OrdinaryITPostAd

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২১-২০২২

করোনার লকডাউনের মাঝেই ২০২০ সালের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে দিয়েছে। ২০২০ সালে করোনার জন্য এইচএসসি পরীক্ষা না হলেও বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। তার ই ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১

করোনার জন্য ১৮ই মার্চ থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে যেন একটি বছর ঝরে না যায় সেজন্য অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। এই অটোপাসের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল মন্দ দুই মত থাকলেও পরিস্থিতি বিচারে এটাই কিন্তু সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত। এর ফলে শিক্ষার্থীরা কোন সেশন জটে পড়ল না, তাঁদের স্বাভাবিক শিক্ষার বয়সেও খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলাফলের ভিত্তিতে বিশেষ মূল্যায়ন করে ফল দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়ে ছে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি। তারপরও ফলে সন্তষ্ট নন প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীরা ফল পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে ‘রিভিউ’ আবেদন করেছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফল রিভিউ করেছেন মোট ১৪ হাজার ৬৯২জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। বোর্ড অনুযায়ী ভাগ করলে সেই হিসেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে রিভিউ আবেদন সবচেয়ে বেশি।

গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। ফল রিভিউ করার সুযোগ দেয় বোর্ডগুলো পরের দিন ৩১ জানুয়ারি থেকে।  শনিবার (৬ ফেব্রয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল আবেদন করার সুযোগ। 

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০ ফলাফল প্রণয়নে জেএসসি বা জেডিসি এবং এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিং পদ্ধতি সম্পর্কে ফলাফলের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে- সাধারণভাবে জেএসসি বা সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের ১ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা ছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল এই পরীক্ষায়। তবে, করোনা মহামারির কারণে এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্যঃ  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ সার্কুলার ডাউনলোড করুন

এবারের পরীক্ষা বিগত বছরগুলো থেকে একটু ব্যতিক্রমভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। গত কয়েকবছর ধরে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলছিল। বর্তমানে করোনাকালীন সময়টা গুচ্ছ পরীক্ষার জন্য যথাযোগ্য বলে ধারনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ। কেননা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষাগুলো দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভীড় করতে হবেনা । তারা স্ব স্ব বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ৩টি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ৯টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিবে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিবে। এজন্য হয়তো অনেক শিক্ষার্থী কিভাবে কি করবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তবে  চিন্তার কিছু নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ এর নিয়মিত আপডেট এই পোস্টে দেওয়া হবে। 


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদনের সময়সীমাঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ 

আবেদনের সময়সূচিঃ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে ৭ মার্চ ২০২১ তারিখ দুপুর ১২টা থেকে ১৮ মার্চ ২০২১ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত।  এসময় শিক্ষার্থীরা ৫৫টাকা ফি দিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করবে। এই আবেদেনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অনুসারে প্রতি ইউনিটে ৪৫ হাজার করে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে।  এরপর  বাছাইকৃত শিক্ষার্থীকে ১১০০ টাকা ফি দিয়ে আবার আবেদন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের সময় শুরু হবে ২৩ মার্চ ২০২১তারিখ দুপরু ১২টা হতে ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত।  

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ সার্কুলার ডাউনলোড করুন।

এই আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে http://admission.ru.ac.bd/undergraduate /  অথবা http://www.ru.ac.bd/   লিংকে ক্লিক করতে হবে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১

১। ২০২০ সালের এইচএসসি/ সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফে(প্রাক), বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভকেশনাল), A লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় [ এইচএসসি সমমান নির্ধারণ কমিটি কতৃক অনুমোদন সাপেক্ষে উত্তীর্ন শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। সনাতন পদ্ধতিতে ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেনা। কেবল বিএফএ(প্রাক) ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফল এখনও সনাতন পদ্ধতিতে হওয়ায় তাঁদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তাঁদের মার্কশিট / সার্টিফিকেট থাকতে হবে।যেসব শিক্ষার্থী কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তারাও সংশ্লিষ্ট ইউনিটে আবেদন করতে পারবে তবে তাঁদের প্রাপ্ত জিপিএ ৫.০০ স্কেলে নির্ধারিত হবে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ সার্কুলার ডাউনলোড করুন।

