপায়গুলো দেখে। আশা করি আপনারা আপনাদের ভোটার আইডির ভুল তথ্য সঠিক করতে পারবেন উপরের ধাপগুলো অনুসরন করে। যদি আপনাদের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে জনাতে ভুলবেন না। সবাই ঘরে থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url