OrdinaryITPostAd

স্টিভ জবস কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতেন না?

স্টিভ জবস নামটা হয়তো সকলের কাছে পরিচিত। একজন কলেজ ড্রপ আউট ছেলের জীবন কাহিনী।  তিনি কেন ফেসবুক টুইটার বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন নি।

আজকের এই আর্টিকেলে থাকছে স্টিভ জবস এর জীবন কাহিনী ও তিনি কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেননি তাহলে চলুন জেনে নিই।

স্টিভ জবস

স্টিভ জবস পুরোনামঃ স্টিভেন পল জবস।তিনি সান ফ্রান্সিস্কোতে ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৯৫৫,সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক। তাকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন -এর সাথে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে "অ্যাপল কম্পিউটার" প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি "পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওস"-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি অ্যাপলে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৫ সালে টয় স্টোরি নামের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

জীবনবৃত্তান্ত

জবস জন্মেছিলেন সান ফ্রান্সিস্কোতে এবং পরে পল ও ক্লারা জবস তাকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তাকে নামকরণ করা হয় স্টিভেন পল জবস। কিন্তু তার প্রকৃত পিতা-মাতা ছিলেন জোয়ান ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি।

১৯৭২ থ্রিস্টাব্দে তিনি হাই স্কুল শেষ করেন এবং রীড কলেজ়ে ভর্তি হন। যদিও তিনি পরবর্তীতে কলেজ ছেড়ে দেন তার পরেও তিনি ক্যালিগ্রাফীসহ আরো কিছু ক্লাসে যোগদান করেছিলেন। এই সম্পর্কে তার বক্তব্য ছিল "যদি আমি ওই কোর্সে না যেতাম তবে ম্যাকের কখনোই বিভিন্ন টাইপফেস বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্টগুলো থাকতো না।

১৯৭৪ সালে জবস ক্যালির্ফোনিয়াতে পুনরায় চলে আসেন। এ সময় তিনি নিয়মিত ওজনিয়াকের সাথে হোমব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সভাগুলোতে উপস্থিত থাকেন। তিনি ভিডিও গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আটারিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি এসময় মূলত ভারতে যাবার জন্য অর্থ জমানোর চেষ্টা করছিলেন। জবস ভারতে নিম কারোলি বাবার কাইনিচি আশ্রমে তার বন্ধু ড্যানিয়েল কটকের সাথে ভ্রমন করেন।[১৪] আধ্যত্মিক জ্ঞান অর্জনের জন্য তিনি ভারতে আসেন ও বৌদ্ধধর্মে ধর্মান্তরিত হন।

অ্যাপল প্রতিষ্ঠা

১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক একক প্রচেষ্টায় অ্যাপল ১ কম্পিউটার উদ্ভাবন করেন। ওজনিয়াক কম্পিউটারটি জবসকে দেখালে, জবস তা বিক্রয় করার পরামর্শ দেন। তখন তারা এটিকে বিক্রয়ের জন্য রোনাল্ড ওয়েনকে সাথে নিয়ে জবসের গ্যারেজে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েন অল্প কিছু দিন ছিলেন। অতঃপর তিনি জবস এবং ওজনিয়াককে ছেড়ে চলে যান। অবশ্য, তিনিও ছিলেন অ্যাপলের প্রাথমিক সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইন্টেলের তত্‍কালীন অর্ধ-অবসরপ্রাপ্ত পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপক মাইক মার্ককুলা তাদেরকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

১৯৯৬ সালে, অ্যাপল নেক্সটকে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয়ের ঘোষণা দেয়। ১৯৯৬ সালের শেষ দিকে লেনদেন চূড়ান্ত হয়। এর মাধ্যমে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জবসের কোম্পানিটিতে প্রত্যাগমন ঘটে। ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে, অ্যাপলের তত্‍কালীন প্রধান নির্বাহী গিল আমেলিওকে উচ্ছেদ করা হলে জবস কার্যত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সেপ্টেম্বরে তিনি অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর পদ পেয়ে যান। ১৯৯৮ সালের মার্চে, অ্যাপলকে পুনরায় লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করা প্রচেষ্টা হিসেবে জবস নিউটন, সাইবারডগ এবং ওপেনডকের মত কিছু প্রকল্প বন্ধ করে দেন। জবস ম্যাকিন্টস ক্লোনের লাইসেন্সকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনেন, তিনি এটিকে প্রস্তুতকারীদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল করে দেন।

স্টিভ জবস কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন নি

সাধারণত বাস্তবভিত্তিক কর্মকাণ্ড বা কাজ করতে ভালোবাসতেন স্টিভ জবস তাই তিনি কোন মিটিং সম্পাদনা করার প্রয়োজন হলে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে তা সম্পাদন করত। কোন তথ্য আদান প্রদান করার জন্য বা কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে তিনি ইমেইল ও আইচ্যাট ব্যবহার করতেন।  তিনি সাধারণত উদ্যোক্তাদের মত সবসময় তার উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনা নিয়ে পড়ে থাকবেন।

স্টিভ জবস মনে করতেন অনলাইন মিডিয়া ব্যবহার করে কোন বিষয় নিয়ে এনালাইসিস করার থেকে তা সবাই সামনাসামনি বসে নিজের চিন্তা ভাবনা কে প্রকাশ করে নতুন নতুন ক্রিয়েটিভিটি তাদের মধ্যে উঠে আসত।

সোশ্যাল মিডিয়া তে স্টিভ জবস এর নাম ভাঙিয়ে একজন টুইটার একাউন্ট খুলে বসে সবাই তো বেশ অবাক হয়ে ওঠে কিন্তু পরে সেই ব্যক্তি স্বীকার করে যে আমি স্টিভ জবস না আমি জবের নামে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করেছি। স্টিভ জবস অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।

আমাদের করণীয়

সোশ্যাল মিডিয়া আমরা 'কেন' ব্যবহার করি তা জানার চেয়ে যেটি জানা বেশি জরুরি তা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া আমরা 'কীভাবে' ব্যবহার করি। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন নিজের ব্যবসার প্রসারে প্রচারণার জন্য অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য।

স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিকই বলা যায়। এর ঠিক বিপরীত হতে পারে যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন কেবল নিউজ ফিড দেখে সময় কাটানোর জন্য। এটা মোটেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ভালো দিক বলা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করার জন্য। কিন্তু আপনি যদি ঘন্টার পর ঘন্টা কেবল একা একা বসেই সময় কাটিয়ে দেন, তাহলে সেটা আপনার জন্যই ক্ষতিকর।

আশাকরি ওয়াইফাই সিকিউরিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনারা পেয়েছেন.  ভালো লাগলে লাইক করুন  আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আরও এই ধরনের প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url