২। যেসব শিক্ষার্থী জিসিই O লেভেল পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত তাদেরকে অবশ্যই ৫টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।  আবার যেসব শিক্ষার্থী  A লেভেল পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত তাদেরকে ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে  ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে B গ্রেড এবং ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে C গ্রেড পেতে হবে। O লেভেল ,A লেভেল এবং ইংলিশ ভার্সন ( ন্যাশনাল কারিকুলাম) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের প্রশ্ন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজীতে অনুবাদ করা হবে। ইংরেজী প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে তার Application ID ও মোবাইল নম্বর উল্লেখসহ ৩১-০৩-২০২১ তারিখের মধ্যে অবশ্যই ইমেইল (ru_admission@ru.ac.bd)- এর মাধ্যমে জানাতে হবে।

৩। মানবিক , বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখা হতে ২০২০ সালের এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা A,B,ও C তিনটি ইউনিটেই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারী যে ইউনিটের অধীনে পরীক্ষা দিতে চায় তাকে অবশ্যই সেই ইউনিটের সকল শর্ত পূরন করার যোগ্যতা রাখতে হবে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ সার্কুলার ডাউনলোড করুন।

তবে এই বছর শুধুমাত্র ২০২০ সালে যেসব শিক্ষার্থী পাস করেছে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে। অর্থ্যাৎ ,এবার সেকেন্ড টাইমাররা পরীক্ষা দিতে পারবেনা। 

কত টাকা প্রয়োজন আবেদনের জন্য? 

প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে এক বা একধিক ইউনিটে ৫৫টা আবেদন ফি জমা দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর যারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবে তাদেরকে নির্দিষ্ট ইউনিটের জন্য নির্দিষ্ট আবেদন ফি দিতে হবে। প্রত্যেক ইউনিটের জন্য একই আবেদন ফি। যেহেতু অনলাইনে আবেদন করা হবে তাই সার্ভিস চার্জ ১০% অর্থাৎ, ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে এবং আবেদন ফি হলো এক হাজার টাকা। শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট ইউনিটের জন্য  এক হাজার একশত টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে। যারা বিজ্ঞান শাখায় পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তারা আবেদন ফি জমা এক হাজার একশত টাকা। যারা মানবিক শাখায় পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তারা ফি জমা দিবে এক হাজার একশত টাকা। এবং যারা ব্যবসায় শাখায় পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তারা ও জমা দিবে একহাজার একশত টাকা। 

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিভাগ অনু্যায়ী আসন সংখ্যাঃ

কলা অনুষদঃ 

১। দর্শন – ১১০ 

২। ইতিহাস – ১১০

৩। ইংরেজি – ১০০

৪। বাংলা – ১০০

৫। ইসলামিক স্টাডিজ – ১১০

৬। আরবী – ১১০

৭। ইসলামিক স্টাডিজ – ১১০

৮। নাট্যকলা – ২৫

৯। সংগীত – ৩০

১০। ফারসি ভাষা ও সাহিত্য – ৪০

১১। সংস্কৃত – ৫৬

১২। উর্দু – ৪০

আইন অনুষদঃ 

১। আইন – ১১০

২। আইন ও ভূমি প্রশাসন – ৫০

বিজ্ঞান অনুষদঃ

১। গণিত – ১১০

২। পদার্থবিজ্ঞান – ৯০

৩। রসায়ন – ১০০

৪। পরিসংখ্যান – ৯০

৫। প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান – ৫০

৬। ফার্মেসী – ৫০

৭। পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট – ৬০

৮। ফলিত গণিত – ৮০

৯। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান – ৩০

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদঃ

১। হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা – ১১০

২। ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ – ১০০

৩। মার্কেটিং – ১১০

৪। ফাইন্যান্স – ১০০

৫। ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স – ৬০

৬। ট্যুরিজম এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট- ৩০

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদঃ

১। অর্থনীতি - ১১০

২। রাষ্ট্রবিজ্ঞান- ১১০

৩। সমাজকর্ম - ৯০

৪। সমাজবিজ্ঞান - ১০০

৫। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা - ৫০

৬। ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট - ৬৬

৭। লোক প্রশাসন - ৬০

৮। নৃবিজ্ঞান - ৫৬

৯। ফোকলোর -৬৬

১০। আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক -৪০

জীববিজ্ঞান অনুষদঃ

১। মনোবিজ্ঞান - ৭০

২। উদ্ভিদবিজ্ঞান - ৭০

৩। প্রানিবিদ্যা - ৮০

৪। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনলিজি - ৪০

৫। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান - ৩০

৬। মাইক্রোবায়োলজি- ৩০

কৃষি অনুষদঃ

১। এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন – ৫৬

২। ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি – ৫৬

প্রকৌশল অনুষদঃ

১। ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল – ৭০

২। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং – ৫০

৩। ইনফরমেশন এন্ড কমিউকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং – ৪৬

৪। ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (১০টি বৃদ্ধি) – ৫০

৫। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং – ৫০

চারুকলা অনুষদঃ

১। চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র – ৪৫

২। মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য

৩। গ্রাফিক ডিজাইন , কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস – ৪৫

ভূ- বিজ্ঞান অনুষদঃ 

১। ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা – ৭৬

২। ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা – ৬০

ফিশারীজ অনুষদঃ

১। ফিশারীজ – ৫০

ভেটেনারী এন্ড এনিমেল সায়েন্সস অনুষদঃ

১। ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন – ৫০

২। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট – ৫০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কোটায় আসন সংখ্যাঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা পদ্ধতিতে চালু রয়েছে। এই কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে  যেসব শিক্ষার্থী কোটার অন্তর্ভুক্ত তারা কোটা পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পারবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কারা কারা কোটার অধীনে রয়েছেঃ

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি – ৫০ টি (প্রতি সাব্জেক্টে সর্বোচ্চ ২ টি )

শারীরিক প্রতিবন্ধী – ৫০ টি  (প্রতি সাব্জেক্টে সর্বোচ্চ ২ টি )

মুক্তিযোদ্ধা – প্রতি সাব্জেক্টের আসন সংখ্যার ৫ %

পোষ্যকোটা – প্রতি সাব্জেক্টের আসন সংখ্যার ৫ %

বি কে এস পি – শারীরিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগের আসন সংখ্যার ২০%

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ সার্কুলার ডাউনলোড করুন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৯ বিভাগ ২টি ইনস্টিটিউট এবং কোটাসহ মোট ৬১টি বিভাগের অধীনে  আসন সংখ্যা রয়েছে ৪১৭৩টি।   

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ সার্কুলার ডাউনলোড করুন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সীমাঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১

পরীক্ষা সম্পন্ন হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে । পুরো পরীক্ষাটি হবে ১০০ নাম্বারের এবং এর সময়সীমা হবে ১ ঘন্টা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ যথাসময়ে দেয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষা তিন শিফটে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম শিফট – সকাল নয়টা ত্রিশ মিনিট থেকে সকাল দশটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত (৯:৩০ - ১০:৩০)। 

দ্বিতীয় শিফট -দুপুর বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত (১২:০০ - ০১:০০)

তৃতীয় শিফট – বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত (৩:০০ - ০৪:০০)

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টণ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শর্তসমূহঃ

কলা অনুষদঃ 

কলা অনুষদের পরীক্ষা হবে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে। এর জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘন্টা। । শিক্ষার্থীকে ১ ঘন্টায় ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যার পূর্নমান থাকবে ১০০ । শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ৪০ নম্বর পেতে হবে।  এই প্রশ্নপত্রটি আবার তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে যেগুলো “ক” বিভাগ, “খ” বিভাগ এবং “গ” বিভাগ নামে চিহ্নিত করা থাকবে।“ ক” বিভাগ হবে বাংলা বিষয়ের জন্য যার মানবন্টন থাকবে ৩০ নম্বর। “ খ” বিভাগ থাকবে ইংরেজি বিষয়ের জন্য এবং এর পূর্নমান থাকবে ৩০ নম্বর । এবং “গ” বিভাগে থাকবে সাধারণ জ্ঞান যার পূর্নমান হবে ৪০ নম্বর।  যেসব শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করবে তাঁদের মধ্যে থেকে ৬০% থাকবে মানবিক বিভাগ হতে এবং বাকি ৪০% থাকবে অন্যান্য বিভাগ হতে। 

তবে কিছু কিছু বিভাগের পরীক্ষা একটু ব্যতিক্রম হবে। যেমনঃ নাট্যকলা, সঙ্গীত , চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা,ও ছাপচিত্র; মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য এবং গ্রাফিক ডিজাইন , কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগসমূহের পরীক্ষা হবে ব্যবহারিক পদ্ধতিতে। এই ব্যবহারিক পরীক্ষার পাস নম্বর হবে ৪০। 


ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদঃ

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে বিভাগসমূহে পরীক্ষা দেয়ার জন্য মানবিক এবং বিজ্ঞান শাখা হতে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে।  এই বিভাগে পরীক্ষা দেয়ার জন্য  মানবিক বিভাগ হতে ৬০% এবং বিজ্ঞান বিভাগ হতে ৪০% শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে এক্ষত্রে যারা বাণিজ্য বিভাগ হতে পরীক্ষা দিবে তাঁদের কে ৫টি বিভাগে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।  আর যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের ৪ টি বিভাগে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 


তবে যারা ব্যবাসায় প্রশাসন ইউনিটে ভরত্তি হতে চায় তাঁদের জন্য পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন। যেসব শিক্ষার্থী বাণিজ্য বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিবে তাঁদের কে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ইংরেজীতে ২৫ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর পেতে  হবে । আর যেসব শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে তাদেরকে ইংরেজীতে ৩০ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর পেতে হবে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। 

বিজ্ঞান অনুষদঃ

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে যেসব শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিবে তাঁদের কে ১ ঘন্টা সময়ের মধ্যে ৮০টি প্রশেন্র উত্তর দিতে হবে যার পূর্নমান থাকবে ১০০। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং আই.সি.টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই দিতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীকে গণিত / জীববিদ্যা অথবা গণিত + জীববিদ্যা দুইটির মধ্যে যেকনো একটির প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।  এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি প্রশ্নের মান থাকবে ১.২৫ করে। শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ন হওয়ার জন্য অবশ্যই আবশ্যিক শখায় ২৫ নম্বর এবং ঐচ্ছিক শখায় ১০ নম্বরশ ৪০ নম্বর পেতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থী অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে। 





রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বিশ্বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। পড়াশুনার পাশাপাশি রাজশাহী শহরটি থাকার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। এই বিশ্ববিদ্যালয়েয় স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিগ্রীধারী শিক্ষক দ্বারা পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও রয়েছে শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী পড়ার মত অনেক বিভাগ। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠীত হওয়া রাজশাহী কলেজটি ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত পায় যা প্রাচ্যের ক্যাম্ব্রিজ নামে পরিচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত অবস্থায় রয়েছে।

আশা করি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সবকিছু জানতে পেরেছেন। এই পোস্টটি নিয়মিত হালনাগাদ করা হবে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ বিষয়ে  নতুন কোন তথ্য/সংশোধন পাওয়া মাত্রই তা এই পোস্টে সংযুক্ত করব। সবাই সুস্থ থাকুন এবং ভর্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকুন। আর আপনাদের যদি কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url